লালপুর চিনিকলে বিদ্যুৎ ও সাদা চিনি উৎপাদনের সম্ভাব্যতা যাচাই
নাটোরের লালপুর উপজেলার নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলে কো-জেনারেশন বা সহ-উৎপাদন পদ্ধতিতে বিদ্যুৎ ও সাদা চিনি উৎপাদন প্লান্ট স্থাপনের সম্ভাব্যতা যাচাই শেষ হয়েছে।
প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে বছরে ২৫০ কোটি টাকা লাভ হবে বলে সম্ভাব্যতা যাচাই কমিটির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
জানা গেছে, এই প্রকল্পের প্রাথমিক ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ১৬০ কোটি টাকা এবং এটি বাস্তবায়ন করতে সময় লাগবে প্রায় দুই বছর। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে তা দেশে কিছুটা হলেও বিদ্যুৎ চাহিদা মেটাতে এবং অতিরিক্ত কর্মসংস্থান ও মৌসুমি শ্রমিকদের জন্য সারা বছর কাজের সুযোগ সৃষ্টিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলে কো-জেনারেশন পদ্ধতিতে বিদ্যুৎ ও সাদা চিনি উৎপাদন প্লান্ট স্থাপনের জন্য ২০০৭ সালে সম্ভাব্যতা যাচাই শুরু হয়। বাংলাদেশ প্রকৌশল ও কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) যন্ত্রকৌশল বিভাগের প্রধানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল এই দায়িত্ব পালন করছে। প্রতিনিধিদলটি সম্প্রতি প্রাথমিক জরিপ ও সম্ভাব্যতা যাচাই করে প্রতিবেদন দাখিল করেছে।
ওই প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত শুক্রবার বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প সংস্থার (বিএসএফআইসি) একটি প্রতিনিধিদল নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলে কো-জেনারেশন প্লান্ট স্থাপনের বিভিন্ন দিক নিয়ে পূর্ণাঙ্গ পর্যালোচনার জন্য লালপুর আসে। বিএসএফআইসির পরিচালক (উৎপাদন ও প্রকৌশল) মো. আবুল কাশেমের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধিদলটিতে ছিলেন সংস্থার প্রধান প্রকৌশলী আমিনুল হক, প্রধান রসায়নবিদ লোকমান হোসেন, প্রধান তড়িৎ প্রকৌশলী জোতিশময় বড়ুয়া ও প্রধান পূরপ্রকৌশলী ইনতাজ আলী। এ সময় মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সিরাজুল হক, সিবিএ সভাপতি খন্দকার শহিদুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার কামালসহ বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মো. আবুল কাশেম স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জানান, নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলে কো-জেনারেশন বা সহ-উৎপাদন পদ্ধতিতে বিদ্যুৎ ও সাদা চিনি উৎপাদন প্লান্ট স্থাপনের সব দিক ইতিবাচক রয়েছে। এখানে তিনটি টারবাইনের পাওয়ার প্লান্ট স্থাপিত হলে প্রতিদিন নয় মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হবে। এর মধ্যে ২ দশমিক ৫ থেকে তিন মেগাওয়াট বিদ্যুৎ এই চিনিকলে ব্যবহূত হবে। অবশিষ্ট ছয় থেকে সাড়ে ছয় মেগাওয়াট বিদ্যুৎ লালপুর, বাগাতিপাড়া, বাঘা ও চারঘাট উপজেলার চাহিদা মিটিয়ে জাতীয় গ্রিডেও কিছু পরিমাণে দেওয়া সম্ভব হবে।
আবুল কাশেম আরও জানান, এই প্রকল্পে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য আখ মাড়াই মৌসুমে আখের ছোবড়া ও কয়লা এবং অন্য সময় কয়লাকে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হবে। একই সঙ্গে এখানে প্রতিদিন ৭৩৫ মেট্রিক টন সাদা চিনি উৎপাদন করা সম্ভব হবে। বর্তমানে এই চিনিকলে মাড়াই মৌসুমে গড়ে ১২০ মেট্রিক টন চিনি উৎপাদিত হয়।
চিনিকলটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সিরাজুল হক বলেন, এখানে কো-জেনারেশন পদ্ধতিতে বিদ্যুৎ ও সাদা চিনি উৎপাদন প্লান্ট স্থাপনের সব সুবিধা ও সুষ্ঠু পরিবেশ রয়েছে।
