মেসের নামে অস্ত্রের ঘাঁটি
রোববার চট্টগ্রামে শিবিরের মেস থেকে আগ্নেয়াস্ত্র, বিস্ফোরক দ্রব্য ও জিহাদি বই উদ্ধারের পর যেসব তথ্য বেরিয়ে এসেছে, তা শিক্ষাঙ্গন তো বটেই, জননিরাপত্তার জন্যও অত্যন্ত বিপজ্জনক। নগরের ডবলমুরিং থানার মিস্ত্রিপাড়ার হক ভিলায় পুলিশ অভিযান চালালে শিবিরের সব জারিজুরি ফাঁস হয়ে যায়। পুলিশ বমাল শিবিরকর্মীদের আটক করলেও শিবির নেতারা অপরাধ স্বীকার করতে চাইছেন না। তাঁরা উল্টো পুলিশের ওপর দায় চাপাতে চাইছেন। যদিও আটক কর্মীরা বলেছেন, বড় ভাইয়েরা মেসে অস্ত্র রাখতেন। এই বড় ভাই আর কেউ নন, তাঁরা শিবিরের স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় নেতা। এখন পুলিশেরই দায়িত্ব বড় ভাইদের খুঁজে বের করা। সে সঙ্গে অন্যান্য স্থানে লুকিয়ে রাখা অস্ত্রও উদ্ধার করতে হবে। বছরের শুরুতে শিক্ষাঙ্গন যে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে, তার পেছনে শিবিরের হাত থাকাও অস্বাভাবিক নয়।
আসলে পড়াশোনার নাম করে শিবির বিভিন্ন স্থানে মেস ভাড়া করলেও সেখানে বিদ্যাবহির্ভূত কাজই বেশি হয়ে থাকে। এসব মেসে শিবিরকর্মী ছাড়াও জামায়াতের নেতা-কর্মীরা আস্তানা গেড়ে বসেছেন। রোববার মেস থেকে যাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে একজন জামায়াতের কর্মীও আছেন, যিনি চিকিত্সা পেশায় নিযুক্ত। এ থেকেই প্রমাণিত হয়, তাঁদের যোগাযোগ বহুদূর বিস্তৃত। শুধু ডবলমুরিং থানা নয়, চট্টগ্রামজুড়েই শিবির মেস-ব্যবসার আড়ালে ছোট ছোট অস্ত্রের ঘাঁটি গড়ে তুলেছে। মহানগরে শিবির-পরিচালিত ১৩৫টি মেস রয়েছে। কয়েক মাস আগে চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে প্রায়ই সংঘাত-সংঘর্ষের পেছনেও শিবিরের হাত ছিল। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কোনোভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছিল না। পরে তারা আশপাশে শিবির-পরিচলিত পাঁচটি মেস বন্ধ করে দিলে ইনস্টিটিউটে স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরে আসে। হক ভিলা থেকে অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় সাধারণ মানুষ যেমন উদ্বিগ্ন, তেমনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকেও ভাবিয়ে তুলেছে।
মহানগরের কেন্দ্রস্থলেই যদি শিবির অস্ত্রের ঘাঁটি গড়ে তুলতে পারে, তাহলে দুর্গম বা প্রত্যন্ত এলাকায় কী হতে পারে, তা সহজেই অনুমেয়। চট্টগ্রাম নগরের বাইরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর কারমাইকেল কলেজ, খুলনার বিএল কলেজ এলাকায়ও শিবিরের শক্ত ঘাঁটি রয়েছে। প্রতিটি এলাকায় শিবির-পরিচালিত মেস আছে। এসব মেস ভাড়ার উদ্দেশ্য যদি পড়াশোনা করার জন্য হতো, তা হলে কারও কিছু বলার থাকত না। কিন্তু শিবির মেস করে রাজনৈতিক প্রশিক্ষণ দেওয়ার উদ্দেশ্যে। মেসের পাশাপাশি তাঁরা এলাকার বাসিন্দাদের নানা কৌশলে পক্ষে টানতে চেষ্টা করেন। এমনকি এলাকায় বিয়েশাদি করে স্থায়ী বাসিন্দা হয়ে যাওয়ার ঘটনাও কম নয়। পুলিশ যখন চট্টগ্রামে শিবিরের মেস থেকে অস্ত্র উদ্ধার করছে, তখন শিবিরের নেতারা জামায়াতের আমিরের উপস্থিতিতে দেশ অচল করার হুমকি দেন। এ সাহস তাঁরা কোত্থেকে পান?
