চেনা মাঠে অচেনা উইকেট
চার-ছক্কার উৎসব না হলে আবার ক্রিকেট হয় নাকি!্রক্রিকেট বিক্রির সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপনই তো রান। রান যত বেশি হবে দর্শক তত মজা পাবে। আর মানুষ মজা পেলেই না হু হু করে বিক্রি হবে ক্রিকেট।
ক্রিকেটটা পণ্য হয়ে যাওয়ার পর থেকে এটা ব্যাটসম্যানদেরই খেলা। স্পিনারদের টার্ন বা গুগলি কিংবা পেসারের ইনসুইং-আইটসুইং নিষিদ্ধ করা যায়নি। নইলে আধুনিক ক্রিকেটের সবকিছুই ব্যাটসম্যানদের পক্ষে। এমনকি এই বিশ্বকাপের উইকেটও। আইসিসি থেকেই নির্দেশনা আছে, বিশ্বকাপের উইকেট হতে হবে ব্যাটিং-স্বর্গ। পয়সা খরচ করে দর্শক তো আসে রান দেখতে!
আইসিসির নিদের্শনার কারণেই মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের উইকেটে ‘হোম কন্ডিশন’ খুঁজে পাচ্ছেন না বাংলাদেশের স্পিনাররা। অধিনায়ক হওয়াতেই হয়তো বাঁহাতি স্পিনার সাকিব আল হাসান ‘মিরপুরের উইকেট এ রকমই...যেটা আছে তাতেই তো খেলতে হবে...নিজেরা ভালো না খেললে উইকেট দিয়ে কী হবে...’ ইত্যাদি বলে প্রসঙ্গটা এড়িয়ে গেলেন। তবে কোচ জেমি সিডন্সের মতো শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের উইকেটে স্পিন ধরছে না বলে হতাশা প্রকাশ করেছেন দলের অন্য স্পিনাররা।
সবচেয়ে অভিজ্ঞ স্পিনার আবদুর রাজ্জাক বিশ্বকাপের উইকেটকে মেলাতে চাইলেন নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে গত হোম সিরিজের উইকেটের সঙ্গে এবং ব্যর্থ হলেন, ‘আমাদের জন্য গত নিউজিল্যান্ড সিরিজের উইকেট ছিল সবচেয়ে ভালো। এবারের উইকেটের সঙ্গে সেটার একদমই মিল নেই। উইকেট একেবারে ফ্লাট—ব্যাটসম্যানদের উইকেট বলতে পারেন।’ আরেক স্পিনার নাঈম ইসলামেরও একই হতাশা, ‘আয়ারল্যান্ড ম্যাচের উইকেট খুব শুকনো ছিল। এ রকম উইকেটে বল ঘোরে না। উইকেটটা একটু নরম থাকলে স্পিনারদের টার্ন করাতে সুবিধা হয়।’
এত দিনের পরিচিত উইকেট যখন আসল সময়ে এসে রাজ্জাক-নাঈমদের চিনছে না, এই উইকেটে সাফল্য পাওয়ার বিকল্প উপায় খোঁজার চেষ্টা করছেন বাংলাদেশ দলের স্পিনাররা। রাজ্জাক যেমন বললেন, ‘এ রকম উইকেটে ব্যাটসম্যানরা বড় একটা স্কোর করে দিলে সুবিধা হয়। আর বোলারদের মৌলিক বিষয়গুলো ঠিক রেখে বল করার চেষ্টা করতে হবে। আমরা যেমন চেষ্টা করছি লাইন-লেংথ ঠিক রাখতে। সঙ্গে বোলিংয়ে বৈচিত্র্য আনাটাও জরুরি।’ সিনিয়র স্পিনার হিসেবে দলের অন্যদের প্রতি তাঁর পরামর্শ, ‘যে রকম উইকেট আছে সেটা মেনে নিয়েই খেলতে হবে। এ রকম উইকেটে বল করার সময় খুব মনোযোগী থাকতে হবে। ভুল করা যাবে না।’
বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ড সিরিজের উইকেটের মতো উইকেট না হওয়ায় আফসোস আছে নাঈম ইসলামেরও। সঙ্গে এই উইকেটে ভালো করার একটা উপায়ও দেখালেন তিনি, ‘নিউজিল্যান্ড সিরিজের উইকেটের মতো উইকেট হলেই ভালো হতো। সে রকম টার্নিং উইকেট যখন হয়নি, আমাদের ফ্লাইট, পেস এসব দিকেই বেশি নজর দিতে হবে।’
ভারত-আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ম্যাচে বাংলাদেশের বোলারদের নেওয়া ১৪ উইকেটের মধ্যে স্পিনারদেরই ৮ উইকেট। পেসাররা নিয়েছে ৫টি এবং ১টি রানআউট। শুধু আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে গত ম্যাচেই স্পিনাররা উইকেট পেয়েছেন ৬টি। দুই ম্যাচে এমন দাপট দেখানোর পরও মিরপুরের উইকেট নিয়ে স্পিনারদের দীর্ঘশ্বাসে বিস্মিত হতে পারেন। যদিও কোচ সিডন্স আগেই দিয়েছেন এই বিস্ময়ের জবাব—বাংলাদেশের বোলাররা উইকেট পেলেও সেটা প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানরা বাজে শট খেলেছে বলেই।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচের আগে বাংলাদেশের মূল বোলিং অস্ত্র স্পিনারদের সামনে তাই একটাই চ্যালেঞ্জ—‘হোম কন্ডিশনের’ অপরিচিত উইকেটের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া।
ক্রিকেটটা পণ্য হয়ে যাওয়ার পর থেকে এটা ব্যাটসম্যানদেরই খেলা। স্পিনারদের টার্ন বা গুগলি কিংবা পেসারের ইনসুইং-আইটসুইং নিষিদ্ধ করা যায়নি। নইলে আধুনিক ক্রিকেটের সবকিছুই ব্যাটসম্যানদের পক্ষে। এমনকি এই বিশ্বকাপের উইকেটও। আইসিসি থেকেই নির্দেশনা আছে, বিশ্বকাপের উইকেট হতে হবে ব্যাটিং-স্বর্গ। পয়সা খরচ করে দর্শক তো আসে রান দেখতে!
