ইরানকে চাপে রাখার পথ নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র: জেনারেল পেট্রস
পরমাণু কর্মসূচি বন্ধে ইরানের ওপর চাপ বাড়ানোর পথ বেছে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। গত রোববার শীর্ষ মার্কিন জেনারেল ডেভিড পেট্রস এনবিসি টেলিভিশনের মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন। যুক্তরাষ্ট্র ও অন্য বিশ্বশক্তিগুলো ইরানের বিরুদ্ধে জাতিসংঘের চতুর্থ দফা অবরোধ আরোপ করার প্রস্তাবের পক্ষে সমর্থন জোগাড় করছে। কারণ, বারবার নিষেধ করা সত্ত্বেও ইরান ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি জাতিসংঘ-সমর্থিত পরমাণু জ্বালানি সরবরাহ চুক্তিও মেনে নেয়নি তারা।
যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় কমান্ডের প্রধান জেনারেল পেট্রস বলেন, ‘এখন আর কেউ বলতে পারবে না, কূটনৈতিকভাবে সমস্যা সমাধানের জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও বাকি বিশ্ব ইরানকে যথেষ্ট সুযোগ দেয়নি। আমরা এখন এমন অবস্থায় পৌঁছেছি যে আমাদের চাপ প্রয়োগের পথ বেছে নিতে হচ্ছে।’
গত সপ্তাহে জাতিসংঘের পরমাণু কার্যক্রম পর্যবেক্ষক সংস্থা আইএইএ বলেছে, তাদের ধারণা, ইরান সম্ভবত ইতিমধ্যে পরমাণু অস্ত্র তৈরির চেষ্টা শুরু করেছে। আইএইএ এমন ধারণা প্রকাশের পর ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে পশ্চিমা বিশ্বের উদ্বেগ বেড়েছে।
২০০৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের এক গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, ইরান ২০০৩ সালে পরমাণু অস্ত্র তৈরির বিষয়ে গবেষণার কাজ বন্ধ করেছে। কিন্তু ইরানের কর্মসূচি অব্যাহত রাখার কথা যেসব পশ্চিমা দেশ বলছে, তাদের বিশ্বাসেরই প্রতিধ্বনি আইএইএর সর্বশেষ এ প্রতিবেদন।
এ ব্যাপারে পেট্রস বলেছেন, ইরানের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডের ফলে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো তাদের তথ্য-উপাত্তগুলো আরও হালনাগাদ করবে।
গত বৃহস্পতিবার আইএইএ আরও নিশ্চিত করেছে, তেহরান ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের হার বাড়িয়েছে। এতে দেশটি পরমাণু বোমা তৈরির জন্য যে পরিমাণ সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম প্রয়োজন, তার কাছাকাছি পৌঁছে যাবে। অবশ্য ইরানি কর্মকর্তারা আইএইএর প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করেছেন এবং দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি শুক্রবার বলেছেন, তেহরান পরমাণু অস্ত্র তৈরির চেষ্টা করছে না।
গত বছর আইএইএ প্রস্তাব দিয়েছিল, তেহরানের কম সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামগুলো তৃতীয় কোনো দেশে পাঠিয়ে আরও সমৃদ্ধ করে আবার তেহরানের কাছে ফেরত পাঠানো হবে, যাতে তারা সেগুলো জ্বালানি হিসেবে পরমাণু চুল্লিতে ব্যবহার করতে পারে। কিন্তু ইরানি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদ ওই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন।
ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র
ইরান জানিয়েছে, আগামী মাসে নতুন দুটি ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্রের নির্মাণকাজ শুরু করার পরিকল্পনা করছে তারা। গতকাল সোমবার ইরানের পরমাণু কর্মসূচির প্রধান আলী আকবর সালেহি এ ঘোষণা দেন।
সালেহি বলেন, নতুন দুটি কেন্দ্রের ক্ষমতা বর্তমানে ইরানের নাতানজে অবস্থিত কেন্দ্রটির মতোই হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় কমান্ডের প্রধান জেনারেল পেট্রস বলেন, ‘এখন আর কেউ বলতে পারবে না, কূটনৈতিকভাবে সমস্যা সমাধানের জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও বাকি বিশ্ব ইরানকে যথেষ্ট সুযোগ দেয়নি। আমরা এখন এমন অবস্থায় পৌঁছেছি যে আমাদের চাপ প্রয়োগের পথ বেছে নিতে হচ্ছে।’
গত সপ্তাহে জাতিসংঘের পরমাণু কার্যক্রম পর্যবেক্ষক সংস্থা আইএইএ বলেছে, তাদের ধারণা, ইরান সম্ভবত ইতিমধ্যে পরমাণু অস্ত্র তৈরির চেষ্টা শুরু করেছে। আইএইএ এমন ধারণা প্রকাশের পর ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে পশ্চিমা বিশ্বের উদ্বেগ বেড়েছে।
২০০৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের এক গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, ইরান ২০০৩ সালে পরমাণু অস্ত্র তৈরির বিষয়ে গবেষণার কাজ বন্ধ করেছে। কিন্তু ইরানের কর্মসূচি অব্যাহত রাখার কথা যেসব পশ্চিমা দেশ বলছে, তাদের বিশ্বাসেরই প্রতিধ্বনি আইএইএর সর্বশেষ এ প্রতিবেদন।
এ ব্যাপারে পেট্রস বলেছেন, ইরানের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডের ফলে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো তাদের তথ্য-উপাত্তগুলো আরও হালনাগাদ করবে।
গত বৃহস্পতিবার আইএইএ আরও নিশ্চিত করেছে, তেহরান ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের হার বাড়িয়েছে। এতে দেশটি পরমাণু বোমা তৈরির জন্য যে পরিমাণ সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম প্রয়োজন, তার কাছাকাছি পৌঁছে যাবে। অবশ্য ইরানি কর্মকর্তারা আইএইএর প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করেছেন এবং দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি শুক্রবার বলেছেন, তেহরান পরমাণু অস্ত্র তৈরির চেষ্টা করছে না।
গত বছর আইএইএ প্রস্তাব দিয়েছিল, তেহরানের কম সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামগুলো তৃতীয় কোনো দেশে পাঠিয়ে আরও সমৃদ্ধ করে আবার তেহরানের কাছে ফেরত পাঠানো হবে, যাতে তারা সেগুলো জ্বালানি হিসেবে পরমাণু চুল্লিতে ব্যবহার করতে পারে। কিন্তু ইরানি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদ ওই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন।
ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র
ইরান জানিয়েছে, আগামী মাসে নতুন দুটি ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্রের নির্মাণকাজ শুরু করার পরিকল্পনা করছে তারা। গতকাল সোমবার ইরানের পরমাণু কর্মসূচির প্রধান আলী আকবর সালেহি এ ঘোষণা দেন।
সালেহি বলেন, নতুন দুটি কেন্দ্রের ক্ষমতা বর্তমানে ইরানের নাতানজে অবস্থিত কেন্দ্রটির মতোই হবে।
No comments