১১ জনের মৃত্যুদণ্ড, ২০ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
ভারতের গুজরাট রাজ্যের গোধরায় ট্রেনে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় করা মামলার রায়ে ১১ জন আসামিকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে। অপর ২০ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়। গতকাল মঙ্গলবার গুজরাটের সবরমতি কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত বিশেষ আদালতের বিচারক পি আর প্যাটেল এই রায় দেন। বিচারক এই মামলাটিকে ‘বিরল মামলাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বিরল’ বলে অভিহিত করেন।
এর আগে একই আদালত দণ্ডাদেশ পাওয়া ৩১ জন আসামিকে এই মামলায় দোষী সাব্যস্ত করেন। সরকারি কৌঁসুলি জে এম পাঞ্চল বলেন, গোধরার কাছে ওই সবরমতি এক্সপ্রেস ট্রেনের বগিতে আগুন লাগানোর ষড়যন্ত্রে আসামিদের সক্রিয় ভূমিকার কথা বিবেচনা করেছেন আদালত। ওই বগিতে আগুন লাগানোর ঘটনায় ১১ জনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। ভিন্ন ধারায় অন্য ২০ জনকে দেওয়া হয় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।
আসামি পক্ষের আইনজীবী আই এম মুনশি বলেন, দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আসামিরা সবাই উচ্চ আদালতে আপিল করবেন। তিনি বলেন, ‘এই রায় মেনে নেওয়া যায় না। তবে রায়ের কপি না পাওয়া পর্যন্ত এ ব্যাপারে আমরা কিছু বলতে চাই না।’ তিনি বলেন, বিশেষ আদালত যে রায়ই দিন না কেন, এর ফয়সালা হবে উচ্চ আদালতে। উচ্চ আদালত যদি এই রায় বহাল রাখেন, তবেই তা কার্যকর হবে।
২০০২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি অযোধ্যা থেকে ফেরার পথে গোধরার কাছে হিন্দু তীর্থযাত্রীদের বহনকারী সবরমতি এক্সপ্রেস ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৫৯ জন যাত্রীর মৃত্যু হয়। মুসলমানদের বিরুদ্ধে এই আগুন লাগানোর অভিযোগ আনা হয়। এই দোষারোপকে কেন্দ্র করে হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ে। এতে গুজরাটের আহমেদাবাদসহ বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ে। এতে প্রায় দুই হাজার লোকের প্রাণহানি ঘটে। নিহতদের বেশির ভাগই মুসলিম। দাঙ্গা চলাকালে ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) অন্যতম শীর্ষস্থানীয় নেতা ও গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে দাঙ্গা নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার অভিযোগ ওঠে। মুসলিমদের ওপর হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের হামলায় নীরবে উসকানি দেওয়ারও অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে।
২০০৯ সালের জুনে সবরমতি কেন্দ্রীয় কারাগারে ৯৪ জন আসামির বিরুদ্ধে বিশেষ আদালতে বিচার শুরু হয়। আসামিরা সবাই মুসলিম। আদালত প্রধান আসামি মৌলভী উমরজিসহ ৬৩ জনকে বেকসুর খালাস দেন। বাকি ৩১ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে দণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।
এর আগে একই আদালত দণ্ডাদেশ পাওয়া ৩১ জন আসামিকে এই মামলায় দোষী সাব্যস্ত করেন। সরকারি কৌঁসুলি জে এম পাঞ্চল বলেন, গোধরার কাছে ওই সবরমতি এক্সপ্রেস ট্রেনের বগিতে আগুন লাগানোর ষড়যন্ত্রে আসামিদের সক্রিয় ভূমিকার কথা বিবেচনা করেছেন আদালত। ওই বগিতে আগুন লাগানোর ঘটনায় ১১ জনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। ভিন্ন ধারায় অন্য ২০ জনকে দেওয়া হয় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।
আসামি পক্ষের আইনজীবী আই এম মুনশি বলেন, দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আসামিরা সবাই উচ্চ আদালতে আপিল করবেন। তিনি বলেন, ‘এই রায় মেনে নেওয়া যায় না। তবে রায়ের কপি না পাওয়া পর্যন্ত এ ব্যাপারে আমরা কিছু বলতে চাই না।’ তিনি বলেন, বিশেষ আদালত যে রায়ই দিন না কেন, এর ফয়সালা হবে উচ্চ আদালতে। উচ্চ আদালত যদি এই রায় বহাল রাখেন, তবেই তা কার্যকর হবে।
২০০২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি অযোধ্যা থেকে ফেরার পথে গোধরার কাছে হিন্দু তীর্থযাত্রীদের বহনকারী সবরমতি এক্সপ্রেস ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৫৯ জন যাত্রীর মৃত্যু হয়। মুসলমানদের বিরুদ্ধে এই আগুন লাগানোর অভিযোগ আনা হয়। এই দোষারোপকে কেন্দ্র করে হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ে। এতে গুজরাটের আহমেদাবাদসহ বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ে। এতে প্রায় দুই হাজার লোকের প্রাণহানি ঘটে। নিহতদের বেশির ভাগই মুসলিম। দাঙ্গা চলাকালে ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) অন্যতম শীর্ষস্থানীয় নেতা ও গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে দাঙ্গা নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার অভিযোগ ওঠে। মুসলিমদের ওপর হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের হামলায় নীরবে উসকানি দেওয়ারও অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে।
২০০৯ সালের জুনে সবরমতি কেন্দ্রীয় কারাগারে ৯৪ জন আসামির বিরুদ্ধে বিশেষ আদালতে বিচার শুরু হয়। আসামিরা সবাই মুসলিম। আদালত প্রধান আসামি মৌলভী উমরজিসহ ৬৩ জনকে বেকসুর খালাস দেন। বাকি ৩১ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে দণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।
No comments