ফোরলানের গোলটিই এখন পর্যন্ত সেরা
বিশ্বকাপ জমে উঠছে। খুব সুন্দর কিছু গোল আপনারা দেখেছেন। সামনে আরও দেখবেন। কিন্তু প্রতি দলের দুটি করে খেলার পর কোন গোলটি সেরা?
আপনি হয়তো একটা গোলকে সেরা মানবেন, আরেকজন বলবেন অন্য একটিকে সেরা। কারও সঙ্গে কারও না-ও মিলতে পারে। তবে আমাকে যদি সেরা ৫টি গোল বেছে নিতে বলেন, আমি অতগুলোর কথা বলব না। সব খেলা তো আর দেখার সুযোগও হয় না। পরশু পর্যন্ত যতটুকু দেখেছি, তাতে আমি তিনটি সেরা গোলের কথা আপনাদের বলতে পারি। দেখুন তো আপনাদের সঙ্গে মিলে যায় কিনা!
তার আগে একটা সত্যি কথা বলি। প্রথম আলোর বিশ্বকাপ বিশেষ সংখ্যায় আমার লেখায় বলেছিলাম, এবার বিশ্বকাপের সেরা গোলদাতা হতে পারে স্পেনের ডেভিড ভিয়া। প্রথম ম্যাচে ভিয়া গোল করতে পারেনি। স্পেন তো হেরেই গেল। বিশ্বাস করুন, ভিয়াকে এগিয়ে রেখেছি বলেই কিনা এখন ভিয়ার পায়ে গোল দেখতে উন্মুখ আমি। পরশু রাতে হন্ডুরাসের বিপক্ষে ওর দুটি গোল দেখে খুব ভালো লেগেছে।
ভিয়ার ওই দুটি গোলই আমি আমার সেরা তিনে রাখব। তবে ভাববেন না, ভিয়ার প্রতি আমার পক্ষপাত রয়েছে। এক নম্বরে অবশ্যই দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে উরুগুয়ের ডিয়েগো ফোরলানের গোলটি। প্রায় ২৫ মিটার দূর থেকে দারুণ এক শটে ওই গোল করেছে ফোরলান। এমন নয় যে দূর থেকে মেরে দিয়েছে আর সৌভাগ্যক্রমে গোল হয়ে গেছে। ফোরলানের খেলা আমি আগেও অনেক দেখেছি। সে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে থাকার সময় এভাবে দূরপাল্লার শটে গোল করেছে। পায়ে আছে কামানের গোলার মতো সব শট। এভাবে সে প্রায়ই দূর থেকে পোস্টে মারে।
ম্যানইউতে জায়গা করতে না পেরে ২০০৪ সালে প্রথমে গিয়েছে স্পেনের ভিয়ারিয়ালে, প্রথম মৌসুমেই ৩৮ ম্যাচে ২৫ গোল করে হয়েছিল স্প্যানিশ লিগে সেরা গোলদাতা। তারপর স্পেনেরই আরেক ক্লাব অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদে গিয়েছে ২০০৭ সালে। এই ক্লাবের হয়েও ২০০৮-০৯ মৌসুমে স্প্যানিশ লিগের সেরা গোলদাতা ফোরলান (৩৩ ম্যাচে ৩২ গোল)। দূরপাল্লার শটে গোল করার অভ্যাস থাকায় ফোরলানের ওই গোল ‘কোনোভাবে’ হয়ে গেছে বলার উপায় নেই।
দ্বিতীয় ও তৃতীয় সেরা হিসেবে ভিয়ার দুটি গোলই আমার মনে দাগ কেটেছে। প্রথম গোলটা এসেছে তিন-চারজন খেলোয়াড়কে কাটিয়ে। অসাধারণ ব্যক্তিগত নৈপুণ্য। অনেকে ভিয়ার এই গোলটিকে সেরা বলতে পারেন। আমার সেরা তিনের দ্বিতীয় গোল এটি।
