স্পেনের খেলায় এত পাস
বক্সের কাছে গিয়েও পাস, পাস আর পাস! পরিসংখ্যান বলে টানা ৪টা পাস থেকে ৮৬ ভাগ গোল আসে। ৫টা বা এর চেয়ে বেশি পাসে গোলসংখ্যা নেমে আসে ১৯-এ। উদাহরণটা মনে পড়ল স্পেনের খেলা দেখে। হন্ডুরাসের বিপক্ষে খুব বেশি পাস খেলেছে স্পেন, যা দলের জন্য আদতে কোনো ফল আনেনি।
স্প্যানিশ খেলোয়াড়েরা কখনো বল ডানে নিচ্ছে, কখনো বাঁয়ে। নিজেদের মধ্যে এত বল চালাচালি করে তো লাভ নেই। ডিফেন্স-চেরা পাস বা ব্যক্তিগতভাবে কারও অসাধারণ কিছু করে ফেলা, রানিং করে ঢোকা—এই জিনিসগুলোর তো দরকার। সেটির অভাব ছিল।
স্প্যানিয়ার্ডরা ভেতরে ঢুকে বিনা প্রয়োজনে বল ফ্লাংকে নিয়ে গেছে বারবার। কিন্তু ফ্লাংকে গিয়ে আবার তো সেই ভেতরে আসতেই হবে। তাহলে অহেতুক ফ্লাংকে নেওয়া কেন? নেওয়ার পর দেখা গেল, ক্রসগুলো ঠিকমতো হচ্ছে না। হবে কী করে? কেউ তো তেমন দায়িত্বই নিচ্ছিল না।
ভিয়া ব্যতিক্রম, সে দায়িত্ব নিয়েছে। তার নামের পাশে তাই দুটি গোল। ভিয়া প্রথম যে গোলটা করল, সেটি ছিল একক চেষ্টার ফল। এভাবে কাউকে না কাউকে বাড়তি চেষ্টা করতে হবে। দ্বিতীয় গোলটাও সে বক্সের বেশ বাইরে থেকে মারল। এই যে ব্যক্তিগতভাবে কারও না কারও উদ্যোগ নেওয়া, প্রতিপক্ষ গোলরক্ষককে পরীক্ষায় ফেলে গোল আদায় করা, এটাই কম ছিল স্পেনের খেলায়। ভিয়াই এ ম্যাচে স্পেনের নায়ক। সে হ্যাটট্রিক করলে খুশি হতাম। সেটি তার প্রাপ্যও ছিল। তবে তোরেস হতাশ করেছে। দৃষ্টিকটু কিছু মিস ছাড়া তার তো কোনো উদ্যমই দেখলাম না।
আগের ম্যাচে হারের পর স্পেনের ওপর বাড়তি চাপ ছিল। যতই আমরা বলি, এটা ভালো হতে পারত-ওটা ভালো হতে পারত, কিন্তু যে অবস্থা থেকে তারা ফিরে এসেছে সেটা দেখা উচিত। কিন্তু কথা হলো, প্রতিপক্ষের ওপর আতঙ্ক তৈরি করারও তো দরকার আছে। সেটিই তারা করতে পারল না। তার পরও জয়টা এসেছে খুব সহজেই।
হন্ডুরাসের খেলোয়াড়দের শারীরিকভাবে আমাদের বাঙালিদের মতোই মনে হলো। একেকজন একেক রকম। এমন শারীরিক গঠন নিয়ে এই পর্যায়ের ফুটবলে টিকে থাকা কঠিন। এমনিতে তাদের চেষ্টা-উদ্যম ঠিক ছিল। সমস্যার নাম—টেকনিক। লম্বা পাসগুলো সঠিক হচ্ছিল না। শুধু লম্বা পাসের কথাই বলি কেন? ছোট পাসগুলোও কখনো বেশি গতি, কখনো খুব ধীর ছিল।
চিলি ওদের নিয়ে ভালোভাবে হোমওয়ার্ক করে এসেছে। সুইসরা শারীরিকভাবে বেশ শক্তিশালী, জানত ওরা লম্বা পাসে খেলবে। রানিং দিয়ে এই জায়গাগুলোয় সুইসদের আটকে দিয়েছে চিলি। বদ্ধপরিকর ছিল, যেভাবেই হোক জিততে হবে। লাতিন দল হিসেবে চিলির খেলায় কিছু স্কিলের ঝলকও দেখলাম।
