শ্রীলঙ্কার হাত মকশোর ম্যাচ?
আউটডোর নেটে ব্যাটিং-বোলিং করে ফিল্ডিং অনুশীলনের জন্য সবে মাঠে ঢুকেছে কেনিয়া দল। হঠাৎ পিচ কাভার-ফিল্ড কাভার নিয়ে গ্রাউন্ডসম্যানদের ছুটোছুটি। অনেকেই বিস্মিত, আকাশে ঝলমলে রোদ! কিন্তু কলম্বোর আকাশকে এই গ্রাউন্ডসম্যানদের চেয়ে ভালো আর কে চেনে? দেখতে না-দেখতেই কালো মেঘে ঢেকে গেল আকাশ, বিকেল চারটাতেই জ্বলে উঠল প্রেমাদাসার ফ্লাডলাইট। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বৃষ্টি আসি আসি করছিল। ঝাঁপিয়ে বৃষ্টি নামলে আর রক্ষে নেই। ম্যাচে কী হবে, এর চেয়েও বড় প্রশ্ন তাই ম্যাচ হবে তো?
সারা বছর বৃষ্টি লেগে থাকে বলে প্রেমাদাসার নিষ্কাশনব্যবস্থাটা সুন্দর করে তৈরি। উইকেট থেকে এতটা ঢালু আউটফিল্ড আর কোথাও আছে কিনা সন্দেহ। গত ডিসেম্বরের শ্রীলঙ্কা-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের মতো নাছোড়বান্দা বৃষ্টি না হলে ম্যাচ হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। কিন্তু হলেই বা কী? যে ম্যাচের ফল নিয়ে সংশয় প্রায় নেই, সেই ম্যাচ নিয়ে আগ্রহ থাকার কথা তো শূন্যের কোটায়!
শ্রীলঙ্কা-কেনিয়া ম্যাচ তবু বেশ মনোযোগ কাড়ছে। মূলত তিনটি কারণে—পাকিস্তানের কাছে শ্রীলঙ্কার ‘অপ্রত্যাশিত’ হার, কেনিয়া দলে গৃহবিবাদ আর ২০০৩ বিশ্বকাপে এই দুই দলের ম্যাচ। দুটি কাছাকাছি মানের দলের লড়াইয়ে কোনো দলের হারকে অপ্রত্যাশিত বলা মূর্খামি। কিন্তু সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স, মুখোমুখি লড়াইয়ের ইতিহাস আর নিজেদের মাঠ শ্রীলঙ্কাকে বিজয়ী চেহারায় দাঁড় করিয়েছিল। সেই হিসাবে বড়সড় এক ধাক্কা খেয়েছে বিশ্বকাপের অন্যতম ফেবারিটরা। আজ শুধু জিতলেই হবে না, চাই মনোবল চাঙা করা এক ভূমিধস জয়। কোচ ট্রেভর বেলিস বলেই দিয়েছেন, আগের ম্যাচে হারার পর আজ কেনিয়াকে হালকাভাবে নেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।
প্রথম দুই ম্যাচে যাচ্ছেতাই হার, কোথায় দলের পাশে দাঁড়াবেন, ক্রিকেট কেনিয়ার প্রধান উল্টো ফাটালেন একটা বোমা। কোচ এলডিন ব্যাপ্টিস্টের সঙ্গে নাকি মতের মিল হচ্ছে না দলের সিনিয়র ক্রিকেটারদের। তবে এই গৃহবিবাদের প্রসঙ্গ উঠতেই যেন আকাশ থেকে পড়লেন জিমি কামান্ডে, ‘বিবাদের খবর আমিও ক্রিকইনফো পড়েই জানলাম। চেয়ারম্যানের সঙ্গে আমার কথা হয়নি, কিন্তু আমি যত দূর জানি ও বুঝি, দল দারুণ ঐক্যবদ্ধ।’ কেনিয়া অধিনায়ক বললেন বটে, তবে বলেই যেমন হাসলেন তাতে পরিষ্কার, তার কথা যে কেউ বিশ্বাস করছে না!
এমন দুঃসময়ে অবশ্য ২০০৩ বিশ্বকাপ হতে পারে তাদের প্রেরণার উৎস। কেনিয়া সুপার সিক্সে ওঠার সিঁড়ি পেয়েছিল গ্রুপ পর্বে এই শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েই। সেই সিঁড়ি বেয়ে পরে পৌঁছে যায় শেষ চারে। এই ম্যাচ ছাড়া দুই দলের বাকি চার ম্যাচে পাত্তাই পায়নি কেনিয়া। ফেব্রুয়ারিতে বিশ্বকাপের ওই ম্যাচের পরই যেমন সেপ্টেম্বরে কেনিয়াকে ১৩০ রানে হারিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। কিন্তু বিশ্বকাপে দুই দলের সর্বশেষ লড়াইয়ে জয়ী দলের নাম তো কেনিয়া! প্রতিশোধ জাতীয় কিছু শ্রীলঙ্কার মাঝে কাজ না করে পারেই না।
কেনিয়ার প্রতিশোধের জাতাকলে পিষ্ট হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। উইকেট যাওয়ার পর থেকেই প্যাভিলিয়নে ফেরার জন্য অস্থির হয়ে পড়েন ব্যাটসম্যানরা; বোলিংয়ে ধার বা বৈচিত্র্য কিছুই নেই। দুই অভিজ্ঞ স্টিভ টিকোলো ও টমাস ওডোয়ো যেন অতীত স্মৃতিচারী। কামান্ডে অবশ্য দাবি করলেন, শুধু অংশ নিতেই বিশ্বকাপে আসেননি তাঁরা। ছাড়েননি পরের পর্বে ওঠার আশা। কিন্তু কামান্ডে নিজেই তা কতটুকু বিশ্বাস করেন, কে জানে। এই ম্যাচটা তাই হতে পারে শ্রীলঙ্কার হাত মকশোর ম্যাচ, তিন দিন পরই যে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে নামতে হবে।
সারা বছর বৃষ্টি লেগে থাকে বলে প্রেমাদাসার নিষ্কাশনব্যবস্থাটা সুন্দর করে তৈরি। উইকেট থেকে এতটা ঢালু আউটফিল্ড আর কোথাও আছে কিনা সন্দেহ। গত ডিসেম্বরের শ্রীলঙ্কা-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের মতো নাছোড়বান্দা বৃষ্টি না হলে ম্যাচ হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। কিন্তু হলেই বা কী? যে ম্যাচের ফল নিয়ে সংশয় প্রায় নেই, সেই ম্যাচ নিয়ে আগ্রহ থাকার কথা তো শূন্যের কোটায়!
