পুঁজিবাজারে সম্পৃক্ততা ব্যাংকের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে: আইএমএফ
বাংলাদেশের ব্যাংক খাত ক্রমেই প্রথাগত ব্যাংকিং কার্যক্রমের বাইরে তাদের কর্মকাণ্ড ও সম্পৃক্ততা বাড়াচ্ছে। ফলে এটি দেশের ব্যাংকিং খাতের জন্য বাড়তি ঝুঁকিও তৈরি করছে।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে প্রকাশিত ‘বাংলাদেশ: ফাইন্যান্সিয়াল সিস্টেম স্ট্যাবিলিটি রিপোর্ট’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এই মন্তব্য করা হয়েছে। চলতি মাসেই এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে দেশের ব্যাংক তথা আর্থিক খাতের বিভিন্ন দিক পর্যালোচনা করা হয়েছে। তুলে ধরা হয়েছে এই খাতের শক্তিমত্তা ও দুর্বলতার দিকগুলো। বিভিন্ন ধরনের ঝুঁকিও পর্যালোচনা করা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোয় প্রথাগত ব্যাংকিং কর্মকাণ্ডের বাইরের কার্যক্রম দ্রুত বৃদ্ধি পেয়ে নতুন ধরনের ঝুঁকি তৈরি করেছে। এর মানে হলো, নিয়ন্ত্রণমূলক কর্মকাণ্ডও জোরদার করা এখন জরুরি হয়ে উঠেছে।
প্রতিবেদনে ব্যাখ্যা করে বলা হয়েছে, ব্যাংকগুলো ক্রমশই পুঁজিবাজারের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততা জোরদার করছে। আর এই কাজটি হচ্ছে, হয় সরাসরি অথবা সহযোগী মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে।
শেয়ারবাজারে পতন ঘটলে তা কোনো কোনো ব্যাংকের জন্য বড় ধরনের বিপদ ডেকে আনতে পারে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
আইএমএফের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, দেশের ব্যাংকগুলো ক্ষুদ্রঋণ দানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গেও সম্পৃক্ততা বাড়িয়েছে, যা আরেক ধরনের ঝুঁকি তৈরি করেছে।
এতে বলা হয়েছে, সাধারণত ব্যাংকের জন্য যেসব কর্মকাণ্ড সংরক্ষিত, ক্ষুদ্র ঋণদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো ধীরে ধীরে সেসব এলাকাতেও কর্মকাণ্ড সম্প্রসারণ করছে। অথচ এখানে পর্যাপ্ত ব্যবস্থাপনাগত ও নিয়ন্ত্রণগত দিকের ঘাটতি রয়েছে।
আইএমএফ মনে করছে, এসব পরিবর্তন কিছুটা হলেও আর্থিক খাতের প্রবৃদ্ধি ও উদ্ভাবনী প্রবণতার প্রতিফলন। পাশাপাশি এগুলো করকাঠামো ও নিয়ন্ত্রণমূলক কাঠামোর মধ্যে পার্থক্যেরও প্রতিফলন।
আইএমএফের প্রতিবেদনে সতর্ক করে দিয়ে বলা হয়েছে, এসবের সম্মিলিত ফলে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মূলধন ভিত্তিতে বড় ধরনের ঝুঁকি সৃষ্টি হতে পারে, যা আবার অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
প্রতিবেদনে ব্যাংক খাতের খেলাপি ঋণের নাজুকতার ওপরও আলোকপাত করা হয়েছে। বলা হয়েছে, সুদের হারসীমা বেঁধে দেওয়ার মতো সরকারের অবিচক্ষণ হস্তক্ষেপ এবং বিশেষ বিশেষ খাতে ঋণ প্রদানের নির্দেশনা ও ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া একাধারে ঝুঁকি বাড়াচ্ছে, স্বচ্ছতা হ্রাস করছে ও অদক্ষতা তৈরি করছে।
আইএমএফ সরকারি মালিকানাধীন এবং বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোকে সবচেয়ে বেশি দুর্বল ও ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক যে দেশের ব্যাংকগুলোর ওপর ‘স্ট্রেস টেস্ট’ করেছে, তাতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ঋণ-ঝুঁকিই সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে বলে মনে করে আইএমএফ।
এ প্রসঙ্গে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাধারণভাবে ব্যাংকগুলোর আর্থিক সূচক ইতিবাচক হলেও বড় ধরনের খেলাপি ঋণের কারণে বাণিজ্যিক ঋণ পরিস্থিতি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
