আনন্দে মিশে অতৃপ্তি
একটিকে বলা যায়, এখনো পর্যন্ত টুর্নামেন্টের সেরা গোল, আরেকটিকে সেরাগুলোর একটি। তবে ওই দুটি গোল নয়, ম্যাচ শেষে বেশি আলোচনায় ডেভিড ভিয়ার পেনাল্টি মিস। বিশ্বকাপে হ্যাটট্রিক করার সুযোগ তো আর প্রতিদিন আসে না! তার ওপর এটা হতো বিশ্বকাপ ইতিহাসের ৫০তম হ্যাটট্রিক। কঠিন-সহজ মিলিয়ে সুযোগ পেয়েছিলেন আরও কয়েকটি, কিন্তু পেনাল্টির চেয়ে বড় সুযোগ আর কী আছে!
হন্ডুরাস গোলকিপার নোয়েল ভ্যালাদোরেসকে বোকা বানাতে পেরেছিলেন ভিয়া। তিনি কিক নিয়েছিলেন ডানদিকে, গোলকিপার ডাইভ দিয়েছিলেন বাঁদিকে। কিন্তু বল বাইরে চলে যায় বার ঘেঁষে! বিশ্বকাপের মতো বড় মঞ্চ আর হ্যাটট্রিকের সুযোগ—এই দুই চাপেই কি তবে মিস করলেন ভিয়া? তিনি নিজে কিন্তু চাপের কথা স্বীকার করছেন না, ‘আমরা ২-০ তে এগিয়ে ছিলাম, তেমন কোনো চাপ তাই ছিল না। শটটা স্রেফ মিস হয়ে গেছে। সারা জীবনই আমি এটা অনুশীলন করে আসছি, কিন্তু আজ (পরশু) মিস হয়ে গেল... এই তো!’
শুধু হ্যাটট্রিকই মিস করেননি, আরেকটি গোল পেলে পরশুই এককভাবে হয়ে যেতে পারতেন বিশ্বকাপে স্পেনের সর্বোচ্চ গোলদাতা। ২০০৬ বিশ্বকাপে করেছিলেন তিন গোল, এবার দুটি। বিশ্বকাপে ৫টি করে গোল আছে স্পেনের আরও চারজনের—রাউল গঞ্জালেস, ফার্নান্দো হিয়েরো, ফার্নান্দো মরিয়েন্তেস ও এমিলিও বুত্রাগুয়েনোর। আরেকটি রেকর্ডে এই দু গোল তাঁকে নিয়ে গেছে রাউলের আরও কাছে। ১০২ ম্যাচে ৪৪ গোল করে স্পেনের সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতা রাউল। পরশুর দু গোলে ভিয়ার গোল এখন ৪০, মাত্র ৬০ ম্যাচে!
সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচটা দলের মতো বাজে কেটেছিল ভিয়ারও। ফার্নান্দো তোরেসের ইনজুরিতে ভিয়াকে একমাত্র স্ট্রাইকার হিসেবে খেলিয়েছিলেন দেল বস্ক, কিন্তু চূড়ান্ত হতাশ করেছিলেন ভিয়া। জাতীয় দলের হয়ে প্রতি দেড় ম্যাচে এক গোল করার অসাধারণ রেকর্ড যাঁর, তিনি কি আর টানা দু ম্যাচ ব্যর্থ হতে পারেন? পরশু ভিয়ার গোল পাওয়াটা তাই যেন অবধারিতই ছিল। বিশ্বকাপের আগে বার্সেলোনায় যোগ দেওয়া স্ট্রাইকারের অবশ্য ধারণা, সুইজারল্যান্ড ম্যাচের হারটা একদিক থেকে ভালোই হয়েছে, বাস্তবতাটা তাঁরা বুঝতে পেরেছেন, ‘সুইজারল্যান্ডের কাছে হারটা আমরা পেছনে ফেলে এসেছি। এটা নিয়ে আমাদের কথা হয়েছে, আমরা ঘুরেও দাঁড়িয়েছি। চাপের মধ্যে আমাদের সব সময়ই খেলতে হয়, আর এটা তো বিশ্বকাপ! এখানে সব ম্যাচই কঠিন।’
হন্ডুরাসের বিপক্ষে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের ম্যাচে পেনাল্টি মিস ছাড়া আরেকটা কলঙ্কও সঙ্গী হয়েছে ভিয়ার। ৪১ মিনিটে হন্ডুরাসের বক্সের ভেতর ডিফেন্ডার এমিলিও ইজাগুইরেকে কনুই মেরে বসেন ভিয়া। ইজাগুইরে সঙ্গে সঙ্গে মুখ চেপে বসে পড়েন। খুব গুরুতর আঘাত নয়, কিন্তু অপরাধটা গুরুতর। ভিয়া ও স্পেনের ভাগ্য ভালো, রেফারির চোখ এড়িয়ে গিয়েছিল ঘটনাটা। না হলে হয়তো বড় শাস্তিই পেতে হতো এই স্ট্রাইকারকে। বড় ভুল করেছিলেন, স্বীকার করছেন ভিয়াও, ‘আসলে মুহূর্তের উত্তেজনায় হয়ে গেছে। আমি ওকে হাত দিয়ে সরিয়ে দিতে চেয়েছিলাম। আমি এর জন্য একটু লজ্জিতই। ভবিষ্যতে মাথা ঠান্ডা রাখার চেষ্টা করব।’
ভিয়া যদি সত্যিই মাথাটা ঠান্ডা রাখতে পারেন, স্পেনের জন্য হয়তো সামনে আরও সুসময়ই আসছে।
হন্ডুরাস গোলকিপার নোয়েল ভ্যালাদোরেসকে বোকা বানাতে পেরেছিলেন ভিয়া। তিনি কিক নিয়েছিলেন ডানদিকে, গোলকিপার ডাইভ দিয়েছিলেন বাঁদিকে। কিন্তু বল বাইরে চলে যায় বার ঘেঁষে! বিশ্বকাপের মতো বড় মঞ্চ আর হ্যাটট্রিকের সুযোগ—এই দুই চাপেই কি তবে মিস করলেন ভিয়া? তিনি নিজে কিন্তু চাপের কথা স্বীকার করছেন না, ‘আমরা ২-০ তে এগিয়ে ছিলাম, তেমন কোনো চাপ তাই ছিল না। শটটা স্রেফ মিস হয়ে গেছে। সারা জীবনই আমি এটা অনুশীলন করে আসছি, কিন্তু আজ (পরশু) মিস হয়ে গেল... এই তো!’
