এসইসির ঘন ঘন সিদ্ধান্ত পরিবর্তন, আস্থার সংকটে বিনিয়োগকারীরা
শেয়ারবাজার-সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) ঘন ঘন সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের ঘটনায় শেয়ারবাজারের ওপর আস্থা হারাচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা। একই সঙ্গে শেয়ারবাজারের সাম্প্রতিক বড় ধরনের দরপতনের ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন তাঁরা। বর্তমান অবস্থায় কী করবেন, তা নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়েছেন বিনিয়োগকারীরা।
বাজার বিশ্লেষকেরা বলছেন, এসইসির ঘন ঘন সিদ্ধান্ত পরিবর্তন বিনিয়োগকারীদের ওপর প্রভাব ফেলছে। এর ফলে তাঁরা বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বেশ চিন্তিত হয়ে পড়ছেন।
একাধিক বিনিয়োগকারী এ ব্যাপারে বলেন, তাঁরা বর্তমানে বাজারের ওপর আস্থা রাখতে পারছেন না। কেননা ঘন ঘন সিদ্ধান্ত পরিবর্তনে বাজারে বিরূপ প্রভাব পড়ায় তাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। কেননা এসইসি একটি সিদ্ধান্ত নিয়ে আবার তা পরিবর্তন করছে। এতে কী করবেন, তা ভেবে পাচ্ছেন না তাঁরা। বিনিয়োগের ক্ষেত্রে তাঁরা দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভুগছেন।
কয়েকজন ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী জানান, এসইসি ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের স্বার্থের কথা বলে কোনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায়, সিদ্ধান্তগুলো তাঁদের বিপক্ষে চলে যাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে বড় বিনিয়োগকারীরাই লাভবান হচ্ছেন।
কয়েকজন বিনিয়োগকারী বলেছেন, এসইসির এ সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের ফলে সম্প্রতি বাজারে বেশ অস্থিরতা শুরু হয়েছে। এই অস্থিরতা থামাতে প্রথমেই দরকার বাজারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা। এই আস্থা ফিরে না আসা পর্যন্ত বাজারে অস্থিরতা থামবে না। এ ক্ষেত্রে সরকারের ঊর্ধ্বতন মহল থেকে সরাসরি হস্তক্ষেপ জরুরি বলে তাঁরা মনে করছেন।
এদিকে শেয়ারবাজারে অস্থিরতা বিরাজ করায় অনেক বিনিয়োগকারী শেয়ারবাজার থেকে তাঁদের বিনিয়োগকৃত টাকা তুলে নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ব্রোকারেজ হাউসের এক কর্মকর্তা জানান, কয়েকজন বিনিয়োগকারী ইতিমধ্যে ওই হাউস থেকে প্রায় এক-তৃতীয়াংশ ফান্ড তুলে নিয়েছেন। এ ছাড়া বেশ কয়েকজন তাঁদের অর্থ তুলে নেওয়ার আবেদন করেছেন।
এদিকে গত বৃহস্পতিবার কয়েকটি ব্রোকারেজ হাউস ঘুরে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে অস্থিরতা লক্ষ করা গেছে। কয়েকজন বিনিয়োগকারী জানান, তাঁরা কী করবেন, ভেবে পাচ্ছেন না। এক বিনিয়োগকারী বলেন, এসইসি যদি মার্জিন ঋণ ১:১-এর স্থলে ১: ২-ও করেন, তার পরও বাজারে অস্থিরতা ঠেকানো যাবে না। কেননা শেয়ারবাজারে সাম্প্রতিক দরপতনের প্রধান কারণ, বাজারের ওপর বিনিয়োগকারীদের আস্থাহীনতা, মার্জিন ঋণ প্রধান কারণ নয়। এ ক্ষেত্রে সরকারিভাবে পদক্ষেপ নিতে হবে।
তবে বাজার বিশ্লেষকেরা বলছেন, এসইসি বাজার পর্যালোচনা করে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে থাকে। এতে বাজারে বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। তবে বিনিয়োগকারীদের উচিত, ভেবেচিন্তে কোম্পানির ফান্ডামেন্টাল দেখে বিনিয়োগ করা। অন্যথায় কোনো কিছু না জেনে, না বুঝে বিনিয়োগ করলে ক্ষতিগ্রস্ত হলে তার দায়দায়িত্ব বিনিয়োগকারীদেরই নিতে হবে।
