জয় দেখছে অস্ট্রেলিয়া
কালকের পুরো দিনের প্রতীক হয়ে রইল যেন শেষ পাঁচটা মিনিট। শেষের আগের ওভারে জোনাথন ট্রটের ব্যাট ছুঁয়ে আসা বল রিকি পন্টিংয়ের হাত ফসকানোর পর গ্লাভসবন্দী করলেন ব্র্যাড হাডিন। ‘দিনটা শুধুই অস্ট্রেলিয়ার’—এটা বোঝাতেই যেন পল কলিংউডকে দিনের শেষ বলে তৃতীয় স্লিপে তালুবন্দী করলেন স্টিভেন স্মিথ। ডুবতে থাকা ইংলিশদের খড়কুটো আঁকড়ে ধরে রাখার চেষ্টাও যেন শেষ হয়ে গেল ওই দুই উইকেটে!
মাইক হাসির অতিমানবীয় ফর্ম, আরও একবার প্রাপ্য সেঞ্চুরির আগে শেন ওয়াটসনের আটকে যাওয়া, মিচেল জনসনের রূপকথার মতো ফিরে আসা আর রায়ান হ্যারিসের নিজেকে মেলে ধরা—সব মিলিয়ে তৃতীয় দিন শেষেই পার্থে জয় দেখছে অস্ট্রেলিয়া। অ্যাশেজে সমতা ফেরাতে আর মাত্র ৫টি উইকেট চাই স্বাগতিকদের, হাতে আছে পুরো দুটো দিন। স্বীকৃত ব্যাটসম্যানদের মাঝে ‘বেঁচে’ আছেন কেবল ইয়ান বেল ও ম্যাট প্রিয়র। জয়ের জন্য বাকি ৩১০ রান করা নয়, ইংল্যান্ড আজ কতক্ষণ টিকতে পারে প্রশ্ন সেটাই।
আগের দিন যেখানে শেষ করেছিলেন, কাল সেখান থেকেই শুরু করেন ওয়াটসন ও হাসি। ৫৫ রানের অপরাজিত জুটিটাকে কাল ১১৩ পর্যন্ত টেনে নেন দুজন। নব্বইয়ের ঘরে যেতেই মাথাচাড়া দিয়ে উঠল ওয়াটসনের পুরোনো রোগ, ক্রিস ট্রেমলেটের একটি স্টাম্প সোজা বল আড়াআড়ি খেলে এলবিডব্লু। গত এক বছরে এই নিয়ে চারবার নড়বড়ে নব্বইয়ে কাটা পড়লেন ওয়াটসন, ২৫ টেস্টে তাই ১৪ ফিফটির পাশে সেঞ্চুরি মোটে ২টি!
দীর্ঘক্ষণের সঙ্গীর বিদায় এতটুকু প্রভাব ফেলেনি হাসির ব্যাটিংয়ে, স্টিভ স্মিথকে সঙ্গী করে টেনে নিয়ে যান দলকে। মিড উইকেট থেকে ফাইন লেগ পর্যন্ত তিনজন ফিল্ডার রেখে ইংলিশ বোলাররা ক্রমাগত শর্ট বল করে গেছেন, প্রতিটি শর্ট বলের জবাব দিয়েছেন হাসি পুল-হুক করে। ট্রেমলেটকে এমনই এক পুলে ক্যারিয়ারের ১৩তম সেঞ্চুরি ছুঁয়েছেন মাত্র ১৩৬ বলে। স্মিথের সঙ্গে মি. ক্রিকেটের ৭৫ রানের জুটিটা ভাঙার পর অস্ট্রেলিয়া শেষ ৫ উইকেট হারিয়েছে ৩৮ রানে। ১১৬ রান করে শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হয়েছেন হাসি। ৩ টেস্টে ১০৩.৪০ গড়ে ৫১৭ রান, দুই টেস্ট বাকি থাকতেই এক সিরিজে ক্যারিয়ার-সর্বোচ্চ রান, কে বলবে এই ব্যাটসম্যানটিই চলে গিয়েছিলেন বাদ পড়ার দোরগোড়ায়! ইংলিশদের প্রাপ্তি—সিডলকে আউট করে জেমস অ্যান্ডারসনের ২০০তম টেস্ট উইকেট আর সাড়ে তিন বছর পর ফিরে ট্রেমলেটের ক্যারিয়ারের প্রথম ৫ উইকেট।
৩৯১ রানের লক্ষ্য প্রথম ইনিংসে দুই শর নিচে গুটিয়ে যাওয়া দলের জন্য এভারেস্টের সমান। ম্যাচের আকর্ষণ তবু কমতে দিচ্ছিল না ওয়াকার সাম্প্রতিক ইতিহাস। সর্বশেষ চার টেস্টে চতুর্থ ইনিংসে ব্যাট করা দল ৩০০-র বেশি তুলেছে এখানে, ২০০৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা ৪১৪ রান তুলে ম্যাচ জিতেছিল মাত্র ৪ উইকেট হারিয়ে। প্রথম ইনিংসে ধ্বংসযজ্ঞের দুই নায়ক জনসন ও হ্যারিস নিশ্চিত করে দেন, এবার অন্তত তেমন কিছু হচ্ছে না।