আমরা অতীতে দেখেছি, এসব অস্ত্র উদ্ধারের কিছুদিন পর পুলিশের তত্পরতা থেমে যায় এবং মামলার তদন্তও ঠিকমতো হয় না। ফলে অপরাধীরা আইনের ফাঁকফোকর দিয়ে বেরিয়ে আসেন। চট্টগ্রামের ঘটনায় তা হবে না বলেই আমাদের বিশ্বাস। মনে রাখা প্রয়োজন, এটি সাধারণ অপরাধ নয়। এর সঙ্গে সেই রাজনৈতিক অপশক্তি রয়েছে, যারা গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় বিশ্বাস করে না। সারা দেশে শিবিরসহ যেসব ছাত্র নামধারী ব্যক্তি সন্ত্রাস চালাচ্ছেন এবং অবৈধ অস্ত্রের ঘাঁটি গড়ে তুলেছেন, তাঁদের মূলোত্পাটন করতে হবে।
আসলে পড়াশোনার নাম করে শিবির বিভিন্ন স্থানে মেস ভাড়া করলেও সেখানে বিদ্যাবহির্ভূত কাজই বেশি হয়ে থাকে। এসব মেসে শিবিরকর্মী ছাড়াও জামায়াতের নেতা-কর্মীরা আস্তানা গেড়ে বসেছেন। রোববার মেস থেকে যাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে একজন জামায়াতের কর্মীও আছেন, যিনি চিকিত্সা পেশায় নিযুক্ত। এ থেকেই প্রমাণিত হয়, তাঁদের যোগাযোগ বহুদূর বিস্তৃত। শুধু ডবলমুরিং থানা নয়, চট্টগ্রামজুড়েই শিবির মেস-ব্যবসার আড়ালে ছোট ছোট অস্ত্রের ঘাঁটি গড়ে তুলেছে। মহানগরে শিবির-পরিচালিত ১৩৫টি মেস রয়েছে। কয়েক মাস আগে চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে প্রায়ই সংঘাত-সংঘর্ষের পেছনেও শিবিরের হাত ছিল। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কোনোভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছিল না। পরে তারা আশপাশে শিবির-পরিচলিত পাঁচটি মেস বন্ধ করে দিলে ইনস্টিটিউটে স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরে আসে। হক ভিলা থেকে অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় সাধারণ মানুষ যেমন উদ্বিগ্ন, তেমনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকেও ভাবিয়ে তুলেছে।
মহানগরের কেন্দ্রস্থলেই যদি শিবির অস্ত্রের ঘাঁটি গড়ে তুলতে পারে, তাহলে দুর্গম বা প্রত্যন্ত এলাকায় কী হতে পারে, তা সহজেই অনুমেয়। চট্টগ্রাম নগরের বাইরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর কারমাইকেল কলেজ, খুলনার বিএল কলেজ এলাকায়ও শিবিরের শক্ত ঘাঁটি রয়েছে। প্রতিটি এলাকায় শিবির-পরিচালিত মেস আছে। এসব মেস ভাড়ার উদ্দেশ্য যদি পড়াশোনা করার জন্য হতো, তা হলে কারও কিছু বলার থাকত না। কিন্তু শিবির মেস করে রাজনৈতিক প্রশিক্ষণ দেওয়ার উদ্দেশ্যে। মেসের পাশাপাশি তাঁরা এলাকার বাসিন্দাদের নানা কৌশলে পক্ষে টানতে চেষ্টা করেন। এমনকি এলাকায় বিয়েশাদি করে স্থায়ী বাসিন্দা হয়ে যাওয়ার ঘটনাও কম নয়। পুলিশ যখন চট্টগ্রামে শিবিরের মেস থেকে অস্ত্র উদ্ধার করছে, তখন শিবিরের নেতারা জামায়াতের আমিরের উপস্থিতিতে দেশ অচল করার হুমকি দেন। এ সাহস তাঁরা কোত্থেকে পান?
আমরা অতীতে দেখেছি, এসব অস্ত্র উদ্ধারের কিছুদিন পর পুলিশের তত্পরতা থেমে যায় এবং মামলার তদন্তও ঠিকমতো হয় না। ফলে অপরাধীরা আইনের ফাঁকফোকর দিয়ে বেরিয়ে আসেন। চট্টগ্রামের ঘটনায় তা হবে না বলেই আমাদের বিশ্বাস। মনে রাখা প্রয়োজন, এটি সাধারণ অপরাধ নয়। এর সঙ্গে সেই রাজনৈতিক অপশক্তি রয়েছে, যারা গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় বিশ্বাস করে না। সারা দেশে শিবিরসহ যেসব ছাত্র নামধারী ব্যক্তি সন্ত্রাস চালাচ্ছেন এবং অবৈধ অস্ত্রের ঘাঁটি গড়ে তুলেছেন, তাঁদের মূলোত্পাটন করতে হবে।
No comments