কানাডাকে পেয়েই জিম্বাবুয়ে পরাশক্তি
ক্রিকেট বড় নিষ্ঠুর। পরশু বেঙ্গালুরুর ‘টাই’ ম্যাচ শেষে বলেছেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। ভারত অধিনায়কের সুরে সুর মিলিয়ে কানাডার অধিনায়ক আশিস বাগাইও বলতে পারেন—নিষ্ঠুর ক্রিকেটে আশা-আকাঙ্ক্ষার হিসাব মেলানো বড় কঠিন।
২০০৩ বিশ্বকাপে বাংলাদেশকে হারানো কানাডা স্বপ্ন দেখেছিল নকআউট পর্বে ওঠার। সেই আশায় তাদের সেতু হওয়ার কথা জিম্বাবুয়ে ও কেনিয়া। শ্রীলঙ্কার কাছে প্রথম ম্যাচে ২১০ রানের হারের পরও তাই কানাডার স্বপ্ন জীবন্তই ছিল! কিন্তু জিম্বাবুয়ের মুখোমুখি হতেই আশিস বাগাই উপলব্ধি করলেন, ক্রিকেট সত্যিই নিষ্ঠুর।
টেস্ট পরিবারের নবম সদস্য জিম্বাবুয়ের গায়েও এখন ‘পুঁচকে’ দলের তকমা। কিন্তু কাল নাগপুরে কানাডাকে পেয়েই যেন এলটন চিগুম্বুরার জিম্বাবুয়ে হয়ে গেল পরাশক্তি! ব্যাটিংয়ে নেমে ৯ উইকেটে ২৯৮ রান, পরে কানাডাকে মাত্র ১২৩ রানে গুটিয়ে দিয়েই কোয়ার্টার ফাইনালের স্বপ্নে জ্বালানি ঢালা, ১৭৫ রানের জয়—জিম্বাবুয়ে পরাশক্তিই তো!
দুই ‘ছোট’ দলের লড়াইহীন লড়াইয়ের শুরুটাই একটা নাটকীয়তার মধ্য দিয়ে। খুররম চোহানের করা ম্যাচের প্রথম বলেই ব্রেন্ডন টেলর এলবিডব্লু, রেফারেল নিয়েও লাভ হয়নি। টেলরকে দ্রুতই অনুসরণ করেন চার্লস কভেন্ট্রি। তিনিও এলবিডব্লু। ৭ রানেই জিম্বাবুয়ের দুই ওপেনার প্যাভিলিয়নে। কানাডার অধিনায়ক যেন তখন দুনিয়ার সবচেয়ে সুখী মানুষ!
কিন্তু এই আনন্দ কেড়ে নিয়ে দ্রুতই তাঁকে হতাশার রাজ্যে ডুবিয়ে দিলেন টাটেন্ডা টাইবু ও ক্রেগ আরভিন। তৃতীয় উইকেটে তাঁরা যোগ করেন ১৮১ রান, ওয়ানডেতে ক্রিকেটে তৃতীয় উইকেটে এটাই জিম্বাবুয়ের সর্বোচ্চ জুটি।
হাফ সেঞ্চুরি পেরিয়ে দুজনেই হাঁটছিলেন সেঞ্চুরির পথে। কিন্তু সেঞ্চুরি পাননি কেউই। আরভিন ফিরে যান ৮৫ রানে। টাইবুর আফসোসটা আরও বেশি, আউট হয়েছেন ৯৮ রানে। বিশ্বকাপে নড়বড়ে নব্বইয়ে আউট হওয়ার এটি ৩২তম ঘটনা, জিম্বাবুয়ের পক্ষে প্রথম। ৬৬ রানে বালাজি রাওয়ের বলে আম্পায়ার এলবিডব্লু দিলেও টাইবু জীবন পান রেফারেল নিয়ে। পরে টেলএন্ডারদের ছোট ছোট অবদানে জিম্বাবুয়ে পায় বড় পুঁজি। কানাডার লেগস্পিনার বালাজি রাও ক্যারিয়ার সেরা বোলিং করে ৫৭ রানে তুলেছেন ৪ উইকেট।
নিজের প্রথম (ইনিংসের দ্বিতীয়) ওভারেই সফল জিম্বাবুয়ে বাঁ হাতি স্পিনার রেমন্ড প্রাইস। ডেভিসনকে ফিরিয়ে দেন শূন্য হাতে। নিজের তৃতীয় ওভারে দুই উইকেট, পরপর দুই বলে। ৭ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলা কানাডা আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। সুরকারি সর্বোচ্চ ২৬ রান করেন। প্রাইসের মতো ক্রেমার নিয়েছেন ৩ উইকেট। উতসেয়া, ল্যাম্ব ২টি করে।