আইএমএফ আরও বলেছে, দেশের সিকিউরিটিজ মার্কেট বা পুঁজিবাজার সাম্প্রতিক সময় উল্লেখযোগ্য হারে প্রবৃদ্ধি অর্জন করলেও এখনো ছোট ও অনুন্নত।
এই বাজারে আইনি ও নিয়ন্ত্রণবিধির কর্মকাঠামো পর্যাপ্ত হলেও তা প্রয়োগে যথেষ্ট ঘাটতি রয়েছে। এ জন্য অবশ্য প্রতিবেদনে নিয়ন্ত্রক সংস্থার সীমাবদ্ধতাকে দায়ী করে এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়েছে, একটি শক্তিশালী ঋণবাজার গড়ে তোলাও জরুরি। এ জন্য সরকারি বন্ডের বা ঋণপত্রগুলোর দ্বিতীয় স্তরের বাজার গঠন এবং বেসরকারি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে সক্রিয় করা জরুরি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০০৩ সাল থেকে নানা ধরনের সংস্কার কার্যক্রম শুরু করার ফলে বাংলাদেশের আর্থিক খাতের শক্তিমত্তা বেড়েছে। তারপরও নানা ধরনের দুর্বলতা ও নাজুকতা রয়ে গেছে।
আর তাই নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষকে আরও দক্ষ ও শক্তিশালী হওয়া প্রয়োজন বলে অভিমত প্রকাশ করেছে আইএমএফ। এ জন্য কর্মরত ব্যক্তিদের উন্নতমানের প্রশিক্ষণ প্রদান করার ওপরও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
পাশাপাশি ব্যাংকের কর্মকাণ্ড কোন পর্যন্ত গ্রহণযোগ্য তা সুস্পষ্টভাবে নির্ধারণ করা এবং শেয়ারবাজারের সম্পৃক্ততা বিবেচনায় নিয়ে নিয়ন্ত্রণ ও তদারকি বাড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
আইএমএফ ক্ষুদ্রঋণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর ভূমিকা সুস্পষ্ট করারও আহ্বান জানিয়েছে। মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটিকে (এমআরএ) অধিকতর ক্ষমতা প্রদান ও সক্ষমতা বৃদ্ধি করে ক্ষুদ্রঋণ কর্মকাণ্ডে যথাযথ তদারকি ও নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার ওপরও জোর দিয়েছে আইএমএফ।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে প্রকাশিত ‘বাংলাদেশ: ফাইন্যান্সিয়াল সিস্টেম স্ট্যাবিলিটি রিপোর্ট’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এই মন্তব্য করা হয়েছে। চলতি মাসেই এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে দেশের ব্যাংক তথা আর্থিক খাতের বিভিন্ন দিক পর্যালোচনা করা হয়েছে। তুলে ধরা হয়েছে এই খাতের শক্তিমত্তা ও দুর্বলতার দিকগুলো। বিভিন্ন ধরনের ঝুঁকিও পর্যালোচনা করা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোয় প্রথাগত ব্যাংকিং কর্মকাণ্ডের বাইরের কার্যক্রম দ্রুত বৃদ্ধি পেয়ে নতুন ধরনের ঝুঁকি তৈরি করেছে। এর মানে হলো, নিয়ন্ত্রণমূলক কর্মকাণ্ডও জোরদার করা এখন জরুরি হয়ে উঠেছে।
প্রতিবেদনে ব্যাখ্যা করে বলা হয়েছে, ব্যাংকগুলো ক্রমশই পুঁজিবাজারের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততা জোরদার করছে। আর এই কাজটি হচ্ছে, হয় সরাসরি অথবা সহযোগী মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে।
শেয়ারবাজারে পতন ঘটলে তা কোনো কোনো ব্যাংকের জন্য বড় ধরনের বিপদ ডেকে আনতে পারে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
আইএমএফের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, দেশের ব্যাংকগুলো ক্ষুদ্রঋণ দানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গেও সম্পৃক্ততা বাড়িয়েছে, যা আরেক ধরনের ঝুঁকি তৈরি করেছে।
এতে বলা হয়েছে, সাধারণত ব্যাংকের জন্য যেসব কর্মকাণ্ড সংরক্ষিত, ক্ষুদ্র ঋণদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো ধীরে ধীরে সেসব এলাকাতেও কর্মকাণ্ড সম্প্রসারণ করছে। অথচ এখানে পর্যাপ্ত ব্যবস্থাপনাগত ও নিয়ন্ত্রণগত দিকের ঘাটতি রয়েছে।
