ফাইনালে চোখ ফোরলানদের
আনন্দে কেউ দিগ্বিদিকশূন্য হয়ে ছুটলেন, কেউ মাঠের মধ্যে চিৎ হয়ে শুয়ে পড়লেন। আবার কারও বুকের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়লেন খেলোয়াড়-কর্মকর্তারা। উল্লাস দেখে মনে হয়, বিশ্বকাপই জিতে ফেলেছেন তাঁরা!
উরুগুয়ের কোচ অস্কার তাবারেজ বিশ্বকাপ জয়ের মতোই আনন্দ করে বললেন, ‘অনেক অনেক সময় লেগে গেল এই অর্জনটা পেতে। এখন আমরা বলতে পারি, আমরা বিশ্বের সেরা আট দলের একটি।’
দু দুটি বিশ্বকাপ জয়ের ইতিহাস আছে যাদের, আছে আরও দুবার সেমিফাইনাল খেলার অভিজ্ঞতা; সেই উরুগুয়ে কিনা কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে এমন ‘অর্জনের’ আনন্দ করছে! পরিসংখ্যান দেখে বিভ্রান্ত হবেন না। এবারের কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার ভেতর দিয়ে নতুন জন্ম হলো উরুগুয়ে ফুটবলের। অস্কার তাবারেজ, ডিয়েগো ফোরলানদের উৎসব এই নবজন্মের উৎসব।
আজকের লাতিন পরাশক্তি আর্জেন্টিনা-ব্রাজিলও যখন বিশ্বকাপ ট্রফি ছুঁয়ে দেখতে পারেনি, তখনই দুবার বিশ্বকাপ জিতে ফেলেছে উরুগুয়ে। জিতেছে তারা ১৯৩০ সালের প্রথম বিশ্বকাপ এবং নিজেদের দ্বিতীয় আগমনে ১৯৫০ বিশ্বকাপ। ১৯৫৪ ও ১৯৭০ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলেছে উরুগুয়ে।
ওই ১৯৭০ সালের পর থেকেই শুরু উরুগুয়ে ফুটবলের ‘অন্ধকার যুগ’। এরপর এবারের আগ পর্যন্ত গত ৯টি বিশ্বকাপের পাঁচটিতে বাছাইপর্বই পার হতে পারেনি তারা। এবারও পারত না। লাতিন আমেরিকা অঞ্চলের বাছাইপর্বে পঞ্চম হওয়া দলটি শেষ পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকার টিকিট পেয়েছে কোস্টারিকার বিপক্ষে প্লে-অফ ম্যাচ জিতে।
অথচ সেই দলই বিশ্বকাপে এসে আমূল বদলে গেল! ফ্রান্সের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র দিয়ে শুরু করার পর দক্ষিণ আফ্রিকা ও মেক্সিকোকে হারাল তারা। জ্বলে উঠলেন ডিয়েগো ফোরলান, লুইস সুয়ারেজের মতো ইউরোপ মাতানো উরুগুয়ে তারকারা। সেই সুয়ারেজের পায়ে ভর করে উরুগুয়ে ৪০ বছর পর আবার শেষ আটে পৌঁছাল। এ তো পুনর্জন্মই!
পুনর্জন্ম উদ্যাপনে কমতি নেই কারও। দলের অন্যতম তারকা ডিয়েগো ফোরলান উদ্যাপনের ঢঙেই বললেন, ‘আমরা খুবই গর্বিত ও খুশি। আমরা সর্বোচ্চ উদ্যাপন করছি, উপভোগ করছি।’
আক্রমণভাগের আরেক সৈনিক এডিনসন কাভানি বলছেন, তাঁদের পরিবার-বন্ধুরাও ভেসে যাচ্ছেন আনন্দে, ‘আমরা সবাই খুব খুশি। আমাদের নিজেদের জন্য, দেশের জন্য অসাধারণ একটা অর্জন করেছি। এই আনন্দটা আমরা পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে ভাগ করে নিচ্ছি।’
উৎসব-উদ্যাপনের মধ্যে দ্বিতীয় পর্বের ম্যাচ নিয়ে সুনির্দিষ্ট কথাবার্তা কোথায় যেন হারিয়ে গেল। কোচ তাবারেজ শুধু বললেন, দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে দলকে যেমন বলেছেন, তেমন খেলেছে। দক্ষিণ কোরিয়া দ্বিতীয়ার্ধে ভালোভাবে ফিরে এলেও তাঁর ছেলেরা হাল ছাড়েনি।
কিন্তু তাবারেজদের কথায় আর মনে হচ্ছে না যে পেছন ফিরে দেখার সময় তাঁদের আছে। তাবারেজের চোখ এখন সামনে, ‘দেশ থেকে যত টেক্সট ম্যাসেজ এবং ফোন পেয়েছি, তাতেই বুঝতে পারছি দেশের লোকজন কেমন খুশি। আমাদের এই সাফল্য আমাদের ছোট্ট দেশটার জন্য অনেক কিছু। আমরা অনেক দিন ধরে এই কাজটা করতে চাচ্ছিলাম। অবশেষে সেটা হতে শুরু করেছে। এবার আমরা দেশের লোকজনকে আরও উৎসবের উপলক্ষ এনে দিতে চাই।’