পায়ে বল পেলে সুইসদের চেয়ে ভালো কিছু করতে পেরেছে চিলি। পাস এবং দেওয়া-নেওয়ায় তারাই এগিয়ে ছিল। স্পেনকে হারানোর পর সুইসদের উজ্জীবিতই থাকার কথা, কিন্তু এদিন সেটা তারা ছিল না। বড় কারণ তো অবশ্যই লাল কার্ড। ৬০ মিনিট এই পর্যায়ের খেলায় দশজন নিয়ে খেলা কঠিন।
স্প্যানিশ খেলোয়াড়েরা কখনো বল ডানে নিচ্ছে, কখনো বাঁয়ে। নিজেদের মধ্যে এত বল চালাচালি করে তো লাভ নেই। ডিফেন্স-চেরা পাস বা ব্যক্তিগতভাবে কারও অসাধারণ কিছু করে ফেলা, রানিং করে ঢোকা—এই জিনিসগুলোর তো দরকার। সেটির অভাব ছিল।
স্প্যানিয়ার্ডরা ভেতরে ঢুকে বিনা প্রয়োজনে বল ফ্লাংকে নিয়ে গেছে বারবার। কিন্তু ফ্লাংকে গিয়ে আবার তো সেই ভেতরে আসতেই হবে। তাহলে অহেতুক ফ্লাংকে নেওয়া কেন? নেওয়ার পর দেখা গেল, ক্রসগুলো ঠিকমতো হচ্ছে না। হবে কী করে? কেউ তো তেমন দায়িত্বই নিচ্ছিল না।
ভিয়া ব্যতিক্রম, সে দায়িত্ব নিয়েছে। তার নামের পাশে তাই দুটি গোল। ভিয়া প্রথম যে গোলটা করল, সেটি ছিল একক চেষ্টার ফল। এভাবে কাউকে না কাউকে বাড়তি চেষ্টা করতে হবে। দ্বিতীয় গোলটাও সে বক্সের বেশ বাইরে থেকে মারল। এই যে ব্যক্তিগতভাবে কারও না কারও উদ্যোগ নেওয়া, প্রতিপক্ষ গোলরক্ষককে পরীক্ষায় ফেলে গোল আদায় করা, এটাই কম ছিল স্পেনের খেলায়। ভিয়াই এ ম্যাচে স্পেনের নায়ক। সে হ্যাটট্রিক করলে খুশি হতাম। সেটি তার প্রাপ্যও ছিল। তবে তোরেস হতাশ করেছে। দৃষ্টিকটু কিছু মিস ছাড়া তার তো কোনো উদ্যমই দেখলাম না।
আগের ম্যাচে হারের পর স্পেনের ওপর বাড়তি চাপ ছিল। যতই আমরা বলি, এটা ভালো হতে পারত-ওটা ভালো হতে পারত, কিন্তু যে অবস্থা থেকে তারা ফিরে এসেছে সেটা দেখা উচিত। কিন্তু কথা হলো, প্রতিপক্ষের ওপর আতঙ্ক তৈরি করারও তো দরকার আছে। সেটিই তারা করতে পারল না। তার পরও জয়টা এসেছে খুব সহজেই।
হন্ডুরাসের খেলোয়াড়দের শারীরিকভাবে আমাদের বাঙালিদের মতোই মনে হলো। একেকজন একেক রকম। এমন শারীরিক গঠন নিয়ে এই পর্যায়ের ফুটবলে টিকে থাকা কঠিন। এমনিতে তাদের চেষ্টা-উদ্যম ঠিক ছিল। সমস্যার নাম—টেকনিক। লম্বা পাসগুলো সঠিক হচ্ছিল না। শুধু লম্বা পাসের কথাই বলি কেন? ছোট পাসগুলোও কখনো বেশি গতি, কখনো খুব ধীর ছিল।
চিলি ওদের নিয়ে ভালোভাবে হোমওয়ার্ক করে এসেছে। সুইসরা শারীরিকভাবে বেশ শক্তিশালী, জানত ওরা লম্বা পাসে খেলবে। রানিং দিয়ে এই জায়গাগুলোয় সুইসদের আটকে দিয়েছে চিলি। বদ্ধপরিকর ছিল, যেভাবেই হোক জিততে হবে। লাতিন দল হিসেবে চিলির খেলায় কিছু স্কিলের ঝলকও দেখলাম।
পায়ে বল পেলে সুইসদের চেয়ে ভালো কিছু করতে পেরেছে চিলি। পাস এবং দেওয়া-নেওয়ায় তারাই এগিয়ে ছিল। স্পেনকে হারানোর পর সুইসদের উজ্জীবিতই থাকার কথা, কিন্তু এদিন সেটা তারা ছিল না। বড় কারণ তো অবশ্যই লাল কার্ড। ৬০ মিনিট এই পর্যায়ের খেলায় দশজন নিয়ে খেলা কঠিন।
No comments