মালিঙ্গার ম্যাচে বিধ্বস্ত কেনিয়া
যেন এই মাত্র কোনো ভয়াল অভিজ্ঞতার স্বাদ পেয়েছেন। পেরিয়ে এসেছেন অন্ধকার কোনো গুহা বা পড়েছিলেন ঝড়ের মুখে। সংবাদ সম্মেলনের টেবিলে সাধারণত স্পনসর কোম্পানির পানীয় থাকে। মূলত প্রচারের জন্য। প্রেমাদাসার সম্মেলনকক্ষে ঢুকেই একটা পানীয় তুলে গলায় ঢালতে শুরু করলেন জিমি কামান্ডে। মুহূর্তে সাবাড় প্রায় পুরো বোতল!
‘ভয়াল অভিজ্ঞতা’র পর ঘণ্টা তিনেক পেরিয়ে গেছে। কিন্তু লাসিথ মালিঙ্গার বলে যেভাবে চোখে অন্ধকার দেখলেন কেনিয়ার ব্যাটসম্যানরা, তাতে ওই স্মৃতি কত দিন তাদের তাড়িয়ে বেড়ায় কে বলতে পারে?
২০০৩ বিশ্বকাপে কেনিয়ার সেই স্মরণীয় জয়ের পর বিশ্বকাপে দুই দলের প্রথম দেখা। বাতাসে প্রতিশোধের গন্ধ তবু ছিল না। প্রতিশোধ তো বহুদূর, দলের যা অবস্থা তাতে মোটামুটি নিশ্চিত ছিল এই ম্যাচে প্রতিদ্বন্দ্বিতাই হবে না। তৃতীয় উইকেটে ওবুইয়া ভাইদের জুটিতে তবু মনে হচ্ছিল আগের দুই ম্যাচের দুঃস্বপ্ন বোধ হয় এবার আর ফিরে আসছে না। দুই শ বিশ-টিশ খুবই সম্ভব মনে হচ্ছিল, আর সেটা হয়ে গেলে বল হাতে লড়াই করার রসদও কিছু পাওয়া যেত। কিন্তু দুঃস্বপ্নের আবর্তেই থাকল ২০০৩-এর সেমিফাইনালিস্টরা। কালকের দুঃস্বপ্নের নাম মালিঙ্গা। হ্যাটট্রিকসহ ৬ উইকেট নিয়ে এই পেসারই কেনিয়াকে বুঝিয়ে দিয়েছেন ক্রিকেট কত নির্মম।
প্রথম স্পেলে একটি উইকেট পেয়েছিলেন, দ্বিতীয় স্পেলেও একটি। কিন্তু কেনিয়ানদের আসল সর্বনাশ করলেন তৃতীয় স্পেলে। ‘স্পেল’ না বলে বলা যায় ১০ বলের এক ঝড়। ঝড়ের শুরুতে এক ইয়র্কার, পড়িমড়ি করে ঠেকিয়েছিলেন কামান্ডে, বলটা পায়ের কাছে পড়ে থাকায় একটা রানও নিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু মিড উইকেট থেকে চিতার গতিতে ছুটে এলেন চামারা সিলভা, এরপর শকুনের মতো ছোঁ দিয়ে বলটা ধরে যেন হয়ে গেলেন ১৯৯২ বিশ্বকাপের জন্টি রোডস। উড়ে গিয়ে ভেঙে দিলেন স্টাম্প, রানআউট কামান্ডে।
তখনো বোঝা যায়নি কী আসছে সামনে! পরের বলে রান নেই, ইয়র্কার করার প্রচেষ্টায় পরের দুটি বল হলো ফুলটস, লেগ স্টাম্পে। দুটোই চার। ওভারের শেষ বলে জায়গামতো থাকল ইয়র্কার, এলবিডব্লু তন্ময় মিশ্র। নিজের পরের ওভারের প্রথম দুই বলে আবারও দুটি ইয়র্কার। ব্যাটসম্যান জানতেন ইয়র্কারই আসছে, কিন্তু মালিঙ্গার ইয়র্কার নিখুঁত হলে অনেক প্রতিষ্ঠিত ব্যাটসম্যানই যখন উত্তর খুঁজে পান না, ওনগোন্ডো-এনগোচে আর কী করবেন! ঢুকে গেলেন ইতিহাসে। ওয়ানডেতে দুটি হ্যাটট্রিক করা চতুর্থ বোলার, বিশ্বকাপে একমাত্র!
অথচ ৮ রানে দুই ওপেনারকে হারানোর পর দারুণ প্রতিরোধ গড়েছিলেন ওবুইয়া ভাইরা। ১৭৭ বলে ৯৪ রানের জুটিটা হয়তো বড় রান গড়ার মতো হুমকি হতে পারেনি। কিন্তু অন্তত ৫০ ওভার খেলার আশা ঠিকই জেগেছিল। ২০০৩ বিশ্বকাপে বল হাতে শ্রীলঙ্কাকে হারানোর নায়ক লেগ স্পিনার কলিন্স ওবুইয়ার ভূত হয়ে শ্রীলঙ্কাকে হয়তো তাড়া করতে পারেননি ব্যাটসম্যান কলিন্স, তবে বিশ্বকাপে প্রথম ফিফটির জন্য বেছে নিয়েছেন সেই শ্রীলঙ্কাকেই। ফিফটি পেয়েছে দুই বছরের বড় ভাই ডেভিডও। কিন্তু ২ উইকেটে ১০২ থেকে শেষ ৮ উইকেট হারাল ৪০ রানে। ১৪২ রান তাড়া করতে থারাঙ্গা-দিলশান-সাঙ্গাকারাদের লেগেছে মাত্র ১৮.৪ ওভার।
‘ভয়াল অভিজ্ঞতা’র পর ঘণ্টা তিনেক পেরিয়ে গেছে। কিন্তু লাসিথ মালিঙ্গার বলে যেভাবে চোখে অন্ধকার দেখলেন কেনিয়ার ব্যাটসম্যানরা, তাতে ওই স্মৃতি কত দিন তাদের তাড়িয়ে বেড়ায় কে বলতে পারে?
