লিবিয়ার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে মার্কিন বিমানবাহী রণতরী
লিবিয়ার নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফিকে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য করতে দেশটির উপকূলের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে জঙ্গি বিমানবাহী মার্কিন রণতরী। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনও লিবিয়ার বিরুদ্ধে সামরিক ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। কিন্তু এত সব হুমকি-ধমকি ও আন্তর্জাতিক চাপের মুখেও অনড় গাদ্দাফি। তিনি সীমান্ত এলাকায় সেনা মোতায়েন বাড়িয়েছেন।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ক্যামেরন গত সোমবার রাতে হাউস অব কমন্সে জানান, লিবিয়ার আকাশকে নো ফ্লাই জোন ঘোষণার লক্ষ্যে মিত্রদের সঙ্গে কাজ করছে যুক্তরাজ্য। তিনি বলেন, ব্রিটিশ বাহিনীর চিফ অব স্টাফ জেনারেল স্যার ডেভিড রিচার্ডকে লিবিয়ায় সম্ভাব্য সামরিক অভিযানের বিভিন্ন দিক বিবেচনা করে পরিকল্পনা প্রণয়নের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মার্কিন সামরিক দপ্তর পেন্টাগন গত সোমবার জানায়, লিবিয়ার বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য তারা প্রাথমিক প্রস্তুতি নিচ্ছে। এ জন্য লোহিতসাগরে অবস্থানরত মার্কিন বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস এন্টারপ্রাইজকে ভূমধ্যসাগরে নিয়ে লিবিয়ায় অভিযানের জন্য সুবিধাজনক স্থানে নেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া ইউএসএস কিয়ারসেজকেও ওই অঞ্চলে মোতায়েন করা হতে পারে।
জাতিসংঘে মার্কিন দূত সুসান রাইস জানিয়েছেন, লিবিয়ার বিরুদ্ধে সামরিক ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে ন্যাটো ও অন্য মিত্রদের সঙ্গে কথা বলছে ওয়াশিংটন। এ ছাড়া সোমবার জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুনের সঙ্গে বৈঠক করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। এদিকে ফ্রান্স জানিয়েছে, লিবিয়ায় সম্ভাব্য সামরিক অভিযানে তারা ন্যাটো বাহিনীকে সমর্থন দেবে।
অনড় গাদ্দাফি: এত চাপের মুখেও অনড় গাদ্দাফি গতকাল সীমান্ত এলাকায় সেনা সমাবেশ বাড়িয়েছেন। ওই সব সীমান্তে কয়েক দিন ধরে নিরাপত্তা বাহিনীর উপস্থিতি লক্ষ করা না গেলেও গতকাল সেখানে ভারী অস্ত্র ও সাঁজোয়া গাড়ি নিয়ে সেনাবাহিনী টহল দিতে দেখা যায়।
বিদেশি গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার: গাদ্দাফি সোমবার রাতে ত্রিপোলিতে বিবিসিসহ কয়েকটি বিদেশি গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেন। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘দেশের সব মানুষ আমাকে ভালোবাসে। আমাকে রক্ষায় তারা জীবন দিতে পারে।’ ওই সাক্ষাৎকারের প্রতিক্রিয়ায় জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত সুসান রাইচ বলেন, গাদ্দাফি তাঁর দেশের মানুষকে হত্যা করে হাসেন, এতে এটাই প্রমাণ হয় যে তিনি বাস্তবতা থেকে বিচ্ছিন্ন।
শিগগিরই কাজ শুরু করবে অন্তর্বর্তী সরকার: ত্রিপোলিতে গাদ্দাফির নিয়ন্ত্রণ থাকলেও শিগগিরই বেনগাজিতে অন্তর্বর্তী সরকার কাজ শুরু করবে। জাতিসংঘে নিয়োজিত লিবিয়ার উপরাষ্ট্রদূত ইব্রাহিম দেবাসি গতকাল এ কথা বলেন।
বিদ্রোহীদের সামরিক পরিষদ গঠন: লিবিয়ার বিদ্রোহীরা জানিয়েছে, গতকাল বেনগাজিতে তারা একটি সামরিক পরিষদ গঠন করেছে। গাদ্দাফির বিরুদ্ধে দেশব্যাপী একটি ঐক্যবদ্ধ সামরিক শক্তি গঠনের লক্ষ্যে এই পদক্ষেপ।
