দুর্নীতি রোধে বাজেটীয় নির্দেশনা -সরকারকে গুরুত্বসহকারে বিষয়টি ভাবতে হবে
কথাটা তোলা হয়েছে ব্যবসায়ী ও গবেষকদের এক আলোচনায়। বলা হয়েছে, ২০১০-১১ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেটে সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও দুর্নীতি রোধের বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। ঢাকায় মেট্রোপলিটান চেম্বার ও পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট আয়োজিত এই সভায় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক একজন উপদেষ্টা এ বিষয়টি উল্লেখ করে আরও বলেছেন যে আগের বার দুর্নীতি দমন ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার বিষয় যতখানি গুরুত্ব পেয়েছিল, এবার তা হয়নি। কথাটি সাম্প্রতিক কালের একাধিক ঘটনাপ্রবাহের সঙ্গে মিলিয়ে দেখা প্রয়োজন। দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) শক্তিশালী করায় অনীহা, সরকারি ক্রয়বিধিতে শিথিলতা ও সর্বশেষ মন্ত্রীদের সম্পদের হিসাব জনসমক্ষে প্রকাশ না করার সিদ্ধান্ত এখানে উল্লেখযোগ্য। আর এসব কিছু থেকেই জনমানসে এ রকম একটা ধারণাই প্রতিষ্ঠা পেতে পারে যে সরকার দুর্নীতি রোধের বিষয়ে নির্বাচনী ইশতেহারে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তা থেকে কিছুটা সরে আসছে।
২০১০-১১ অর্থবছরের বাজেট-বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী দুর্নীতি প্রতিরোধ বিষয়ে দুটি অনুচ্ছেদ বরাদ্দ করেছেন। কিন্তু তাতে সরকারের দৃঢ় সদিচ্ছার বিষয়টি জোরালোভাবে প্রতিফলিত হয়েছে, এমনটি বলা যাবে না। আর বাজেটে দুদকের জন্য ২৬ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, যার পুরোটাই অনুন্নয়ন-ব্যয়। অথচ চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে এই গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় সংস্থার জন্য ২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ ছিল। তার মানে বাজেট বরাদ্দে তেমন কোনো হেরফের হয়নি। আবার সুপ্রিম কোর্টের জন্য ৫৬ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, যা ২০০৯-১০ অর্থবছরের সংশোধিত বরাদ্দ থেকে মাত্র এক কোটি টাকা বেশি। এসব বরাদ্দ থেকেও সরকারের মনোভাব সম্পর্কে একটা ধারণা পাওয়া যেতে পারে। তবে শুধু দুদকের বরাদ্দের আলোকেই বিষয়টি বিচার করা যুক্তিযুক্ত হবে না। বরং অন্য বরাদ্দগুলোর ক্ষেত্রে তা বাস্তবায়নে কীভাবে সুশাসন নিশ্চিত করা হচ্ছে, সেটাই দেখার বিষয়।
বস্তুত দুর্নীতি দমন করে সুশাসন প্রতিষ্ঠা একটি বিস্তৃত ব্যাপার। বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিভিন্নভাবে দুর্নীতি ও অনিয়ম হয়। আর তাই সেগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে হলে অবস্থা অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হয়, নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে হয়। মুক্তবাজার অর্থনীতিতে দুর্নীতি যেখানে একটি অন্তর্নিহিত সত্তা, সেখানে এই বাজার অর্থনীতির দর্শন আঁকড়ে ধরে অগ্রসর হতে চাইলে দুর্নীতির রাহুগ্রাস থেকে বের হয়ে আসা কঠিন ব্যাপারই বটে। সে জন্য আর্থ-রাজনৈতিক দর্শনগত ক্ষেত্রেও কিছুটা পরিবর্তন দরকার। দরকার শাসন