মিয়ানমারে মার্কিন নাগরিকের তিন বছরের কারাদণ্ড
মিয়ানমারের একটি আদালত প্রতারণা ও জালিয়াতির দায়ে এক মার্কিন নাগরিককে তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন। তাঁর মুক্তির জন্য ৫০ জন মার্কিন আইনজীবীর আহ্বান সত্ত্বেও আদালত গতকাল বুধবার এ আদেশ দেন।
দণ্ড পাওয়া ব্যক্তির নাম কিয়াও জ লুইন। তিনি নি নি অং নামেও পরিচিত। তাঁর আইনজীবী বলেন, মানবাধিকার কর্মী লুইনকে (৪০) তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে পরিচয়পত্র জালিয়াতির জন্য এক বছর, শুল্ক বিভাগে বৈদেশিক মুদ্রার কথা প্রকাশ না করার জন্য এক বছর এবং অভিবাসন আইন লঙ্ঘনের জন্য এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
নি নি অংয়ের আইনজীবী যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিভিত্তিক আইনি প্রতিষ্ঠানের নিয়ান উইন বলেন, একটির সাজা শেষ হওয়ার পর তাঁকে আরেকটি সাজা ভোগ করতে হবে। অর্থাত্ মোট তিন বছর সাজা ভোগ করতে হবে তাঁকে। আইনজীবী বলেন, আমরা এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করব।
ওই আইনজীবী একই সঙ্গে মিয়ানমারের বিরোধী দলের গৃহবন্দী নেত্রী অং সান সুচির পক্ষেও আইনি লড়াই লড়ছেন।
নি নি অংকে গত বছরের ৩ সেপ্টেম্বর মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রথম দিকে তাঁর বিরুদ্ধে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা তৈরির পরিকল্পনা করার অভিযোগ আনা হয়। পরে জান্তা সরকার নি নি অংয়ের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও জালিয়াতির তিনটি অভিযোগ আনে। নি নি অং সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
গত মাসের শেষের দিকে কিনের মামলার রায় দেওয়ার কথা থাকলেও আদালত দেরি করতে থাকেন। গতকাল মিয়ানমারের কুখ্যাত ইনসেইন কারাগারে নি নি অংয়ের বিচার হয়। এক বিচারক তাঁর বিরুদ্ধে তিনটি অভিযোগ এনে তিন বছর কারাদণ্ডাদেশ দেন।
বার্মা নামে পরিচিত থাকার সময় নি নি অং তরুণ বয়সে ছাত্রদের সংগঠিত করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য ১৯৮৮ সালের আন্দোলনে ভূমিকা রাখেন। পরে তিনি পালিয়ে যুক্তরাষ্ট্র চলে যান। সেখানকার নাগরিকত্ব নিয়ে বসবাস করেন মেরিল্যান্ডে।
গত সেপ্টেম্বরে মিয়ানমারে তাঁর ফিরে আসার বিষয়টি পরিষ্কার নয়। ধারণা করা হচ্ছে, গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন করার দায়ে ৬৫ বছর দণ্ড পাওয়া মা ও বোনকে দেখতে নি নি অং মিয়ানমার যান।
গত ডিসেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের ৫০ জনের বেশি আইন প্রণেতা মিয়ানমানের জান্তা-প্রধান থান শুয়ের কাছে মিয়ানমারের বংশোদ্ভূত নি নি অংয়ের মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানান। তাঁর স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলেন তাঁরা। নিউইয়র্কভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থাও নি নি অংয়ের মুক্তির আবেদন জানিয়েছে।
নি নি অংয়ের আইনজীবী জানিয়েছেন, সরকার তার মক্কেলকে খাবার, ঘুম ও চিকিত্সাসেবা থেকে বঞ্চিত করছে
দণ্ড পাওয়া ব্যক্তির নাম কিয়াও জ লুইন। তিনি নি নি অং নামেও পরিচিত। তাঁর আইনজীবী বলেন, মানবাধিকার কর্মী লুইনকে (৪০) তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে পরিচয়পত্র জালিয়াতির জন্য এক বছর, শুল্ক বিভাগে বৈদেশিক মুদ্রার কথা প্রকাশ না করার জন্য এক বছর এবং অভিবাসন আইন লঙ্ঘনের জন্য এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
নি নি অংয়ের আইনজীবী যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিভিত্তিক আইনি প্রতিষ্ঠানের নিয়ান উইন বলেন, একটির সাজা শেষ হওয়ার পর তাঁকে আরেকটি সাজা ভোগ করতে হবে। অর্থাত্ মোট তিন বছর সাজা ভোগ করতে হবে তাঁকে। আইনজীবী বলেন, আমরা এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করব।
ওই আইনজীবী একই সঙ্গে মিয়ানমারের বিরোধী দলের গৃহবন্দী নেত্রী অং সান সুচির পক্ষেও আইনি লড়াই লড়ছেন।
নি নি অংকে গত বছরের ৩ সেপ্টেম্বর মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রথম দিকে তাঁর বিরুদ্ধে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা তৈরির পরিকল্পনা করার অভিযোগ আনা হয়। পরে জান্তা সরকার নি নি অংয়ের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও জালিয়াতির তিনটি অভিযোগ আনে। নি নি অং সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
গত মাসের শেষের দিকে কিনের মামলার রায় দেওয়ার কথা থাকলেও আদালত দেরি করতে থাকেন। গতকাল মিয়ানমারের কুখ্যাত ইনসেইন কারাগারে নি নি অংয়ের বিচার হয়। এক বিচারক তাঁর বিরুদ্ধে তিনটি অভিযোগ এনে তিন বছর কারাদণ্ডাদেশ দেন।
বার্মা নামে পরিচিত থাকার সময় নি নি অং তরুণ বয়সে ছাত্রদের সংগঠিত করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য ১৯৮৮ সালের আন্দোলনে ভূমিকা রাখেন। পরে তিনি পালিয়ে যুক্তরাষ্ট্র চলে যান। সেখানকার নাগরিকত্ব নিয়ে বসবাস করেন মেরিল্যান্ডে।
গত সেপ্টেম্বরে মিয়ানমারে তাঁর ফিরে আসার বিষয়টি পরিষ্কার নয়। ধারণা করা হচ্ছে, গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন করার দায়ে ৬৫ বছর দণ্ড পাওয়া মা ও বোনকে দেখতে নি নি অং মিয়ানমার যান।
গত ডিসেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের ৫০ জনের বেশি আইন প্রণেতা মিয়ানমানের জান্তা-প্রধান থান শুয়ের কাছে মিয়ানমারের বংশোদ্ভূত নি নি অংয়ের মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানান। তাঁর স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলেন তাঁরা। নিউইয়র্কভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থাও নি নি অংয়ের মুক্তির আবেদন জানিয়েছে।
নি নি অংয়ের আইনজীবী জানিয়েছেন, সরকার তার মক্কেলকে খাবার, ঘুম ও চিকিত্সাসেবা থেকে বঞ্চিত করছে
No comments