দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশি পণ্যের রপ্তানি বাড়ছে ধীরে
দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক প্রায় দেড় যুগের। তবে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য সাম্প্রতিক বছরগুলোয় কিছুটা গতি পেয়েছে। এর জের ধরে দেশটিতে বাংলাদেশি পণ্যের রপ্তানি ধীরে ধীরে বাড়ছে।
বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) সংকলিত পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায় যে ২০০৬-০৭ অর্থবছরের দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানি প্রথম কোটি ডলারের ঘরে উন্নীত হয়। সে বছর বাংলাদেশ দক্ষিণ আফ্রিকায় এক কোটি ২২ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি করে।
অবশ্য এর আগের বছরই দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে পণ্য আমদানি লাখ ডলারের সীমা ছাড়িয়ে প্রথমবারের মতো কোটি ডলারে গিয়ে ঠেকে। সে বছর বাংলাদেশ দেশটি থেকে আমদানি করে প্রায় এক কোটি ২২ লাখ ডলারের পণ্য।
বাংলাদেশের রপ্তানিপণ্যের মধ্যে রয়েছে: তৈরি পোশাক ও নিট পোশাক, পাট ও পাটজাত পণ্য, চামড়া।
অন্যদিকে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে বাংলাদেশের প্রধান আমদানি-সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে: মৌলিক ধাতু ও ধাতব সামগ্রী, যন্ত্রপাতি, ইলেকট্রনিকস সামগ্রী, খনিজ পদার্থ ইত্যাদি।
অন্যদিকে দক্ষিণ আফ্রিকার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুসারে, বাংলাদেশ বর্তমানে দেশটির ৭১তম বাণিজ্যিক অংশীদার।
তবে দক্ষিণ আফ্রিকায় রপ্তানি-বাজারের শীর্ষে রয়েছে চীন। আর ভারতের অবস্থান দশম স্থানে। অন্যদিকে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আমদানির ক্ষেত্রেও প্রথম অবস্থানটি চীনের। উল্টোভাবে বললে, চীন দক্ষিণ আফ্রিকার এক নম্বর রপ্তানি গন্তব্য।
তবে জোর চেষ্টা চালানো গেলে দক্ষিণ আফ্রিকা বিভিন্ন পণ্যের জন্য বাংলাদেশের আরেকটি সম্ভাবনাময় বাজার হতে পারে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
বাজার সম্ভাবনা যাচাই করতে গত বছর বাংলাদেশ নিট পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিকেএমইএ) একটি প্রতিনিধিদল গত বছর দক্ষিণ আফ্রিকা সফর করে।
যোগাযোগ করা হলে বিকেএমইএ সভাপতি ফজলুল হক প্রথম আলোকে বলেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকায় বাজার তৈরির অনেক বাধা আছে। প্রথমত, দেশটি সম্পর্কে আমাদের জানাশোনা এখনো অনেক কম। একইভাবে ওই দেশের অধিবাসীরাও বাংলাদেশ সম্পর্কে খুব কম জানে। ফলে একটা মনস্তাত্ত্বিক দূরত্ব রয়েছে। দ্বিতীয়ত, বাংলাদেশ থেকে যেতে হলে ভিসা নিতে হয় শ্রীলঙ্কা থেকে। তাই যাতায়াতের ক্ষেত্রেও বড় সমস্যা রয়েছে।’
ফজলুল হক আরও বলেন, দক্ষিণ আফ্রিকায় আমদানি শুল্ক হার অনেক বেশি, যা সর্বোচ্চ ৪৫ শতাংশ। এর ফলে পণ্য আমদানি সেখানকার আমদানিকারকদের জন্য অনেক ব্যয়বহুল হয়ে পড়ে। স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) হিসেবে বাংলাদেশ এখনো সেখানে কোনো শুল্ক ছাড় পায়নি।
তাদের সফরের পর সে দেশ থেকে কোনো সাড়া মিলেছে কি না—জানতে চাইলে ফজলুল হক বলেন, গত ছয়-সাত মাসে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে অনেক ক্রেতাই বাংলাদেশে এসেছেন এবং বাংলাদেশি নিট পোশাক ক্রয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। এ ছাড়া অনেকেই নিয়মিত যোগাযোগ করছেন। এর ফলে সেখান থেকে কিছু কার্যাদেশও পাওয়া গেছে। তবে রপ্তানি কতটা বাড়ছে, তা বুঝতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে।
বর্তমানে দক্ষিণ আফ্রিকায় যেসব পণ্য রপ্তানি হয়, তার প্রায় সবটাই সমুদ্রপথে সম্পন্ন হয়। চট্টগ্রাম থেকে সিঙ্গাপুর হয়ে ডারবান বন্দরে গিয়ে বাংলাদেশি পণ্য খালাস করা হয়।
তৈরি পোশাক ও নিট পোশাক ছাড়াও বাংলাদেশের পাট ও পাটজাত পণ্য হতে পারে দক্ষিণ আফ্রিকায় অন্যতম রপ্তানিযোগ্য পণ্য। বর্তমানে দক্ষিণ আফ্রিকা যে পরিমাণ পাট ও পাটজাত পণ্য আমদানি করে, তার বড় অংশই আসে ভারত থেকে।
বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে ২২ থেকে ২৫ লাখ ডলারের সমপরিমাণ পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি হচ্ছে।
ফজলুল হক আরও বলেন, শুল্কহার কমানোর বিষয়ে তাঁরা দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ করেছেন। তাঁরা জানিয়েছেন, সরকারি পর্যায়ে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে এ বিষয়ে অগ্রগতি হতে পারে।
