চিলি ছাড় দেবে না ব্রাজিলকে
শেষ ষোলোর লড়াই আরও জমে উঠল বলে। টুর্নামেন্টের অন্যতম ফেবারিট দলগুলো নামছে মাঠে। চিলি-ব্রাজিল ম্যাচটা হবে দেখার মতো। কারণ দুই লাতিন দেশ মুখোমুখি হচ্ছে এই ম্যাচে। ব্রাজিল সব সময়ই ফেবারিট। আর স্পেনের বিপক্ষে ম্যাচেও চিলি দেখিয়ে দিয়েছে, তারা কতটা লড়াকু।
দ্বিতীয় রাউন্ডে আসার পথে চোখ ধাঁধানো ফুটবল খেলেছে চিলি। ওদের দশ নম্বর, জর্জ ভালদিভিয়া খুবই প্রতিভাবান। দুই উইঙ্গার বোশেজো আর সানচেজ ঝটপট উঠে যায় আক্রমণে। ‘এল লোকো’ বিয়েলসা এই দলটাকেও গড়ে তুলেছেন তাঁর মতো আক্রমণাত্মক মেজাজ দিয়ে। গ্রুপ অব ডেথের বৈতরণী পেরিয়ে এসেছে দুঙ্গার ব্রাজিল। এর মূল কৃতিত্ব আমি দেব ওদের রক্ষণভাগকে, যেটি আমার দেখা টুর্নামেন্টের সেরা রক্ষণ। দলনায়ক লুসিও এই জায়গাতেও নেতৃত্ব দিচ্ছে, যেখানে আছে মাইকনের মতো খেলোয়াড়। ডান পাশ দিয়ে দ্রুত আক্রমণে উঠে যাওয়ার লাইসেন্স আছে মাইকনের হাতে।
মাঝমাঠে জিলবার্তো সিলভা, ফেলিপ মেলো এবং সম্ভবত এলানো যোগ দেবে দলের আক্রমণ তৈরিতে। আক্রমণভাগে থাকবে রবিনহো, লুইস ফ্যাবিয়ানো আর কাকা। অদম্য এক আক্রমণভাগ। তবে ব্রাজিল সহজে পার পাবে না। চিলি দেখিয়ে দিয়েছে তারা রোমাঞ্চপ্রিয় এবং ভয়ংকর। অবশ্য যতক্ষণ না হামবার্তো সুয়াজো জাল খুঁজে পাচ্ছে, আমার ধারণা, চিলির প্রতি-আক্রমণ আর গতি আটকে দেওয়ার ক্ষমতা ব্রাজিলের ডিফেন্সের আছে। আক্রমণ আর রক্ষণ দুই জায়গাতেই তিনজন করে খেলাচ্ছে ব্রাজিল। মূল লড়াইটা হবে কাকা-রবিনহো-ফ্যাবিয়ানো বনাম চিলির জারা-পনচি-মেদেলের মধ্যে। ব্রাজিল ফেবারিট, তবে চমকে দিতে পারে চিলিও।
চোখ ধাঁধানো যদি নাও হয় অন্তত খাদহীন ফুটবল খেলে দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠে এসেছে হল্যান্ড। প্রতিপক্ষের ওপর অনায়াসে ছড়ি ঘুরিয়েছে ওরা। আরিয়েন রোবেনের ফিরে আসাও দলের জন্য বোনাস।
স্লোভাকিয়া দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠে এসেছে ইতালির মতো দলকে ৩-২ গোলে হারিয়ে। সেই চমকের পুনরাবৃত্তি করতে হলে আবারও একই রকম দুর্দান্ত ফুটবল তাদের খেলতে হবে। হল্যান্ড কোচ ফন মারউইক দেখলাম ৪-২-৩-১ ছকে খেলাচ্ছেন। সুদৃঢ় এবং অভিজ্ঞ এক রক্ষণ আছে তাঁর। দুজন হোল্ডিং মিডফিল্ডার ফন বোমেল আর ডি জং; কিউট, স্নাইডার, ফন ডার ভার্ট, রোবেন এবং ফন পার্সি নামগুলো বলে দেয় ওদের আক্রমণ কত ধারালো।