আইসিসির নিদের্শনার কারণেই মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের উইকেটে ‘হোম কন্ডিশন’ খুঁজে পাচ্ছেন না বাংলাদেশের স্পিনাররা। অধিনায়ক হওয়াতেই হয়তো বাঁহাতি স্পিনার সাকিব আল হাসান ‘মিরপুরের উইকেট এ রকমই...যেটা আছে তাতেই তো খেলতে হবে...নিজেরা ভালো না খেললে উইকেট দিয়ে কী হবে...’ ইত্যাদি বলে প্রসঙ্গটা এড়িয়ে গেলেন। তবে কোচ জেমি সিডন্সের মতো শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের উইকেটে স্পিন ধরছে না বলে হতাশা প্রকাশ করেছেন দলের অন্য স্পিনাররা।
সবচেয়ে অভিজ্ঞ স্পিনার আবদুর রাজ্জাক বিশ্বকাপের উইকেটকে মেলাতে চাইলেন নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে গত হোম সিরিজের উইকেটের সঙ্গে এবং ব্যর্থ হলেন, ‘আমাদের জন্য গত নিউজিল্যান্ড সিরিজের উইকেট ছিল সবচেয়ে ভালো। এবারের উইকেটের সঙ্গে সেটার একদমই মিল নেই। উইকেট একেবারে ফ্লাট—ব্যাটসম্যানদের উইকেট বলতে পারেন।’ আরেক স্পিনার নাঈম ইসলামেরও একই হতাশা, ‘আয়ারল্যান্ড ম্যাচের উইকেট খুব শুকনো ছিল। এ রকম উইকেটে বল ঘোরে না। উইকেটটা একটু নরম থাকলে স্পিনারদের টার্ন করাতে সুবিধা হয়।’
এত দিনের পরিচিত উইকেট যখন আসল সময়ে এসে রাজ্জাক-নাঈমদের চিনছে না, এই উইকেটে সাফল্য পাওয়ার বিকল্প উপায় খোঁজার চেষ্টা করছেন বাংলাদেশ দলের স্পিনাররা। রাজ্জাক যেমন বললেন, ‘এ রকম উইকেটে ব্যাটসম্যানরা বড় একটা স্কোর করে দিলে সুবিধা হয়। আর বোলারদের মৌলিক বিষয়গুলো ঠিক রেখে বল করার চেষ্টা করতে হবে। আমরা যেমন চেষ্টা করছি লাইন-লেংথ ঠিক রাখতে। সঙ্গে বোলিংয়ে বৈচিত্র্য আনাটাও জরুরি।’ সিনিয়র স্পিনার হিসেবে দলের অন্যদের প্রতি তাঁর পরামর্শ, ‘যে রকম উইকেট আছে সেটা মেনে নিয়েই খেলতে হবে। এ রকম উইকেটে বল করার সময় খুব মনোযোগী থাকতে হবে। ভুল করা যাবে না।’
বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ড সিরিজের উইকেটের মতো উইকেট না হওয়ায় আফসোস আছে নাঈম ইসলামেরও। সঙ্গে এই উইকেটে ভালো করার একটা উপায়ও দেখালেন তিনি, ‘নিউজিল্যান্ড সিরিজের উইকেটের মতো উইকেট হলেই ভালো হতো। সে রকম টার্নিং উইকেট যখন হয়নি, আমাদের ফ্লাইট, পেস এসব দিকেই বেশি নজর দিতে হবে।’
ভারত-আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ম্যাচে বাংলাদেশের বোলারদের নেওয়া ১৪ উইকেটের মধ্যে স্পিনারদেরই ৮ উইকেট। পেসাররা নিয়েছে ৫টি এবং ১টি রানআউট। শুধু আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে গত ম্যাচেই স্পিনাররা উইকেট পেয়েছেন ৬টি। দুই ম্যাচে এমন দাপট দেখানোর পরও মিরপুরের উইকেট নিয়ে স্পিনারদের দীর্ঘশ্বাসে বিস্মিত হতে পারেন। যদিও কোচ সিডন্স আগেই দিয়েছেন এই বিস্ময়ের জবাব—বাংলাদেশের বোলাররা উইকেট পেলেও সেটা প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানরা বাজে শট খেলেছে বলেই।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচের আগে বাংলাদেশের মূল বোলিং অস্ত্র স্পিনারদের সামনে তাই একটাই চ্যালেঞ্জ—‘হোম কন্ডিশনের’ অপরিচিত উইকেটের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া।
No comments