ইউরোপের অর্থনৈতিক নীতির কঠোর সমালোচনা
বিক্ষোভ সমাবেশে ভাঙচুর, গ্রেপ্তার ও পুলিশের গাড়িতে অগ্নিসংযোগের মতো সহিংস ঘটনার মধ্য দিয়ে জি-২০ সম্মেলনের প্রথম দিন শেষ হয়েছে। বিক্ষোভের সঙ্গে জড়িত অভিযোগে ১৫০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সম্মেলনে সদস্যদেশগুলোর নেতারা প্রথম দিনেই ইউরোপের অর্থনৈতিক নীতির কঠোর সমালোচনা করেন। বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দা ধীরে ধীরে কাটিয়ে ওঠার উপায় নিয়েও আলোচনা করেন তাঁরা।
তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাসহ উন্নত দেশের নেতারা বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দা মোকাবিলায় পরিচালন ব্যয় ও বাজেট কমানো এবং বিক্রয় কর বাড়ানোর ওপর জোর দেন।
টরন্টো শহরের মেট্রো কনভেনশন সেন্টারে গত শনিবার রাতে বিশ্বের বিকাশমান অর্থনীতি ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর সংগঠন জি-২০ সম্মেলন শুরু হয়।
সম্মেলনকে ঘিরে কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হলেও পরিবেশ রক্ষা, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা, সামাজিক অস্থিরতা রোধ, বেকারত্ব ঠেকানোসহ বিভিন্ন দাবিতে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়। বিক্ষোভ সমাবেশে প্রায় ১০ হাজার মানুষ অংশ নেয়। প্রত্যক্ষদর্শী ও বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, বিক্ষোভকারীদের কালো হেলমেট ও কালো কাপড়ে মাথা ঢেকে পুলিশের ওপর হামলা চালাতে দেখা যায়। তারা নিরাপত্তাবেষ্টনী ভেঙে ইউনিভার্সিটি এভুসু ও কলেজ সড়কের দিকে যেতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়। একপর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাসে ছোড়ে। রাবার বুলেটে একজন ফটোসাংবাদিক গুরুতর আহত হন। একজন বিদেশি সংবাদিক অভিযোগ করেন, পুলিশ তাঁর মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে তাঁকে পরিচয়পত্র দেখাতে বলে।
কিং ও বে স্ট্রিট এলাকায় বেলা তিনটার দিকে বিক্ষোভকারীরা পুলিশের তিনটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। পুলিশ আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার আগেই গাড়ি তিনটি পুড়ে যায়। শনিবার টরন্টোর রেলওয়ে জংশন ইউনিয়ট পুরোপুরি বন্ধ ছিল। সিএন টাওয়ার এলাকা থেকে শুরু করে কিং কুইন্স স্ট্রিট, কলেজ স্ট্রিট, ইয়াং স্ট্রিট ও ইউনিভার্সিটি সড়কে দিনভর বিক্ষিপ্ত বিক্ষোভ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। বিভিন্ন স্থানে পুলিশের লাঠিপেটা ও রাবার বুলেটে শতাধিক বিক্ষোভকারী আহত হয়।
টরন্টোর পুলিশপ্রধান বিল ব্লেয়ার বলেন, ‘টরন্টো শহরের ইতিহাসে বিক্ষোভ ঠেকাতে এই প্রথম পুলিশকে কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করতে হয়েছে। এমন বিক্ষোভের ঘটনা আমরা কখনো দেখেনি।’ পুলিশের একটি সূত্র জানায়, ১৫০ জন বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
কানাডার জননিরাপত্তামন্ত্রী ভিক টোয়েস বলেন, ‘আমরা বিশ্বনেতা ও সম্মেলনের প্রতিনিধিদের নিরপত্তায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি। বর্তমান পরিস্থিতি কানাডার জনগণের জন্য দুঃখজনক।’
বিক্ষোভকারীদের এতটা সহিংস হয়ে ওঠার কারণ হিসেবে গণমাধ্যম বিশ্লেষকেরা জানান, গত বছর যুক্তরাষ্ট্রে আয়োজিত সম্মেলনের চেয়ে এবারের সম্মেলনে কানাডা ৫১ গুণ অর্থ বেশি খরচ করেছে। সম্মেলনের নিরাপত্তায় ৯০ কোটি ডলার ব্যয় করা হয়েছে। অথচ বর্তমানে কানাডায় বেকারত্বের হার নয় শতাংশ।