চিনিকল শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়নের (সিবিএ) সভাপতি খন্দকার শহিদুল ইসলাম প্রকল্পটি দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানান।
প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে বছরে ২৫০ কোটি টাকা লাভ হবে বলে সম্ভাব্যতা যাচাই কমিটির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
জানা গেছে, এই প্রকল্পের প্রাথমিক ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ১৬০ কোটি টাকা এবং এটি বাস্তবায়ন করতে সময় লাগবে প্রায় দুই বছর। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে তা দেশে কিছুটা হলেও বিদ্যুৎ চাহিদা মেটাতে এবং অতিরিক্ত কর্মসংস্থান ও মৌসুমি শ্রমিকদের জন্য সারা বছর কাজের সুযোগ সৃষ্টিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলে কো-জেনারেশন পদ্ধতিতে বিদ্যুৎ ও সাদা চিনি উৎপাদন প্লান্ট স্থাপনের জন্য ২০০৭ সালে সম্ভাব্যতা যাচাই শুরু হয়। বাংলাদেশ প্রকৌশল ও কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) যন্ত্রকৌশল বিভাগের প্রধানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল এই দায়িত্ব পালন করছে। প্রতিনিধিদলটি সম্প্রতি প্রাথমিক জরিপ ও সম্ভাব্যতা যাচাই করে প্রতিবেদন দাখিল করেছে।
ওই প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত শুক্রবার বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প সংস্থার (বিএসএফআইসি) একটি প্রতিনিধিদল নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলে কো-জেনারেশন প্লান্ট স্থাপনের বিভিন্ন দিক নিয়ে পূর্ণাঙ্গ পর্যালোচনার জন্য লালপুর আসে। বিএসএফআইসির পরিচালক (উৎপাদন ও প্রকৌশল) মো. আবুল কাশেমের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধিদলটিতে ছিলেন সংস্থার প্রধান প্রকৌশলী আমিনুল হক, প্রধান রসায়নবিদ লোকমান হোসেন, প্রধান তড়িৎ প্রকৌশলী জোতিশময় বড়ুয়া ও প্রধান পূরপ্রকৌশলী ইনতাজ আলী। এ সময় মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সিরাজুল হক, সিবিএ সভাপতি খন্দকার শহিদুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার কামালসহ বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মো. আবুল কাশেম স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জানান, নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলে কো-জেনারেশন বা সহ-উৎপাদন পদ্ধতিতে বিদ্যুৎ ও সাদা চিনি উৎপাদন প্লান্ট স্থাপনের সব দিক ইতিবাচক রয়েছে। এখানে তিনটি টারবাইনের পাওয়ার প্লান্ট স্থাপিত হলে প্রতিদিন নয় মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হবে। এর মধ্যে ২ দশমিক ৫ থেকে তিন মেগাওয়াট বিদ্যুৎ এই চিনিকলে ব্যবহূত হবে। অবশিষ্ট ছয় থেকে সাড়ে ছয় মেগাওয়াট বিদ্যুৎ লালপুর, বাগাতিপাড়া, বাঘা ও চারঘাট উপজেলার চাহিদা মিটিয়ে জাতীয় গ্রিডেও কিছু পরিমাণে দেওয়া সম্ভব হবে।
আবুল কাশেম আরও জানান, এই প্রকল্পে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য আখ মাড়াই মৌসুমে আখের ছোবড়া ও কয়লা এবং অন্য সময় কয়লাকে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হবে। একই সঙ্গে এখানে প্রতিদিন ৭৩৫ মেট্রিক টন সাদা চিনি উৎপাদন করা সম্ভব হবে। বর্তমানে এই চিনিকলে মাড়াই মৌসুমে গড়ে ১২০ মেট্রিক টন চিনি উৎপাদিত হয়।
চিনিকলটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সিরাজুল হক বলেন, এখানে কো-জেনারেশন পদ্ধতিতে বিদ্যুৎ ও সাদা চিনি উৎপাদন প্লান্ট স্থাপনের সব সুবিধা ও সুষ্ঠু পরিবেশ রয়েছে।
চিনিকল শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়নের (সিবিএ) সভাপতি খন্দকার শহিদুল ইসলাম প্রকল্পটি দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানান।
No comments