বিকেএমইএর পক্ষ থেকে বাংলাদেশে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে এ বিষয়টিও অবহিত করা হয়।
বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) সংকলিত পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায় যে ২০০৬-০৭ অর্থবছরের দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানি প্রথম কোটি ডলারের ঘরে উন্নীত হয়। সে বছর বাংলাদেশ দক্ষিণ আফ্রিকায় এক কোটি ২২ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি করে।
অবশ্য এর আগের বছরই দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে পণ্য আমদানি লাখ ডলারের সীমা ছাড়িয়ে প্রথমবারের মতো কোটি ডলারে গিয়ে ঠেকে। সে বছর বাংলাদেশ দেশটি থেকে আমদানি করে প্রায় এক কোটি ২২ লাখ ডলারের পণ্য।
বাংলাদেশের রপ্তানিপণ্যের মধ্যে রয়েছে: তৈরি পোশাক ও নিট পোশাক, পাট ও পাটজাত পণ্য, চামড়া।
অন্যদিকে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে বাংলাদেশের প্রধান আমদানি-সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে: মৌলিক ধাতু ও ধাতব সামগ্রী, যন্ত্রপাতি, ইলেকট্রনিকস সামগ্রী, খনিজ পদার্থ ইত্যাদি।
অন্যদিকে দক্ষিণ আফ্রিকার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুসারে, বাংলাদেশ বর্তমানে দেশটির ৭১তম বাণিজ্যিক অংশীদার।
তবে দক্ষিণ আফ্রিকায় রপ্তানি-বাজারের শীর্ষে রয়েছে চীন। আর ভারতের অবস্থান দশম স্থানে। অন্যদিকে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আমদানির ক্ষেত্রেও প্রথম অবস্থানটি চীনের। উল্টোভাবে বললে, চীন দক্ষিণ আফ্রিকার এক নম্বর রপ্তানি গন্তব্য।
তবে জোর চেষ্টা চালানো গেলে দক্ষিণ আফ্রিকা বিভিন্ন পণ্যের জন্য বাংলাদেশের আরেকটি সম্ভাবনাময় বাজার হতে পারে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
বাজার সম্ভাবনা যাচাই করতে গত বছর বাংলাদেশ নিট পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিকেএমইএ) একটি প্রতিনিধিদল গত বছর দক্ষিণ আফ্রিকা সফর করে।
যোগাযোগ করা হলে বিকেএমইএ সভাপতি ফজলুল হক প্রথম আলোকে বলেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকায় বাজার তৈরির অনেক বাধা আছে। প্রথমত, দেশটি সম্পর্কে আমাদের জানাশোনা এখনো অনেক কম। একইভাবে ওই দেশের অধিবাসীরাও বাংলাদেশ সম্পর্কে খুব কম জানে। ফলে একটা মনস্তাত্ত্বিক দূরত্ব রয়েছে। দ্বিতীয়ত, বাংলাদেশ থেকে যেতে হলে ভিসা নিতে হয় শ্রীলঙ্কা থেকে। তাই যাতায়াতের ক্ষেত্রেও বড় সমস্যা রয়েছে।’
ফজলুল হক আরও বলেন, দক্ষিণ আফ্রিকায় আমদানি শুল্ক হার অনেক বেশি, যা সর্বোচ্চ ৪৫ শতাংশ। এর ফলে পণ্য আমদানি সেখানকার আমদানিকারকদের জন্য অনেক ব্যয়বহুল হয়ে পড়ে। স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) হিসেবে বাংলাদেশ এখনো সেখানে কোনো শুল্ক ছাড় পায়নি।
তাদের সফরের পর সে দেশ থেকে কোনো সাড়া মিলেছে কি না—জানতে চাইলে ফজলুল হক বলেন, গত ছয়-সাত মাসে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে অনেক ক্রেতাই বাংলাদেশে এসেছেন এবং বাংলাদেশি নিট পোশাক ক্রয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। এ ছাড়া অনেকেই নিয়মিত যোগাযোগ করছেন। এর ফলে সেখান থেকে কিছু কার্যাদেশও পাওয়া গেছে। তবে রপ্তানি কতটা বাড়ছে, তা বুঝতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে।
বর্তমানে দক্ষিণ আফ্রিকায় যেসব পণ্য রপ্তানি হয়, তার প্রায় সবটাই সমুদ্রপথে সম্পন্ন হয়। চট্টগ্রাম থেকে সিঙ্গাপুর হয়ে ডারবান বন্দরে গিয়ে বাংলাদেশি পণ্য খালাস করা হয়।
তৈরি পোশাক ও নিট পোশাক ছাড়াও বাংলাদেশের পাট ও পাটজাত পণ্য হতে পারে দক্ষিণ আফ্রিকায় অন্যতম রপ্তানিযোগ্য পণ্য। বর্তমানে দক্ষিণ আফ্রিকা যে পরিমাণ পাট ও পাটজাত পণ্য আমদানি করে, তার বড় অংশই আসে ভারত থেকে।
বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে ২২ থেকে ২৫ লাখ ডলারের সমপরিমাণ পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি হচ্ছে।
ফজলুল হক আরও বলেন, শুল্কহার কমানোর বিষয়ে তাঁরা দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ করেছেন। তাঁরা জানিয়েছেন, সরকারি পর্যায়ে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে এ বিষয়ে অগ্রগতি হতে পারে।
বিকেএমইএর পক্ষ থেকে বাংলাদেশে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে এ বিষয়টিও অবহিত করা হয়।
No comments