নিজেদের হাতেই সব..
মেজাজ বিগড়ে যাওয়ারই কথা। অমন ম্যাচ কেউ হারে? বিষয়টা এমন নয় যে বাংলাদেশ দলের সব খেলোয়াড় হঠাৎ করে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সমর্থক হয়ে গেছেন। তার পরও পরশু চেন্নাইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ১৮ রানের পরাজয় বাংলাদেশ শিবিরে তুলল হতাশার ঢেউ। কেউ কেউ তো বলেই ফেললেন, দক্ষিণ আফ্রিকা আর কী চোকার্স, আসল চোকার্স তো ওয়েস্ট ইন্ডিজ!
শুধু বাংলাদেশ দল নয়, পরশু রাতে গোটা দেশের মানুষই মনেপ্রাণে কামনা করেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের জয়, ইংল্যান্ডের হার। সেটা যখন হলো না, হতাশায় পুড়তে হলো সবাইকে। ড্যারেন স্যামির দল ম্যাচটা জিতে গেলে আজ হারলেও বাংলাদেশ বিশ্বকাপের শেষ আটে খেলত। ফলাফল উল্টো হওয়ায় কোয়ার্টার ফাইনাল-স্বপ্ন পূরণের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এখন জিততেই হবে। সবাই জানে, কাজটা কঠিন। কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার স্বপ্ন অনেকটাই ছায়ায় ঢাকা।
আশার কথা, সাকিব আল হাসান এবং তাঁর দল এত সহজে হাল ছাড়ছে না। দলের মধ্যে নিজেদের কাজটা নিজেদেরই করে নেওয়ার প্রতিজ্ঞা। পরশু রাতে ম্যাচ শেষে বলেছেন, সাকিব কালও বললেন, ‘আমরা কখনোই অন্য দলকে নিয়ে বেশি চিন্তা করি না। ওয়েস্ট ইন্ডিজ-ইংল্যান্ড ম্যাচের দিকে আমাদের চোখ ছিল। তবে ওটা আমাদের হাতে ছিল না। বরং পরিস্থিতিটা এখন এমন জায়গায় এসেছে, আমাদের হাতেই সব।’
দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ক্রিকেটার আবদুর রাজ্জাকও অন্যের দিকে তাকিয়ে থাকায় বিশ্বাসী নন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ জেতা ম্যাচ হেরে যাওয়ায় তাৎক্ষণিকভাবে মেজাজ খারাপ হয়েছিল। পরক্ষণেই বাঁহাতি স্পিনারের উপলব্ধি, ওয়েস্ট ইন্ডিজ কেন বাংলাদেশের কাজ সহজ করবে! ‘আসলে অন্যের আশায় বসে থাকলে লাভ হয় না, এটাই বোঝা গেল এবার। আমাদেরটা আমাদেরই করে নিতে হবে’—কাল বলছিলেন রাজ্জাক। শুধু বলা নয়, কাজটা করে দেখানোর ব্যাপারেও প্রবল আত্মবিশ্বাসী শোনাল তাঁর কণ্ঠস্বর, ‘ইনশাল্লাহ, আমরা পারব। এই কন্ডিশনে দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যাচ জেতা সহজ হবে না।’
দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক গ্রায়েম স্মিথ যতই বলুন, ২০০৮ সালের অভিজ্ঞতার সঙ্গে এবারের অভিজ্ঞতার এখন পর্যন্ত তেমন কোনো অমিল নেই, রাজ্জাকের সঙ্গে শাহরিয়ার নাফীসের তাতে দ্বিমত। ‘আমাদের সবচেয়ে বড় সুবিধা, আমরা হোম কন্ডিশনে খেলব। কাগজে-কলমে দক্ষিণ আফ্রিকা যতই এগিয়ে থাকুক, এই একটা দিক অন্তত আমাদের এগিয়ে রাখবে’—দক্ষিণ আফ্রিকা-বধের পরিকল্পনায় মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের উইকেটকে বন্ধুই ভাবছেন শাহরিয়ার।
পরশু ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারতে দেখে বিরক্ত হয়েছেন শাহরিয়ারও। ক্যারিবীয়দের হেরে যাওয়ার কোনো ব্যাখ্যাই খুঁজে পাচ্ছেন না বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ বাংলাদেশকে কোয়ার্টার ফাইনালের পথে এগিয়ে না দেওয়ায় অধিনায়ক সাকিবের প্রতিক্রিয়া কী, সেটা বোঝা কঠিন। আর প্রতিক্রিয়া দেখাবেন কি, ক্রিস গেইলের আউটের পর তো ম্যাচই দেখেননি তিনি! চ্যানেল বদলে হিন্দি সিনেমা দেখেছেন। গেইলদের ওপর বিরক্ত হয়ে, নাকি স্নায়ুর চাপ না নিতে—সেটা অবশ্য রহস্যই থেকে গেছে।
এবারের বিশ্বকাপে রহস্য হয়ে থাকছে সাকিব ও তামিম ইকবালের পারফরম্যান্সও। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে তাঁদেরই ধরা হচ্ছিল বাংলাদেশের সম্ভাব্য বিশ্বকাপ-তারকা। অথচ এখন পর্যন্ত ইমরুল কায়েস-শফিউল ইসলামদের ছায়াতলে দুজনই! সাকিব অবশ্য এটিকে স্বাগতই জানাচ্ছেন, ‘আমার মনে হয়, দলের জন্য সবাই-ই গুরুত্বপূর্ণ। ম্যাচ জিততে হলে সবাইকেই অবদান রাখতে হয়।’