বিনিয়োগকারী দেলোয়ার হোসেন বলেন, ডিসেম্বরে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের তারল্য বের করে নেওয়ায় এমনিতেই বাজার একটু নিম্নমুখী হয়ে থাকে। তবে এসইসির মার্জিন ঋণ বাড়ানোয় বাজারে খুব বেশি প্রভাব ফেলবে না।
খাজা ইক্যুইটি সার্ভিসেস লিমিটেডের স্বত্বাধিকারী খাজা গোলাম রসুল বলেন, এসইসির মার্জিন ঋণ বাড়ানোর কারণে বাজার বাড়ছে, না বাড়ালে বাজার নিম্নগামী হতো অথবা এর বিপরীত বিষয়টি এমন নয়। এটা যেকোনো কারণেই হতে পারে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ব্রোকারেজ হাউসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, এসইসির ঘন ঘন সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা ঠিক নয়। কেননা এতে বাজারে বিরূপ প্রভাব পড়ে। ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, বাজার নিয়ন্ত্রণে কমিশন আগে থেকেই বিভিন্ন ব্যবস্থা নিতে পারত।
এসইসি সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার বিনিয়োগকারীদের জন্য মার্জিন ঋণের হার ১: ১ নির্ধারণ করেছে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন। এর আগে গত ২১ নভেম্বর মার্জিন ঋণ ১: ১ থেকে নামিয়ে ১:০.৫ করে কমিশন। এর আগে বিনিয়োগকারীরা ১: ২ হারে ঋণ পেত।
৬ ও ৭ ডিসেম্বর শেয়ার ক্রয়ে নিটিং ও চেকসংক্রান্ত দুটি নিয়ম জারি করে কমিশন। এতে ৮ ডিসেম্বর বাজারে বড় ধরনের দরপতনের ঘটনা ঘটে। এদিন সাধারণ সূচক ৫৪৭ পয়েন্ট নেমে যায়। পরে বিনিয়োগকারীরা ডিএসইর সামনের সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করলে ওই সার্কুলার দুটি প্রত্যাহার করে নেয় এসইসি।
এর আগে গত ২৫ নভেম্বর সদস্য মার্জিনসংক্রান্ত আইনে সংশোধনী আনে এসইসি। কমিশন সদস্য মার্জিনের হার প্রায় দ্বিগুণ করার সিদ্ধান্ত নেয়। তবে ডিএসই কর্তৃপক্ষ এসইসির সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেন। পরে পরপর দুবার সদস্য মার্জিনের সময়সীমা ২ জানুয়ারি পর্যন্ত বৃদ্ধি করে।
এ ব্যাপারে ডিএসইর সাবেক সভাপতি রকিবুর রহমান সরাসরি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে তিনি বলেন, ‘আমরা কয়েক মাস ধরে বিনিয়োগকারীদের সতর্ক করে আসছি। আমরা তাঁদের বারবার বলছি, অতি মূল্যায়িত কোনো শেয়ার না কিনে বরং বুঝেশুনে কোম্পানির ফান্ডামেন্টাল দেখে বিনিয়োগ করতে। এ ক্ষেত্রে কেউ যদি গুজব শুনে কোনো কিছু না ভেবে বিনিয়োগ করে, তাহলে তার দায়দায়িত্ব নিজেকেই নিতে হবে।’
এ ব্যাপারে এসইসির চেয়ারম্যান জিয়াউল হক খোন্দকার বলেন, ‘আমরা যে খুব একটা সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করছি, তা নয়। তবে কখনো কখনো বিনিয়োগকারীদের স্বার্থেই বিভিন্ন সিদ্ধান্ত প্রয়োগ ও পরিবর্তন করা হয়ে থাকে।’ তিনি আরও বলেন, ‘শেয়ারবাজার বিনিয়োগের একটি স্থায়ী ক্ষেত্র। এ ক্ষেত্রটি যেন দীর্ঘদিন টিকে থাকে, এটা আমরাও চাই।’
এসইসির চেয়ারম্যান বলেন, সম্প্রতি শেয়ারবাজারে সূচক যেভাবে বেড়েছে, তা কতটুকু যুক্তিসংগত? তিনি বলেন, বাজার বিশ্লেষণ করার মাধ্যমে যেকোনো সিদ্ধান্ত নেয় এসইসি। তিনি বোম্বে স্টক এক্সচেঞ্জের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, ‘আমরা যাদি বোম্বে স্টক এক্সচেঞ্জের দিকে দেখি, তাহলে দেখতে পাই, কোনো কোনো দিন সূচক ৩০০-৪০০ পয়েন্ট নেমে যায়, আবার কোনো কোনো দিন একই হারে পয়েন্ট বেড়ে যায়।’
