অস্ট্রেলিয়া-বধের স্বপ্ন দেখছেন গেইল
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তারা সর্বশেষ জয়টি পেয়েছে ছয় বছর আগে। অপেক্ষাটি ছয়ের জায়গায় দশ বছরও হতে পারত, যদি ২০০৩ সালের অ্যান্টিগা টেস্টে দুই গায়ানিজ চন্দরপল-সারওয়ানের বীরত্বে চতুর্থ ইনিংসে রেকর্ড গড়া এক অবিশ্বাস্য জয় না পেত ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এর পর থেকেই অস্ট্রেলিয়া-ওয়েস্ট ইন্ডিজ টেস্ট মানে অধিকাংশ সময়েই এক একপেশে লড়াই।
কিন্তু গত অ্যাডিলেড টেস্টটা ড্র করেও যেন জয়ী ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সামনে ম্যাচ বাঁচাতে মাথা নিচু করে লড়ছে অস্ট্রেলিয়া—এ তো ক্রিস গেইলের দলের জন্য জয়েরই সমান। এবং গত ম্যাচ থেকে পাওয়া আত্মবিশ্বাস থেকে ওয়েস্ট অধিনায়ক উঁচু গলায় বলতে পারছেন, ১৬ তারিখ থেকে শুরু হতে যাওয়া পার্থ টেস্টে জয়ের কথাই ভাবছেন তাঁরা, ‘অস্ট্রেলিয়া দলে এখনো অনেক দুর্দান্ত খেলোয়াড়। এখনো তারা দল হিসেবে খুবই শক্তিশালী। কিন্তু তার পরও আমি মনে করি, তাদের হারানো খুবই সম্ভব। অ্যাডিলেডে আমরা ওদের কোণঠাসা করে ফেলেছিলাম। এক দীর্ঘ সময় ধরে ওরা চাপের মুখে ছিল।’
গেইল অবশ্য স্বীকার করে নিলেন, তাঁর দেখা আগের অস্ট্রেলিয়ার চেয়ে এই অস্ট্রেলিয়া দুর্বল, ‘এর আগে আমি যে অসিদের বিপক্ষে খেলেছি, তাদের ব্যাটিং লাইনআপ ছিল অনেক লম্বা আর শক্তিশালী। এই অস্ট্রেলিয়ার বোলিংটাও অনভিজ্ঞ।’
সিরিজের প্রথম ম্যাচে তিন দিনে ইনিংস পরাজয় মেনে নেওয়ার পর এমন দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন! খ্যাতিমান ক্রিকেট লেখক পিটার রোবাকের কাছেও এটিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের জয়ের সমতুল্যই মনে হচ্ছে, ‘ড্র শেষ পর্যন্ত ড্রই। তার পরও সবকিছু বিবেচনা করলে এটা ছিল অসহায় একটা দলের দুর্দান্ত প্রচেষ্টা, যাদের শুধু মান বাঁচাতেই নয়, খেলতে হয়েছে নিজের অস্তিত্ব বাঁচাতেও।’
এক ম্যাচেই এই রূপবদলের রহস্য কী? এর আগে শোনা গিয়েছিল, গেইল নাকি তিন দিনে ম্যাচ হারার পর রুদ্ধদ্বার বৈঠক করে সতীর্থদের অনুপ্রাণিত করেছেন। খেলোয়াড়দের উজ্জীবিত করতে অবদান আছে সাবেক গ্রেট বর্তমানে দলের ম্যানেজার জোয়েল গার্নারেরও। ব্রিসবেনে তিন দিনে পরাজয়ের পর খেলোয়াড়দের নাকি কড়া ধাতানি দিয়েছিলেন সাবেক ফাস্ট বোলার। তবে তিনি ঠিক কী বলেছিলেন সেদিন—‘দলের কথা দলেই থাকুক’ বলে সেটি বলতে রাজি নন গার্নার।
