অবশেষে ক্যালিসের ডাবল
টেকনিক নিয়ে তো প্রশ্ন নেই-ই, নেই টেম্পারমেন্ট নিয়েও। বরং সারা দিন উইকেটে পড়ে থাকার জন্য বাজি হলে বেশির ভাগ লোক চোখ বন্ধ করে বেছে নেবেন তাঁকেই। অথচ তাঁরই কিনা টেস্টে ডাবল সেঞ্চুরি নেই! একটা সময় অনেক লেখা-গবেষণা হতো, অনেক দিন ধরেই আর হয় না। বরং ক্রিকেটের হাজারো অমীমাংসিত রহস্যগুলোর একটি হিসেবেই ধরে নেওয়া হয়েছিল জ্যাক ক্যালিসেরই দ্বিশতক না পাওয়াটাকে।
অবশেষে রহস্যের অবগুণ্ঠন হলো কাল। ১৫ বছর ধরে বিশ্বের ১১টি দেশে ১৪২ টেস্ট খেলার পর সর্বকালের সেরা অলরাউন্ডারদের একজন জানলেন, টেস্ট ডাবল সেঞ্চুরির স্বাদ কেমন! ডাবল সেঞ্চুরি পেতে তাঁর চেয়ে বেশি অপেক্ষা করতে হয়নি আর কাউকে। ১৯৭ থেকে অভিষিক্ত জয়দেব উনাদকরকে গ্লান্স করে বল সীমানায় পাঠিয়ে দুহাত ওপরে তুললেন, আনন্দের চেয়েও ক্যালিসের চোখমুখজুড়ে ছিল স্বস্তি। আকাশের দিকে তাকিয়ে কী যেন বললেন, হয়তো বললেন ‘অবশেষে!’ আনন্দটা বেশি করলেন সতীর্থরা। উইকেটে সঙ্গী এবি ডি ভিলিয়ার্স এমনভাবে লাফালেন যেন ডাবলটা তিনিই করেছেন! ড্রেসিংরুমের সামনে ম্যাচ জয়ের আনন্দে মাতলেন বাকিরা। দেশের ইতিহাসের সেরা ক্রিকেটারদের একজনের ওপর থেকে প্রশ্নবোধক চিহ্নটা উঠে যাওয়ায় তাঁদের স্বস্তিও যে কম নয়!
আমলা-ক্যালিস যে ভিত্তি গড়ে দিয়েছিলেন, তাতে মনের আনন্দে ‘টি-টোয়েন্টি’ খেললেন ডি ভিলিয়ার্স। ৪১ বলে ফিফটি, ৮৯ থেকে হরভজনকে চার ও সুরেশ রায়নাকে টানা দুবার গ্যালারিতে পাঠিয়ে সেঞ্চুরি ছুঁলেন ৭৫ বলে। ক্যালিসের সঙ্গে তাঁর ২২৪ রানের জুটিটি এসেছে মাত্র ২২৮ বলে, দুজনের তাণ্ডবে কাল প্রথম সেশনের ৩৬ ওভারে আসে ২২৫ রান! সকালে ঝড়ের শুরুটা অবশ্য যথারীতি করেছিলেন হাশিম আমলা। ইশান্ত শর্মার লেগ স্টাম্পের অনেক বাইরের বলে ব্যাট ছুঁইয়ে আমলা (১৪০) আউট হলে ভাঙে ক্যালিসের সঙ্গে ২৩০ রানের জুটি। ইশান্তকে হাঁকাতে গিয়েই ডি ভিলিয়ার্সের আউটে ইনিংস ঘোষণা করেন গ্রায়েম স্মিথ।
৪৮৪ রানে পিছিয়ে থাকা ভারত অবশ্য অনেকটাই কাটিয়েছে প্রথম ইনিংসের জুজু। উদ্বোধনী জুটিতেই পেরিয়ে যায় প্রথম ইনিংসের রান। ৩৪ রানে আমলার হাতে জীবন পাওয়া শেবাগ খেলেছেন এবং আউট হয়েছে তাঁর মতো করেই। দুর্দান্ত খেলে ৬৩ করার পর পল হ্যারিসকে যেন পাঠাতে চাইলেন সেঞ্চুরিয়ন থেকে ব্লুমফন্টেইনে, আকাশচুম্বী ক্যাচটা নিয়েছেন স্মিথ। স্টেইনের নিচু হয়ে যাওয়া ইনসুইঙ্গারে এলবিডব্লু হয়েছেন দুবার জীবন পাওয়া গম্ভীর। আলোকস্বল্পতায় খেলা শেষ হওয়ার আগে নাইটওয়াচম্যান ইশান্তকে নিয়ে সময়টুকু পার করে দিয়েছেন দ্রাবিড়, স্বাগতিকদের আবার ব্যাট করাতেই প্রয়োজন এখনো ২৯৪ রান।
