ইতিহাসের পথে
আবারও সেই দৃশ্য। পতাকা হাতে পুরো মাঠ প্রদক্ষিণ করছেন ঘানার ফুটবলাররা, দেশের পতাকার আবরণে যেটা আসলে পুরো মহাদেশেরই পতাকা। এই বিশ্বকাপে প্রতিটি জয়কেই তারা বলছে আফ্রিকার জয়, তাদের টিম বাসের নাম দিয়েছে, ‘হোপ অব আফ্রিকা’। টানা দ্বিতীয়বার একমাত্র আফ্রিকান দেশ হিসেবে দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠেছিল ঘানা। কিন্তু আফ্রিকার বিশ্বকাপে ‘হোপ অব আফ্রিকা’র কি আর স্রেফ দ্বিতীয় রাউন্ডে খেললেই চলে! ঘানা তাই ছুঁয়ে ফেলল বিশ্বকাপে আফ্রিকার সেরা সাফল্য, কোয়ার্টার ফাইনাল। হাতছানি এবার শেষ চারে উঠে নতুন ইতিহাস গড়ার। স্বপ্নযাত্রায় ‘ব্ল্যাক স্টার’দের সামনে এবার বাধা উরুগুয়ে, জোহানেসবার্গের সকার সিটিতে দু দল মুখোমুখি হবে ২ জুলাই।
১৯৭৪ সালে সেই সময়ের জায়ারেকে দিয়ে (এখনকার কঙ্গো) আফ্রিকার বিশ্বকাপ-যাত্রা শুরু। সেই থেকে দশটি বিশ্বকাপে আফ্রিকার সেরা সাফল্য দুবার কোয়ার্টার ফাইনাল খেলা। ১৯৯০ বিশ্বকাপে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা ও রুমানিয়াকে হারিয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠেছিল ক্যামেরুন, এরপর বেলজিয়ামকে হারিয়ে কোয়ার্টারে। সেখানে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে নির্ধারিত সময়ে ২-২ গোলে ড্রয়ের পর ‘অদম্য সিংহ’দের থামিয়েছিল অতিরিক্ত সময়ে গ্যারি লিনেকারের পেনাল্টি গোল। ২০০২ বিশ্বকাপে ওই কীর্তির পুনরাবৃত্তি হলো প্রথমবার বিশ্বকাপ খেলতে আসা সেনেগালের হাতে। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সকে হারিয়ে শুরু, এরপর ডেনমার্ক ও উরুগুয়ের সঙ্গে ড্র করে দ্বিতীয় রাউন্ড। সেখানে সুইডেনকে হারানোর পর কোয়ার্টারে তাদের থামাল তুরস্ক। এবার ঘানা পারবে তাদের ছাড়িয়ে যেতে?
আফ্রিকার ইতিহাসে আফ্রিকার নতুন ইতিহাস তারা গড়তে পারবেন—এই স্বপ্ন দেখছেন যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ম্যাচ-সেরা আন্দ্রে আইয়ু, ‘আমরা স্বপ্নে লাগাম পরাচ্ছি না। আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে। ফুটবলে সবই সম্ভব। লড়াই চালিয়ে গেলে আমরা আরও বড় কিছু পাব।’ ঘানার কিংবদন্তি ফুটবলার আবেদি পেলের ছেলে আইয়ু স্বপ্ন পূরণের রসদ হিসেবে দেখছেন পুরো আফ্রিকার সমর্থনকে, ‘আমরা অনুভব করি পুরো মহাদেশ আমাদের সঙ্গে আছে। এটাই আমাদের সব বাধা ভেঙে এগিয়ে যেতে উদ্বুদ্ধ করছে। আর কোনো আফ্রিকান দেশ দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠতে পারেনি বলে আমরা কিছুটা হতাশ, পুরো মহাদেশকেই গর্বিত করার দায়িত্ব তাই আমাদের।’ দলের ডিফেন্ডার জন পান্টসিল বলেছেন, ‘আমার বিশ্বাসই হচ্ছে না—আমরা ইতিহাস সৃষ্টি করেছি! এখন আমরা নতুন ইতিহাসের দিকে এগিয়ে যেতে চাই।
১৯৭৪ সালে সেই সময়ের জায়ারেকে দিয়ে (এখনকার কঙ্গো) আফ্রিকার বিশ্বকাপ-যাত্রা শুরু। সেই থেকে দশটি বিশ্বকাপে আফ্রিকার সেরা সাফল্য দুবার কোয়ার্টার ফাইনাল খেলা। ১৯৯০ বিশ্বকাপে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা ও রুমানিয়াকে হারিয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠেছিল ক্যামেরুন, এরপর বেলজিয়ামকে হারিয়ে কোয়ার্টারে। সেখানে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে নির্ধারিত সময়ে ২-২ গোলে ড্রয়ের পর ‘অদম্য সিংহ’দের থামিয়েছিল অতিরিক্ত সময়ে গ্যারি লিনেকারের পেনাল্টি গোল। ২০০২ বিশ্বকাপে ওই কীর্তির পুনরাবৃত্তি হলো প্রথমবার বিশ্বকাপ খেলতে আসা সেনেগালের হাতে। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সকে হারিয়ে শুরু, এরপর ডেনমার্ক ও উরুগুয়ের সঙ্গে ড্র করে দ্বিতীয় রাউন্ড। সেখানে সুইডেনকে হারানোর পর কোয়ার্টারে তাদের থামাল তুরস্ক। এবার ঘানা পারবে তাদের ছাড়িয়ে যেতে?
আফ্রিকার ইতিহাসে আফ্রিকার নতুন ইতিহাস তারা গড়তে পারবেন—এই স্বপ্ন দেখছেন যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ম্যাচ-সেরা আন্দ্রে আইয়ু, ‘আমরা স্বপ্নে লাগাম পরাচ্ছি না। আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে। ফুটবলে সবই সম্ভব। লড়াই চালিয়ে গেলে আমরা আরও বড় কিছু পাব।’ ঘানার কিংবদন্তি ফুটবলার আবেদি পেলের ছেলে আইয়ু স্বপ্ন পূরণের রসদ হিসেবে দেখছেন পুরো আফ্রিকার সমর্থনকে, ‘আমরা অনুভব করি পুরো মহাদেশ আমাদের সঙ্গে আছে। এটাই আমাদের সব বাধা ভেঙে এগিয়ে যেতে উদ্বুদ্ধ করছে। আর কোনো আফ্রিকান দেশ দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠতে পারেনি বলে আমরা কিছুটা হতাশ, পুরো মহাদেশকেই গর্বিত করার দায়িত্ব তাই আমাদের।’ দলের ডিফেন্ডার জন পান্টসিল বলেছেন, ‘আমার বিশ্বাসই হচ্ছে না—আমরা ইতিহাস সৃষ্টি করেছি! এখন আমরা নতুন ইতিহাসের দিকে এগিয়ে যেতে চাই।
No comments