আজকের ম্যাচের জন্যও তা-ই। শেষ আটের স্বপ্ন পূরণে পরিচিত দর্শক আর কন্ডিশনের সঙ্গে যোগ হোক বিশ্বকাপে জেগে ওঠা দলীয় চেতনা।
শুধু বাংলাদেশ দল নয়, পরশু রাতে গোটা দেশের মানুষই মনেপ্রাণে কামনা করেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের জয়, ইংল্যান্ডের হার। সেটা যখন হলো না, হতাশায় পুড়তে হলো সবাইকে। ড্যারেন স্যামির দল ম্যাচটা জিতে গেলে আজ হারলেও বাংলাদেশ বিশ্বকাপের শেষ আটে খেলত। ফলাফল উল্টো হওয়ায় কোয়ার্টার ফাইনাল-স্বপ্ন পূরণের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এখন জিততেই হবে। সবাই জানে, কাজটা কঠিন। কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার স্বপ্ন অনেকটাই ছায়ায় ঢাকা।
আশার কথা, সাকিব আল হাসান এবং তাঁর দল এত সহজে হাল ছাড়ছে না। দলের মধ্যে নিজেদের কাজটা নিজেদেরই করে নেওয়ার প্রতিজ্ঞা। পরশু রাতে ম্যাচ শেষে বলেছেন, সাকিব কালও বললেন, ‘আমরা কখনোই অন্য দলকে নিয়ে বেশি চিন্তা করি না। ওয়েস্ট ইন্ডিজ-ইংল্যান্ড ম্যাচের দিকে আমাদের চোখ ছিল। তবে ওটা আমাদের হাতে ছিল না। বরং পরিস্থিতিটা এখন এমন জায়গায় এসেছে, আমাদের হাতেই সব।’
দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ক্রিকেটার আবদুর রাজ্জাকও অন্যের দিকে তাকিয়ে থাকায় বিশ্বাসী নন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ জেতা ম্যাচ হেরে যাওয়ায় তাৎক্ষণিকভাবে মেজাজ খারাপ হয়েছিল। পরক্ষণেই বাঁহাতি স্পিনারের উপলব্ধি, ওয়েস্ট ইন্ডিজ কেন বাংলাদেশের কাজ সহজ করবে! ‘আসলে অন্যের আশায় বসে থাকলে লাভ হয় না, এটাই বোঝা গেল এবার। আমাদেরটা আমাদেরই করে নিতে হবে’—কাল বলছিলেন রাজ্জাক। শুধু বলা নয়, কাজটা করে দেখানোর ব্যাপারেও প্রবল আত্মবিশ্বাসী শোনাল তাঁর কণ্ঠস্বর, ‘ইনশাল্লাহ, আমরা পারব। এই কন্ডিশনে দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যাচ জেতা সহজ হবে না।’
দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক গ্রায়েম স্মিথ যতই বলুন, ২০০৮ সালের অভিজ্ঞতার সঙ্গে এবারের অভিজ্ঞতার এখন পর্যন্ত তেমন কোনো অমিল নেই, রাজ্জাকের সঙ্গে শাহরিয়ার নাফীসের তাতে দ্বিমত। ‘আমাদের সবচেয়ে বড় সুবিধা, আমরা হোম কন্ডিশনে খেলব। কাগজে-কলমে দক্ষিণ আফ্রিকা যতই এগিয়ে থাকুক, এই একটা দিক অন্তত আমাদের এগিয়ে রাখবে’—দক্ষিণ আফ্রিকা-বধের পরিকল্পনায় মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের উইকেটকে বন্ধুই ভাবছেন শাহরিয়ার।
পরশু ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারতে দেখে বিরক্ত হয়েছেন শাহরিয়ারও। ক্যারিবীয়দের হেরে যাওয়ার কোনো ব্যাখ্যাই খুঁজে পাচ্ছেন না বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ বাংলাদেশকে কোয়ার্টার ফাইনালের পথে এগিয়ে না দেওয়ায় অধিনায়ক সাকিবের প্রতিক্রিয়া কী, সেটা বোঝা কঠিন। আর প্রতিক্রিয়া দেখাবেন কি, ক্রিস গেইলের আউটের পর তো ম্যাচই দেখেননি তিনি! চ্যানেল বদলে হিন্দি সিনেমা দেখেছেন। গেইলদের ওপর বিরক্ত হয়ে, নাকি স্নায়ুর চাপ না নিতে—সেটা অবশ্য রহস্যই থেকে গেছে।
এবারের বিশ্বকাপে রহস্য হয়ে থাকছে সাকিব ও তামিম ইকবালের পারফরম্যান্সও। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে তাঁদেরই ধরা হচ্ছিল বাংলাদেশের সম্ভাব্য বিশ্বকাপ-তারকা। অথচ এখন পর্যন্ত ইমরুল কায়েস-শফিউল ইসলামদের ছায়াতলে দুজনই! সাকিব অবশ্য এটিকে স্বাগতই জানাচ্ছেন, ‘আমার মনে হয়, দলের জন্য সবাই-ই গুরুত্বপূর্ণ। ম্যাচ জিততে হলে সবাইকেই অবদান রাখতে হয়।’
আজকের ম্যাচের জন্যও তা-ই। শেষ আটের স্বপ্ন পূরণে পরিচিত দর্শক আর কন্ডিশনের সঙ্গে যোগ হোক বিশ্বকাপে জেগে ওঠা দলীয় চেতনা।
No comments