এবার আর হলো না
আর ফিরে আসা হলো না। ল্যান্ডন ডনোভান, মাইকেল ব্র্যাডলিরা এবার আর ম্যাচে ফেরাতে পারলেন না যুক্তরাষ্ট্রকে। ‘নেভার সে ডাই’—স্লোগান নিয়ে এবারের বিশ্বকাপে পথ চলতে থাকা যুক্তরাষ্ট্র এবার আর শেষ লড়াকুকে খুঁজে পেল না। আরও একবার দ্বিতীয় পর্ব থেকে ফিরে আসতে হলো ‘নতুন যুগের’ যুক্তরাষ্ট্র দলকে।
এবারের বিশ্বকাপে পেছন থেকে ম্যাচে ফিরে আসাটা অভ্যেসে পরিণত করেছিল যুক্তরাষ্ট্র দল। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এক গোলে পিছিয়ে পড়ে ম্যাচ ড্র করেছিল তারা। স্লোভেনিয়ার বিপক্ষে দুই দুইবার পিছিয়ে পড়ে ম্যাচ ড্র করেছিলেন ডনোভান ও ব্র্যাডলি। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে আলজেরিয়াকে হারিয়েছিল তারা ডনোভানের ইনজুরি সময়ের গোলে।
ঘানার বিপক্ষেও একবার ম্যাচে ফিরিয়েছিলেন ডনোভান। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দ্বিতীয় দফায় আর ফেরা হয়নি। যুক্তরাষ্ট্রের বিদায়ে কোচ খেলোয়াড়দের আফসোসের বড়টাই এই ফিরতে না পারা নিয়ে।
অবশ্য বারবার এমন কেন পিছিয়ে পড়ে ম্যাচে ফিরতে হবে, এটা নিয়েই একটু বিরক্ত কোচ বব ব্র্যাডলি, ‘ঘটনা হচ্ছে আমরা আবারও শুরুতেই একটা গোল খেয়ে বসেছিলাম। ম্যাচে ফেরাটা তাই খুব কঠিন হয়ে পড়েছিল। ১-১ করতেই আমাদের অনেক কষ্ট করতে হয়ে। সমতায় ফিরতে গিয়েই তো আমাদের শক্তি শেষ।’
ব্র্যাডলির মতে, এবার বিশ্বকাপে যা হওয়ার হয়ে গেছে, কিন্তু এখন থেকেই তাদের শুরুতে পিছিয়ে পড়ার ব্যাপারটা নিয়ে সতর্ক হতে হবে, ‘অবশ্যই এই বিষয়টা নিয়ে সতর্ক হওয়া দরকার। আমরা সমস্যাটা চিহ্নিত করতে পেরেছি। কিন্তু সমস্যা নিয়ে আলোচনা করলেই তো সমাধান হয় না! এটা আমাদের জন্য ভালো একটা শিক্ষা হলো। আশা করি, এরপর এই উন্নতিটা করতে পারব।’
আগের ম্যাচগুলোর কথা বাদ। ঘানার বিপক্ষে এই ম্যাচটায় পিছিয়ে পড়ার জন্য নিজেকে দোষ দিচ্ছেন ডিফেন্ডার রিকার্ডো ক্লার্ক। ক্লার্কের ভুলেই ম্যাচের শুরুর দিকে তাঁর কাছ থেকে বল কেড়ে নিয়ে গোল করতে পেরেছেন কেভিন-প্রিন্স বোয়েটাং।
ক্লার্ক বলছেন, ‘এটা অবশ্যই আমার ভালো কোনো পারফরম্যান্স না। আমার একটা ব্যর্থতায়ই কাউন্টার অ্যাটাকে এই গোলটা হয়ে গেল। আমার মতো অভিজ্ঞ একজন খেলোয়াড়ের এই ভুল করা উচিত হয়নি। আমি এই গোলের পুরো দায় নিচ্ছি।’
অবশ্য ক্লার্ককে দায় দিতে নারাজ ডনোভান। তিনি বলছেন, এটা আসলে সবার সম্মিলিত দায়, ‘আমরা সবাই মিলে এই দায়টা নিচ্ছি। ফুটবলে এ রকম নিষ্ঠুর ঘটনা কখনো কখনো ঘটে। এক মুহূর্তে আপনি বিশ্বের সেরা থাকবেন, পরের মুহূর্তেই পাতালে চলে যাবেন। তবে সবকিছুর পরও আমি দলের পারফরম্যান্সে গর্ব বোধ করছি।’
