‘প্রতিশোধের ম্যাচ নয়’
চার বছর কম সময় নয়। তার পরও আজকের ম্যাচের আগে গ্রায়েম স্মিথের সংবাদ সম্মেলনে ঘুরে ঘুরে এল ২০০৭ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের কাছে তাদের হারের প্রসঙ্গ। সেই দুঃস্মৃতি মাথায় রেখেও দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক বলেছেন, প্রতিশোধ নিতে আসেননি বাংলাদেশে
২০০৮ সালে সর্বশেষ বাংলাদেশ সফর করে গেছেন। সেবারের সঙ্গে এবারের কন্ডিশনের কি মিল খুঁজে পাচ্ছেন?
গ্রায়েম স্মিথ: ২০০৮ সালে ওয়ানডে ও টেস্ট খেলতে এসে যেমন দেখেছিলাম, উইকেট এখনো সে রকমই আছে বলে আমার ধারণা। তবে হ্যাঁ, স্টেডিয়ামের অনেক উন্নতি হয়েছে। দেখে খুবই চমৎকার লাগছে।
গ্রুপ শীর্ষে থেকে কোয়ার্টার ফাইনালে খেলা নিশ্চিত হয়ে গেছে আপনাদের। এ অবস্থায় বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচটাকে কীভাবে নিচ্ছেন?
স্মিথ: এই ম্যাচ জিততে আমরা প্রস্তুত। যে খেলাটা খেলে আসছি, তা ধরে রাখতে হবে—এটাই আমাদের প্রেরণা।্রআমরা যদি ভালো খেলতে থাকি, যা করতে চাচ্ছি তা করতে পারি, সেটাই কোয়ার্টার ফাইনালে আমাদের কাজে লাগবে।
বাংলাদেশ কি এই ম্যাচে কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলবে মনে করেন?
স্মিথ: অবশ্যই, এটি বাংলাদেশের জন্য বড় ম্যাচ। তাদের জয় দরকার এবং তারা খুবই উজ্জীবিত থাকবে। বাংলাদেশের পেছনে থাকবে ক্রিকেটপ্রেমী সমর্থকদের সমর্থন। তবে আমরা যদি আমাদের আসল খেলা খেলতে পারি, লম্বা সময় ধরে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখি এবং তাদের এমন কিছু করতে বাধ্য করি যেটা তারা চায় না—সেটাই হবে আমাদের জন্য ইতিবাচক।
এই ম্যাচে কি সেরা খেলোয়াড়দের কাউকে বিশ্রাম দেবেন?
স্মিথ: গত কয়েকটা ম্যাচের মধ্যে এই প্রথম আমরা পুরো ফিট স্কোয়াড পাচ্ছি। রাতে সর্বশেষ অবস্থা দেখব। যেটা বললাম, সবাই ফিট এবং উজ্জীবিত।
বাংলাদেশের মূল শক্তি স্পিন বোলিং। এই স্পিন আক্রমণটা কীভাবে নিচ্ছেন?
স্মিথ: তারা ম্যাচে ৪০-৪২ ওভার স্পিন আক্রমণ চালায়। কাজেই আমরা কাল (আজ) যথেষ্ট স্পিন আক্রমণের সামনে পড়ব বলে ধরে নিচ্ছি। আগের ম্যাচে তাদের সাতজন ব্যাটসম্যান ছিল বাঁহাতি, এটাও আমরা দেখছি এবং এ থেকে সুফল কীভাবে পেতে পারি সেটিও ভাবা হচ্ছে।
২০০৭ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের কাছে হেরেছিলেন। এবার তো তাদের মাঠেই খেলা...
স্মিথ: বাংলাদেশ দলের ব্যাটসম্যানরা ফ্রন্ট ফুটেই বেশি খেলে। উপমহাদেশের দলগুলোর সঙ্গে কীভাবে খেলতে হয় সেটা ২০০৭ বিশ্বকাপের চেয়ে এখন আমরা ভালো জানি। তাদের চাপে ফেললেই কাজ হয়ে যাবে কারণ, তাদের আত্মবিশ্বাসের জায়গাটা নড়বড়ে। ২০০৭ বিশ্বকাপে আশরাফুল আমাদের বিপক্ষে অসাধারণ একটা ইনিংস খেলেছিল এবং স্পিনাররা আমাদের চেপে ধরেছিল।
নকআউট পর্বের টেনশন শুরু হয়ে গেছে। কেমন লাগছে এই উত্তেজনা?
স্মিথ: নকআউট পর্বই ঠিক করবে বিশ্বকাপটা কার। এই পর্বে শীর্ষ দলগুলোকে দেখতে পাচ্ছি, এটা দারুণ ব্যাপার। ‘বি’ গ্রুপকে ঘিরে অনেক টেনশন জমা হয়ে আছে এবং সবার আগ্রহটাকে উঁচুতে নিয়ে গেছে এই গ্রুপ। বিশ্বকাপে তো এটাই প্রত্যাশা থাকে! মানুষ বিপুল উৎসাহ নিয়ে প্রতিটি ম্যাচই দেখবে। আমার তো মনে হয়, গত রাতে (পরশু) ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে ছিল কয়েক কোটি মানুষ...সম্ভবত এই প্রথম।
গত বিশ্বকাপে গায়ানায় হেরেছিলেন বাংলাদেশের কাছে। সেই অর্থে তো এটা প্রতিশোধেরও ম্যাচ, নাকি?