সম্মেলনে ব্রাজিলের অর্থমন্ত্রী গুইদো ম্যানতেগা ইউরোপসহ উন্নত দেশগুলোর অর্থনৈতিক নীতির সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, উন্নত দেশগুলো বাজেট কমালে তাতে বিশ্ব অর্থনীতির ক্ষতি হবে। এতে ব্রাজিল, চীন, ভারতসহ বিকাশমান অর্থনীতির দেশগুলোই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। উন্নয়নশীল বিশ্ব ও বিকাশমান অর্থনীতির দেশের নেতারা তাঁর কথা সমর্থন করেন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে ঘাটতি মোকাবিলায় বেশ কিছু কঠোর কর্মসূচি নেওয়ায় মন্দা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হচ্ছে। এখন ব্যাপক কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন বলেন, ‘আমাদের মত বৃহৎ অর্থনীতির দেশগুলোতে সম্প্রতি সৃষ্টি হওয়া আর্থিক ঘাটতি একটি বড় সমস্যা। ঘাটতি মোকাবিলায় আমাদের জাতীয় ব্যয় কমাতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের সবারই একটি লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হবে, টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি।’
সম্প্রতি গ্রিসের আর্থিক ধসের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ইউরোপীয় নেতারা বলেন, কেবল বাজেট কমিয়ে তারা আর্থিক সংকট মোকাবিলা করে বাজারে আস্থা ফিরিয়ে এনেছে।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের কর্মকর্তারা বলেন, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর রাজস্ব আদায় বাড়ানোর প্রস্তাবকে তাঁরা স্বাগত জানান। কিন্তু তা আয়কর বৃদ্ধি না করে বিক্রয় কর বাড়ানোর মাধ্যমে করা যেতে পারে।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী স্টিফেন হার্পার বলেন, উন্নত দেশগুলোকে তিন বছরের মধ্যে তাদের ঘাটতি অর্ধেকে নামিয়ে আনতে হবে। সৃষ্টি করতে হবে কর্মসংস্থানের। মা ও শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, গর্ভপাতের জন্য সরকার কোনো অর্থ ব্যয় করবে না। হার্পার ইরাক-উত্তর কোরিয়ার উচ্চাভিলাষী পারমাণবিক নীতির সমালোচনা করেন।
তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাসহ উন্নত দেশের নেতারা বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দা মোকাবিলায় পরিচালন ব্যয় ও বাজেট কমানো এবং বিক্রয় কর বাড়ানোর ওপর জোর দেন।
টরন্টো শহরের মেট্রো কনভেনশন সেন্টারে গত শনিবার রাতে বিশ্বের বিকাশমান অর্থনীতি ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর সংগঠন জি-২০ সম্মেলন শুরু হয়।
সম্মেলনকে ঘিরে কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হলেও পরিবেশ রক্ষা, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা, সামাজিক অস্থিরতা রোধ, বেকারত্ব ঠেকানোসহ বিভিন্ন দাবিতে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়। বিক্ষোভ সমাবেশে প্রায় ১০ হাজার মানুষ অংশ নেয়। প্রত্যক্ষদর্শী ও বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, বিক্ষোভকারীদের কালো হেলমেট ও কালো কাপড়ে মাথা ঢেকে পুলিশের ওপর হামলা চালাতে দেখা যায়। তারা নিরাপত্তাবেষ্টনী ভেঙে ইউনিভার্সিটি এভুসু ও কলেজ সড়কের দিকে যেতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়। একপর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাসে ছোড়ে। রাবার বুলেটে একজন ফটোসাংবাদিক গুরুতর আহত হন। একজন বিদেশি সংবাদিক অভিযোগ করেন, পুলিশ তাঁর মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে তাঁকে পরিচয়পত্র দেখাতে বলে।
