সব উড়িয়ে দিলেন হাডিন
গত ২৬ ফেব্রুয়ারি প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে পাকিস্তানের ২৭৭ রান তাড়া করতে যখন ব্যাটিংয়ে নামছেন থারাঙ্গা-দিলশান, তখন শহরে পা রাখছেন রিকি পন্টিং, মাইকেল ক্লার্করা। পরের দুই দিন আর কোনো খোঁজ নেই, টিম হোটেলে স্বেচ্ছাগৃহবন্দী। কড়া নিরাপত্তার ফাঁক গলে অতি সৌভাগ্যবান কোনো কোনো ফটোগ্রাফার দু-একজনকে ক্যামেরাবন্দী করতে পেরেছেন। কলম্বোতে আসার পর কালই প্রথম ‘ঘর’ ছেড়ে বের হলো বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
নেটে ব্যাটিং-বোলিং আর মাঠের উইকেটে স্লগ হিটিং—সিংহলিজ স্পোর্টস ক্লাব মাঠে ঘণ্টা তিনেক চলল অস্ট্রেলিয়ার অনুশীলন। মাঠের উইকেটে তিনজন নেট স্পিনার টানা ঘণ্টা দুয়েক বোলিং করে গেলেন আর বল মাঠের চারপাশে আছড়ে ফেললেন অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যানরা। এই তিন স্পিনারের একজন বাঁহাতি, একজন অফ স্পিনার, একজন লেগ স্পিনার। হয়তো মুরালি-মেন্ডিস-হেরাথদের জন্য প্রস্তুতি!
অনুশীলন শেষে কথা বলতে এলেন সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত জন। না রিকি পন্টিং, মাইকেল ক্লার্ক বা ব্রেট লি নন। কাল সকাল থেকে যেসব খবর ছড়িয়ে পড়ছে, তাতে ব্র্যাড হাডিনের চেয়ে কাঙ্ক্ষিত আর কে হতে পারেন! ‘প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া’র (পিটিআই) খবর, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার ম্যাচটাকে ঘিরে স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগ নাকি খতিয়ে দেখছে আইসিসির দুর্নীতি দমন ইউনিট। সন্দেহ প্রথম ২ আর ১০ ওভারকে ঘিরে। প্রথম দুই ওভারে ৫ রান তুলেছিল অস্ট্রেলিয়া, ওয়াটসন-হাডিনের মতো আক্রমণাত্মক দুই ব্যাটসম্যান থাকার পরও ১০ ওভারে ২৮! ওই সময় ৩১ বলে ১৫ রান ছিল হাডিনের, ওয়াটসনের ২৯ বলে ১২। ওয়াটসন পরে পুষিয়ে দিলেও (৯২ বলে ৭৯) হাডিন আউট হন ৬৬ বলে ২৯ রান করে!
কোচ টিম নিলসেন, ম্যানেজার স্টিভ বার্নার্ড অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছিলেন আগেই। ব্যাপারটা যে ফালতু এটা বুঝিয়ে দিতেই যেন কাল কথা বলতে পাঠানো হলো হাডিনকে। বাতাসে কী সব ভেসে বেড়াচ্ছে শুনে যেন আকাশ থেকে পড়লেন উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান, ‘কোন খবর যেন?’ প্রসঙ্গ ধরিয়ে দিতেই তাচ্ছিল্যভরা হাসিতে উত্তর, ‘কী সব হাস্যকর কথা! আমি ওসব রিপোর্ট-টিপোর্ট পড়িওনি। পুরো ব্যাপারটাকে আমার কাছে মনে হচ্ছে স্রেফ একটা কৌতুক।’
এমন উত্তরের পর কি আর এই প্রসঙ্গে কথা বলা যায়? হলোও না। ফিরতে হলো ক্রিকেটীয় সমীকরণে। স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগ না হয় উড়িয়ে দিয়েছেন, কিন্তু আরেকটা অভিযোগ তো মেনে নিতেই হবে। বারবার উইকেটে থিতু হয়েও যে বড় ইনিংস খেলতে পারছেন না! গত বছরের মার্চে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হ্যামিল্টনের সেঞ্চুরিটির পর ১৪ ইনিংসে ১১ বারই ২০ বা তার বেশি করেছেন। কিন্তু ফিফটি পর্যন্ত নিতে পেরেছেন মাত্র দুবার, সেঞ্চুরি তো নেই-ই।
অনুশীলনে বোলারদের উড়িয়েছেন বলেই কি না, কাল হাডিন যেন ছিলেন সব উড়িয়ে দেওয়ার মুডে। স্পট ফিক্সিং অভিযোগের মতো পাত্তা দিলেন না এই অভিযোগকেও, ‘ওসব অস্ট্রেলিয়ায় হচ্ছিল। এই টুর্নামেন্টে নিজের খেলায় আমি খুশি। নিজের সেরা ফর্মে আছি। বড় ইনিংস নিয়ে তাই চিন্তা নেই।’ দুই ম্যাচে ২৯ ও ৫৫ করে আউট হয়েছেন একজন ওপেনার, অথচ দাবি করছেন নিজের খেলায় সন্তুষ্ট। স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগটাই কি তাহলে এলোমেলো করে দিল হাডিনকে?
