ফার্গির ইতিহাস
আবেগের স্রোতে ভেসে যাওয়া নয়। ভাবালুতায় আক্রান্ত হওয়া যে তাঁর স্বভাববিরুদ্ধ! আজ ‘ঐতিহাসিক’ একটা মাহেন্দ্রক্ষণের সামনে দাঁড়িয়েও চরম পেশাদারির আবরণে আটকে রাখলেন আবেগ। ম্যাট বুসবিকে ছাড়িয়ে যাওয়ার দিনে নিজের জন্য কিছু চাই না। অ্যালেক্স ফার্গুসন বললেন, দল জিতলেই নাকি তিনি খুশি। তাঁর দল অবশ্য আজ জিততেও পারছে না, হারছেও না। প্রবল তুষারপাতের কারণে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে আজকের ম্যানইউ-চেলসি ম্যাচটি স্থগিত করা হয়েছে। ম্যাচ হোক আর না-ই হোক, আজ তিনি ছাড়িয়ে যাচ্ছেন কিংবদন্তি বুসবিকে।
১৯৮৬ সালে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ঘোরতর দুঃসময়ে হাল ধরেছিলেন দলের। এরপর পেরিয়ে গেছে ২৪টি বছর। আজ এর সঙ্গে যোগ হলো আরও একটি দিন। এ নিয়ে ৮ হাজার ৮১১তম দিন ম্যানইউর হয়ে দায়িত্ব পালন করবেন ফার্গুসন। কিংবদন্তি কোচ স্যার বুসবি দুই দফায় দায়িত্বে ছিলেন ৮ হাজার ৮১০ দিন।
এ নিয়ে কিছুদিন ধরে ইংলিশ মিডিয়ায় লেখালেখি চলছে। চলছে প্রশংসা আর স্তুতি। কিন্তু তাতে গা ভাসালে তিনি আর ফার্গুসন কেন? চেলসির সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচটার আগে দলের সবার মনোযোগ অন্যদিকে ঘুরে যাক এটা তিনি মোটেও চান না। খেলা স্থগিত হওয়ার আগে ২০০২ সালের পর প্রথমবারের মতো স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে একটা জয়ই উপহার চাইছিলেন শিষ্যদের কাছে, ‘এটা আমাদের জন্য অনেক বড় একটা ম্যাচ। ওদের ওখানে আমাদের রেকর্ড আট বছর ধরেই খুব খারাপ। কয়েকটা ড্র করতে পেরেছি, কয়েকটা পরাজয়ও আছে। ওদের মাঠে ওদের হারানো খুবই কঠিন।’
ম্যানইউর জন্য আরও দুটি কারণে চেলসির বিপক্ষে ম্যাচে ৩ পয়েন্ট পাওয়া জরুরি। গতবার ১ পয়েন্টের ব্যবধানে এই চেলসিই তো কেড়ে দিয়েছিল লিগ শিরোপা! এসব সমীকরণের ভিড়ে একটু যেন চাপাই পড়ে যাচ্ছে ফার্গুসনের ব্যক্তিগত অর্জনের অধ্যায়টি। প্রাপ্তি-সাফল্যে বুসবিকে কাটিয়ে গেছেন আগেই। ব্রিটিশ কোচ হিসেবেই সবচেয়ে সাফল্যের রেকর্ড তাঁর। কিন্তু ৬৮ বছর বয়সেও অক্লান্ত ফার্গুসন বুসবি নামের আগে নতশিরে অর্ঘ্য দেন এখনো। মিউনিখ বিমান দুর্ঘটনার পর যে বুসবি সাত খেলোয়াড়কে হারিয়েও নতুন করে শুরু করতে পেরেছিলেন, সে কথা মনে করিয়ে দিতেও ভোলেন না, ‘আমার তো মনে হয় স্যার ম্যাট বুসবি চিরকালই এখানে আছেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর দায়িত্ব নিলেন, এরপর ১৯৬৮-তে ইউরোপিয়ান কাপ জিতলেন। সময়কালটা আমার চেয়ে অনেক লম্বাই মনে হয়। এবং এর সঙ্গে অনেক আবেগময় ব্যাপারও কিন্তু জড়িয়ে ছিল। মিউনিখের পর দলকে নতুন করে গড়ে তুলেছেন। আমাকে তো আর সেটা করতে হয়নি। এ কারণে মনে হয়, তিনি আমার চেয়েও কাজ করেছেন বেশি দিন।’