সেই উপলক্ষটা কী? কোনো ভয়-ডর না করে, রাখ-ঢাক না করে ডিয়েগো ফোরলান বলে দিলেন, ‘অবশ্যই আমরা এখন ফাইনালে যেতে চাই। আর মাত্র দুটো ম্যাচ দূরে আছি। আমরা কোনো চাপ নিচ্ছি না। ধাপে ধাপে যেতে চাই। সামনে কে এল সেটা কোনো ঘটনা না।’
উরুগুয়ের কোচ অস্কার তাবারেজ বিশ্বকাপ জয়ের মতোই আনন্দ করে বললেন, ‘অনেক অনেক সময় লেগে গেল এই অর্জনটা পেতে। এখন আমরা বলতে পারি, আমরা বিশ্বের সেরা আট দলের একটি।’
দু দুটি বিশ্বকাপ জয়ের ইতিহাস আছে যাদের, আছে আরও দুবার সেমিফাইনাল খেলার অভিজ্ঞতা; সেই উরুগুয়ে কিনা কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে এমন ‘অর্জনের’ আনন্দ করছে! পরিসংখ্যান দেখে বিভ্রান্ত হবেন না। এবারের কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার ভেতর দিয়ে নতুন জন্ম হলো উরুগুয়ে ফুটবলের। অস্কার তাবারেজ, ডিয়েগো ফোরলানদের উৎসব এই নবজন্মের উৎসব।
আজকের লাতিন পরাশক্তি আর্জেন্টিনা-ব্রাজিলও যখন বিশ্বকাপ ট্রফি ছুঁয়ে দেখতে পারেনি, তখনই দুবার বিশ্বকাপ জিতে ফেলেছে উরুগুয়ে। জিতেছে তারা ১৯৩০ সালের প্রথম বিশ্বকাপ এবং নিজেদের দ্বিতীয় আগমনে ১৯৫০ বিশ্বকাপ। ১৯৫৪ ও ১৯৭০ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলেছে উরুগুয়ে।
ওই ১৯৭০ সালের পর থেকেই শুরু উরুগুয়ে ফুটবলের ‘অন্ধকার যুগ’। এরপর এবারের আগ পর্যন্ত গত ৯টি বিশ্বকাপের পাঁচটিতে বাছাইপর্বই পার হতে পারেনি তারা। এবারও পারত না। লাতিন আমেরিকা অঞ্চলের বাছাইপর্বে পঞ্চম হওয়া দলটি শেষ পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকার টিকিট পেয়েছে কোস্টারিকার বিপক্ষে প্লে-অফ ম্যাচ জিতে।
অথচ সেই দলই বিশ্বকাপে এসে আমূল বদলে গেল! ফ্রান্সের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র দিয়ে শুরু করার পর দক্ষিণ আফ্রিকা ও মেক্সিকোকে হারাল তারা। জ্বলে উঠলেন ডিয়েগো ফোরলান, লুইস সুয়ারেজের মতো ইউরোপ মাতানো উরুগুয়ে তারকারা। সেই সুয়ারেজের পায়ে ভর করে উরুগুয়ে ৪০ বছর পর আবার শেষ আটে পৌঁছাল। এ তো পুনর্জন্মই!
পুনর্জন্ম উদ্যাপনে কমতি নেই কারও। দলের অন্যতম তারকা ডিয়েগো ফোরলান উদ্যাপনের ঢঙেই বললেন, ‘আমরা খুবই গর্বিত ও খুশি। আমরা সর্বোচ্চ উদ্যাপন করছি, উপভোগ করছি।’
আক্রমণভাগের আরেক সৈনিক এডিনসন কাভানি বলছেন, তাঁদের পরিবার-বন্ধুরাও ভেসে যাচ্ছেন আনন্দে, ‘আমরা সবাই খুব খুশি। আমাদের নিজেদের জন্য, দেশের জন্য অসাধারণ একটা অর্জন করেছি। এই আনন্দটা আমরা পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে ভাগ করে নিচ্ছি।’
উৎসব-উদ্যাপনের মধ্যে দ্বিতীয় পর্বের ম্যাচ নিয়ে সুনির্দিষ্ট কথাবার্তা কোথায় যেন হারিয়ে গেল। কোচ তাবারেজ শুধু বললেন, দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে দলকে যেমন বলেছেন, তেমন খেলেছে। দক্ষিণ কোরিয়া দ্বিতীয়ার্ধে ভালোভাবে ফিরে এলেও তাঁর ছেলেরা হাল ছাড়েনি।
কিন্তু তাবারেজদের কথায় আর মনে হচ্ছে না যে পেছন ফিরে দেখার সময় তাঁদের আছে। তাবারেজের চোখ এখন সামনে, ‘দেশ থেকে যত টেক্সট ম্যাসেজ এবং ফোন পেয়েছি, তাতেই বুঝতে পারছি দেশের লোকজন কেমন খুশি। আমাদের এই সাফল্য আমাদের ছোট্ট দেশটার জন্য অনেক কিছু। আমরা অনেক দিন ধরে এই কাজটা করতে চাচ্ছিলাম। অবশেষে সেটা হতে শুরু করেছে। এবার আমরা দেশের লোকজনকে আরও উৎসবের উপলক্ষ এনে দিতে চাই।’
সেই উপলক্ষটা কী? কোনো ভয়-ডর না করে, রাখ-ঢাক না করে ডিয়েগো ফোরলান বলে দিলেন, ‘অবশ্যই আমরা এখন ফাইনালে যেতে চাই। আর মাত্র দুটো ম্যাচ দূরে আছি। আমরা কোনো চাপ নিচ্ছি না। ধাপে ধাপে যেতে চাই। সামনে কে এল সেটা কোনো ঘটনা না।’
No comments