হয়তো, হয়তো নয়। হয়তো এটাই তাতিয়ে তুলবে তাঁকে। কাল নেট বোলারদের যেভাবে ওড়ালেন, ৫ মার্চ প্রেমাদাসায় লঙ্কান বোলারদের এভাবেই কি ওড়াবেন?
নেটে ব্যাটিং-বোলিং আর মাঠের উইকেটে স্লগ হিটিং—সিংহলিজ স্পোর্টস ক্লাব মাঠে ঘণ্টা তিনেক চলল অস্ট্রেলিয়ার অনুশীলন। মাঠের উইকেটে তিনজন নেট স্পিনার টানা ঘণ্টা দুয়েক বোলিং করে গেলেন আর বল মাঠের চারপাশে আছড়ে ফেললেন অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যানরা। এই তিন স্পিনারের একজন বাঁহাতি, একজন অফ স্পিনার, একজন লেগ স্পিনার। হয়তো মুরালি-মেন্ডিস-হেরাথদের জন্য প্রস্তুতি!
অনুশীলন শেষে কথা বলতে এলেন সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত জন। না রিকি পন্টিং, মাইকেল ক্লার্ক বা ব্রেট লি নন। কাল সকাল থেকে যেসব খবর ছড়িয়ে পড়ছে, তাতে ব্র্যাড হাডিনের চেয়ে কাঙ্ক্ষিত আর কে হতে পারেন! ‘প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া’র (পিটিআই) খবর, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার ম্যাচটাকে ঘিরে স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগ নাকি খতিয়ে দেখছে আইসিসির দুর্নীতি দমন ইউনিট। সন্দেহ প্রথম ২ আর ১০ ওভারকে ঘিরে। প্রথম দুই ওভারে ৫ রান তুলেছিল অস্ট্রেলিয়া, ওয়াটসন-হাডিনের মতো আক্রমণাত্মক দুই ব্যাটসম্যান থাকার পরও ১০ ওভারে ২৮! ওই সময় ৩১ বলে ১৫ রান ছিল হাডিনের, ওয়াটসনের ২৯ বলে ১২। ওয়াটসন পরে পুষিয়ে দিলেও (৯২ বলে ৭৯) হাডিন আউট হন ৬৬ বলে ২৯ রান করে!
কোচ টিম নিলসেন, ম্যানেজার স্টিভ বার্নার্ড অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছিলেন আগেই। ব্যাপারটা যে ফালতু এটা বুঝিয়ে দিতেই যেন কাল কথা বলতে পাঠানো হলো হাডিনকে। বাতাসে কী সব ভেসে বেড়াচ্ছে শুনে যেন আকাশ থেকে পড়লেন উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান, ‘কোন খবর যেন?’ প্রসঙ্গ ধরিয়ে দিতেই তাচ্ছিল্যভরা হাসিতে উত্তর, ‘কী সব হাস্যকর কথা! আমি ওসব রিপোর্ট-টিপোর্ট পড়িওনি। পুরো ব্যাপারটাকে আমার কাছে মনে হচ্ছে স্রেফ একটা কৌতুক।’
এমন উত্তরের পর কি আর এই প্রসঙ্গে কথা বলা যায়? হলোও না। ফিরতে হলো ক্রিকেটীয় সমীকরণে। স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগ না হয় উড়িয়ে দিয়েছেন, কিন্তু আরেকটা অভিযোগ তো মেনে নিতেই হবে। বারবার উইকেটে থিতু হয়েও যে বড় ইনিংস খেলতে পারছেন না! গত বছরের মার্চে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হ্যামিল্টনের সেঞ্চুরিটির পর ১৪ ইনিংসে ১১ বারই ২০ বা তার বেশি করেছেন। কিন্তু ফিফটি পর্যন্ত নিতে পেরেছেন মাত্র দুবার, সেঞ্চুরি তো নেই-ই।
অনুশীলনে বোলারদের উড়িয়েছেন বলেই কি না, কাল হাডিন যেন ছিলেন সব উড়িয়ে দেওয়ার মুডে। স্পট ফিক্সিং অভিযোগের মতো পাত্তা দিলেন না এই অভিযোগকেও, ‘ওসব অস্ট্রেলিয়ায় হচ্ছিল। এই টুর্নামেন্টে নিজের খেলায় আমি খুশি। নিজের সেরা ফর্মে আছি। বড় ইনিংস নিয়ে তাই চিন্তা নেই।’ দুই ম্যাচে ২৯ ও ৫৫ করে আউট হয়েছেন একজন ওপেনার, অথচ দাবি করছেন নিজের খেলায় সন্তুষ্ট। স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগটাই কি তাহলে এলোমেলো করে দিল হাডিনকে?
হয়তো, হয়তো নয়। হয়তো এটাই তাতিয়ে তুলবে তাঁকে। কাল নেট বোলারদের যেভাবে ওড়ালেন, ৫ মার্চ প্রেমাদাসায় লঙ্কান বোলারদের এভাবেই কি ওড়াবেন?
No comments