ফার্গুসনের মাহাত্ম্য বোধ হয় এখানেও, পূর্বসূরিদের শ্রদ্ধা জানাতে এখনো বিন্দুমাত্র কার্পণ্য নেই তাঁর।
১৯৮৬ সালে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ঘোরতর দুঃসময়ে হাল ধরেছিলেন দলের। এরপর পেরিয়ে গেছে ২৪টি বছর। আজ এর সঙ্গে যোগ হলো আরও একটি দিন। এ নিয়ে ৮ হাজার ৮১১তম দিন ম্যানইউর হয়ে দায়িত্ব পালন করবেন ফার্গুসন। কিংবদন্তি কোচ স্যার বুসবি দুই দফায় দায়িত্বে ছিলেন ৮ হাজার ৮১০ দিন।
এ নিয়ে কিছুদিন ধরে ইংলিশ মিডিয়ায় লেখালেখি চলছে। চলছে প্রশংসা আর স্তুতি। কিন্তু তাতে গা ভাসালে তিনি আর ফার্গুসন কেন? চেলসির সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচটার আগে দলের সবার মনোযোগ অন্যদিকে ঘুরে যাক এটা তিনি মোটেও চান না। খেলা স্থগিত হওয়ার আগে ২০০২ সালের পর প্রথমবারের মতো স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে একটা জয়ই উপহার চাইছিলেন শিষ্যদের কাছে, ‘এটা আমাদের জন্য অনেক বড় একটা ম্যাচ। ওদের ওখানে আমাদের রেকর্ড আট বছর ধরেই খুব খারাপ। কয়েকটা ড্র করতে পেরেছি, কয়েকটা পরাজয়ও আছে। ওদের মাঠে ওদের হারানো খুবই কঠিন।’
ম্যানইউর জন্য আরও দুটি কারণে চেলসির বিপক্ষে ম্যাচে ৩ পয়েন্ট পাওয়া জরুরি। গতবার ১ পয়েন্টের ব্যবধানে এই চেলসিই তো কেড়ে দিয়েছিল লিগ শিরোপা! এসব সমীকরণের ভিড়ে একটু যেন চাপাই পড়ে যাচ্ছে ফার্গুসনের ব্যক্তিগত অর্জনের অধ্যায়টি। প্রাপ্তি-সাফল্যে বুসবিকে কাটিয়ে গেছেন আগেই। ব্রিটিশ কোচ হিসেবেই সবচেয়ে সাফল্যের রেকর্ড তাঁর। কিন্তু ৬৮ বছর বয়সেও অক্লান্ত ফার্গুসন বুসবি নামের আগে নতশিরে অর্ঘ্য দেন এখনো। মিউনিখ বিমান দুর্ঘটনার পর যে বুসবি সাত খেলোয়াড়কে হারিয়েও নতুন করে শুরু করতে পেরেছিলেন, সে কথা মনে করিয়ে দিতেও ভোলেন না, ‘আমার তো মনে হয় স্যার ম্যাট বুসবি চিরকালই এখানে আছেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর দায়িত্ব নিলেন, এরপর ১৯৬৮-তে ইউরোপিয়ান কাপ জিতলেন। সময়কালটা আমার চেয়ে অনেক লম্বাই মনে হয়। এবং এর সঙ্গে অনেক আবেগময় ব্যাপারও কিন্তু জড়িয়ে ছিল। মিউনিখের পর দলকে নতুন করে গড়ে তুলেছেন। আমাকে তো আর সেটা করতে হয়নি। এ কারণে মনে হয়, তিনি আমার চেয়েও কাজ করেছেন বেশি দিন।’
ফার্গুসনের মাহাত্ম্য বোধ হয় এখানেও, পূর্বসূরিদের শ্রদ্ধা জানাতে এখনো বিন্দুমাত্র কার্পণ্য নেই তাঁর।
No comments