অকার্যকর উপজেলা পরিষদ -সংবিধান অনুযায়ী জনপ্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা দিন
সব ভালো যার শেষ ভালো তার। উপজেলা পরিষদগুলোর ব্যাপারে শেষ তো দূরের কথা, গোড়াতেই গোলমাল দেখা দিয়েছে। ১১ মাস আগে নির্বাচন হয়ে গেলেও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানরা এখনো দায়িত্বভার পাননি। প্রশাসনে তাঁদের ভূমিকা ও ক্ষমতার আওতা নির্ধারণ নিয়ে প্রশাসনিক জটিলতা সৃষ্টি হয়ে আছে। উপজেলা পরিষদ আইন, ২০০৯ মোতাবেক সাংসদ, আমলাতন্ত্র তথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের মাঝখানে পড়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানরা কার্যত কাগুজে বাঘে পরিণত হয়েছেন। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হওয়া সত্ত্বেও জনগণের সেবা ও উন্নয়নকাজ পরিচালনার প্রশাসনিক ক্ষমতা থেকে তাঁদের বঞ্চিত রাখা হয়েছে বলে নির্বাচিত ৪৮২টি উপজেলার চেয়ারম্যান অভিযোগ তুলেছেন। সম্প্রতি ঢাকায় অনুষ্ঠিত উপজেলা চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানদের সমাবেশে প্রধানমন্ত্রীর কাছে তাঁরা ১০ দফা দাবিও উত্থাপন করেছেন।
বাংলাদেশের সংবিধানে সব পর্যায়ে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের শাসন নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে। তৃণমূল পর্যায়ে গণতন্ত্র কায়েমের প্রধান শর্তও এটি। যত দিন স্থানীয় সরকার তথা উপজেলা, থানা ও ইউনিয়ন পরিষদগুলোর নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি— চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও কাউন্সিলরদের যাবতীয় প্রশাসনিক ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের সংবিধান-নির্ধারিত কর্তৃত্ব না দেওয়া হচ্ছে, তত দিন সর্বস্তরে গণতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিক ভিত্তি রচিত হয়েছে বলে দাবি করা যায় না। কিন্তু উপজেলা পরিষদ আইন, ২০০৯-এর ১৯, ২০, ২২ ও ২৫ ধারার বলে তাঁদের সেই কর্তৃত্ব খর্বিত হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যান ও বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। এসব ধারার বলে নির্বাচিত চেয়ারম্যানদের একদিকে যেমন সাংসদদের অধীন করা হয়েছে, অন্যদিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা থেকে শুরু করে উচ্চতর প্রশাসনের কাছে তাঁদের সাংবিধানিক ক্ষমতাকে রাখা হয়েছে জিম্মি করে। এ ধরনের ব্যবস্থা স্থানীয় সরকারের সংজ্ঞা ও কার্যকারিতার সম্পূর্ণ বিরোধী।
এমনকি আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারেও বলা হয়েছিল, ‘জেলা ও উপজেলার স্থানীয় সরকারকে স্বনির্ভর ও স্বশাসিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলা হবে।’ কিন্তু বাস্তবে হয়েছে উল্টো। উপজেলা পরিষদ আইনের খসড়ার মধ্যে সাংসদদের চাপে চেয়ারম্যানদের ক্ষমতা খর্ব করার বিধান তাই গণতন্ত্রের বিকাশে প্রতিবন্ধক হিসেবেই চিহ্নিত হবে। গ্রামীণ উন্নয়ন, অবকাঠামো নির্মাণ, টেস্ট রিলিফ কার্যক্রমসহ নানাবিধ জনমুখী কর্মসূচি জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমেই বাস্তবায়িত হওয়া উচিত। তা না করে, সাংসদ ও আমলা, এমনকি থানার পুলিশ কর্মকর্তাদেরও তাঁদের ওপর ক্ষমতায়িত করার অর্থ হলো স্থানীয় সরকারকে অঙ্কুরেই
অথর্ব করে রাখা।
বাংলাদেশের সংবিধানে সব পর্যায়ে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের শাসন নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে। তৃণমূল পর্যায়ে গণতন্ত্র কায়েমের প্রধান শর্তও এটি। যত দিন স্থানীয় সরকার তথা উপজেলা, থানা ও ইউনিয়ন পরিষদগুলোর নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি— চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও কাউন্সিলরদের যাবতীয় প্রশাসনিক ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের সংবিধান-নির্ধারিত কর্তৃত্ব না দেওয়া হচ্ছে, তত দিন সর্বস্তরে গণতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিক ভিত্তি রচিত হয়েছে বলে দাবি করা যায় না। কিন্তু উপজেলা পরিষদ আইন, ২০০৯-এর ১৯, ২০, ২২ ও ২৫ ধারার বলে তাঁদের সেই কর্তৃত্ব খর্বিত হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যান ও বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। এসব ধারার বলে নির্বাচিত চেয়ারম্যানদের একদিকে যেমন সাংসদদের অধীন করা হয়েছে, অন্যদিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা থেকে শুরু করে উচ্চতর প্রশাসনের কাছে তাঁদের সাংবিধানিক ক্ষমতাকে রাখা হয়েছে জিম্মি করে। এ ধরনের ব্যবস্থা স্থানীয় সরকারের সংজ্ঞা ও কার্যকারিতার সম্পূর্ণ বিরোধী।
এমনকি আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারেও বলা হয়েছিল, ‘জেলা ও উপজেলার স্থানীয় সরকারকে স্বনির্ভর ও স্বশাসিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলা হবে।’ কিন্তু বাস্তবে হয়েছে উল্টো। উপজেলা পরিষদ আইনের খসড়ার মধ্যে সাংসদদের চাপে চেয়ারম্যানদের ক্ষমতা খর্ব করার বিধান তাই গণতন্ত্রের বিকাশে প্রতিবন্ধক হিসেবেই চিহ্নিত হবে। গ্রামীণ উন্নয়ন, অবকাঠামো নির্মাণ, টেস্ট রিলিফ কার্যক্রমসহ নানাবিধ জনমুখী কর্মসূচি জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমেই বাস্তবায়িত হওয়া উচিত। তা না করে, সাংসদ ও আমলা, এমনকি থানার পুলিশ কর্মকর্তাদেরও তাঁদের ওপর ক্ষমতায়িত করার অর্থ হলো স্থানীয় সরকারকে অঙ্কুরেই
অথর্ব করে রাখা।
No comments