আইএমএফ মনে করছে, এসব পরিবর্তন কিছুটা হলেও আর্থিক খাতের প্রবৃদ্ধি ও উদ্ভাবনী প্রবণতার প্রতিফলন। পাশাপাশি এগুলো করকাঠামো ও নিয়ন্ত্রণমূলক কাঠামোর মধ্যে পার্থক্যেরও প্রতিফলন।
আইএমএফের প্রতিবেদনে সতর্ক করে দিয়ে বলা হয়েছে, এসবের সম্মিলিত ফলে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মূলধন ভিত্তিতে বড় ধরনের ঝুঁকি সৃষ্টি হতে পারে, যা আবার অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
প্রতিবেদনে ব্যাংক খাতের খেলাপি ঋণের নাজুকতার ওপরও আলোকপাত করা হয়েছে। বলা হয়েছে, সুদের হারসীমা বেঁধে দেওয়ার মতো সরকারের অবিচক্ষণ হস্তক্ষেপ এবং বিশেষ বিশেষ খাতে ঋণ প্রদানের নির্দেশনা ও ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া একাধারে ঝুঁকি বাড়াচ্ছে, স্বচ্ছতা হ্রাস করছে ও অদক্ষতা তৈরি করছে।
আইএমএফ সরকারি মালিকানাধীন এবং বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোকে সবচেয়ে বেশি দুর্বল ও ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক যে দেশের ব্যাংকগুলোর ওপর ‘স্ট্রেস টেস্ট’ করেছে, তাতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ঋণ-ঝুঁকিই সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে বলে মনে করে আইএমএফ।
এ প্রসঙ্গে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাধারণভাবে ব্যাংকগুলোর আর্থিক সূচক ইতিবাচক হলেও বড় ধরনের খেলাপি ঋণের কারণে বাণিজ্যিক ঋণ পরিস্থিতি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
আইএমএফ আরও বলেছে, দেশের সিকিউরিটিজ মার্কেট বা পুঁজিবাজার সাম্প্রতিক সময় উল্লেখযোগ্য হারে প্রবৃদ্ধি অর্জন করলেও এখনো ছোট ও অনুন্নত।
এই বাজারে আইনি ও নিয়ন্ত্রণবিধির কর্মকাঠামো পর্যাপ্ত হলেও তা প্রয়োগে যথেষ্ট ঘাটতি রয়েছে। এ জন্য অবশ্য প্রতিবেদনে নিয়ন্ত্রক সংস্থার সীমাবদ্ধতাকে দায়ী করে এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়েছে, একটি শক্তিশালী ঋণবাজার গড়ে তোলাও জরুরি। এ জন্য সরকারি বন্ডের বা ঋণপত্রগুলোর দ্বিতীয় স্তরের বাজার গঠন এবং বেসরকারি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে সক্রিয় করা জরুরি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০০৩ সাল থেকে নানা ধরনের সংস্কার কার্যক্রম শুরু করার ফলে বাংলাদেশের আর্থিক খাতের শক্তিমত্তা বেড়েছে। তারপরও নানা ধরনের দুর্বলতা ও নাজুকতা রয়ে গেছে।
আর তাই নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষকে আরও দক্ষ ও শক্তিশালী হওয়া প্রয়োজন বলে অভিমত প্রকাশ করেছে আইএমএফ। এ জন্য কর্মরত ব্যক্তিদের উন্নতমানের প্রশিক্ষণ প্রদান করার ওপরও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
পাশাপাশি ব্যাংকের কর্মকাণ্ড কোন পর্যন্ত গ্রহণযোগ্য তা সুস্পষ্টভাবে নির্ধারণ করা এবং শেয়ারবাজারের সম্পৃক্ততা বিবেচনায় নিয়ে নিয়ন্ত্রণ ও তদারকি বাড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
আইএমএফ ক্ষুদ্রঋণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর ভূমিকা সুস্পষ্ট করারও আহ্বান জানিয়েছে। মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটিকে (এমআরএ) অধিকতর ক্ষমতা প্রদান ও সক্ষমতা বৃদ্ধি করে ক্ষুদ্রঋণ কর্মকাণ্ডে যথাযথ তদারকি ও নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার ওপরও জোর দিয়েছে আইএমএফ।
No comments