অর্থবছরের পাঁচ মাসে বাণিজ্য ঘাটতি কমেছে
চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে দেশে পণ্যবাণিজ্যে ঘাটতি আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পেয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, ২০০৯-১০ অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বর সময়কালে দেশে পণ্য বাণিজ্যে ১৯৭ কোটি ৫০ লাখ ডলারের ঘাটতি দেখা দিয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রস্তুতকৃত লেনদেনের ভারসাম্য সারণি অনুসারে এই সময়কালে পণ্য রপ্তানি থেকে ৬১০ কোটি ৮০ লাখ ডলার আয়ের বিপরীতে পণ্য আমদানি বাবদ ৮০৮ কোটি ৩০ লাখ ডলার ব্যয় হওয়ায় এই ঘাটতি দেখা দিয়েছে।
আর ২০০৮-০৯ অর্থবছরের একই সময়ে পণ্যবাণিজ্যে ঘাটতি ছিল ২৬৬ কোটি ৪০ লাখ ডলার।
অর্থাত্ পণ্যবাণিজ্যে ঘাটতি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ৩৫ শতাংশ কমেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান থেকে আরও দেখা যায়, আলোচ্য সময়ে সেবা বাণিজ্যে ঘাটতি আগের অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসের ১৬২ কোটি ১০ লাখ ডলারের চেয়ে কমে হয়েছে ১০৭ কোটি ৩০ লাখ ডলার।
লেনদেনে ভারসাম্য সারণি থেকে এও দেখা যায়, পাঁচ মাসে চলতি হিসাবের ভারসাম্যে ১৬৯ কোটি ২০ লাখ ডলারের উদ্বৃত্ত দেখা দিয়েছে।
২০০৮-০৯ অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বর সময়কালে চলতি হিসাবের ভারসাম্যে সাত কোটি ৯০ লাখ ডলারের ঘাটতি ছিল।
সার্বিক বাণিজ্য ঘাটতি হ্রাস পাওয়া এবং প্রবাসী-আয়ের উচ্চ-প্রবাহ চলতি হিসাবের ভারসাম্যে উদ্বৃত্ত অবস্থা ধরে রাখতে সহায়তা করছে।
চলতি হিসাবে মূলত কোনো দেশের নিয়মিত বৈদেশিক লেনদেনের হিসাব প্রতিফলিত হয়। নিয়মিত আমদানি-রপ্তানিসহ অন্যান্য আয়-ব্যয় এতে অন্তর্ভুক্ত হয়ে থাকে। চলতি হিসাবের ভারসাম্যে উদ্বৃত্ত মানে নিয়মিত লেনদেনের ক্ষেত্রে দেশকে কোনো ঋণ করতে হয় না।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, ২০০৪-০৫ অর্থবছরের পর আর কোনো অর্থবছরেই বাংলাদেশকে চলতি হিসাবের ভারসাম্যে ঘাটতির সম্মুখীন হতে হয়নি, বরং প্রতিবছরই উদ্বৃত্তাবস্থা বেড়েছে।
সর্বশেষ গত ২০০৮-০৯ অর্থবছরে চলতি হিসাবের ভারসাম্যে রেকর্ড ২৫৩ কোটি ৬০ লাখ ডলারের উদ্বৃত্ত দেখা দেয়। এটি ছিল আগের অর্থবছরের (২০০৭-০৮) ৬৮ কোটি ডলারের সমপরিমাণ উদ্বৃত্তের চেয়ে প্রায় চারগুণ বেশি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান থেকে আরও দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে আর্থিক হিসাবে ৮৫ কোটি ডলারের উদ্বৃত্ত দেখা দিয়েছে। গত অর্থবছরের একই সময়ে এই উদ্বৃত্তের পরিমাণ অবশ্য ছিল ১৩ কোটি ৭০ লাখ ডলার।
পরিসংখ্যান পর্যালোচনায় দেখা যায়, আলোচ্য সময়ে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ প্রবাহ কমে গেছে।
গত অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে যেখানে ৫০ কোটি ডলারের প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ এসেছিল, সেখানে এ বছর এর পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৫ কোটি ৯০ লাখ ডলার।
