‘ওয়াসিম-ওয়াকারকে দেখে ইয়র্কার শিখেছি’
গ্লেন ম্যাকগ্রা, অ্যালান ডোনাল্ড, ওয়াসিম আকরাম, শোয়েব আখতারদের মতো কখনোই খুব বেশি আলোচনায় আসেন নি শ্রীলঙ্কান পেসার লাথিস মালিঙ্গা। মাঝেমধ্যে যাও আলোচনায় এসেছেন তাও তাঁর অদ্ভুত বোলিং অ্যাকশনের কারণেই। কিন্তু গতকাল তিনি এমনই এক কীর্তি গড়ে ফেললেন, যেটা যে কোন বোলারের জন্যই ঈর্ষণীয়। ক্রিকেট ইতিহাসের প্রথম বোলার হিসেবে মালিঙ্গা এখন বিশ্বকাপে দুটো হ্যাটট্রিকের গর্বিত মালিক। গত বিশ্বকাপেও কেবল হ্যাটট্রিক নয়, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তাঁর ছিল পরপর চার বলে চারটি উইকেট নেওয়ার অনন্য কৃতিত্ব। গতকালও কেনিয়ার বিপক্ষে হ্যাট্রিকসহ মাত্র ৩৮ রানের বিনিময়ে শিকার করেছেন ছয়টি উইকেট। এর পাঁচটিই নিয়েছেন শেষ দুই ওভারে। কেনিয়ার বিপক্ষে তাঁর এই ছয় উইকেটের সবগুলোই এসেছে দুর্দান্ত ইয়র্কারে।
মালিঙ্গার এই দুর্ধর্ষ ইয়র্কারগুলো দেখে ক্রিকেটামোদীদের নিশ্চয়ই মনে পড়ে গিয়েছিল পাকিস্তানের কিংবদন্তি পেস জুটি ওয়াসিম আকরাম ও ওয়াকার ইউনুসের কথা! সবচেয়ে মজার ব্যাপার হচ্ছে, এই মালিঙ্গা কিন্তু তাঁর এই দুরন্ত ইয়র্কারগুলো কিন্তু শিখেছেন ওয়াসিম আকরাম ও ওয়াকার ইউনুসের ইয়র্কার দেখে অনুপ্রাণিত হয়েই। মাঝে মধ্যে তাঁদের কাছ থেকে টিপসও নাকি নিয়েছেন। তবে নিজের এই পর্যায়ে আসার পেছনে সবচেয়ে বড় কৃতিত্ব নাকি শ্রীলঙ্কা দলের দুই বোলিং কোচ চম্পাকা রামানায়েকে ও রমেশ রাত্নায়েকের। এই দুই সাবেক শ্রীলঙ্কান বোলার নাকি মালিঙ্গাকে রীতিমতো হাতে ধরেই শিখিয়েছেন বোলিংয়ের ভংঙ্করতম অস্ত্রটি।
বিশ্বকাপে হ্যাটট্রিক হয়েছে সাতটি। আর মালিঙ্গা একাই মালিক এর দুটি। কলম্বোর শেষ বিকেলটি তাই বড় মধুর মনে হচ্ছিল সোনালি রঙের অদ্ভুত দর্শন চুলের অধিকারী এই পেসারের। কেবল মালিঙ্গারই নয়, ক্রিকেটকেই কি আরো একটু উজ্জ্বল করেনি তাঁর এই কীর্তি। ব্যক্তিগত নৈপূণের খেলা ক্রিকেট যখন চরম পেশাদারিত্বের জাঁতাকলে পিষ্ট, অ্যামব্রোস, ওয়ালশ, লিলি, আকরাম, ওয়াকারের মতো ক্যারিশমাটিক চরিত্রগুলো যখন ক্রিকেটে বিলুপ্তপ্রায়, ঠিক তখনই মালিঙ্গাদের মতো খেলোয়াড়েরা ক্রিকেটকে করছেন মহিমান্বিত।
