‘পেলে’র ছেলে ও এক গোলমেশিন
আবেদি পেলের বুকটা কি পরশু আরেকটু চওড়া হয়ে গেল? গর্ব করার মতো কীর্তি তাঁর নিজেরই অনেক আছে। ঘানার তো বটেই, সর্বকালের সেরা আফ্রিকান ফুটবলারদের একজন তিনি। আফ্রিকার বর্ষসেরা ফুটবলার হয়েছেন রেকর্ড তিনবার। ব্রাজিল কিংবদন্তি পেলের সঙ্গে মিলিয়ে তাঁকে ডাকা হতো আফ্রিকার পেলে নামে। নামটা এতটাই জনপ্রিয়তা পেয়ে যায় যে খেতাবি নামের আড়ালে হারিয়ে যায় তাঁর আসল নামটি। আবেদি আইয়ু নন, তাঁকে চেনে সবাই আবেদি পেলে নামে।
তবে ছেলে যদি কোনো দিক থেকে ছাড়িয়ে যান বাবাকে, তাহলে সবচেয়ে বেশি গর্ব তো বাবারই হওয়ার কথা। ফুটবলার আবেদিকে ছোঁয়া এখনো অনেক দূরের পথ। তবে ঘানার বিশ্বকাপ দলে সুযোগ পেয়েই একটা দিক থেকে আবেদিকে ছাড়িয়ে গেছেন তাঁর দুই ছেলে আন্দ্রে আইয়ু ও আবদুর রহিম আইয়ু। বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে কখনো বিশ্বকাপ খেলা হয়নি আবেদির, ঘানা প্রথম বিশ্বকাপ খেলল তো তিনি আন্তর্জাতিক ফুটবল খেলার আট বছর পর! বাবার আক্ষেপ ঘুচিয়েছেন ছেলেরা। ২২ বছর বয়সী রহিমের এখনো বিশ্বকাপে মাঠে নামা হয়নি, তবে প্রতিটি ম্যাচেই খেলেছেন দু বছরের ছোট আন্দ্রে। খেলেছেনও ভালো, তবে আলোটুকু কেড়ে নিয়েছেন জিয়ান-পান্টসিল-মেনশারা।
অবশেষে নিজেকে আলাদাভাবে চেনালেন পরশু। বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ড, জিতলেই ছোঁয়া হবে ইতিহাস, গ্যালারিতে বাবার উপস্থিতি—নিজেকে মেলে ধরার জন্য এর চেয়ে বড় উপলক্ষ আর কী হতে পারে! আন্দ্রে তাই খেললেন জীবনের সেরা খেলা। গোল তিনি পাননি, তবে ম্যাচ-সেরা হয়েছেন ঠিকই। ঘানাকে জয় এনে দেওয়া আসামোয়া জিয়ানের গোলটি এসেছে তাঁর অসাধারণ পাসেই। আন্দ্রে আজ ঘানা দলে খেলছেনও তো বাবার জন্যই। জন্ম, বেড়ে ওঠা ফ্রান্সে বলে প্রথমে ভেবেছিলেন ‘লা ব্লু’দের হয়েই খেলবেন। পরে বাবার জন্যই বেছে নিয়েছেন ঘানাকে। আবেদির আরেক ছেলে জর্ডান আইয়ুও ফুটবল খেলছেন। এখনো জাতীয় দলে খেলা হয়নি, ১৮ বছর বয়সী স্ট্রাইকার এখন খেলছেন ফ্রেঞ্চ ক্লাব মার্শেইতে। আন্দ্রের জন্য অবশ্য হতাশার খবর আছে একটি, টানা দু ম্যাচে হলুদ কার্ড দেখায় কোয়ার্টার ফাইনালে খেলতে পারবেন না তিনি।
উরুগুয়ের সবচেয়ে বড় ভরসা ডিয়েগো ফোরলান ও লুইস সুয়ারেজের স্ট্রাইকিং জুটি। প্রথম দুই ম্যাচে সেরা হয়েছিলেন ফোরলান, ওই দুই ম্যাচে আবার অনেকটাই নিষ্প্রভ ছিলেন সুয়ারেজ। তবে দারুণ গুরুত্বপূর্ণ পরের দুটি ম্যাচেই সেরা হলেন সুয়ারেজ। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে তাঁর গোলেই মেক্সিকোকে হারিয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে আর্জেন্টিনাকে এড়িয়েছে উরুগুয়ে। পরশু তাঁর দুই গোলেই দক্ষিণ কোরিয়াকে হারিয়ে ৪০ বছর পর বিশ্বকাপের শেষ আটে উঠেছে দুবারের চ্যাম্পিয়নরা। আয়াক্স আমস্টারডামের হয়ে ৯৭ ম্যাচে ৭৪ গোল করে ‘গোলমেশিন’ উপাধি পেয়ে যাওয়া সুয়ারেজ এখন হিগুয়েইন-ভিতেক-ভিয়াদের সঙ্গী সোনার জুতোর লড়াইয়ে।