শ্রীলঙ্কা-কেনিয়া ম্যাচ তবু বেশ মনোযোগ কাড়ছে। মূলত তিনটি কারণে—পাকিস্তানের কাছে শ্রীলঙ্কার ‘অপ্রত্যাশিত’ হার, কেনিয়া দলে গৃহবিবাদ আর ২০০৩ বিশ্বকাপে এই দুই দলের ম্যাচ। দুটি কাছাকাছি মানের দলের লড়াইয়ে কোনো দলের হারকে অপ্রত্যাশিত বলা মূর্খামি। কিন্তু সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স, মুখোমুখি লড়াইয়ের ইতিহাস আর নিজেদের মাঠ শ্রীলঙ্কাকে বিজয়ী চেহারায় দাঁড় করিয়েছিল। সেই হিসাবে বড়সড় এক ধাক্কা খেয়েছে বিশ্বকাপের অন্যতম ফেবারিটরা। আজ শুধু জিতলেই হবে না, চাই মনোবল চাঙা করা এক ভূমিধস জয়। কোচ ট্রেভর বেলিস বলেই দিয়েছেন, আগের ম্যাচে হারার পর আজ কেনিয়াকে হালকাভাবে নেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।
প্রথম দুই ম্যাচে যাচ্ছেতাই হার, কোথায় দলের পাশে দাঁড়াবেন, ক্রিকেট কেনিয়ার প্রধান উল্টো ফাটালেন একটা বোমা। কোচ এলডিন ব্যাপ্টিস্টের সঙ্গে নাকি মতের মিল হচ্ছে না দলের সিনিয়র ক্রিকেটারদের। তবে এই গৃহবিবাদের প্রসঙ্গ উঠতেই যেন আকাশ থেকে পড়লেন জিমি কামান্ডে, ‘বিবাদের খবর আমিও ক্রিকইনফো পড়েই জানলাম। চেয়ারম্যানের সঙ্গে আমার কথা হয়নি, কিন্তু আমি যত দূর জানি ও বুঝি, দল দারুণ ঐক্যবদ্ধ।’ কেনিয়া অধিনায়ক বললেন বটে, তবে বলেই যেমন হাসলেন তাতে পরিষ্কার, তার কথা যে কেউ বিশ্বাস করছে না!
এমন দুঃসময়ে অবশ্য ২০০৩ বিশ্বকাপ হতে পারে তাদের প্রেরণার উৎস। কেনিয়া সুপার সিক্সে ওঠার সিঁড়ি পেয়েছিল গ্রুপ পর্বে এই শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েই। সেই সিঁড়ি বেয়ে পরে পৌঁছে যায় শেষ চারে। এই ম্যাচ ছাড়া দুই দলের বাকি চার ম্যাচে পাত্তাই পায়নি কেনিয়া। ফেব্রুয়ারিতে বিশ্বকাপের ওই ম্যাচের পরই যেমন সেপ্টেম্বরে কেনিয়াকে ১৩০ রানে হারিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। কিন্তু বিশ্বকাপে দুই দলের সর্বশেষ লড়াইয়ে জয়ী দলের নাম তো কেনিয়া! প্রতিশোধ জাতীয় কিছু শ্রীলঙ্কার মাঝে কাজ না করে পারেই না।
কেনিয়ার প্রতিশোধের জাতাকলে পিষ্ট হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। উইকেট যাওয়ার পর থেকেই প্যাভিলিয়নে ফেরার জন্য অস্থির হয়ে পড়েন ব্যাটসম্যানরা; বোলিংয়ে ধার বা বৈচিত্র্য কিছুই নেই। দুই অভিজ্ঞ স্টিভ টিকোলো ও টমাস ওডোয়ো যেন অতীত স্মৃতিচারী। কামান্ডে অবশ্য দাবি করলেন, শুধু অংশ নিতেই বিশ্বকাপে আসেননি তাঁরা। ছাড়েননি পরের পর্বে ওঠার আশা। কিন্তু কামান্ডে নিজেই তা কতটুকু বিশ্বাস করেন, কে জানে। এই ম্যাচটা তাই হতে পারে শ্রীলঙ্কার হাত মকশোর ম্যাচ, তিন দিন পরই যে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে নামতে হবে।
No comments