নিখোঁজ সিপিএম নেতার লাশ চেন্নাইয়ে উদ্ধার
ভারতের চেন্নাইয়ের পোরুর লেক থেকে উদ্ধার করা লাশটি কমিউনিস্ট পার্টি অব ইন্ডিয়ার (মার্ক্সিস্ট) নেতা ডব্লিউ আর বরদারাজনের। তাঁর স্ত্রী সরস্বতী স্বামীর লাশ শনাক্ত করেন। গত রোববার ভারতীয় পুলিশ এ কথা জানায়।
সিপিআইএম কেন্দ্রীয় কমিটি ও তামিলনাড়ু রাজ্য কমিটিসহ দলের সব পদ থেকে সদ্য অপসারিত সিপিআইএমের নেতা ডব্লিউ আর বরদারাজন ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে নিখোঁজ ছিলেন। ৪-৬ ফেব্রুয়ারি কলকাতায় অনুষ্ঠিত সিপিএম কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে ‘অকমিউনিস্ট-সুলভ’ আচরণের জন্য তাঁকে দলের সব পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ডব্লিউ আর বরদারাজনের স্ত্রী সরস্বতী তাঁর বিরুদ্ধে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের অভিযোগ তুলেছিলেন। অন্য একজন নারীও তাঁর বিরুদ্ধে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রতারণার অভিযোগ আনেন।
কলকাতা থেকে ফেরার পর তামিলনাড়ুর বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যান বরদারাজন। ১৩ ফেব্রুয়ারি চেন্নাইয়ের কাছে পোরুর লেক থেকে ৬৪ বছর বয়সী ওই নেতার লাশ উদ্ধার করা হয়। কিন্তু লাশটির অবস্থা এতটাই খারাপ ছিল যে, প্রথমে কেউ ওই লাশ শনাক্ত করতে পারেননি। দলের রাজ্য কমিটির নেতারাও লাশটি শনাক্ত করতে ব্যর্থ হন। তবে পোশাক দেখে লাশটি বরদারাজনের মনে হওয়ায় পুলিশ ডিএনএ পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেয়। পরে স্ত্রী সরস্বতীই তাঁকে শনাক্ত করেন। তবে সরকারিভাবে বলা হয়েছে, লাশটি বরদারাজনের কি না, তা আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে ডিএনএ পরীক্ষার ফলাফল হাতে পাওয়ার পর।
নিখোঁজ হওয়ার আগে লিখে যাওয়া চিঠিতে আত্মহত্যার ইঙ্গিত দিয়ে গিয়েছিলেন প্রবীণ এই ট্রেড ইউনিয়ন নেতা। তামিল কবিতা উদ্ধৃত করে তিনি লিখেছিলেন, ‘অসম্মানের থেকে মৃত্যুই শ্রেয়’।
দলের কেন্দ্রীয় কমিটিতে শাস্তি ঘোষণার পরে ওই নেতা নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার পর অস্বস্তিতে পড়েছে সিপিএমের নেতৃত্ব। কেউ এ ব্যাপারে মুখ খুলতে চাইছেন না। দলীয় নেতারা বোঝানোর চেষ্টা করেছেন যে বরদারাজনের নিখোঁজ হওয়া বা তার পরবর্তী কোনো ঘটনার সঙ্গে দলীয় সিদ্ধান্তের কোনো সম্পর্ক নেই। পারিবারিক অশান্তির কারণেই যা হওয়ার হয়েছে।
তবে দল তাঁকে পদ থেকে সরিয়ে দিলেও নিজের দুটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের অর্থ দলকে দান করে গেছেন ডব্লিউ আর বরদারাজন। নিজের বইপত্র ও ল্যাপটপ দান করে গেছেন দলের তামিল মুখপাত্রকে। চিকিত্সাবিজ্ঞানের গবেষণার জন্য নিজের দেহ দান করে গেছেন তিনি।
সিপিআইএম কেন্দ্রীয় কমিটি ও তামিলনাড়ু রাজ্য কমিটিসহ দলের সব পদ থেকে সদ্য অপসারিত সিপিআইএমের নেতা ডব্লিউ আর বরদারাজন ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে নিখোঁজ ছিলেন। ৪-৬ ফেব্রুয়ারি কলকাতায় অনুষ্ঠিত সিপিএম কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে ‘অকমিউনিস্ট-সুলভ’ আচরণের জন্য তাঁকে দলের সব পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ডব্লিউ আর বরদারাজনের স্ত্রী সরস্বতী তাঁর বিরুদ্ধে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের অভিযোগ তুলেছিলেন। অন্য একজন নারীও তাঁর বিরুদ্ধে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রতারণার অভিযোগ আনেন।
কলকাতা থেকে ফেরার পর তামিলনাড়ুর বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যান বরদারাজন। ১৩ ফেব্রুয়ারি চেন্নাইয়ের কাছে পোরুর লেক থেকে ৬৪ বছর বয়সী ওই নেতার লাশ উদ্ধার করা হয়। কিন্তু লাশটির অবস্থা এতটাই খারাপ ছিল যে, প্রথমে কেউ ওই লাশ শনাক্ত করতে পারেননি। দলের রাজ্য কমিটির নেতারাও লাশটি শনাক্ত করতে ব্যর্থ হন। তবে পোশাক দেখে লাশটি বরদারাজনের মনে হওয়ায় পুলিশ ডিএনএ পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেয়। পরে স্ত্রী সরস্বতীই তাঁকে শনাক্ত করেন। তবে সরকারিভাবে বলা হয়েছে, লাশটি বরদারাজনের কি না, তা আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে ডিএনএ পরীক্ষার ফলাফল হাতে পাওয়ার পর।
নিখোঁজ হওয়ার আগে লিখে যাওয়া চিঠিতে আত্মহত্যার ইঙ্গিত দিয়ে গিয়েছিলেন প্রবীণ এই ট্রেড ইউনিয়ন নেতা। তামিল কবিতা উদ্ধৃত করে তিনি লিখেছিলেন, ‘অসম্মানের থেকে মৃত্যুই শ্রেয়’।
দলের কেন্দ্রীয় কমিটিতে শাস্তি ঘোষণার পরে ওই নেতা নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার পর অস্বস্তিতে পড়েছে সিপিএমের নেতৃত্ব। কেউ এ ব্যাপারে মুখ খুলতে চাইছেন না। দলীয় নেতারা বোঝানোর চেষ্টা করেছেন যে বরদারাজনের নিখোঁজ হওয়া বা তার পরবর্তী কোনো ঘটনার সঙ্গে দলীয় সিদ্ধান্তের কোনো সম্পর্ক নেই। পারিবারিক অশান্তির কারণেই যা হওয়ার হয়েছে।
তবে দল তাঁকে পদ থেকে সরিয়ে দিলেও নিজের দুটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের অর্থ দলকে দান করে গেছেন ডব্লিউ আর বরদারাজন। নিজের বইপত্র ও ল্যাপটপ দান করে গেছেন দলের তামিল মুখপাত্রকে। চিকিত্সাবিজ্ঞানের গবেষণার জন্য নিজের দেহ দান করে গেছেন তিনি।
No comments