স্লোভাকিয়ার সেরা খেলোয়াড় রবার্ট ভিতেক। মাঝমাঠে আছে অধিনায়ক হামসিক। রক্ষণের নেতৃত্বে স্কার্টেল। স্লোভাকিয়ার সবচেয়ে বড় শক্তি হলো, ওরা খেলবে কোনো ধরনের ভয়ডর ছাড়া। এটা ওদের ভালো খেলতে সাহায্য করবে। সাহায্য করবে ডাচদের ঝামেলায় ফেলতে। অবশ্য ব্যক্তিগত নৈপুণ্য তুলনা করলে হল্যান্ডের পাল্লাটা ভারী হবে। বিশেষ করে আক্রমণে ফন পার্সি, রোবেন আর স্নাইডার থাকায় এই ম্যাচে ওদেরই ফেবারিট মনে হচ্ছে আমার।
টুর্নামেন্টের আসল চমক আসলে জাপান। ওরা ডেনমার্ক আর ক্যামেরুনকে হারিয়েছে। ডাচদেরও ঘাম ছুটিয়ে ছেড়েছে। মাৎসুই আর ওকুবোর খেলা আমার খুব ভালো লেগেছে। সবচেয়ে ভালো লেগেছে কেইসুকে হোন্ডার খেলা। ওর ফ্রি-কিক, নেতৃত্বগুণ এবং নিঃস্বার্থভাবে সতীর্থদের জন্য খেলা বানিয়ে দেওয়া—সব মিলে এই বিশ্বকাপের অন্যতম আকর্ষণ ও। বয়সও মাত্র ২৪। এবারের দলবদলের বাজারে ক্লাবগুলো নিশ্চয় ছেঁকে ধরবে ওকে।
কোচ তাকেশি ওকাদা এমন একটা দল গড়ে তুলেছে যারা বল চালাচালি করে খুব দ্রুত। প্রতিপক্ষের নামের দিকে তাকিয়ে খেলে না। এর চেয়ে মনোযোগ দেয় নিজেদের খেলার দিকেই। জাপানের প্রতিপক্ষ প্যারাগুয়ের খুঁত গ্রুপ পর্বে খুব একটা চোখে পড়েনি। গ্রুপ পর্বে তিন ম্যাচে মাত্র একটি গোল খেয়ে এসেছে ওরা। আমার চোখে এই ম্যাচটা হবে প্রাণোচ্ছ্বাসে ছুটে চলা জাপানিদের বিপক্ষে সুসংগঠিত এবং মানসিকভাবে দৃঢ় প্যারাগুইয়ানদের লড়াই। হোন্ডার যে ফর্ম, ও আবারও ব্যবধান গড়ে দিতে পারে। আন্দাজ করে নিতে পেরেছেন নিশ্চয়ই, হ্যাঁ, আমি জাপানিদের আরও একটা অঘটন আশা করছি।
দ্বিতীয় রাউন্ডে আসার পথে চোখ ধাঁধানো ফুটবল খেলেছে চিলি। ওদের দশ নম্বর, জর্জ ভালদিভিয়া খুবই প্রতিভাবান। দুই উইঙ্গার বোশেজো আর সানচেজ ঝটপট উঠে যায় আক্রমণে। ‘এল লোকো’ বিয়েলসা এই দলটাকেও গড়ে তুলেছেন তাঁর মতো আক্রমণাত্মক মেজাজ দিয়ে। গ্রুপ অব ডেথের বৈতরণী পেরিয়ে এসেছে দুঙ্গার ব্রাজিল। এর মূল কৃতিত্ব আমি দেব ওদের রক্ষণভাগকে, যেটি আমার দেখা টুর্নামেন্টের সেরা রক্ষণ। দলনায়ক লুসিও এই জায়গাতেও নেতৃত্ব দিচ্ছে, যেখানে আছে মাইকনের মতো খেলোয়াড়। ডান পাশ দিয়ে দ্রুত আক্রমণে উঠে যাওয়ার লাইসেন্স আছে মাইকনের হাতে।
মাঝমাঠে জিলবার্তো সিলভা, ফেলিপ মেলো এবং সম্ভবত এলানো যোগ দেবে দলের আক্রমণ তৈরিতে। আক্রমণভাগে থাকবে রবিনহো, লুইস ফ্যাবিয়ানো আর কাকা। অদম্য এক আক্রমণভাগ। তবে ব্রাজিল সহজে পার পাবে না। চিলি দেখিয়ে দিয়েছে তারা রোমাঞ্চপ্রিয় এবং ভয়ংকর। অবশ্য যতক্ষণ না হামবার্তো সুয়াজো জাল খুঁজে পাচ্ছে, আমার ধারণা, চিলির প্রতি-আক্রমণ আর গতি আটকে দেওয়ার ক্ষমতা ব্রাজিলের ডিফেন্সের আছে। আক্রমণ আর রক্ষণ দুই জায়গাতেই তিনজন করে খেলাচ্ছে ব্রাজিল। মূল লড়াইটা হবে কাকা-রবিনহো-ফ্যাবিয়ানো বনাম চিলির জারা-পনচি-মেদেলের মধ্যে। ব্রাজিল ফেবারিট, তবে চমকে দিতে পারে চিলিও।