তবে আরেক সাবেক গ্রেট কোর্টনি ওয়ালশের মনে কোনো সন্দেহ নেই, প্রেরণার কেন্দ্রে আছেন গেইল নিজে। গেইলের নেতৃত্বে হূতগৌরবের অনেকটাই পুনরুদ্ধারের স্বপ্নও দেখতে শুরু করেছেন ওয়ালশ।
কিন্তু গত অ্যাডিলেড টেস্টটা ড্র করেও যেন জয়ী ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সামনে ম্যাচ বাঁচাতে মাথা নিচু করে লড়ছে অস্ট্রেলিয়া—এ তো ক্রিস গেইলের দলের জন্য জয়েরই সমান। এবং গত ম্যাচ থেকে পাওয়া আত্মবিশ্বাস থেকে ওয়েস্ট অধিনায়ক উঁচু গলায় বলতে পারছেন, ১৬ তারিখ থেকে শুরু হতে যাওয়া পার্থ টেস্টে জয়ের কথাই ভাবছেন তাঁরা, ‘অস্ট্রেলিয়া দলে এখনো অনেক দুর্দান্ত খেলোয়াড়। এখনো তারা দল হিসেবে খুবই শক্তিশালী। কিন্তু তার পরও আমি মনে করি, তাদের হারানো খুবই সম্ভব। অ্যাডিলেডে আমরা ওদের কোণঠাসা করে ফেলেছিলাম। এক দীর্ঘ সময় ধরে ওরা চাপের মুখে ছিল।’
গেইল অবশ্য স্বীকার করে নিলেন, তাঁর দেখা আগের অস্ট্রেলিয়ার চেয়ে এই অস্ট্রেলিয়া দুর্বল, ‘এর আগে আমি যে অসিদের বিপক্ষে খেলেছি, তাদের ব্যাটিং লাইনআপ ছিল অনেক লম্বা আর শক্তিশালী। এই অস্ট্রেলিয়ার বোলিংটাও অনভিজ্ঞ।’
সিরিজের প্রথম ম্যাচে তিন দিনে ইনিংস পরাজয় মেনে নেওয়ার পর এমন দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন! খ্যাতিমান ক্রিকেট লেখক পিটার রোবাকের কাছেও এটিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের জয়ের সমতুল্যই মনে হচ্ছে, ‘ড্র শেষ পর্যন্ত ড্রই। তার পরও সবকিছু বিবেচনা করলে এটা ছিল অসহায় একটা দলের দুর্দান্ত প্রচেষ্টা, যাদের শুধু মান বাঁচাতেই নয়, খেলতে হয়েছে নিজের অস্তিত্ব বাঁচাতেও।’
এক ম্যাচেই এই রূপবদলের রহস্য কী? এর আগে শোনা গিয়েছিল, গেইল নাকি তিন দিনে ম্যাচ হারার পর রুদ্ধদ্বার বৈঠক করে সতীর্থদের অনুপ্রাণিত করেছেন। খেলোয়াড়দের উজ্জীবিত করতে অবদান আছে সাবেক গ্রেট বর্তমানে দলের ম্যানেজার জোয়েল গার্নারেরও। ব্রিসবেনে তিন দিনে পরাজয়ের পর খেলোয়াড়দের নাকি কড়া ধাতানি দিয়েছিলেন সাবেক ফাস্ট বোলার। তবে তিনি ঠিক কী বলেছিলেন সেদিন—‘দলের কথা দলেই থাকুক’ বলে সেটি বলতে রাজি নন গার্নার।
তবে আরেক সাবেক গ্রেট কোর্টনি ওয়ালশের মনে কোনো সন্দেহ নেই, প্রেরণার কেন্দ্রে আছেন গেইল নিজে। গেইলের নেতৃত্বে হূতগৌরবের অনেকটাই পুনরুদ্ধারের স্বপ্নও দেখতে শুরু করেছেন ওয়ালশ।
No comments