জিয়াউল হক খোন্দকার আতঙ্কিত না হয়ে এসইসির প্রতি আস্থা রেখে বিনিয়োগ করার আহ্বান জানান বিনিয়োগকারীদের প্রতি। এ ছাড়া তিনি দেখে, শুনে ও বাজার বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগ করারও পরামর্শ দেন।
বাজার বিশ্লেষকেরা বলছেন, এসইসির ঘন ঘন সিদ্ধান্ত পরিবর্তন বিনিয়োগকারীদের ওপর প্রভাব ফেলছে। এর ফলে তাঁরা বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বেশ চিন্তিত হয়ে পড়ছেন।
একাধিক বিনিয়োগকারী এ ব্যাপারে বলেন, তাঁরা বর্তমানে বাজারের ওপর আস্থা রাখতে পারছেন না। কেননা ঘন ঘন সিদ্ধান্ত পরিবর্তনে বাজারে বিরূপ প্রভাব পড়ায় তাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। কেননা এসইসি একটি সিদ্ধান্ত নিয়ে আবার তা পরিবর্তন করছে। এতে কী করবেন, তা ভেবে পাচ্ছেন না তাঁরা। বিনিয়োগের ক্ষেত্রে তাঁরা দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভুগছেন।
কয়েকজন ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী জানান, এসইসি ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের স্বার্থের কথা বলে কোনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায়, সিদ্ধান্তগুলো তাঁদের বিপক্ষে চলে যাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে বড় বিনিয়োগকারীরাই লাভবান হচ্ছেন।
কয়েকজন বিনিয়োগকারী বলেছেন, এসইসির এ সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের ফলে সম্প্রতি বাজারে বেশ অস্থিরতা শুরু হয়েছে। এই অস্থিরতা থামাতে প্রথমেই দরকার বাজারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা। এই আস্থা ফিরে না আসা পর্যন্ত বাজারে অস্থিরতা থামবে না। এ ক্ষেত্রে সরকারের ঊর্ধ্বতন মহল থেকে সরাসরি হস্তক্ষেপ জরুরি বলে তাঁরা মনে করছেন।
এদিকে শেয়ারবাজারে অস্থিরতা বিরাজ করায় অনেক বিনিয়োগকারী শেয়ারবাজার থেকে তাঁদের বিনিয়োগকৃত টাকা তুলে নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ব্রোকারেজ হাউসের এক কর্মকর্তা জানান, কয়েকজন বিনিয়োগকারী ইতিমধ্যে ওই হাউস থেকে প্রায় এক-তৃতীয়াংশ ফান্ড তুলে নিয়েছেন। এ ছাড়া বেশ কয়েকজন তাঁদের অর্থ তুলে নেওয়ার আবেদন করেছেন।
এদিকে গত বৃহস্পতিবার কয়েকটি ব্রোকারেজ হাউস ঘুরে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে অস্থিরতা লক্ষ করা গেছে। কয়েকজন বিনিয়োগকারী জানান, তাঁরা কী করবেন, ভেবে পাচ্ছেন না। এক বিনিয়োগকারী বলেন, এসইসি যদি মার্জিন ঋণ ১:১-এর স্থলে ১: ২-ও করেন, তার পরও বাজারে অস্থিরতা ঠেকানো যাবে না। কেননা শেয়ারবাজারে সাম্প্রতিক দরপতনের প্রধান কারণ, বাজারের ওপর বিনিয়োগকারীদের আস্থাহীনতা, মার্জিন ঋণ প্রধান কারণ নয়। এ ক্ষেত্রে সরকারিভাবে পদক্ষেপ নিতে হবে।
তবে বাজার বিশ্লেষকেরা বলছেন, এসইসি বাজার পর্যালোচনা করে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে থাকে। এতে বাজারে বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। তবে বিনিয়োগকারীদের উচিত, ভেবেচিন্তে কোম্পানির ফান্ডামেন্টাল দেখে বিনিয়োগ করা। অন্যথায় কোনো কিছু না জেনে, না বুঝে বিনিয়োগ করলে ক্ষতিগ্রস্ত হলে তার দায়দায়িত্ব বিনিয়োগকারীদেরই নিতে হবে।
বিনিয়োগকারী দেলোয়ার হোসেন বলেন, ডিসেম্বরে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের তারল্য বের করে নেওয়ায় এমনিতেই বাজার একটু নিম্নমুখী হয়ে থাকে। তবে এসইসির মার্জিন ঋণ বাড়ানোয় বাজারে খুব বেশি প্রভাব ফেলবে না।