স্মিথ: আমরা বাড়তি কোনো আবেগ নিয়ে এই ম্যাচ খেলতে আসিনি। প্রতিশোধেরও কোনো ব্যাপার নেই। চার বছর অনেক লম্বা সময়। এর পরও আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে খেলেছি এবং বেশ ভালো খেলেছি। কাল (আজ) আরও একটি ম্যাচই খেলব আমরা। ম্যাচটা বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এর অংশ হতে পেরে আমরা উদ্দীপ্ত এবং চাইছি ভালো খেলতে।
২০০৮ সালে সর্বশেষ বাংলাদেশ সফর করে গেছেন। সেবারের সঙ্গে এবারের কন্ডিশনের কি মিল খুঁজে পাচ্ছেন?
গ্রায়েম স্মিথ: ২০০৮ সালে ওয়ানডে ও টেস্ট খেলতে এসে যেমন দেখেছিলাম, উইকেট এখনো সে রকমই আছে বলে আমার ধারণা। তবে হ্যাঁ, স্টেডিয়ামের অনেক উন্নতি হয়েছে। দেখে খুবই চমৎকার লাগছে।
গ্রুপ শীর্ষে থেকে কোয়ার্টার ফাইনালে খেলা নিশ্চিত হয়ে গেছে আপনাদের। এ অবস্থায় বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচটাকে কীভাবে নিচ্ছেন?
স্মিথ: এই ম্যাচ জিততে আমরা প্রস্তুত। যে খেলাটা খেলে আসছি, তা ধরে রাখতে হবে—এটাই আমাদের প্রেরণা।্রআমরা যদি ভালো খেলতে থাকি, যা করতে চাচ্ছি তা করতে পারি, সেটাই কোয়ার্টার ফাইনালে আমাদের কাজে লাগবে।
বাংলাদেশ কি এই ম্যাচে কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলবে মনে করেন?
স্মিথ: অবশ্যই, এটি বাংলাদেশের জন্য বড় ম্যাচ। তাদের জয় দরকার এবং তারা খুবই উজ্জীবিত থাকবে। বাংলাদেশের পেছনে থাকবে ক্রিকেটপ্রেমী সমর্থকদের সমর্থন। তবে আমরা যদি আমাদের আসল খেলা খেলতে পারি, লম্বা সময় ধরে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখি এবং তাদের এমন কিছু করতে বাধ্য করি যেটা তারা চায় না—সেটাই হবে আমাদের জন্য ইতিবাচক।
এই ম্যাচে কি সেরা খেলোয়াড়দের কাউকে বিশ্রাম দেবেন?
স্মিথ: গত কয়েকটা ম্যাচের মধ্যে এই প্রথম আমরা পুরো ফিট স্কোয়াড পাচ্ছি। রাতে সর্বশেষ অবস্থা দেখব। যেটা বললাম, সবাই ফিট এবং উজ্জীবিত।
বাংলাদেশের মূল শক্তি স্পিন বোলিং। এই স্পিন আক্রমণটা কীভাবে নিচ্ছেন?
স্মিথ: তারা ম্যাচে ৪০-৪২ ওভার স্পিন আক্রমণ চালায়। কাজেই আমরা কাল (আজ) যথেষ্ট স্পিন আক্রমণের সামনে পড়ব বলে ধরে নিচ্ছি। আগের ম্যাচে তাদের সাতজন ব্যাটসম্যান ছিল বাঁহাতি, এটাও আমরা দেখছি এবং এ থেকে সুফল কীভাবে পেতে পারি সেটিও ভাবা হচ্ছে।
২০০৭ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের কাছে হেরেছিলেন। এবার তো তাদের মাঠেই খেলা...
স্মিথ: বাংলাদেশ দলের ব্যাটসম্যানরা ফ্রন্ট ফুটেই বেশি খেলে। উপমহাদেশের দলগুলোর সঙ্গে কীভাবে খেলতে হয় সেটা ২০০৭ বিশ্বকাপের চেয়ে এখন আমরা ভালো জানি। তাদের চাপে ফেললেই কাজ হয়ে যাবে কারণ, তাদের আত্মবিশ্বাসের জায়গাটা নড়বড়ে। ২০০৭ বিশ্বকাপে আশরাফুল আমাদের বিপক্ষে অসাধারণ একটা ইনিংস খেলেছিল এবং স্পিনাররা আমাদের চেপে ধরেছিল।
নকআউট পর্বের টেনশন শুরু হয়ে গেছে। কেমন লাগছে এই উত্তেজনা?
স্মিথ: নকআউট পর্বই ঠিক করবে বিশ্বকাপটা কার। এই পর্বে শীর্ষ দলগুলোকে দেখতে পাচ্ছি, এটা দারুণ ব্যাপার। ‘বি’ গ্রুপকে ঘিরে অনেক টেনশন জমা হয়ে আছে এবং সবার আগ্রহটাকে উঁচুতে নিয়ে গেছে এই গ্রুপ। বিশ্বকাপে তো এটাই প্রত্যাশা থাকে! মানুষ বিপুল উৎসাহ নিয়ে প্রতিটি ম্যাচই দেখবে। আমার তো মনে হয়, গত রাতে (পরশু) ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে ছিল কয়েক কোটি মানুষ...সম্ভবত এই প্রথম।
গত বিশ্বকাপে গায়ানায় হেরেছিলেন বাংলাদেশের কাছে। সেই অর্থে তো এটা প্রতিশোধেরও ম্যাচ, নাকি?
স্মিথ: আমরা বাড়তি কোনো আবেগ নিয়ে এই ম্যাচ খেলতে আসিনি। প্রতিশোধেরও কোনো ব্যাপার নেই। চার বছর অনেক লম্বা সময়। এর পরও আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে খেলেছি এবং বেশ ভালো খেলেছি। কাল (আজ) আরও একটি ম্যাচই খেলব আমরা। ম্যাচটা বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এর অংশ হতে পেরে আমরা উদ্দীপ্ত এবং চাইছি ভালো খেলতে।
No comments