নিজের এই অসাধারণ কীর্তির নেপথ্যে ছিল তাঁর চিন্তাশীল পারফরম্যান্স, আর কিছুই নয়। তিনি নিজেও বলেছেন, কলম্বোর উইকেটে বল তেমন বাউন্স করে না, তাই ঠিক করেছিলাম বল ওপরে তোলার চেষ্টা না করে ইয়র্কার দিয়ে যাবো। সেমতোই কেনিয়ার বিপক্ষে বল করে আমি সফল হয়েছি।’ নিজের সেরা বোলিং হিসেবে তিনি ২০০৭ সালের বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে চার বলে চার উইকেট নেওয়াটিকেই রাখতে চান মালিঙ্গা। তবে, কেনিয়ার বিপক্ষে মালিঙ্গার এই পারফরম্যান্স অন্যদলগুলোকে মালিঙ্গাকে নিয়ে যথেষ্ট ভাবতে বাধ্য করবে-একথা বলে দেওয়াই যায়।
মালিঙ্গার এই দুর্ধর্ষ ইয়র্কারগুলো দেখে ক্রিকেটামোদীদের নিশ্চয়ই মনে পড়ে গিয়েছিল পাকিস্তানের কিংবদন্তি পেস জুটি ওয়াসিম আকরাম ও ওয়াকার ইউনুসের কথা! সবচেয়ে মজার ব্যাপার হচ্ছে, এই মালিঙ্গা কিন্তু তাঁর এই দুরন্ত ইয়র্কারগুলো কিন্তু শিখেছেন ওয়াসিম আকরাম ও ওয়াকার ইউনুসের ইয়র্কার দেখে অনুপ্রাণিত হয়েই। মাঝে মধ্যে তাঁদের কাছ থেকে টিপসও নাকি নিয়েছেন। তবে নিজের এই পর্যায়ে আসার পেছনে সবচেয়ে বড় কৃতিত্ব নাকি শ্রীলঙ্কা দলের দুই বোলিং কোচ চম্পাকা রামানায়েকে ও রমেশ রাত্নায়েকের। এই দুই সাবেক শ্রীলঙ্কান বোলার নাকি মালিঙ্গাকে রীতিমতো হাতে ধরেই শিখিয়েছেন বোলিংয়ের ভংঙ্করতম অস্ত্রটি।
বিশ্বকাপে হ্যাটট্রিক হয়েছে সাতটি। আর মালিঙ্গা একাই মালিক এর দুটি। কলম্বোর শেষ বিকেলটি তাই বড় মধুর মনে হচ্ছিল সোনালি রঙের অদ্ভুত দর্শন চুলের অধিকারী এই পেসারের। কেবল মালিঙ্গারই নয়, ক্রিকেটকেই কি আরো একটু উজ্জ্বল করেনি তাঁর এই কীর্তি। ব্যক্তিগত নৈপূণের খেলা ক্রিকেট যখন চরম পেশাদারিত্বের জাঁতাকলে পিষ্ট, অ্যামব্রোস, ওয়ালশ, লিলি, আকরাম, ওয়াকারের মতো ক্যারিশমাটিক চরিত্রগুলো যখন ক্রিকেটে বিলুপ্তপ্রায়, ঠিক তখনই মালিঙ্গাদের মতো খেলোয়াড়েরা ক্রিকেটকে করছেন মহিমান্বিত।
নিজের এই অসাধারণ কীর্তির নেপথ্যে ছিল তাঁর চিন্তাশীল পারফরম্যান্স, আর কিছুই নয়। তিনি নিজেও বলেছেন, কলম্বোর উইকেটে বল তেমন বাউন্স করে না, তাই ঠিক করেছিলাম বল ওপরে তোলার চেষ্টা না করে ইয়র্কার দিয়ে যাবো। সেমতোই কেনিয়ার বিপক্ষে বল করে আমি সফল হয়েছি।’ নিজের সেরা বোলিং হিসেবে তিনি ২০০৭ সালের বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে চার বলে চার উইকেট নেওয়াটিকেই রাখতে চান মালিঙ্গা। তবে, কেনিয়ার বিপক্ষে মালিঙ্গার এই পারফরম্যান্স অন্যদলগুলোকে মালিঙ্গাকে নিয়ে যথেষ্ট ভাবতে বাধ্য করবে-একথা বলে দেওয়াই যায়।
No comments