মাইক হাসির অতিমানবীয় ফর্ম, আরও একবার প্রাপ্য সেঞ্চুরির আগে শেন ওয়াটসনের আটকে যাওয়া, মিচেল জনসনের রূপকথার মতো ফিরে আসা আর রায়ান হ্যারিসের নিজেকে মেলে ধরা—সব মিলিয়ে তৃতীয় দিন শেষেই পার্থে জয় দেখছে অস্ট্রেলিয়া। অ্যাশেজে সমতা ফেরাতে আর মাত্র ৫টি উইকেট চাই স্বাগতিকদের, হাতে আছে পুরো দুটো দিন। স্বীকৃত ব্যাটসম্যানদের মাঝে ‘বেঁচে’ আছেন কেবল ইয়ান বেল ও ম্যাট প্রিয়র। জয়ের জন্য বাকি ৩১০ রান করা নয়, ইংল্যান্ড আজ কতক্ষণ টিকতে পারে প্রশ্ন সেটাই।
আগের দিন যেখানে শেষ করেছিলেন, কাল সেখান থেকেই শুরু করেন ওয়াটসন ও হাসি। ৫৫ রানের অপরাজিত জুটিটাকে কাল ১১৩ পর্যন্ত টেনে নেন দুজন। নব্বইয়ের ঘরে যেতেই মাথাচাড়া দিয়ে উঠল ওয়াটসনের পুরোনো রোগ, ক্রিস ট্রেমলেটের একটি স্টাম্প সোজা বল আড়াআড়ি খেলে এলবিডব্লু। গত এক বছরে এই নিয়ে চারবার নড়বড়ে নব্বইয়ে কাটা পড়লেন ওয়াটসন, ২৫ টেস্টে তাই ১৪ ফিফটির পাশে সেঞ্চুরি মোটে ২টি!
দীর্ঘক্ষণের সঙ্গীর বিদায় এতটুকু প্রভাব ফেলেনি হাসির ব্যাটিংয়ে, স্টিভ স্মিথকে সঙ্গী করে টেনে নিয়ে যান দলকে। মিড উইকেট থেকে ফাইন লেগ পর্যন্ত তিনজন ফিল্ডার রেখে ইংলিশ বোলাররা ক্রমাগত শর্ট বল করে গেছেন, প্রতিটি শর্ট বলের জবাব দিয়েছেন হাসি পুল-হুক করে। ট্রেমলেটকে এমনই এক পুলে ক্যারিয়ারের ১৩তম সেঞ্চুরি ছুঁয়েছেন মাত্র ১৩৬ বলে। স্মিথের সঙ্গে মি. ক্রিকেটের ৭৫ রানের জুটিটা ভাঙার পর অস্ট্রেলিয়া শেষ ৫ উইকেট হারিয়েছে ৩৮ রানে। ১১৬ রান করে শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হয়েছেন হাসি। ৩ টেস্টে ১০৩.৪০ গড়ে ৫১৭ রান, দুই টেস্ট বাকি থাকতেই এক সিরিজে ক্যারিয়ার-সর্বোচ্চ রান, কে বলবে এই ব্যাটসম্যানটিই চলে গিয়েছিলেন বাদ পড়ার দোরগোড়ায়! ইংলিশদের প্রাপ্তি—সিডলকে আউট করে জেমস অ্যান্ডারসনের ২০০তম টেস্ট উইকেট আর সাড়ে তিন বছর পর ফিরে ট্রেমলেটের ক্যারিয়ারের প্রথম ৫ উইকেট।
৩৯১ রানের লক্ষ্য প্রথম ইনিংসে দুই শর নিচে গুটিয়ে যাওয়া দলের জন্য এভারেস্টের সমান। ম্যাচের আকর্ষণ তবু কমতে দিচ্ছিল না ওয়াকার সাম্প্রতিক ইতিহাস। সর্বশেষ চার টেস্টে চতুর্থ ইনিংসে ব্যাট করা দল ৩০০-র বেশি তুলেছে এখানে, ২০০৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা ৪১৪ রান তুলে ম্যাচ জিতেছিল মাত্র ৪ উইকেট হারিয়ে। প্রথম ইনিংসে ধ্বংসযজ্ঞের দুই নায়ক জনসন ও হ্যারিস নিশ্চিত করে দেন, এবার অন্তত তেমন কিছু হচ্ছে না।
No comments