অবশেষে রহস্যের অবগুণ্ঠন হলো কাল। ১৫ বছর ধরে বিশ্বের ১১টি দেশে ১৪২ টেস্ট খেলার পর সর্বকালের সেরা অলরাউন্ডারদের একজন জানলেন, টেস্ট ডাবল সেঞ্চুরির স্বাদ কেমন! ডাবল সেঞ্চুরি পেতে তাঁর চেয়ে বেশি অপেক্ষা করতে হয়নি আর কাউকে। ১৯৭ থেকে অভিষিক্ত জয়দেব উনাদকরকে গ্লান্স করে বল সীমানায় পাঠিয়ে দুহাত ওপরে তুললেন, আনন্দের চেয়েও ক্যালিসের চোখমুখজুড়ে ছিল স্বস্তি। আকাশের দিকে তাকিয়ে কী যেন বললেন, হয়তো বললেন ‘অবশেষে!’ আনন্দটা বেশি করলেন সতীর্থরা। উইকেটে সঙ্গী এবি ডি ভিলিয়ার্স এমনভাবে লাফালেন যেন ডাবলটা তিনিই করেছেন! ড্রেসিংরুমের সামনে ম্যাচ জয়ের আনন্দে মাতলেন বাকিরা। দেশের ইতিহাসের সেরা ক্রিকেটারদের একজনের ওপর থেকে প্রশ্নবোধক চিহ্নটা উঠে যাওয়ায় তাঁদের স্বস্তিও যে কম নয়!
আমলা-ক্যালিস যে ভিত্তি গড়ে দিয়েছিলেন, তাতে মনের আনন্দে ‘টি-টোয়েন্টি’ খেললেন ডি ভিলিয়ার্স। ৪১ বলে ফিফটি, ৮৯ থেকে হরভজনকে চার ও সুরেশ রায়নাকে টানা দুবার গ্যালারিতে পাঠিয়ে সেঞ্চুরি ছুঁলেন ৭৫ বলে। ক্যালিসের সঙ্গে তাঁর ২২৪ রানের জুটিটি এসেছে মাত্র ২২৮ বলে, দুজনের তাণ্ডবে কাল প্রথম সেশনের ৩৬ ওভারে আসে ২২৫ রান! সকালে ঝড়ের শুরুটা অবশ্য যথারীতি করেছিলেন হাশিম আমলা। ইশান্ত শর্মার লেগ স্টাম্পের অনেক বাইরের বলে ব্যাট ছুঁইয়ে আমলা (১৪০) আউট হলে ভাঙে ক্যালিসের সঙ্গে ২৩০ রানের জুটি। ইশান্তকে হাঁকাতে গিয়েই ডি ভিলিয়ার্সের আউটে ইনিংস ঘোষণা করেন গ্রায়েম স্মিথ।
৪৮৪ রানে পিছিয়ে থাকা ভারত অবশ্য অনেকটাই কাটিয়েছে প্রথম ইনিংসের জুজু। উদ্বোধনী জুটিতেই পেরিয়ে যায় প্রথম ইনিংসের রান। ৩৪ রানে আমলার হাতে জীবন পাওয়া শেবাগ খেলেছেন এবং আউট হয়েছে তাঁর মতো করেই। দুর্দান্ত খেলে ৬৩ করার পর পল হ্যারিসকে যেন পাঠাতে চাইলেন সেঞ্চুরিয়ন থেকে ব্লুমফন্টেইনে, আকাশচুম্বী ক্যাচটা নিয়েছেন স্মিথ। স্টেইনের নিচু হয়ে যাওয়া ইনসুইঙ্গারে এলবিডব্লু হয়েছেন দুবার জীবন পাওয়া গম্ভীর। আলোকস্বল্পতায় খেলা শেষ হওয়ার আগে নাইটওয়াচম্যান ইশান্তকে নিয়ে সময়টুকু পার করে দিয়েছেন দ্রাবিড়, স্বাগতিকদের আবার ব্যাট করাতেই প্রয়োজন এখনো ২৯৪ রান।
No comments