সার্বিকভাবে চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে লেনদেনের ভারসাম্যে ২১৫ কোটি ৬০ লাখ ডলারের উদ্বৃত্ত দেখা দিয়েছে। গত অর্থবছরের একই সময়ে এই উদ্বৃত্তের পরিমাণ ছিল ২৪ কোটি ৮০ লাখ ডলার।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, আলোচ্য সময়কালে দেশে বিদেশি সাহায্য বেড়েছে।
চলতি অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বর সময়কালে দেশে বিদেশি সাহায্যের মোট প্রবাহ ছিল ১১৭ কোটি ৯৬ লাখ ডলার, যেখানে গত অর্থবছরের একই সময়ে এর পরিমাণ ছিল ৭৩ কোটি ৮৭ লাখ ডলার।
অবশ্য ২০০৯-১০ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে বিদেশি ঋণের মূল পরিশোধ বাবদ সরকারকে ব্যয় করতে হয়েছে ২৪ কোটি ৮০ লাখ ডলার। ফলে নিট বিদেশি সাহায্যের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৯৩ কোটি ১৫ লাখ ডলার।
অন্যদিকে গত অর্থবছরের একই সময়কালে বিদেশি ঋণের আসল বাবদ সরকার ২৫ কোটি ৬৪ লাখ ডলার পরিশোধ করেছে। ফলে নিট বিদেশি সাহায্যের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪৮ কোটি ২৩ লাখ ডলার।
লেনদেনের ভারসাম্য সারণিতে পাঁচ মাসে বিদেশি সাহায্য বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি প্রতিফলিত হয়েছে।
এতে দেখা যায়, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি ঋণ হিসেবে এই পাঁচ মাসে ১১২ কোটি ডলার যুক্ত হয়েছে, যেখানে গত অর্থবছরের একই সময়ে এর পরিমাণ ছিল ৫৩ কোটি ৪০ লাখ ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, ২০০৯-১০ অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বর সময়কালে দেশে পণ্য বাণিজ্যে ১৯৭ কোটি ৫০ লাখ ডলারের ঘাটতি দেখা দিয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রস্তুতকৃত লেনদেনের ভারসাম্য সারণি অনুসারে এই সময়কালে পণ্য রপ্তানি থেকে ৬১০ কোটি ৮০ লাখ ডলার আয়ের বিপরীতে পণ্য আমদানি বাবদ ৮০৮ কোটি ৩০ লাখ ডলার ব্যয় হওয়ায় এই ঘাটতি দেখা দিয়েছে।
আর ২০০৮-০৯ অর্থবছরের একই সময়ে পণ্যবাণিজ্যে ঘাটতি ছিল ২৬৬ কোটি ৪০ লাখ ডলার।
অর্থাত্ পণ্যবাণিজ্যে ঘাটতি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ৩৫ শতাংশ কমেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান থেকে আরও দেখা যায়, আলোচ্য সময়ে সেবা বাণিজ্যে ঘাটতি আগের অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসের ১৬২ কোটি ১০ লাখ ডলারের চেয়ে কমে হয়েছে ১০৭ কোটি ৩০ লাখ ডলার।
লেনদেনে ভারসাম্য সারণি থেকে এও দেখা যায়, পাঁচ মাসে চলতি হিসাবের ভারসাম্যে ১৬৯ কোটি ২০ লাখ ডলারের উদ্বৃত্ত দেখা দিয়েছে।
২০০৮-০৯ অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বর সময়কালে চলতি হিসাবের ভারসাম্যে সাত কোটি ৯০ লাখ ডলারের ঘাটতি ছিল।
সার্বিক বাণিজ্য ঘাটতি হ্রাস পাওয়া এবং প্রবাসী-আয়ের উচ্চ-প্রবাহ চলতি হিসাবের ভারসাম্যে উদ্বৃত্ত অবস্থা ধরে রাখতে সহায়তা করছে।