২০০৩ বিশ্বকাপে কেনিয়ার সেই স্মরণীয় জয়ের পর বিশ্বকাপে দুই দলের প্রথম দেখা। বাতাসে প্রতিশোধের গন্ধ তবু ছিল না। প্রতিশোধ তো বহুদূর, দলের যা অবস্থা তাতে মোটামুটি নিশ্চিত ছিল এই ম্যাচে প্রতিদ্বন্দ্বিতাই হবে না। তৃতীয় উইকেটে ওবুইয়া ভাইদের জুটিতে তবু মনে হচ্ছিল আগের দুই ম্যাচের দুঃস্বপ্ন বোধ হয় এবার আর ফিরে আসছে না। দুই শ বিশ-টিশ খুবই সম্ভব মনে হচ্ছিল, আর সেটা হয়ে গেলে বল হাতে লড়াই করার রসদও কিছু পাওয়া যেত। কিন্তু দুঃস্বপ্নের আবর্তেই থাকল ২০০৩-এর সেমিফাইনালিস্টরা। কালকের দুঃস্বপ্নের নাম মালিঙ্গা। হ্যাটট্রিকসহ ৬ উইকেট নিয়ে এই পেসারই কেনিয়াকে বুঝিয়ে দিয়েছেন ক্রিকেট কত নির্মম।
প্রথম স্পেলে একটি উইকেট পেয়েছিলেন, দ্বিতীয় স্পেলেও একটি। কিন্তু কেনিয়ানদের আসল সর্বনাশ করলেন তৃতীয় স্পেলে। ‘স্পেল’ না বলে বলা যায় ১০ বলের এক ঝড়। ঝড়ের শুরুতে এক ইয়র্কার, পড়িমড়ি করে ঠেকিয়েছিলেন কামান্ডে, বলটা পায়ের কাছে পড়ে থাকায় একটা রানও নিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু মিড উইকেট থেকে চিতার গতিতে ছুটে এলেন চামারা সিলভা, এরপর শকুনের মতো ছোঁ দিয়ে বলটা ধরে যেন হয়ে গেলেন ১৯৯২ বিশ্বকাপের জন্টি রোডস। উড়ে গিয়ে ভেঙে দিলেন স্টাম্প, রানআউট কামান্ডে।
তখনো বোঝা যায়নি কী আসছে সামনে! পরের বলে রান নেই, ইয়র্কার করার প্রচেষ্টায় পরের দুটি বল হলো ফুলটস, লেগ স্টাম্পে। দুটোই চার। ওভারের শেষ বলে জায়গামতো থাকল ইয়র্কার, এলবিডব্লু তন্ময় মিশ্র। নিজের পরের ওভারের প্রথম দুই বলে আবারও দুটি ইয়র্কার। ব্যাটসম্যান জানতেন ইয়র্কারই আসছে, কিন্তু মালিঙ্গার ইয়র্কার নিখুঁত হলে অনেক প্রতিষ্ঠিত ব্যাটসম্যানই যখন উত্তর খুঁজে পান না, ওনগোন্ডো-এনগোচে আর কী করবেন! ঢুকে গেলেন ইতিহাসে। ওয়ানডেতে দুটি হ্যাটট্রিক করা চতুর্থ বোলার, বিশ্বকাপে একমাত্র!
অথচ ৮ রানে দুই ওপেনারকে হারানোর পর দারুণ প্রতিরোধ গড়েছিলেন ওবুইয়া ভাইরা। ১৭৭ বলে ৯৪ রানের জুটিটা হয়তো বড় রান গড়ার মতো হুমকি হতে পারেনি। কিন্তু অন্তত ৫০ ওভার খেলার আশা ঠিকই জেগেছিল। ২০০৩ বিশ্বকাপে বল হাতে শ্রীলঙ্কাকে হারানোর নায়ক লেগ স্পিনার কলিন্স ওবুইয়ার ভূত হয়ে শ্রীলঙ্কাকে হয়তো তাড়া করতে পারেননি ব্যাটসম্যান কলিন্স, তবে বিশ্বকাপে প্রথম ফিফটির জন্য বেছে নিয়েছেন সেই শ্রীলঙ্কাকেই। ফিফটি পেয়েছে দুই বছরের বড় ভাই ডেভিডও। কিন্তু ২ উইকেটে ১০২ থেকে শেষ ৮ উইকেট হারাল ৪০ রানে। ১৪২ রান তাড়া করতে থারাঙ্গা-দিলশান-সাঙ্গাকারাদের লেগেছে মাত্র ১৮.৪ ওভার।
No comments