হ্যাঁ, এই কথাটার সঙ্গে কোচ ব্র্যাডলি একমত। দলের পারফরম্যান্স নিয়ে তিনিও সন্তুষ্ট। ব্র্যাডলি মনে করছেন, দল যা খেলেছে, তাতে আরও সামনে যাওয়া উচিত ছিল, ‘আমাদের অবশ্যই আরও সামনে যাওয়ার মতো যোগ্যতা ছিল।
এবারের বিশ্বকাপে পেছন থেকে ম্যাচে ফিরে আসাটা অভ্যেসে পরিণত করেছিল যুক্তরাষ্ট্র দল। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এক গোলে পিছিয়ে পড়ে ম্যাচ ড্র করেছিল তারা। স্লোভেনিয়ার বিপক্ষে দুই দুইবার পিছিয়ে পড়ে ম্যাচ ড্র করেছিলেন ডনোভান ও ব্র্যাডলি। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে আলজেরিয়াকে হারিয়েছিল তারা ডনোভানের ইনজুরি সময়ের গোলে।
ঘানার বিপক্ষেও একবার ম্যাচে ফিরিয়েছিলেন ডনোভান। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দ্বিতীয় দফায় আর ফেরা হয়নি। যুক্তরাষ্ট্রের বিদায়ে কোচ খেলোয়াড়দের আফসোসের বড়টাই এই ফিরতে না পারা নিয়ে।
অবশ্য বারবার এমন কেন পিছিয়ে পড়ে ম্যাচে ফিরতে হবে, এটা নিয়েই একটু বিরক্ত কোচ বব ব্র্যাডলি, ‘ঘটনা হচ্ছে আমরা আবারও শুরুতেই একটা গোল খেয়ে বসেছিলাম। ম্যাচে ফেরাটা তাই খুব কঠিন হয়ে পড়েছিল। ১-১ করতেই আমাদের অনেক কষ্ট করতে হয়ে। সমতায় ফিরতে গিয়েই তো আমাদের শক্তি শেষ।’
ব্র্যাডলির মতে, এবার বিশ্বকাপে যা হওয়ার হয়ে গেছে, কিন্তু এখন থেকেই তাদের শুরুতে পিছিয়ে পড়ার ব্যাপারটা নিয়ে সতর্ক হতে হবে, ‘অবশ্যই এই বিষয়টা নিয়ে সতর্ক হওয়া দরকার। আমরা সমস্যাটা চিহ্নিত করতে পেরেছি। কিন্তু সমস্যা নিয়ে আলোচনা করলেই তো সমাধান হয় না! এটা আমাদের জন্য ভালো একটা শিক্ষা হলো। আশা করি, এরপর এই উন্নতিটা করতে পারব।’
আগের ম্যাচগুলোর কথা বাদ। ঘানার বিপক্ষে এই ম্যাচটায় পিছিয়ে পড়ার জন্য নিজেকে দোষ দিচ্ছেন ডিফেন্ডার রিকার্ডো ক্লার্ক। ক্লার্কের ভুলেই ম্যাচের শুরুর দিকে তাঁর কাছ থেকে বল কেড়ে নিয়ে গোল করতে পেরেছেন কেভিন-প্রিন্স বোয়েটাং।
ক্লার্ক বলছেন, ‘এটা অবশ্যই আমার ভালো কোনো পারফরম্যান্স না। আমার একটা ব্যর্থতায়ই কাউন্টার অ্যাটাকে এই গোলটা হয়ে গেল। আমার মতো অভিজ্ঞ একজন খেলোয়াড়ের এই ভুল করা উচিত হয়নি। আমি এই গোলের পুরো দায় নিচ্ছি।’
অবশ্য ক্লার্ককে দায় দিতে নারাজ ডনোভান। তিনি বলছেন, এটা আসলে সবার সম্মিলিত দায়, ‘আমরা সবাই মিলে এই দায়টা নিচ্ছি। ফুটবলে এ রকম নিষ্ঠুর ঘটনা কখনো কখনো ঘটে। এক মুহূর্তে আপনি বিশ্বের সেরা থাকবেন, পরের মুহূর্তেই পাতালে চলে যাবেন। তবে সবকিছুর পরও আমি দলের পারফরম্যান্সে গর্ব বোধ করছি।’
হ্যাঁ, এই কথাটার সঙ্গে কোচ ব্র্যাডলি একমত। দলের পারফরম্যান্স নিয়ে তিনিও সন্তুষ্ট। ব্র্যাডলি মনে করছেন, দল যা খেলেছে, তাতে আরও সামনে যাওয়া উচিত ছিল, ‘আমাদের অবশ্যই আরও সামনে যাওয়ার মতো যোগ্যতা ছিল।
No comments