ডিএসই সাধারণ সূচক পাঁচ হাজার পয়েন্টের মাইলফলক ছাড়াল
দেশের প্রধান স্টক এক্সচেঞ্জ হিসেবে পরিচিত ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাধারণ মূল্যসূচক পাঁচ হাজার পয়েন্টের মাইলফলক ছাড়িয়ে গেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সপ্তাহের শেষ লেনদেন দিবসে ডিএসই সাধারণ সূচক প্রায় ৯৭ পয়েন্ট বেড়ে পাঁচ হাজার ৯৫ পয়েন্ট ছাড়িয়ে গেছে।
বাজার সূত্র বলছে, টেলিযোগাযোগ খাতের শীর্ষস্থানীয় কোম্পানি গ্রামীণফোন লিমিটেডের শেয়ারের মূল্যবৃদ্ধিই সূচক বাড়ার অন্যতম প্রধান কারণ। আর কোম্পানিটির একটি প্রাতিষ্ঠানিক ঘোষণা এ ক্ষেত্রে বড় অবদান রেখেছে।
আগের দিন গ্রামীণফোনের শেয়ারের সমাপনী মূল্য ছিল ২২৬ টাকা ৯০ পয়সা। কিন্তু গতকাল তা ১৭ টাকা ৫০ পয়সা বা প্রায় আট শতাংশ বেড়ে ২৪৪ টাকা ৪০ পয়সায় লেনদেন সমাপ্ত হয়েছে। এতেই সূচক বেড়েছে প্রায় ৬৫ পয়েন্ট। দর বৃদ্ধির তালিকায় থাকা বাকি কোম্পানিগুলো মিলে সূচক বাড়িয়েছে মাত্র ২৯ পয়েন্ট।
ডিএসই কর্তৃপক্ষ মিষ্টি বিতরণের মাধ্যমে সূচক বৃদ্ধির এ ঘটনাটি উদ্যাপন করেছে। তারা বলছে, সূচক বাড়ার এ ঘটনা বাজারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থার বহিঃপ্রকাশ। একই সঙ্গে প্রমাণিত হলো বাজারে প্রচুর নগদ টাকার প্রবাহ রয়েছে। এ ব্যাপারে ডিএসইর সভাপতি রকিবুর রহমান এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, সূচক বাড়লেও নীতিনির্ধারকদের উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। কারণ বাজার এখনো স্থিতিশীল রয়েছে। তবে বাজারের অতিরিক্ত চাহিদার কথা মাথায় রেখে সরকারের উচিত, এ মুহূর্তে রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানিগুলোর শেয়ার সরবরাহ বাড়ানো।
যোগাযোগ করা হলে মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও এবি ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফজলুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ডিএসইর সূচক নতুন মাইলফলক অতিক্রম করেছে, সাধারণভাবে এটি একটি ভালো খবর। এতে অতি উত্সাহী বা অতি উদগ্রীব হলে চলবে না। কারণ সূচক বাড়ার পরও যদি ভালো ভালো শেয়ার বাজারে না আসে, তাহলে খুব একটা লাভ নেই। অর্থনৈতিক অগ্রগতি ও শিল্পায়নে পুঁজিবাজারকে ঠিকভাবে কাজে লাগানো গেলেই সূচক বৃদ্ধি সার্থক হবে।
বাজার পরিস্থিতি: ডিএসইতে গতকাল মোট ২৪১টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যার মোট মূল্য এক হাজার ২৪১ কোটি টাকা। এর মধ্যে গ্রামীণফোনের একাই লেনদেন হয়েছে ১২০ কোটি টাকার শেয়ার, যা মোট লেনদেনের প্রায় ১০ শতাংশ। লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ১৫৩টির, কমেছে ৮৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে পাঁচটি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) মোট ১৭৪টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ১০০টির, কমেছে ৬৬টির ও অপরিবর্তিত ছিল আটটি কোম্পানির দাম।
গতকাল সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক আগের দিনের চেয়ে ২৭২ পয়েন্ট বেড়ে ১৪ হাজার ৭৯৩ পয়েন্ট অতিক্রম করেছে। আর লেনদেন হয়েছে প্রায় ৯৭ কোটি টাকার শেয়ার।
গ্রামীণফোনের ঘোষণা: গ্রামীণফোনের পরিচালনা পর্ষদ গতকাল মূল্যসংবেদনশীল তথ্য হিসেবে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে স্বতন্ত্র একটি কোম্পানি গঠনের ঘোষণা দিয়েছে। গ্রামীণফোন আইটি লিমিটেড নামের প্রস্তাবিত এ কোম্পানিটি হবে গ্রামীণফোনের শতভাগ সাবসিডিয়ারি। ভবিষ্যতে এ কোম্পানিটি তথ্যপ্রযুক্তি খাতে গ্রামীণফোনের যাবতীয় প্রয়োজন পূরণ করবে। একই সঙ্গে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানকেও বাণিজ্যিক ভিত্তিতে তথ্যপ্রযুক্তি সেবা দেবে।