চলতি হিসাবে মূলত কোনো দেশের নিয়মিত বৈদেশিক লেনদেনের হিসাব প্রতিফলিত হয়। নিয়মিত আমদানি-রপ্তানিসহ অন্যান্য আয়-ব্যয় এতে অন্তর্ভুক্ত হয়ে থাকে। চলতি হিসাবের ভারসাম্যে উদ্বৃত্ত মানে নিয়মিত লেনদেনের ক্ষেত্রে দেশকে কোনো ঋণ করতে হয় না।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, ২০০৪-০৫ অর্থবছরের পর আর কোনো অর্থবছরেই বাংলাদেশকে চলতি হিসাবের ভারসাম্যে ঘাটতির সম্মুখীন হতে হয়নি, বরং প্রতিবছরই উদ্বৃত্তাবস্থা বেড়েছে।
সর্বশেষ গত ২০০৮-০৯ অর্থবছরে চলতি হিসাবের ভারসাম্যে রেকর্ড ২৫৩ কোটি ৬০ লাখ ডলারের উদ্বৃত্ত দেখা দেয়। এটি ছিল আগের অর্থবছরের (২০০৭-০৮) ৬৮ কোটি ডলারের সমপরিমাণ উদ্বৃত্তের চেয়ে প্রায় চারগুণ বেশি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান থেকে আরও দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে আর্থিক হিসাবে ৮৫ কোটি ডলারের উদ্বৃত্ত দেখা দিয়েছে। গত অর্থবছরের একই সময়ে এই উদ্বৃত্তের পরিমাণ অবশ্য ছিল ১৩ কোটি ৭০ লাখ ডলার।
পরিসংখ্যান পর্যালোচনায় দেখা যায়, আলোচ্য সময়ে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ প্রবাহ কমে গেছে।
গত অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে যেখানে ৫০ কোটি ডলারের প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ এসেছিল, সেখানে এ বছর এর পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৫ কোটি ৯০ লাখ ডলার।
সার্বিকভাবে চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে লেনদেনের ভারসাম্যে ২১৫ কোটি ৬০ লাখ ডলারের উদ্বৃত্ত দেখা দিয়েছে। গত অর্থবছরের একই সময়ে এই উদ্বৃত্তের পরিমাণ ছিল ২৪ কোটি ৮০ লাখ ডলার।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, আলোচ্য সময়কালে দেশে বিদেশি সাহায্য বেড়েছে।
চলতি অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বর সময়কালে দেশে বিদেশি সাহায্যের মোট প্রবাহ ছিল ১১৭ কোটি ৯৬ লাখ ডলার, যেখানে গত অর্থবছরের একই সময়ে এর পরিমাণ ছিল ৭৩ কোটি ৮৭ লাখ ডলার।
অবশ্য ২০০৯-১০ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে বিদেশি ঋণের মূল পরিশোধ বাবদ সরকারকে ব্যয় করতে হয়েছে ২৪ কোটি ৮০ লাখ ডলার। ফলে নিট বিদেশি সাহায্যের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৯৩ কোটি ১৫ লাখ ডলার।
অন্যদিকে গত অর্থবছরের একই সময়কালে বিদেশি ঋণের আসল বাবদ সরকার ২৫ কোটি ৬৪ লাখ ডলার পরিশোধ করেছে। ফলে নিট বিদেশি সাহায্যের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪৮ কোটি ২৩ লাখ ডলার।
লেনদেনের ভারসাম্য সারণিতে পাঁচ মাসে বিদেশি সাহায্য বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি প্রতিফলিত হয়েছে।
এতে দেখা যায়, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি ঋণ হিসেবে এই পাঁচ মাসে ১১২ কোটি ডলার যুক্ত হয়েছে, যেখানে গত অর্থবছরের একই সময়ে এর পরিমাণ ছিল ৫৩ কোটি ৪০ লাখ ডলার।
No comments