ন্যাটোর বিমান হামলায় ৩৩ আফগান নিহত
আফগানিস্তানে ন্যাটোর বিমান হামলায় কমপক্ষে ৩৩ জন বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও অন্তত ১২ জন। গতকাল সোমবার আফগান সরকারের দেওয়া এক বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়। ওই হামলাকে ‘ঘোরতর অযৌক্তিক’ হিসেবে বর্ণনা করেছে আফগান সরকার। অন্যদিকে হামলার জন্য ন্যাটোর পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশ করা হয়েছে।
ন্যাটো নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা সহযোগিতা বাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়, গত রোববার উরুজগানে ন্যাটোর হামলায় বেসামরিক আফগান নাগরিক নিহত হয়েছে। তবে ঠিক কতজন নিহত হয়েছে, সে সম্পর্কে বিবৃতিতে কিছু বলা হয়নি।
আফগান কর্তৃপক্ষ জানায়, রোববার উরুজগানে বেসামরিক আফগানদের বহনকারী তিনটি গাড়ির একটি বহরের ওপর ওই হামলা চালানো হয়। নিহতদের মধ্যে চারজন নারী ও এক শিশুও রয়েছে।
গতকাল সোমবার আফগান মন্ত্রিপরিষদের এক বিবৃতিতে বলা হয়, প্রাথমিকভাবে পাওয়া খবরে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে, গত রোববার কান্দাহার অভিমুখী তিনটি গাড়ির ওপর ন্যাটোর বিমান হামলায় চারজন নারী, এক শিশুসহ কমপক্ষে ৩৩ জন বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও কমপক্ষে ১২ জন।
এর আগে আফগান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জেমেরি বাশারি জানান, তাঁর কাছে ২৭ জনের নিহত হওয়ার খবর আছে। তিনি আরও জানান, ওই গাড়িবহরে ৪২ জন বেসামরিক আফগান ছিল।
আফগান সরকার ও ন্যাটো বাহিনী এ সম্পর্কে তদন্ত শুরু করেছে। বিমান হামলায় হতাহতের খবর নিশ্চিত করেছে ন্যাটো। আফগানিস্তানে বিদেশি বাহিনীর কমান্ডার জেনারেল স্ট্যানলি ম্যাকক্রিস্টাল ওই ঘটনার জন্য আফগান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইয়ের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। বেসামরিক লোকজনের মৃত্যুর ঘটনায় এ নিয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো দুঃখ প্রকাশ করলেন তিনি।
জেনারেল ম্যাকক্রিস্টাল এক বিবৃতিতে বলেন, ‘নিরপরাধ মানুষের এমন করুণ মৃত্যুতে আমরা সত্যিই দুঃখিত। আমাদের বাহিনীকে আমি পরিষ্কার করে জানাতে চাই, আফগান জনগণকে রক্ষা করার জন্যই আমরা এখানে এসেছি। অসাবধানতাবশত বেসামরিক লোকজনের হতাহতের ঘটনায় আমাদের অভিযানের ওপর আফগান জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস নষ্ট হচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আস্থা ফিরে পাওয়ার জন্য আমরা প্রচেষ্টা দ্বিগুণ করব।’
উরুজগান প্রাদেশিক পরিষদের প্রধান সাংবাদিকদের বলেন, প্রদেশের চর চেনো জেলার মধ্য দিয়ে তিনটি মিনিবাসে করে ওই আফগানরা যাচ্ছিল।
গত শনিবার বেসামরিক লোকজনকে হত্যার কারণে বিদেশি সেনাদের তীব্র সমালোচনা করেছিলেন প্রেসিডেন্ট কারজাই। ক্ষুব্ধ আফগান প্রেসিডেন্ট আট বছর বয়সী এক বালিকার করুণ চিত্র তুলে ধরেন। দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর মারজাহে মার্কিন নেতৃত্বাধীন বাহিনীর অভিযানের সময় ওই বালিকার পরিবারের সব সদস্য নিহত হয়।
কারজাই বলেন, ‘যদি একটি ছোট্ট মেয়েকে পরিবারের সদস্যদের মৃতদেহ গ্রহণ করতে হয়, তাহলে আপনি আন্দাজ করতে পারবেন, আমরা এখন কোন পরিস্থিতিতে আছি।’
এদিকে মার্কিন নেতৃত্বাধীন বাহিনীর অভিযানের মধ্যে তালেবানদের একটি শক্ত ঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ লাভের চেষ্টা চালাচ্ছে আফগান পুলিশ। এদিকে মার্কিন জেনারেল ডেভিড পেট্রিউস বলেছেন, ‘তীব্র লড়াই’ অব্যাহত রয়েছে।
প্রায় ১৫ হাজার আফগান ও ন্যাটো সেনা ব্যাপক প্রতিরোধের সম্মুখীন হচ্ছে। হেলমান্দ প্রদেশের নাদ আলী ও মারজাহতে শুরু হওয়া অভিযান মুসতারাক দ্বিতীয় সপ্তাহ ধরে অব্যাহত রয়েছে।