তবে ছেলে যদি কোনো দিক থেকে ছাড়িয়ে যান বাবাকে, তাহলে সবচেয়ে বেশি গর্ব তো বাবারই হওয়ার কথা। ফুটবলার আবেদিকে ছোঁয়া এখনো অনেক দূরের পথ। তবে ঘানার বিশ্বকাপ দলে সুযোগ পেয়েই একটা দিক থেকে আবেদিকে ছাড়িয়ে গেছেন তাঁর দুই ছেলে আন্দ্রে আইয়ু ও আবদুর রহিম আইয়ু। বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে কখনো বিশ্বকাপ খেলা হয়নি আবেদির, ঘানা প্রথম বিশ্বকাপ খেলল তো তিনি আন্তর্জাতিক ফুটবল খেলার আট বছর পর! বাবার আক্ষেপ ঘুচিয়েছেন ছেলেরা। ২২ বছর বয়সী রহিমের এখনো বিশ্বকাপে মাঠে নামা হয়নি, তবে প্রতিটি ম্যাচেই খেলেছেন দু বছরের ছোট আন্দ্রে। খেলেছেনও ভালো, তবে আলোটুকু কেড়ে নিয়েছেন জিয়ান-পান্টসিল-মেনশারা।
অবশেষে নিজেকে আলাদাভাবে চেনালেন পরশু। বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ড, জিতলেই ছোঁয়া হবে ইতিহাস, গ্যালারিতে বাবার উপস্থিতি—নিজেকে মেলে ধরার জন্য এর চেয়ে বড় উপলক্ষ আর কী হতে পারে! আন্দ্রে তাই খেললেন জীবনের সেরা খেলা। গোল তিনি পাননি, তবে ম্যাচ-সেরা হয়েছেন ঠিকই। ঘানাকে জয় এনে দেওয়া আসামোয়া জিয়ানের গোলটি এসেছে তাঁর অসাধারণ পাসেই। আন্দ্রে আজ ঘানা দলে খেলছেনও তো বাবার জন্যই। জন্ম, বেড়ে ওঠা ফ্রান্সে বলে প্রথমে ভেবেছিলেন ‘লা ব্লু’দের হয়েই খেলবেন। পরে বাবার জন্যই বেছে নিয়েছেন ঘানাকে। আবেদির আরেক ছেলে জর্ডান আইয়ুও ফুটবল খেলছেন। এখনো জাতীয় দলে খেলা হয়নি, ১৮ বছর বয়সী স্ট্রাইকার এখন খেলছেন ফ্রেঞ্চ ক্লাব মার্শেইতে। আন্দ্রের জন্য অবশ্য হতাশার খবর আছে একটি, টানা দু ম্যাচে হলুদ কার্ড দেখায় কোয়ার্টার ফাইনালে খেলতে পারবেন না তিনি।
উরুগুয়ের সবচেয়ে বড় ভরসা ডিয়েগো ফোরলান ও লুইস সুয়ারেজের স্ট্রাইকিং জুটি। প্রথম দুই ম্যাচে সেরা হয়েছিলেন ফোরলান, ওই দুই ম্যাচে আবার অনেকটাই নিষ্প্রভ ছিলেন সুয়ারেজ। তবে দারুণ গুরুত্বপূর্ণ পরের দুটি ম্যাচেই সেরা হলেন সুয়ারেজ। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে তাঁর গোলেই মেক্সিকোকে হারিয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে আর্জেন্টিনাকে এড়িয়েছে উরুগুয়ে। পরশু তাঁর দুই গোলেই দক্ষিণ কোরিয়াকে হারিয়ে ৪০ বছর পর বিশ্বকাপের শেষ আটে উঠেছে দুবারের চ্যাম্পিয়নরা। আয়াক্স আমস্টারডামের হয়ে ৯৭ ম্যাচে ৭৪ গোল করে ‘গোলমেশিন’ উপাধি পেয়ে যাওয়া সুয়ারেজ এখন হিগুয়েইন-ভিতেক-ভিয়াদের সঙ্গী সোনার জুতোর লড়াইয়ে।
No comments