পোশাকশিল্পে মজুরি-বিবাদ -যৌক্তিক ও মানবিক সমাধানের দায়িত্ব সরকারের
তৈরি পোশাক কারখানায় মজুরি বাড়ানোর দাবি শ্রমিকের। মালিকপক্ষের দিক থেকে কেবলই আশ্বাস। দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকা এই দাবি ও আশ্বাসের টানাটানি প্রায়শই বিক্ষোভ ও ভাঙচুরে পরিণত হয়। পুলিশ নামে, কারখানা কিছুদিন বন্ধ থাকে। এই গল্পের যেন শেষ নেই। মালিক-শ্রমিকের এই রেষারেষিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় শিল্প ও সম্পদ এবং মাঝেমধ্যে প্রাণহানির ঘটনাও বিরল নয়। সম্প্রতি আশুলিয়ায় এ রকমই বিক্ষোভ-সংঘর্ষের জের ধরে অজস্র কারখানার ক্ষতিসাধন করা হয়েছে এবং মালিকপক্ষ অনির্দিষ্টকালের জন্য কারখানা বন্ধ ঘোষণা করেছে। তবে এক দিন পর আজ থেকে কারখানা খোলার ঘোষণা দিয়েছে মালিকপক্ষ।
গত মঙ্গলবার শ্রমমন্ত্রী আগামী মাসের ২৮ তারিখের মধ্যে পোশাকশ্রমিকদের বেতন-সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন। এ বছরের ২৮ এপ্রিল সরকার, শ্রমিক ও মালিকপক্ষের দুজন করে সদস্য নিয়ে একটি ত্রিপক্ষীয় মজুরি বোর্ড গঠন করা হয়। এরই মধ্যে বোর্ডের নয়টি সভায় বেতন বাড়ানোর ব্যাপারে সবাই নীতিগত সম্মতি দিলেও বাড়ানোর পরিমাণ নিয়ে এখনো কোনো মীমাংসা হয়নি। শ্রমিকদের দাবি, ন্যূনতম বেতন পাঁচ থেকে ছয় হাজার টাকার মধ্যে হতে হবে।
বৈদেশিক মুদ্রা অজর্নকারী খাত হিসেবে বাংলাদেশের পোশাকশিল্প বিভিন্ন সরকারি সহযোগিতা ও অনেক ক্ষেত্রে ছাড় পেয়ে থাকে। এ রকম একটি শিল্পের শ্রমিককে কীভাবে মাত্র এক হাজার ৬৬২ টাকা ৫০ পয়সায় জীবনধারণে বাধ্য করা হয়, তা বোধগম্য নয়। ২০০৬ সালে সরকার-নির্ধারিত ওই মজুরি থেকে বর্তমানে মালিকেরা মাত্র ৩২৭ টাকা বেশি দিতে চান, অর্থাৎ নতুন মজুরি এক হাজার ৯৮৯ টাকার বেশি তাঁরা দিতে নারাজ। এ হিসাবে দৈনিক মজুরি দাঁড়ায় ৬৬ টাকা মাত্র। মাত্র দুই কেজি চালের মূল্যে একজন শ্রমিক কীভাবে পরিবারের ভরণপোষণ চালাবেন, যেখানে এই বেতনে একজনেরই চলবার কথা নয়!
সরকারের উচিত, যৌক্তিক মাত্রা পর্যন্ত মালিকপক্ষকে নিম্নতম বেতন বাড়াতে বাধ্য করা। দীর্ঘদিন এ ধরনের পরিস্থিতি বজায় থাকা পোশাকশিল্পের সঙ্গে জড়িত সবাই তো বটেই, দেশের জন্যও ক্ষতিকর। প্রায় ৫০ লাখ শ্রমিকের এত বড় লাভজনক খাত নিয়ে ভারসাম্যপূর্ণ সিদ্ধান্তে আসতে আর দেরি করা উচিত নয়।
গত মঙ্গলবার শ্রমমন্ত্রী আগামী মাসের ২৮ তারিখের মধ্যে পোশাকশ্রমিকদের বেতন-সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন। এ বছরের ২৮ এপ্রিল সরকার, শ্রমিক ও মালিকপক্ষের দুজন করে সদস্য নিয়ে একটি ত্রিপক্ষীয় মজুরি বোর্ড গঠন করা হয়। এরই মধ্যে বোর্ডের নয়টি সভায় বেতন বাড়ানোর ব্যাপারে সবাই নীতিগত সম্মতি দিলেও বাড়ানোর পরিমাণ নিয়ে এখনো কোনো মীমাংসা হয়নি। শ্রমিকদের দাবি, ন্যূনতম বেতন পাঁচ থেকে ছয় হাজার টাকার মধ্যে হতে হবে।
বৈদেশিক মুদ্রা অজর্নকারী খাত হিসেবে বাংলাদেশের পোশাকশিল্প বিভিন্ন সরকারি সহযোগিতা ও অনেক ক্ষেত্রে ছাড় পেয়ে থাকে। এ রকম একটি শিল্পের শ্রমিককে কীভাবে মাত্র এক হাজার ৬৬২ টাকা ৫০ পয়সায় জীবনধারণে বাধ্য করা হয়, তা বোধগম্য নয়। ২০০৬ সালে সরকার-নির্ধারিত ওই মজুরি থেকে বর্তমানে মালিকেরা মাত্র ৩২৭ টাকা বেশি দিতে চান, অর্থাৎ নতুন মজুরি এক হাজার ৯৮৯ টাকার বেশি তাঁরা দিতে নারাজ। এ হিসাবে দৈনিক মজুরি দাঁড়ায় ৬৬ টাকা মাত্র। মাত্র দুই কেজি চালের মূল্যে একজন শ্রমিক কীভাবে পরিবারের ভরণপোষণ চালাবেন, যেখানে এই বেতনে একজনেরই চলবার কথা নয়!
সরকারের উচিত, যৌক্তিক মাত্রা পর্যন্ত মালিকপক্ষকে নিম্নতম বেতন বাড়াতে বাধ্য করা। দীর্ঘদিন এ ধরনের পরিস্থিতি বজায় থাকা পোশাকশিল্পের সঙ্গে জড়িত সবাই তো বটেই, দেশের জন্যও ক্ষতিকর। প্রায় ৫০ লাখ শ্রমিকের এত বড় লাভজনক খাত নিয়ে ভারসাম্যপূর্ণ সিদ্ধান্তে আসতে আর দেরি করা উচিত নয়।
No comments