গণতন্ত্র বিকাশের পথ -ইউরোপীয় সংসদীয় দলের বক্তব্য আমলে নিন
গণতন্ত্র আকাশ থেকে পড়ে না, মাটি ফুঁড়েও বের হয় না, জনগণের মধ্য থেকেই বেরিয়ে আসে দেশ পরিচালনায় এখন পর্যন্ত শ্রেষ্ঠ বলে বিবেচিত এই পদ্ধতিটি। তবে এ কথাও স্বীকার করতে হবে, জনগণ সরাসরি দেশ শাসন করে না, করে তাদের নির্বাচিত বা মনোনীত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে। অতীতে যা-ই হোক না কেন, ১৯৯১ সাল থেকে এ পর্যন্ত (মাঝখানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দুই বছর বাদে) আওয়ামী লীগ ও বিএনপিই পালাক্রমে দেশ শাসন করে আসছে। সে ক্ষেত্রে গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় যদি কোনো ব্যর্থতা বা দুর্বলতা থেকে থাকে, এর দায়ও তাদের নিতে হবে। একে অপরকে দোষারোপ করে নিজের ব্যর্থতা ঢাকা যাবে না।
সম্প্রতি ইউরোপীয় সংসদীয় প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সফরে এসে সরকার ও বিরোধী দলের ভূমিকার কথাটি আবারও স্মরণ করিয়ে দিয়েছে। প্রতিনিধিদলের নেতা জিম ল্যামবার্ট বলেছেন, সরকার যত উদারতা ও সহনশীলতা দেখাবে, গণতন্ত্র তত বিকশিত হবে। একই সঙ্গে তিনি বিরাধী দলকেও রাজপথে ব্যস্ত না থেকে সংসদে এসে জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা করার পরামর্শ দেন।
দীর্ঘদিন ধরে গণমাধ্যম ও নাগরিক সমাজও অনুরূপ আহ্বান জানিয়ে আসছে। কিন্তু সেসব সদুপদেশে তারা কর্ণপাত করেনি। এখন বিদেশিরা এসে একই সবক দিয়ে যাচ্ছেন। এটি দেশের জন্য মোটেই মর্যাদাকর নয়। তা সত্ত্বেও যদি সরকার ও বিরোধী দলের চৈতন্যোদয় ঘটে তা হলে বিদেশিদের কাছে বারবার আমাদের লজ্জিত হতে হবে না। দেশ ও জনগণ মুক্তি পাবে ধ্বংসাত্মক রাজনীতি থেকে। গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় হিংসা-বিদ্বেষ বা হানাহানির যে স্থান নেই, সে কথাটি আমাদের বিজ্ঞ জনপ্রতিনিধিরা ভুলে যান। গণতন্ত্রে দুই পক্ষকে যে উদারতা ও সহনশীলতা দেখাতে হয়, সে কথাটিই জোর দিয়ে বলেছে ইউরোপীয় সংসদীয় প্রতিনিধিদল।
সংসদীয় গণতন্ত্রে জাতীয় সংসদই রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দু হওয়া উচিত। জনগুরুত্বপূর্ণ সব বিষয়ে সেখানে আলোচনা হতে হবে। সবকিছু গায়ের জোরে করলে তার ফল কখনো ভালো হয় না, এর ভূরি ভূরি প্রমাণ আছে। সংসদ চালু থাকতে বিরোধী দলই বা কেন দাবি আদায়ের জন্য রাজপথ বেছে নেবে?
দীর্ঘদিন পর হলেও বিরোধী দল সংসদে যোগ দিয়েছে। তারা যাতে জনগুরুত্বপূর্ণ সব বিষয়ে সেখানে তাদের বক্তব্য রাখতে পারে, সে নিশ্চয়তা সরকারকেই দিতে হবে। হালে যেসব বিষয় নিয়ে সরকার ও বিরোধী দল বাহাসে লিপ্ত হয়েছে, এর সঙ্গে জনগণের কোনো সম্পর্ক নেই। অতএব অর্থহীন বিতর্কে সময়ক্ষেপণ না করে তারা জনগণের কল্যাণে একযোগে কাজ করলে গণতন্ত্র যেমন বিকশিত হবে, তেমনি দেশও সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যাবে।
সম্প্রতি ইউরোপীয় সংসদীয় প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সফরে এসে সরকার ও বিরোধী দলের ভূমিকার কথাটি আবারও স্মরণ করিয়ে দিয়েছে। প্রতিনিধিদলের নেতা জিম ল্যামবার্ট বলেছেন, সরকার যত উদারতা ও সহনশীলতা দেখাবে, গণতন্ত্র তত বিকশিত হবে। একই সঙ্গে তিনি বিরাধী দলকেও রাজপথে ব্যস্ত না থেকে সংসদে এসে জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা করার পরামর্শ দেন।
দীর্ঘদিন ধরে গণমাধ্যম ও নাগরিক সমাজও অনুরূপ আহ্বান জানিয়ে আসছে। কিন্তু সেসব সদুপদেশে তারা কর্ণপাত করেনি। এখন বিদেশিরা এসে একই সবক দিয়ে যাচ্ছেন। এটি দেশের জন্য মোটেই মর্যাদাকর নয়। তা সত্ত্বেও যদি সরকার ও বিরোধী দলের চৈতন্যোদয় ঘটে তা হলে বিদেশিদের কাছে বারবার আমাদের লজ্জিত হতে হবে না। দেশ ও জনগণ মুক্তি পাবে ধ্বংসাত্মক রাজনীতি থেকে। গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় হিংসা-বিদ্বেষ বা হানাহানির যে স্থান নেই, সে কথাটি আমাদের বিজ্ঞ জনপ্রতিনিধিরা ভুলে যান। গণতন্ত্রে দুই পক্ষকে যে উদারতা ও সহনশীলতা দেখাতে হয়, সে কথাটিই জোর দিয়ে বলেছে ইউরোপীয় সংসদীয় প্রতিনিধিদল।
সংসদীয় গণতন্ত্রে জাতীয় সংসদই রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দু হওয়া উচিত। জনগুরুত্বপূর্ণ সব বিষয়ে সেখানে আলোচনা হতে হবে। সবকিছু গায়ের জোরে করলে তার ফল কখনো ভালো হয় না, এর ভূরি ভূরি প্রমাণ আছে। সংসদ চালু থাকতে বিরোধী দলই বা কেন দাবি আদায়ের জন্য রাজপথ বেছে নেবে?
দীর্ঘদিন পর হলেও বিরোধী দল সংসদে যোগ দিয়েছে। তারা যাতে জনগুরুত্বপূর্ণ সব বিষয়ে সেখানে তাদের বক্তব্য রাখতে পারে, সে নিশ্চয়তা সরকারকেই দিতে হবে। হালে যেসব বিষয় নিয়ে সরকার ও বিরোধী দল বাহাসে লিপ্ত হয়েছে, এর সঙ্গে জনগণের কোনো সম্পর্ক নেই। অতএব অর্থহীন বিতর্কে সময়ক্ষেপণ না করে তারা জনগণের কল্যাণে একযোগে কাজ করলে গণতন্ত্র যেমন বিকশিত হবে, তেমনি দেশও সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যাবে।
No comments