কৃষিঋণ বিতরণে লক্ষ্যমাত্রা এবারও অর্জিত হচ্ছে না
কৃষিঋণ বিতরণের বার্ষিক যে লক্ষ্যমাত্রা চলতি ২০০৯-১০ অর্থবছরের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছিল, শেষ পর্যন্ত তা আর অর্জিত হচ্ছে না।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের ১১ মাসে লক্ষ্যমাত্রার প্রায় ৮৬ শতাংশ ঋণ বিতরণ করা সম্ভব হয়েছে। তাই বছর শেষে শতভাগ লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে না।
তবে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হলেও শেষ পর্যন্ত মোট কৃষিঋণ বিতরণ লক্ষ্যমাত্রার বেশ কাছাকাছি থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে।
চলতি অর্থবছরের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক ১১ হাজার ৫১২ কোটি ৩০ লাখ টাকার সমপরিমাণ কৃষিঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করে।
আর অর্থবছরের জুলাই-মে সময় পর্যন্ত ব্যাংক-ব্যবস্থা থেকে নয় হাজার ৮৮৮ কোটি ৯০ লাখ টাকার সমপরিমাণ কৃষিঋণ বিতরণ করা হয়েছে। আর গত অর্থবছরের একই সময়ে বিতরণ করা হয়েছিল আট হাজার ৩৫০ কোটি ১০ লাখ টাকা। ফলে কৃষিঋণ বিতরণে প্রবৃদ্ধি হয়েছে সাড়ে ১৮ শতাংশ।
তবে চলতি অর্থবছরের ১১ মাসে বিতরণকৃত কৃষিঋণের পরিমাণ গত ২০০৮-০৯ অর্থবছরের মোট বিতরণকৃত ঋণের তুলনায় বেশি।
গত অর্থবছরে মোট নয় হাজার ২৮৪ কোটি ৮৬ লাখ টাকার কৃষিঋণ বিতরণ করা হয়, যেখানে লক্ষ্যমাত্রা ছিল নয় হাজার ৩৭৯ কোটি ২৩ লাখ টাকা। অর্থাৎ গত অর্থবছর কৃষিঋণ বিতরণ লক্ষ্যমাত্রার খুব কাছাকাছি গিয়েছিল।
২০১০-১১ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত জানিয়েছেন, আগামী অর্থবছরে কৃষিঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হবে ১২ হাজার কোটি টাকা।
কৃষিঋণ বিতরণ জোরদার করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক এ বছর নানা ধরনের কার্যক্রম গ্রহণ করে। এরই অংশ হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর দেশের কিছু স্থানে নিজে উপস্থিত থেকে সরাসরি কৃষকদের ঋণ প্রদান করেছেন। তিনি সরাসরি মোবাইল ফোনে কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে ঋণের অবস্থাও তদারক করেছেন।
এবার ব্যাংকগুলোর পাশাপাশি বিভিন্ন এনজিওকে এ কাজে সম্পৃক্ত করা হয়েছে। প্রতি মাসেই ব্যাংকগুলোর কৃষিঋণ বিতরণের তথ্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে পাঠানোর আরেকটি সিদ্ধান্ত সেপ্টেম্বর মাস থেকে কার্যকর করা হয়েছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোর মধ্যে শুধু ২০০৭-০৮ অর্থবছরে কৃষিঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছিল। এ বছর আট হাজার ৩০৮ কোটি ৫৫ লাখ টাকার লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে বছর শেষে বিতরণকৃত ঋণের পরিমাণ দাঁড়ায় আট হাজার ৫৮০ কোটি ৬৬ লাখ টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান থেকে আরও দেখা যায়, আলোচ্য সময়কালে ব্যাংকগুলো বকেয়া ঋণ বাবদ মোট নয় হাজার ৪১ কোটি ৬৭ লাখ টাকার কৃষিঋণ আদায় করেছে।
অন্যদিকে গত অর্থবছরের ১২ মাসে ব্যাংকগুলো মোট আট হাজার ৩৭৭ কোটি ৬২ লাখ টাকার কৃষিঋণ আদায় করেছিল।