কিং ও বে স্ট্রিট এলাকায় বেলা তিনটার দিকে বিক্ষোভকারীরা পুলিশের তিনটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। পুলিশ আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার আগেই গাড়ি তিনটি পুড়ে যায়। শনিবার টরন্টোর রেলওয়ে জংশন ইউনিয়ট পুরোপুরি বন্ধ ছিল। সিএন টাওয়ার এলাকা থেকে শুরু করে কিং কুইন্স স্ট্রিট, কলেজ স্ট্রিট, ইয়াং স্ট্রিট ও ইউনিভার্সিটি সড়কে দিনভর বিক্ষিপ্ত বিক্ষোভ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। বিভিন্ন স্থানে পুলিশের লাঠিপেটা ও রাবার বুলেটে শতাধিক বিক্ষোভকারী আহত হয়।
টরন্টোর পুলিশপ্রধান বিল ব্লেয়ার বলেন, ‘টরন্টো শহরের ইতিহাসে বিক্ষোভ ঠেকাতে এই প্রথম পুলিশকে কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করতে হয়েছে। এমন বিক্ষোভের ঘটনা আমরা কখনো দেখেনি।’ পুলিশের একটি সূত্র জানায়, ১৫০ জন বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
কানাডার জননিরাপত্তামন্ত্রী ভিক টোয়েস বলেন, ‘আমরা বিশ্বনেতা ও সম্মেলনের প্রতিনিধিদের নিরপত্তায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি। বর্তমান পরিস্থিতি কানাডার জনগণের জন্য দুঃখজনক।’
বিক্ষোভকারীদের এতটা সহিংস হয়ে ওঠার কারণ হিসেবে গণমাধ্যম বিশ্লেষকেরা জানান, গত বছর যুক্তরাষ্ট্রে আয়োজিত সম্মেলনের চেয়ে এবারের সম্মেলনে কানাডা ৫১ গুণ অর্থ বেশি খরচ করেছে। সম্মেলনের নিরাপত্তায় ৯০ কোটি ডলার ব্যয় করা হয়েছে। অথচ বর্তমানে কানাডায় বেকারত্বের হার নয় শতাংশ।
সম্মেলনে ব্রাজিলের অর্থমন্ত্রী গুইদো ম্যানতেগা ইউরোপসহ উন্নত দেশগুলোর অর্থনৈতিক নীতির সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, উন্নত দেশগুলো বাজেট কমালে তাতে বিশ্ব অর্থনীতির ক্ষতি হবে। এতে ব্রাজিল, চীন, ভারতসহ বিকাশমান অর্থনীতির দেশগুলোই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। উন্নয়নশীল বিশ্ব ও বিকাশমান অর্থনীতির দেশের নেতারা তাঁর কথা সমর্থন করেন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে ঘাটতি মোকাবিলায় বেশ কিছু কঠোর কর্মসূচি নেওয়ায় মন্দা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হচ্ছে। এখন ব্যাপক কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন বলেন, ‘আমাদের মত বৃহৎ অর্থনীতির দেশগুলোতে সম্প্রতি সৃষ্টি হওয়া আর্থিক ঘাটতি একটি বড় সমস্যা। ঘাটতি মোকাবিলায় আমাদের জাতীয় ব্যয় কমাতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের সবারই একটি লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হবে, টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি।’
সম্প্রতি গ্রিসের আর্থিক ধসের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ইউরোপীয় নেতারা বলেন, কেবল বাজেট কমিয়ে তারা আর্থিক সংকট মোকাবিলা করে বাজারে আস্থা ফিরিয়ে এনেছে।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের কর্মকর্তারা বলেন, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর রাজস্ব আদায় বাড়ানোর প্রস্তাবকে তাঁরা স্বাগত জানান। কিন্তু তা আয়কর বৃদ্ধি না করে বিক্রয় কর বাড়ানোর মাধ্যমে করা যেতে পারে।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী স্টিফেন হার্পার বলেন, উন্নত দেশগুলোকে তিন বছরের মধ্যে তাদের ঘাটতি অর্ধেকে নামিয়ে আনতে হবে। সৃষ্টি করতে হবে কর্মসংস্থানের। মা ও শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, গর্ভপাতের জন্য সরকার কোনো অর্থ ব্যয় করবে না। হার্পার ইরাক-উত্তর কোরিয়ার উচ্চাভিলাষী পারমাণবিক নীতির সমালোচনা করেন।
No comments