চোখ ধাঁধানো যদি নাও হয় অন্তত খাদহীন ফুটবল খেলে দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠে এসেছে হল্যান্ড। প্রতিপক্ষের ওপর অনায়াসে ছড়ি ঘুরিয়েছে ওরা। আরিয়েন রোবেনের ফিরে আসাও দলের জন্য বোনাস।
স্লোভাকিয়া দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠে এসেছে ইতালির মতো দলকে ৩-২ গোলে হারিয়ে। সেই চমকের পুনরাবৃত্তি করতে হলে আবারও একই রকম দুর্দান্ত ফুটবল তাদের খেলতে হবে। হল্যান্ড কোচ ফন মারউইক দেখলাম ৪-২-৩-১ ছকে খেলাচ্ছেন। সুদৃঢ় এবং অভিজ্ঞ এক রক্ষণ আছে তাঁর। দুজন হোল্ডিং মিডফিল্ডার ফন বোমেল আর ডি জং; কিউট, স্নাইডার, ফন ডার ভার্ট, রোবেন এবং ফন পার্সি নামগুলো বলে দেয় ওদের আক্রমণ কত ধারালো।
স্লোভাকিয়ার সেরা খেলোয়াড় রবার্ট ভিতেক। মাঝমাঠে আছে অধিনায়ক হামসিক। রক্ষণের নেতৃত্বে স্কার্টেল। স্লোভাকিয়ার সবচেয়ে বড় শক্তি হলো, ওরা খেলবে কোনো ধরনের ভয়ডর ছাড়া। এটা ওদের ভালো খেলতে সাহায্য করবে। সাহায্য করবে ডাচদের ঝামেলায় ফেলতে। অবশ্য ব্যক্তিগত নৈপুণ্য তুলনা করলে হল্যান্ডের পাল্লাটা ভারী হবে। বিশেষ করে আক্রমণে ফন পার্সি, রোবেন আর স্নাইডার থাকায় এই ম্যাচে ওদেরই ফেবারিট মনে হচ্ছে আমার।
টুর্নামেন্টের আসল চমক আসলে জাপান। ওরা ডেনমার্ক আর ক্যামেরুনকে হারিয়েছে। ডাচদেরও ঘাম ছুটিয়ে ছেড়েছে। মাৎসুই আর ওকুবোর খেলা আমার খুব ভালো লেগেছে। সবচেয়ে ভালো লেগেছে কেইসুকে হোন্ডার খেলা। ওর ফ্রি-কিক, নেতৃত্বগুণ এবং নিঃস্বার্থভাবে সতীর্থদের জন্য খেলা বানিয়ে দেওয়া—সব মিলে এই বিশ্বকাপের অন্যতম আকর্ষণ ও। বয়সও মাত্র ২৪। এবারের দলবদলের বাজারে ক্লাবগুলো নিশ্চয় ছেঁকে ধরবে ওকে।
কোচ তাকেশি ওকাদা এমন একটা দল গড়ে তুলেছে যারা বল চালাচালি করে খুব দ্রুত। প্রতিপক্ষের নামের দিকে তাকিয়ে খেলে না। এর চেয়ে মনোযোগ দেয় নিজেদের খেলার দিকেই। জাপানের প্রতিপক্ষ প্যারাগুয়ের খুঁত গ্রুপ পর্বে খুব একটা চোখে পড়েনি। গ্রুপ পর্বে তিন ম্যাচে মাত্র একটি গোল খেয়ে এসেছে ওরা। আমার চোখে এই ম্যাচটা হবে প্রাণোচ্ছ্বাসে ছুটে চলা জাপানিদের বিপক্ষে সুসংগঠিত এবং মানসিকভাবে দৃঢ় প্যারাগুইয়ানদের লড়াই। হোন্ডার যে ফর্ম, ও আবারও ব্যবধান গড়ে দিতে পারে। আন্দাজ করে নিতে পেরেছেন নিশ্চয়ই, হ্যাঁ, আমি জাপানিদের আরও একটা অঘটন আশা করছি।
No comments