কৃষিঋণ বিতরণের পাশাপাশি কৃষিঋণ আদায় বাড়ায় তা একদিকে নিট কৃষিঋণ বিতরণকে কমিয়ে দিলেও এটি আবার পরবর্তী সময়ে কৃষিঋণ বিতরণ অব্যাহত রাখতে ব্যাংকগুলোর জন্য সহায়ক হবে বলে মনে করা হচ্ছে
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের ১১ মাসে লক্ষ্যমাত্রার প্রায় ৮৬ শতাংশ ঋণ বিতরণ করা সম্ভব হয়েছে। তাই বছর শেষে শতভাগ লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে না।
তবে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হলেও শেষ পর্যন্ত মোট কৃষিঋণ বিতরণ লক্ষ্যমাত্রার বেশ কাছাকাছি থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে।
চলতি অর্থবছরের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক ১১ হাজার ৫১২ কোটি ৩০ লাখ টাকার সমপরিমাণ কৃষিঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করে।
আর অর্থবছরের জুলাই-মে সময় পর্যন্ত ব্যাংক-ব্যবস্থা থেকে নয় হাজার ৮৮৮ কোটি ৯০ লাখ টাকার সমপরিমাণ কৃষিঋণ বিতরণ করা হয়েছে। আর গত অর্থবছরের একই সময়ে বিতরণ করা হয়েছিল আট হাজার ৩৫০ কোটি ১০ লাখ টাকা। ফলে কৃষিঋণ বিতরণে প্রবৃদ্ধি হয়েছে সাড়ে ১৮ শতাংশ।
তবে চলতি অর্থবছরের ১১ মাসে বিতরণকৃত কৃষিঋণের পরিমাণ গত ২০০৮-০৯ অর্থবছরের মোট বিতরণকৃত ঋণের তুলনায় বেশি।
গত অর্থবছরে মোট নয় হাজার ২৮৪ কোটি ৮৬ লাখ টাকার কৃষিঋণ বিতরণ করা হয়, যেখানে লক্ষ্যমাত্রা ছিল নয় হাজার ৩৭৯ কোটি ২৩ লাখ টাকা। অর্থাৎ গত অর্থবছর কৃষিঋণ বিতরণ লক্ষ্যমাত্রার খুব কাছাকাছি গিয়েছিল।
২০১০-১১ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত জানিয়েছেন, আগামী অর্থবছরে কৃষিঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হবে ১২ হাজার কোটি টাকা।
কৃষিঋণ বিতরণ জোরদার করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক এ বছর নানা ধরনের কার্যক্রম গ্রহণ করে। এরই অংশ হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর দেশের কিছু স্থানে নিজে উপস্থিত থেকে সরাসরি কৃষকদের ঋণ প্রদান করেছেন। তিনি সরাসরি মোবাইল ফোনে কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে ঋণের অবস্থাও তদারক করেছেন।
এবার ব্যাংকগুলোর পাশাপাশি বিভিন্ন এনজিওকে এ কাজে সম্পৃক্ত করা হয়েছে। প্রতি মাসেই ব্যাংকগুলোর কৃষিঋণ বিতরণের তথ্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে পাঠানোর আরেকটি সিদ্ধান্ত সেপ্টেম্বর মাস থেকে কার্যকর করা হয়েছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোর মধ্যে শুধু ২০০৭-০৮ অর্থবছরে কৃষিঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছিল। এ বছর আট হাজার ৩০৮ কোটি ৫৫ লাখ টাকার লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে বছর শেষে বিতরণকৃত ঋণের পরিমাণ দাঁড়ায় আট হাজার ৫৮০ কোটি ৬৬ লাখ টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান থেকে আরও দেখা যায়, আলোচ্য সময়কালে ব্যাংকগুলো বকেয়া ঋণ বাবদ মোট নয় হাজার ৪১ কোটি ৬৭ লাখ টাকার কৃষিঋণ আদায় করেছে।
অন্যদিকে গত অর্থবছরের ১২ মাসে ব্যাংকগুলো মোট আট হাজার ৩৭৭ কোটি ৬২ লাখ টাকার কৃষিঋণ আদায় করেছিল।
কৃষিঋণ বিতরণের পাশাপাশি কৃষিঋণ আদায় বাড়ায় তা একদিকে নিট কৃষিঋণ বিতরণকে কমিয়ে দিলেও এটি আবার পরবর্তী সময়ে কৃষিঋণ বিতরণ অব্যাহত রাখতে ব্যাংকগুলোর জন্য সহায়ক হবে বলে মনে করা হচ্ছে
No comments