সতর্ক করলেন শাভেজ: মার্কিন বাহিনী লিবিয়ায় আক্রমণ চালাতে পারে বলে সতর্ক করেছেন গাদ্দাফির অন্যতম মিত্র ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট হুগো শাভেজ। তিনি বলেছেন, লিবিয়ার তেলসম্পদ দখলে নিতে যুক্তরাষ্ট্র লিবিয়ায় হামলা চালাতে চাইছে।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ক্যামেরন গত সোমবার রাতে হাউস অব কমন্সে জানান, লিবিয়ার আকাশকে নো ফ্লাই জোন ঘোষণার লক্ষ্যে মিত্রদের সঙ্গে কাজ করছে যুক্তরাজ্য। তিনি বলেন, ব্রিটিশ বাহিনীর চিফ অব স্টাফ জেনারেল স্যার ডেভিড রিচার্ডকে লিবিয়ায় সম্ভাব্য সামরিক অভিযানের বিভিন্ন দিক বিবেচনা করে পরিকল্পনা প্রণয়নের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মার্কিন সামরিক দপ্তর পেন্টাগন গত সোমবার জানায়, লিবিয়ার বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য তারা প্রাথমিক প্রস্তুতি নিচ্ছে। এ জন্য লোহিতসাগরে অবস্থানরত মার্কিন বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস এন্টারপ্রাইজকে ভূমধ্যসাগরে নিয়ে লিবিয়ায় অভিযানের জন্য সুবিধাজনক স্থানে নেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া ইউএসএস কিয়ারসেজকেও ওই অঞ্চলে মোতায়েন করা হতে পারে।
জাতিসংঘে মার্কিন দূত সুসান রাইস জানিয়েছেন, লিবিয়ার বিরুদ্ধে সামরিক ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে ন্যাটো ও অন্য মিত্রদের সঙ্গে কথা বলছে ওয়াশিংটন। এ ছাড়া সোমবার জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুনের সঙ্গে বৈঠক করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। এদিকে ফ্রান্স জানিয়েছে, লিবিয়ায় সম্ভাব্য সামরিক অভিযানে তারা ন্যাটো বাহিনীকে সমর্থন দেবে।
অনড় গাদ্দাফি: এত চাপের মুখেও অনড় গাদ্দাফি গতকাল সীমান্ত এলাকায় সেনা সমাবেশ বাড়িয়েছেন। ওই সব সীমান্তে কয়েক দিন ধরে নিরাপত্তা বাহিনীর উপস্থিতি লক্ষ করা না গেলেও গতকাল সেখানে ভারী অস্ত্র ও সাঁজোয়া গাড়ি নিয়ে সেনাবাহিনী টহল দিতে দেখা যায়।
বিদেশি গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার: গাদ্দাফি সোমবার রাতে ত্রিপোলিতে বিবিসিসহ কয়েকটি বিদেশি গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেন। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘দেশের সব মানুষ আমাকে ভালোবাসে। আমাকে রক্ষায় তারা জীবন দিতে পারে।’ ওই সাক্ষাৎকারের প্রতিক্রিয়ায় জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত সুসান রাইচ বলেন, গাদ্দাফি তাঁর দেশের মানুষকে হত্যা করে হাসেন, এতে এটাই প্রমাণ হয় যে তিনি বাস্তবতা থেকে বিচ্ছিন্ন।
শিগগিরই কাজ শুরু করবে অন্তর্বর্তী সরকার: ত্রিপোলিতে গাদ্দাফির নিয়ন্ত্রণ থাকলেও শিগগিরই বেনগাজিতে অন্তর্বর্তী সরকার কাজ শুরু করবে। জাতিসংঘে নিয়োজিত লিবিয়ার উপরাষ্ট্রদূত ইব্রাহিম দেবাসি গতকাল এ কথা বলেন।
বিদ্রোহীদের সামরিক পরিষদ গঠন: লিবিয়ার বিদ্রোহীরা জানিয়েছে, গতকাল বেনগাজিতে তারা একটি সামরিক পরিষদ গঠন করেছে। গাদ্দাফির বিরুদ্ধে দেশব্যাপী একটি ঐক্যবদ্ধ সামরিক শক্তি গঠনের লক্ষ্যে এই পদক্ষেপ।
সতর্ক করলেন শাভেজ: মার্কিন বাহিনী লিবিয়ায় আক্রমণ চালাতে পারে বলে সতর্ক করেছেন গাদ্দাফির অন্যতম মিত্র ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট হুগো শাভেজ। তিনি বলেছেন, লিবিয়ার তেলসম্পদ দখলে নিতে যুক্তরাষ্ট্র লিবিয়ায় হামলা চালাতে চাইছে।
No comments