তালেবানদের স্থাপন করা বোমার বেড়াজালে আটকে পড়া বেসামরিক নাগরিকেরা ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। খাদ্য ঘাটতি দেখা দিয়েছে। তবে কর্মকর্তারা আশা প্রকাশ করছেন, আফগান পুলিশ শিগগিরই মারজাহ শহরের কিছু এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিতে সক্ষম হবে।
ন্যাটো নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা সহযোগিতা বাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়, গত রোববার উরুজগানে ন্যাটোর হামলায় বেসামরিক আফগান নাগরিক নিহত হয়েছে। তবে ঠিক কতজন নিহত হয়েছে, সে সম্পর্কে বিবৃতিতে কিছু বলা হয়নি।
আফগান কর্তৃপক্ষ জানায়, রোববার উরুজগানে বেসামরিক আফগানদের বহনকারী তিনটি গাড়ির একটি বহরের ওপর ওই হামলা চালানো হয়। নিহতদের মধ্যে চারজন নারী ও এক শিশুও রয়েছে।
গতকাল সোমবার আফগান মন্ত্রিপরিষদের এক বিবৃতিতে বলা হয়, প্রাথমিকভাবে পাওয়া খবরে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে, গত রোববার কান্দাহার অভিমুখী তিনটি গাড়ির ওপর ন্যাটোর বিমান হামলায় চারজন নারী, এক শিশুসহ কমপক্ষে ৩৩ জন বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও কমপক্ষে ১২ জন।
এর আগে আফগান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জেমেরি বাশারি জানান, তাঁর কাছে ২৭ জনের নিহত হওয়ার খবর আছে। তিনি আরও জানান, ওই গাড়িবহরে ৪২ জন বেসামরিক আফগান ছিল।
আফগান সরকার ও ন্যাটো বাহিনী এ সম্পর্কে তদন্ত শুরু করেছে। বিমান হামলায় হতাহতের খবর নিশ্চিত করেছে ন্যাটো। আফগানিস্তানে বিদেশি বাহিনীর কমান্ডার জেনারেল স্ট্যানলি ম্যাকক্রিস্টাল ওই ঘটনার জন্য আফগান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইয়ের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। বেসামরিক লোকজনের মৃত্যুর ঘটনায় এ নিয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো দুঃখ প্রকাশ করলেন তিনি।
জেনারেল ম্যাকক্রিস্টাল এক বিবৃতিতে বলেন, ‘নিরপরাধ মানুষের এমন করুণ মৃত্যুতে আমরা সত্যিই দুঃখিত। আমাদের বাহিনীকে আমি পরিষ্কার করে জানাতে চাই, আফগান জনগণকে রক্ষা করার জন্যই আমরা এখানে এসেছি। অসাবধানতাবশত বেসামরিক লোকজনের হতাহতের ঘটনায় আমাদের অভিযানের ওপর আফগান জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস নষ্ট হচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আস্থা ফিরে পাওয়ার জন্য আমরা প্রচেষ্টা দ্বিগুণ করব।’
উরুজগান প্রাদেশিক পরিষদের প্রধান সাংবাদিকদের বলেন, প্রদেশের চর চেনো জেলার মধ্য দিয়ে তিনটি মিনিবাসে করে ওই আফগানরা যাচ্ছিল।
গত শনিবার বেসামরিক লোকজনকে হত্যার কারণে বিদেশি সেনাদের তীব্র সমালোচনা করেছিলেন প্রেসিডেন্ট কারজাই। ক্ষুব্ধ আফগান প্রেসিডেন্ট আট বছর বয়সী এক বালিকার করুণ চিত্র তুলে ধরেন। দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর মারজাহে মার্কিন নেতৃত্বাধীন বাহিনীর অভিযানের সময় ওই বালিকার পরিবারের সব সদস্য নিহত হয়।
কারজাই বলেন, ‘যদি একটি ছোট্ট মেয়েকে পরিবারের সদস্যদের মৃতদেহ গ্রহণ করতে হয়, তাহলে আপনি আন্দাজ করতে পারবেন, আমরা এখন কোন পরিস্থিতিতে আছি।’
এদিকে মার্কিন নেতৃত্বাধীন বাহিনীর অভিযানের মধ্যে তালেবানদের একটি শক্ত ঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ লাভের চেষ্টা চালাচ্ছে আফগান পুলিশ। এদিকে মার্কিন জেনারেল ডেভিড পেট্রিউস বলেছেন, ‘তীব্র লড়াই’ অব্যাহত রয়েছে।
প্রায় ১৫ হাজার আফগান ও ন্যাটো সেনা ব্যাপক প্রতিরোধের সম্মুখীন হচ্ছে। হেলমান্দ প্রদেশের নাদ আলী ও মারজাহতে শুরু হওয়া অভিযান মুসতারাক দ্বিতীয় সপ্তাহ ধরে অব্যাহত রয়েছে।
তালেবানদের স্থাপন করা বোমার বেড়াজালে আটকে পড়া বেসামরিক নাগরিকেরা ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। খাদ্য ঘাটতি দেখা দিয়েছে। তবে কর্মকর্তারা আশা প্রকাশ করছেন, আফগান পুলিশ শিগগিরই মারজাহ শহরের কিছু এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিতে সক্ষম হবে।
No comments