প্রয়োজনের সময় দলকে গোল এনে দিয়েছে ভিয়া। স্পেন ভালো খেললেও গোল পাচ্ছিল না। দলে গোল করার মতো খেলোয়াড় আছে ৫-৬ জন। কিন্তু ভিয়া নিজের জাতটা চিনিয়ে দিয়েছে ওই গোল করে। এগুলো হলো জাত স্ট্রাইকারের গোল। ভিয়ার দ্বিতীয় গোলটা হয়েছে দূর থেকে মারা দারুণ এক শটে। দেখার মতো শট ছিল ওটা। যদিও প্রতিপক্ষের কারও পায়ে লেগে বল জালে গেছে।
স্পেন আরও সামনে এগোলে ভিয়ার গোল্ডেন বুট পাওয়ার সম্ভাবনা উজ্জ্বল। কিন্তু পেনাল্টি মিসের মূল্য তাকে দিতে হতে পারে। স্পেন দলের জন্য ওই মিসটা এমন কিছু নয়। ভিয়ার জন্য অনেক কিছুই। আমি নিশ্চিত, রাতে ওর ঘুম হয়নি।
উত্তর কোরিয়ার বিপক্ষে ব্রাজিলের মাইকনের গোলটা ছিল খুবই চমৎকার। তবে আমার মতে, মাইকন গতির ওপর ক্রস করেছে। পোস্টে মারেনি। গোল হয়ে গেছে। তাই ওটা আমার সেরা তিনে নেই।
ফ্যাবিয়ানোর গোল দুটি খুব ভালো গোল। দ্বিতীয়টি ‘হ্যান্ডবল গোল’। এটা ফুটবলে হতেই পারে, নতুন কিছু নয়। তবে ফ্যাবিয়ানোর প্রথম গোলটা জাত স্ট্রাইকারের গোল। এটাও অবশ্য ঠিক, পিওতর চেক, ক্যাসিয়াস, বুফনদের মতো গোলরক্ষক থাকলে গোলটি হতো কি না সন্দেহ।
তোরেসকে নিয়ে একটু বলি। গোল্ডেন বুটের দাবিদারদের তালিকায় ভিয়ার পরই তোরেসকে রেখেছিলাম আমি। কিন্তু ফিটনেসের অভাব আছে তার। এ কারণে পরশু সহজ সুযোগও নষ্ট করেছে। তবে আশা করি, গোল পাবে তোরেস।
আজ এ পর্যন্তই। বিশ্বকাপে ভালো গোল দেখুন। গোলের জন্যই তো ফুটবল এত উপভোগ্য।
আপনি হয়তো একটা গোলকে সেরা মানবেন, আরেকজন বলবেন অন্য একটিকে সেরা। কারও সঙ্গে কারও না-ও মিলতে পারে। তবে আমাকে যদি সেরা ৫টি গোল বেছে নিতে বলেন, আমি অতগুলোর কথা বলব না। সব খেলা তো আর দেখার সুযোগও হয় না। পরশু পর্যন্ত যতটুকু দেখেছি, তাতে আমি তিনটি সেরা গোলের কথা আপনাদের বলতে পারি। দেখুন তো আপনাদের সঙ্গে মিলে যায় কিনা!
তার আগে একটা সত্যি কথা বলি। প্রথম আলোর বিশ্বকাপ বিশেষ সংখ্যায় আমার লেখায় বলেছিলাম, এবার বিশ্বকাপের সেরা গোলদাতা হতে পারে স্পেনের ডেভিড ভিয়া। প্রথম ম্যাচে ভিয়া গোল করতে পারেনি। স্পেন তো হেরেই গেল। বিশ্বাস করুন, ভিয়াকে এগিয়ে রেখেছি বলেই কিনা এখন ভিয়ার পায়ে গোল দেখতে উন্মুখ আমি। পরশু রাতে হন্ডুরাসের বিপক্ষে ওর দুটি গোল দেখে খুব ভালো লেগেছে।
ভিয়ার ওই দুটি গোলই আমি আমার সেরা তিনে রাখব। তবে ভাববেন না, ভিয়ার প্রতি আমার পক্ষপাত রয়েছে। এক নম্বরে অবশ্যই দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে উরুগুয়ের ডিয়েগো ফোরলানের গোলটি। প্রায় ২৫ মিটার দূর থেকে দারুণ এক শটে ওই গোল করেছে ফোরলান। এমন নয় যে দূর থেকে মেরে দিয়েছে আর সৌভাগ্যক্রমে গোল হয়ে গেছে। ফোরলানের খেলা আমি আগেও অনেক দেখেছি। সে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে থাকার সময় এভাবে দূরপাল্লার শটে গোল করেছে। পায়ে আছে কামানের গোলার মতো সব শট। এভাবে সে প্রায়ই দূর থেকে পোস্টে মারে।