শুধু হ্যাটট্রিকই মিস করেননি, আরেকটি গোল পেলে পরশুই এককভাবে হয়ে যেতে পারতেন বিশ্বকাপে স্পেনের সর্বোচ্চ গোলদাতা। ২০০৬ বিশ্বকাপে করেছিলেন তিন গোল, এবার দুটি। বিশ্বকাপে ৫টি করে গোল আছে স্পেনের আরও চারজনের—রাউল গঞ্জালেস, ফার্নান্দো হিয়েরো, ফার্নান্দো মরিয়েন্তেস ও এমিলিও বুত্রাগুয়েনোর। আরেকটি রেকর্ডে এই দু গোল তাঁকে নিয়ে গেছে রাউলের আরও কাছে। ১০২ ম্যাচে ৪৪ গোল করে স্পেনের সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতা রাউল। পরশুর দু গোলে ভিয়ার গোল এখন ৪০, মাত্র ৬০ ম্যাচে!
সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচটা দলের মতো বাজে কেটেছিল ভিয়ারও। ফার্নান্দো তোরেসের ইনজুরিতে ভিয়াকে একমাত্র স্ট্রাইকার হিসেবে খেলিয়েছিলেন দেল বস্ক, কিন্তু চূড়ান্ত হতাশ করেছিলেন ভিয়া। জাতীয় দলের হয়ে প্রতি দেড় ম্যাচে এক গোল করার অসাধারণ রেকর্ড যাঁর, তিনি কি আর টানা দু ম্যাচ ব্যর্থ হতে পারেন? পরশু ভিয়ার গোল পাওয়াটা তাই যেন অবধারিতই ছিল। বিশ্বকাপের আগে বার্সেলোনায় যোগ দেওয়া স্ট্রাইকারের অবশ্য ধারণা, সুইজারল্যান্ড ম্যাচের হারটা একদিক থেকে ভালোই হয়েছে, বাস্তবতাটা তাঁরা বুঝতে পেরেছেন, ‘সুইজারল্যান্ডের কাছে হারটা আমরা পেছনে ফেলে এসেছি। এটা নিয়ে আমাদের কথা হয়েছে, আমরা ঘুরেও দাঁড়িয়েছি। চাপের মধ্যে আমাদের সব সময়ই খেলতে হয়, আর এটা তো বিশ্বকাপ! এখানে সব ম্যাচই কঠিন।’
হন্ডুরাসের বিপক্ষে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের ম্যাচে পেনাল্টি মিস ছাড়া আরেকটা কলঙ্কও সঙ্গী হয়েছে ভিয়ার। ৪১ মিনিটে হন্ডুরাসের বক্সের ভেতর ডিফেন্ডার এমিলিও ইজাগুইরেকে কনুই মেরে বসেন ভিয়া। ইজাগুইরে সঙ্গে সঙ্গে মুখ চেপে বসে পড়েন। খুব গুরুতর আঘাত নয়, কিন্তু অপরাধটা গুরুতর। ভিয়া ও স্পেনের ভাগ্য ভালো, রেফারির চোখ এড়িয়ে গিয়েছিল ঘটনাটা। না হলে হয়তো বড় শাস্তিই পেতে হতো এই স্ট্রাইকারকে। বড় ভুল করেছিলেন, স্বীকার করছেন ভিয়াও, ‘আসলে মুহূর্তের উত্তেজনায় হয়ে গেছে। আমি ওকে হাত দিয়ে সরিয়ে দিতে চেয়েছিলাম। আমি এর জন্য একটু লজ্জিতই। ভবিষ্যতে মাথা ঠান্ডা রাখার চেষ্টা করব।’
ভিয়া যদি সত্যিই মাথাটা ঠান্ডা রাখতে পারেন, স্পেনের জন্য হয়তো সামনে আরও সুসময়ই আসছে।
No comments