বাজার সূত্র বলছে, গতকাল সকালে ডিএসইর ওয়েবসাইটে এ তথ্য প্রকাশিত হওয়ার পর গ্রামীণফোনের শেয়ারের দাম ও লেনদেন বাড়তে শুরু করে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সপ্তাহের শেষ লেনদেন দিবসে ডিএসই সাধারণ সূচক প্রায় ৯৭ পয়েন্ট বেড়ে পাঁচ হাজার ৯৫ পয়েন্ট ছাড়িয়ে গেছে।
বাজার সূত্র বলছে, টেলিযোগাযোগ খাতের শীর্ষস্থানীয় কোম্পানি গ্রামীণফোন লিমিটেডের শেয়ারের মূল্যবৃদ্ধিই সূচক বাড়ার অন্যতম প্রধান কারণ। আর কোম্পানিটির একটি প্রাতিষ্ঠানিক ঘোষণা এ ক্ষেত্রে বড় অবদান রেখেছে।
আগের দিন গ্রামীণফোনের শেয়ারের সমাপনী মূল্য ছিল ২২৬ টাকা ৯০ পয়সা। কিন্তু গতকাল তা ১৭ টাকা ৫০ পয়সা বা প্রায় আট শতাংশ বেড়ে ২৪৪ টাকা ৪০ পয়সায় লেনদেন সমাপ্ত হয়েছে। এতেই সূচক বেড়েছে প্রায় ৬৫ পয়েন্ট। দর বৃদ্ধির তালিকায় থাকা বাকি কোম্পানিগুলো মিলে সূচক বাড়িয়েছে মাত্র ২৯ পয়েন্ট।
ডিএসই কর্তৃপক্ষ মিষ্টি বিতরণের মাধ্যমে সূচক বৃদ্ধির এ ঘটনাটি উদ্যাপন করেছে। তারা বলছে, সূচক বাড়ার এ ঘটনা বাজারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থার বহিঃপ্রকাশ। একই সঙ্গে প্রমাণিত হলো বাজারে প্রচুর নগদ টাকার প্রবাহ রয়েছে। এ ব্যাপারে ডিএসইর সভাপতি রকিবুর রহমান এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, সূচক বাড়লেও নীতিনির্ধারকদের উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। কারণ বাজার এখনো স্থিতিশীল রয়েছে। তবে বাজারের অতিরিক্ত চাহিদার কথা মাথায় রেখে সরকারের উচিত, এ মুহূর্তে রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানিগুলোর শেয়ার সরবরাহ বাড়ানো।
যোগাযোগ করা হলে মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও এবি ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফজলুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ডিএসইর সূচক নতুন মাইলফলক অতিক্রম করেছে, সাধারণভাবে এটি একটি ভালো খবর। এতে অতি উত্সাহী বা অতি উদগ্রীব হলে চলবে না। কারণ সূচক বাড়ার পরও যদি ভালো ভালো শেয়ার বাজারে না আসে, তাহলে খুব একটা লাভ নেই। অর্থনৈতিক অগ্রগতি ও শিল্পায়নে পুঁজিবাজারকে ঠিকভাবে কাজে লাগানো গেলেই সূচক বৃদ্ধি সার্থক হবে।
বাজার পরিস্থিতি: ডিএসইতে গতকাল মোট ২৪১টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যার মোট মূল্য এক হাজার ২৪১ কোটি টাকা। এর মধ্যে গ্রামীণফোনের একাই লেনদেন হয়েছে ১২০ কোটি টাকার শেয়ার, যা মোট লেনদেনের প্রায় ১০ শতাংশ। লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ১৫৩টির, কমেছে ৮৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে পাঁচটি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) মোট ১৭৪টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ১০০টির, কমেছে ৬৬টির ও অপরিবর্তিত ছিল আটটি কোম্পানির দাম।
গতকাল সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক আগের দিনের চেয়ে ২৭২ পয়েন্ট বেড়ে ১৪ হাজার ৭৯৩ পয়েন্ট অতিক্রম করেছে। আর লেনদেন হয়েছে প্রায় ৯৭ কোটি টাকার শেয়ার।
গ্রামীণফোনের ঘোষণা: গ্রামীণফোনের পরিচালনা পর্ষদ গতকাল মূল্যসংবেদনশীল তথ্য হিসেবে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে স্বতন্ত্র একটি কোম্পানি গঠনের ঘোষণা দিয়েছে। গ্রামীণফোন আইটি লিমিটেড নামের প্রস্তাবিত এ কোম্পানিটি হবে গ্রামীণফোনের শতভাগ সাবসিডিয়ারি। ভবিষ্যতে এ কোম্পানিটি তথ্যপ্রযুক্তি খাতে গ্রামীণফোনের যাবতীয় প্রয়োজন পূরণ করবে। একই সঙ্গে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানকেও বাণিজ্যিক ভিত্তিতে তথ্যপ্রযুক্তি সেবা দেবে।
বাজার সূত্র বলছে, গতকাল সকালে ডিএসইর ওয়েবসাইটে এ তথ্য প্রকাশিত হওয়ার পর গ্রামীণফোনের শেয়ারের দাম ও লেনদেন বাড়তে শুরু করে।
No comments