দলের জয়, সঙ্গে ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার—টাইবুর সেঞ্চুরি মিসের যন্ত্রণার ক্ষতে একটু প্রলেপ তো পড়েছেই।
২০০৩ বিশ্বকাপে বাংলাদেশকে হারানো কানাডা স্বপ্ন দেখেছিল নকআউট পর্বে ওঠার। সেই আশায় তাদের সেতু হওয়ার কথা জিম্বাবুয়ে ও কেনিয়া। শ্রীলঙ্কার কাছে প্রথম ম্যাচে ২১০ রানের হারের পরও তাই কানাডার স্বপ্ন জীবন্তই ছিল! কিন্তু জিম্বাবুয়ের মুখোমুখি হতেই আশিস বাগাই উপলব্ধি করলেন, ক্রিকেট সত্যিই নিষ্ঠুর।
টেস্ট পরিবারের নবম সদস্য জিম্বাবুয়ের গায়েও এখন ‘পুঁচকে’ দলের তকমা। কিন্তু কাল নাগপুরে কানাডাকে পেয়েই যেন এলটন চিগুম্বুরার জিম্বাবুয়ে হয়ে গেল পরাশক্তি! ব্যাটিংয়ে নেমে ৯ উইকেটে ২৯৮ রান, পরে কানাডাকে মাত্র ১২৩ রানে গুটিয়ে দিয়েই কোয়ার্টার ফাইনালের স্বপ্নে জ্বালানি ঢালা, ১৭৫ রানের জয়—জিম্বাবুয়ে পরাশক্তিই তো!
দুই ‘ছোট’ দলের লড়াইহীন লড়াইয়ের শুরুটাই একটা নাটকীয়তার মধ্য দিয়ে। খুররম চোহানের করা ম্যাচের প্রথম বলেই ব্রেন্ডন টেলর এলবিডব্লু, রেফারেল নিয়েও লাভ হয়নি। টেলরকে দ্রুতই অনুসরণ করেন চার্লস কভেন্ট্রি। তিনিও এলবিডব্লু। ৭ রানেই জিম্বাবুয়ের দুই ওপেনার প্যাভিলিয়নে। কানাডার অধিনায়ক যেন তখন দুনিয়ার সবচেয়ে সুখী মানুষ!
কিন্তু এই আনন্দ কেড়ে নিয়ে দ্রুতই তাঁকে হতাশার রাজ্যে ডুবিয়ে দিলেন টাটেন্ডা টাইবু ও ক্রেগ আরভিন। তৃতীয় উইকেটে তাঁরা যোগ করেন ১৮১ রান, ওয়ানডেতে ক্রিকেটে তৃতীয় উইকেটে এটাই জিম্বাবুয়ের সর্বোচ্চ জুটি।
হাফ সেঞ্চুরি পেরিয়ে দুজনেই হাঁটছিলেন সেঞ্চুরির পথে। কিন্তু সেঞ্চুরি পাননি কেউই। আরভিন ফিরে যান ৮৫ রানে। টাইবুর আফসোসটা আরও বেশি, আউট হয়েছেন ৯৮ রানে। বিশ্বকাপে নড়বড়ে নব্বইয়ে আউট হওয়ার এটি ৩২তম ঘটনা, জিম্বাবুয়ের পক্ষে প্রথম। ৬৬ রানে বালাজি রাওয়ের বলে আম্পায়ার এলবিডব্লু দিলেও টাইবু জীবন পান রেফারেল নিয়ে। পরে টেলএন্ডারদের ছোট ছোট অবদানে জিম্বাবুয়ে পায় বড় পুঁজি। কানাডার লেগস্পিনার বালাজি রাও ক্যারিয়ার সেরা বোলিং করে ৫৭ রানে তুলেছেন ৪ উইকেট।
নিজের প্রথম (ইনিংসের দ্বিতীয়) ওভারেই সফল জিম্বাবুয়ে বাঁ হাতি স্পিনার রেমন্ড প্রাইস। ডেভিসনকে ফিরিয়ে দেন শূন্য হাতে। নিজের তৃতীয় ওভারে দুই উইকেট, পরপর দুই বলে। ৭ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলা কানাডা আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। সুরকারি সর্বোচ্চ ২৬ রান করেন। প্রাইসের মতো ক্রেমার নিয়েছেন ৩ উইকেট। উতসেয়া, ল্যাম্ব ২টি করে।
দলের জয়, সঙ্গে ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার—টাইবুর সেঞ্চুরি মিসের যন্ত্রণার ক্ষতে একটু প্রলেপ তো পড়েছেই।
No comments