খাজা ইক্যুইটি সার্ভিসেস লিমিটেডের স্বত্বাধিকারী খাজা গোলাম রসুল বলেন, এসইসির মার্জিন ঋণ বাড়ানোর কারণে বাজার বাড়ছে, না বাড়ালে বাজার নিম্নগামী হতো অথবা এর বিপরীত বিষয়টি এমন নয়। এটা যেকোনো কারণেই হতে পারে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ব্রোকারেজ হাউসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, এসইসির ঘন ঘন সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা ঠিক নয়। কেননা এতে বাজারে বিরূপ প্রভাব পড়ে। ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, বাজার নিয়ন্ত্রণে কমিশন আগে থেকেই বিভিন্ন ব্যবস্থা নিতে পারত।
এসইসি সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার বিনিয়োগকারীদের জন্য মার্জিন ঋণের হার ১: ১ নির্ধারণ করেছে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন। এর আগে গত ২১ নভেম্বর মার্জিন ঋণ ১: ১ থেকে নামিয়ে ১:০.৫ করে কমিশন। এর আগে বিনিয়োগকারীরা ১: ২ হারে ঋণ পেত।
৬ ও ৭ ডিসেম্বর শেয়ার ক্রয়ে নিটিং ও চেকসংক্রান্ত দুটি নিয়ম জারি করে কমিশন। এতে ৮ ডিসেম্বর বাজারে বড় ধরনের দরপতনের ঘটনা ঘটে। এদিন সাধারণ সূচক ৫৪৭ পয়েন্ট নেমে যায়। পরে বিনিয়োগকারীরা ডিএসইর সামনের সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করলে ওই সার্কুলার দুটি প্রত্যাহার করে নেয় এসইসি।
এর আগে গত ২৫ নভেম্বর সদস্য মার্জিনসংক্রান্ত আইনে সংশোধনী আনে এসইসি। কমিশন সদস্য মার্জিনের হার প্রায় দ্বিগুণ করার সিদ্ধান্ত নেয়। তবে ডিএসই কর্তৃপক্ষ এসইসির সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেন। পরে পরপর দুবার সদস্য মার্জিনের সময়সীমা ২ জানুয়ারি পর্যন্ত বৃদ্ধি করে।
এ ব্যাপারে ডিএসইর সাবেক সভাপতি রকিবুর রহমান সরাসরি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে তিনি বলেন, ‘আমরা কয়েক মাস ধরে বিনিয়োগকারীদের সতর্ক করে আসছি। আমরা তাঁদের বারবার বলছি, অতি মূল্যায়িত কোনো শেয়ার না কিনে বরং বুঝেশুনে কোম্পানির ফান্ডামেন্টাল দেখে বিনিয়োগ করতে। এ ক্ষেত্রে কেউ যদি গুজব শুনে কোনো কিছু না ভেবে বিনিয়োগ করে, তাহলে তার দায়দায়িত্ব নিজেকেই নিতে হবে।’
এ ব্যাপারে এসইসির চেয়ারম্যান জিয়াউল হক খোন্দকার বলেন, ‘আমরা যে খুব একটা সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করছি, তা নয়। তবে কখনো কখনো বিনিয়োগকারীদের স্বার্থেই বিভিন্ন সিদ্ধান্ত প্রয়োগ ও পরিবর্তন করা হয়ে থাকে।’ তিনি আরও বলেন, ‘শেয়ারবাজার বিনিয়োগের একটি স্থায়ী ক্ষেত্র। এ ক্ষেত্রটি যেন দীর্ঘদিন টিকে থাকে, এটা আমরাও চাই।’
এসইসির চেয়ারম্যান বলেন, সম্প্রতি শেয়ারবাজারে সূচক যেভাবে বেড়েছে, তা কতটুকু যুক্তিসংগত? তিনি বলেন, বাজার বিশ্লেষণ করার মাধ্যমে যেকোনো সিদ্ধান্ত নেয় এসইসি। তিনি বোম্বে স্টক এক্সচেঞ্জের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, ‘আমরা যাদি বোম্বে স্টক এক্সচেঞ্জের দিকে দেখি, তাহলে দেখতে পাই, কোনো কোনো দিন সূচক ৩০০-৪০০ পয়েন্ট নেমে যায়, আবার কোনো কোনো দিন একই হারে পয়েন্ট বেড়ে যায়।’
জিয়াউল হক খোন্দকার আতঙ্কিত না হয়ে এসইসির প্রতি আস্থা রেখে বিনিয়োগ করার আহ্বান জানান বিনিয়োগকারীদের প্রতি। এ ছাড়া তিনি দেখে, শুনে ও বাজার বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগ করারও পরামর্শ দেন।
No comments