পরিচালনাগত ক্ষেত্রে আধুনিকায়ন। যেমন: আয়কর বিবরণী অনলাইনে দাখিল করা। এ রকম অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপের মাধ্যমে দুর্নীতির সুযোগকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা যায়। বাজেটে অবশ্য অর্থমন্ত্রী এ রকম কিছু পদক্ষেপ নেওয়ার আভাস দিয়েছেন। সরকারি কেনাকাটায় দরপত্র-প্রক্রিয়া অনলাইনে নিয়ে আসার উদ্যোগের কথাও বলেছেন। সুতরাং, দুর্নীতি রোধে বাজেটীয় নির্দেশনার কমতি থাকলেও একেবারে কিছু নেই, তা বলা যাচ্ছে না। এটাই আশার জায়গা। আর তাই সরকার বিষয়টি নিয়ে আরও গুরুত্বসহকারে ভাববে ও কাজ করবে—এটাই এখন প্রত্যাশা।
২০১০-১১ অর্থবছরের বাজেট-বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী দুর্নীতি প্রতিরোধ বিষয়ে দুটি অনুচ্ছেদ বরাদ্দ করেছেন। কিন্তু তাতে সরকারের দৃঢ় সদিচ্ছার বিষয়টি জোরালোভাবে প্রতিফলিত হয়েছে, এমনটি বলা যাবে না। আর বাজেটে দুদকের জন্য ২৬ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, যার পুরোটাই অনুন্নয়ন-ব্যয়। অথচ চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে এই গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় সংস্থার জন্য ২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ ছিল। তার মানে বাজেট বরাদ্দে তেমন কোনো হেরফের হয়নি। আবার সুপ্রিম কোর্টের জন্য ৫৬ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, যা ২০০৯-১০ অর্থবছরের সংশোধিত বরাদ্দ থেকে মাত্র এক কোটি টাকা বেশি। এসব বরাদ্দ থেকেও সরকারের মনোভাব সম্পর্কে একটা ধারণা পাওয়া যেতে পারে। তবে শুধু দুদকের বরাদ্দের আলোকেই বিষয়টি বিচার করা যুক্তিযুক্ত হবে না। বরং অন্য বরাদ্দগুলোর ক্ষেত্রে তা বাস্তবায়নে কীভাবে সুশাসন নিশ্চিত করা হচ্ছে, সেটাই দেখার বিষয়।
বস্তুত দুর্নীতি দমন করে সুশাসন প্রতিষ্ঠা একটি বিস্তৃত ব্যাপার। বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিভিন্নভাবে দুর্নীতি ও অনিয়ম হয়। আর তাই সেগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে হলে অবস্থা অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হয়, নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে হয়। মুক্তবাজার অর্থনীতিতে দুর্নীতি যেখানে একটি অন্তর্নিহিত সত্তা, সেখানে এই বাজার অর্থনীতির দর্শন আঁকড়ে ধরে অগ্রসর হতে চাইলে দুর্নীতির রাহুগ্রাস থেকে বের হয়ে আসা কঠিন ব্যাপারই বটে। সে জন্য আর্থ-রাজনৈতিক দর্শনগত ক্ষেত্রেও কিছুটা পরিবর্তন দরকার। দরকার শাসন পরিচালনাগত ক্ষেত্রে আধুনিকায়ন। যেমন: আয়কর বিবরণী অনলাইনে দাখিল করা। এ রকম অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপের মাধ্যমে দুর্নীতির সুযোগকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা যায়। বাজেটে অবশ্য অর্থমন্ত্রী এ রকম কিছু পদক্ষেপ নেওয়ার আভাস দিয়েছেন। সরকারি কেনাকাটায় দরপত্র-প্রক্রিয়া অনলাইনে নিয়ে আসার উদ্যোগের কথাও বলেছেন। সুতরাং, দুর্নীতি রোধে বাজেটীয় নির্দেশনার কমতি থাকলেও একেবারে কিছু নেই, তা বলা যাচ্ছে না। এটাই আশার জায়গা। আর তাই সরকার বিষয়টি নিয়ে আরও গুরুত্বসহকারে ভাববে ও কাজ করবে—এটাই এখন প্রত্যাশা।
No comments