প্রতিমন্ত্রীর বাসায় সৌরবিদ্যুৎ - উৎসাহজনক বার্তাটি কি সবার কাছে যাচ্ছে?
কোপেনহেগেনে যখন জাতিসংঘ জলবায়ু সম্মেলন শুরু হলো, ঠিক তখন ঢাকায় বন ও পরিবেশ প্রতিমন্ত্রী হাছান মাহমুদ তাঁর সরকারি বাসভবনে সৌরবিদ্যুৎ-ব্যবস্থা চালু করে তাত্পর্যপূর্ণ উদাহরণ স্থাপন করলেন। প্রতীকী হলেও এর মূল্য অনেক। দুই কিলোওয়াটের এই সৌরবিদ্যুৎ প্যানেলে বাসার জরুরি কাজগুলো নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করা যাবে। প্রতিদিন দুই ঘণ্টা করে এই বিদ্যুত্ ব্যবহার করলে দুই টন কার্বন নিঃসরণ কমবে। সারা দেশে সৌরবিদ্যুতের ব্যবহার বৃদ্ধির ব্যবস্থা হলে নিঃসন্দেহে তা কার্বন নির্গমন কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে।
তবে শর্ত দুটি। প্রথমত, আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশে সৌরবিদ্যুৎ প্যানেলের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে নামিয়ে আনতে না পারলে সুফল পাওয়া যাবে না। একটি দুই কিলোওয়াট প্যানেলের দাম প্রায় চার লাখ টাকা। এটা সাধারণের নাগালের বাইরে। তাও দূরবর্তী গ্রাম ও বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চলে সৌরবিদ্যুতের ব্যবহার বাড়ছে। তবে তা এখনো কেবল অবস্থাপন্ন গৃহস্থদের ঘরেই শোভা পায়। এটি সাধারণের নাগালের মধ্যে নিয়ে আসতে পারলে দুটি লাভ। শুধু যে কার্বন নিঃসরণ হ্রাস পাবে তা-ই নয়, তেল-গ্যাস পুড়িয়ে বিদ্যুৎ উত্পাদন বৃদ্ধির চাপও কমিয়ে আনা যাবে।
আমাদের দেশে সৌরচুল্লি ব্যবহারেরও বিরাট সুযোগ রয়েছে। প্রায় তিন দশক আগেই আমাদের বিজ্ঞানাগারে সৌরচুল্লি উন্নয়নের গবেষণা চলেছে। একটি চকচকে ধাতব পদার্থের ডিশে প্রতিফলিত সূর্যের আলো কেন্দ্রীভূত করে অনায়াসে ভাত-তরকারি রান্না ও চা বানানো যেতে পারে। দামে সস্তা কিন্তু কাজে দামি এই চুল্লির ব্যাপক প্রচলনের যে সুযোগ রয়েছে, তার সদ্ব্যবহার করা উচিত।
প্রশ্ন হলো, প্রতিমন্ত্রী সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহারের যে উদাহরণ স্থাপন করলেন, তার অন্তর্নিহিত বার্তাটি কি সবাই ঠিকমতো বুঝে নিচ্ছেন? একই দিন প্রথম আলোয় প্রকাশিত খবরে দেখা যাচ্ছে, কক্সবাজারের চকরিয়ায় সংরক্ষিত বনের মধ্যে আওয়ামী লীগ নেতার ইটভাটা চলছে। এর মানে, বন উজাড় ও পরিবেশ ধ্বংস, কার্বন নিঃসরণ বাড়ানো। কাঠ না পুড়িয়ে গ্যাস বা কয়লা পুড়িয়েও ইটভাটা চালানো যায়। এতে ক্ষতি কিছুটা কম হবে। কিন্তু কে শোনে কার কথা। একদিকে প্রতিমন্ত্রী কার্বন নিঃসরণ কমাবেন, আরেক দিকে বন উজাড় করে ও কাঠ পুড়িয়ে অন্যরা কার্বন নিঃসরণ বাড়াবেন, এ দুটি তো একসঙ্গে চলতে পারে না। সরকারকে এদিকে নজর দিতে হবে।
তবে শর্ত দুটি। প্রথমত, আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশে সৌরবিদ্যুৎ প্যানেলের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে নামিয়ে আনতে না পারলে সুফল পাওয়া যাবে না। একটি দুই কিলোওয়াট প্যানেলের দাম প্রায় চার লাখ টাকা। এটা সাধারণের নাগালের বাইরে। তাও দূরবর্তী গ্রাম ও বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চলে সৌরবিদ্যুতের ব্যবহার বাড়ছে। তবে তা এখনো কেবল অবস্থাপন্ন গৃহস্থদের ঘরেই শোভা পায়। এটি সাধারণের নাগালের মধ্যে নিয়ে আসতে পারলে দুটি লাভ। শুধু যে কার্বন নিঃসরণ হ্রাস পাবে তা-ই নয়, তেল-গ্যাস পুড়িয়ে বিদ্যুৎ উত্পাদন বৃদ্ধির চাপও কমিয়ে আনা যাবে।
আমাদের দেশে সৌরচুল্লি ব্যবহারেরও বিরাট সুযোগ রয়েছে। প্রায় তিন দশক আগেই আমাদের বিজ্ঞানাগারে সৌরচুল্লি উন্নয়নের গবেষণা চলেছে। একটি চকচকে ধাতব পদার্থের ডিশে প্রতিফলিত সূর্যের আলো কেন্দ্রীভূত করে অনায়াসে ভাত-তরকারি রান্না ও চা বানানো যেতে পারে। দামে সস্তা কিন্তু কাজে দামি এই চুল্লির ব্যাপক প্রচলনের যে সুযোগ রয়েছে, তার সদ্ব্যবহার করা উচিত।
প্রশ্ন হলো, প্রতিমন্ত্রী সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহারের যে উদাহরণ স্থাপন করলেন, তার অন্তর্নিহিত বার্তাটি কি সবাই ঠিকমতো বুঝে নিচ্ছেন? একই দিন প্রথম আলোয় প্রকাশিত খবরে দেখা যাচ্ছে, কক্সবাজারের চকরিয়ায় সংরক্ষিত বনের মধ্যে আওয়ামী লীগ নেতার ইটভাটা চলছে। এর মানে, বন উজাড় ও পরিবেশ ধ্বংস, কার্বন নিঃসরণ বাড়ানো। কাঠ না পুড়িয়ে গ্যাস বা কয়লা পুড়িয়েও ইটভাটা চালানো যায়। এতে ক্ষতি কিছুটা কম হবে। কিন্তু কে শোনে কার কথা। একদিকে প্রতিমন্ত্রী কার্বন নিঃসরণ কমাবেন, আরেক দিকে বন উজাড় করে ও কাঠ পুড়িয়ে অন্যরা কার্বন নিঃসরণ বাড়াবেন, এ দুটি তো একসঙ্গে চলতে পারে না। সরকারকে এদিকে নজর দিতে হবে।
No comments