ম্যানইউতে জায়গা করতে না পেরে ২০০৪ সালে প্রথমে গিয়েছে স্পেনের ভিয়ারিয়ালে, প্রথম মৌসুমেই ৩৮ ম্যাচে ২৫ গোল করে হয়েছিল স্প্যানিশ লিগে সেরা গোলদাতা। তারপর স্পেনেরই আরেক ক্লাব অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদে গিয়েছে ২০০৭ সালে। এই ক্লাবের হয়েও ২০০৮-০৯ মৌসুমে স্প্যানিশ লিগের সেরা গোলদাতা ফোরলান (৩৩ ম্যাচে ৩২ গোল)। দূরপাল্লার শটে গোল করার অভ্যাস থাকায় ফোরলানের ওই গোল ‘কোনোভাবে’ হয়ে গেছে বলার উপায় নেই।
দ্বিতীয় ও তৃতীয় সেরা হিসেবে ভিয়ার দুটি গোলই আমার মনে দাগ কেটেছে। প্রথম গোলটা এসেছে তিন-চারজন খেলোয়াড়কে কাটিয়ে। অসাধারণ ব্যক্তিগত নৈপুণ্য। অনেকে ভিয়ার এই গোলটিকে সেরা বলতে পারেন। আমার সেরা তিনের দ্বিতীয় গোল এটি।
প্রয়োজনের সময় দলকে গোল এনে দিয়েছে ভিয়া। স্পেন ভালো খেললেও গোল পাচ্ছিল না। দলে গোল করার মতো খেলোয়াড় আছে ৫-৬ জন। কিন্তু ভিয়া নিজের জাতটা চিনিয়ে দিয়েছে ওই গোল করে। এগুলো হলো জাত স্ট্রাইকারের গোল। ভিয়ার দ্বিতীয় গোলটা হয়েছে দূর থেকে মারা দারুণ এক শটে। দেখার মতো শট ছিল ওটা। যদিও প্রতিপক্ষের কারও পায়ে লেগে বল জালে গেছে।
স্পেন আরও সামনে এগোলে ভিয়ার গোল্ডেন বুট পাওয়ার সম্ভাবনা উজ্জ্বল। কিন্তু পেনাল্টি মিসের মূল্য তাকে দিতে হতে পারে। স্পেন দলের জন্য ওই মিসটা এমন কিছু নয়। ভিয়ার জন্য অনেক কিছুই। আমি নিশ্চিত, রাতে ওর ঘুম হয়নি।
উত্তর কোরিয়ার বিপক্ষে ব্রাজিলের মাইকনের গোলটা ছিল খুবই চমৎকার। তবে আমার মতে, মাইকন গতির ওপর ক্রস করেছে। পোস্টে মারেনি। গোল হয়ে গেছে। তাই ওটা আমার সেরা তিনে নেই।
ফ্যাবিয়ানোর গোল দুটি খুব ভালো গোল। দ্বিতীয়টি ‘হ্যান্ডবল গোল’। এটা ফুটবলে হতেই পারে, নতুন কিছু নয়। তবে ফ্যাবিয়ানোর প্রথম গোলটা জাত স্ট্রাইকারের গোল। এটাও অবশ্য ঠিক, পিওতর চেক, ক্যাসিয়াস, বুফনদের মতো গোলরক্ষক থাকলে গোলটি হতো কি না সন্দেহ।
তোরেসকে নিয়ে একটু বলি। গোল্ডেন বুটের দাবিদারদের তালিকায় ভিয়ার পরই তোরেসকে রেখেছিলাম আমি। কিন্তু ফিটনেসের অভাব আছে তার। এ কারণে পরশু সহজ সুযোগও নষ্ট করেছে। তবে আশা করি, গোল পাবে তোরেস।
আজ এ পর্যন্তই। বিশ্বকাপে ভালো গোল দেখুন। গোলের জন্যই তো ফুটবল এত উপভোগ্য।
No comments