‘ওসামাকে হত্যা ছাড়া আল-কায়েদাকে পরাস্ত করা যাবে না’
আফগানিস্তানে শীর্ষ মার্কিন কমান্ডার জেনারেল স্ট্যানলি ম্যাকক্রিস্টালের ধারণা ওসামা বিন লাদেনকে হত্যা কিংবা গ্রেপ্তার না করা পর্যন্ত আল-কায়েদাকে পরাজিত করা যাবে না। আফগানিস্তান বিষয়ে সিনেটের এক শুনানিতে তিনি এ কথা বলেন।
সিনেটরদের প্রশ্নের জবাবে ম্যাকক্রিস্টাল বলেন, ‘ওসামা বিন লাদেনকে যত দিন পর্যন্ত না গ্রেপ্তার কিংবা হত্যা করা যাবে, তত দিন পর্যন্ত আমরা আল-কায়েদাকে চূড়ান্তভাবে পরাজিত করতে পারব বলে মনে হয় না।’
সিনেটের আর্মড সার্ভিসেস কমিটিতে তিনি বলেন, ওসামা বিন লাদেন এ মুহূর্তে এমন একটি চরিত্র, যার বেঁচে থাকা বিশ্বজুড়ে আল-কায়েদাকে সাহস জুগিয়ে যাচ্ছে।
তবে বিন লাদেনের মৃত্যু কিংবা গ্রেপ্তার আল-কায়েদা নেটওয়ার্ককে একেবারেই ভেঙে দেবে না বলেও হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন জেনারেল ম্যাকক্রিস্টাল।
শুনানিতে আফগানিস্তানে মার্কিন রাষ্ট্রদূত কার্ল আইকেনবেরি বলেন, ‘এটা এখনো মার্কিন জনগণের কাছে গুরুত্বপূর্ণ যে একদিন ওসামা বিন লাদেনকে হত্যা করা হবে কিংবা গ্রেপ্তার করে ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরের হত্যাকাণ্ডের দায়দায়িত্বের জন্য বিচারের মুখোমুখি করা হবে। বস্তুত এটা বিশ্ববাসীর কাছেও গুরুত্বপূর্ণ।’
সিনেটর জর্জ লেমিউক্সের এক প্রশ্নের জবাবে জেনারেল ম্যাকক্রিস্টাল বলেন, ‘ওসামা বিন লাদেন যদি আফগানিস্তানে যান, তাহলে আমাদের সব বাহিনীর জন্য তাকে হত্যা বা গ্রেপ্তার করা অগ্রাধিকারে পরিণত হবে।’
মার্কিন কর্মকর্তাদের ধারণা, আল-কায়েদা প্রধান ওসামা বিন লাদেন আফগানিস্তান ও পাকিস্তান-সীমান্তবর্তী দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় লুকিয়ে রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেমস জোনস সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে বলেছেন, সর্বশেষ গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে যে ওসামা বিন লাদেন উত্তর ওয়াজিরিস্তানের কোথাও লুকিয়ে আছে। তিনি কখনো সীমান্তের পাকিস্তানি অংশে অবস্থান করেন, কখনো বা আফগান অংশে থাকেন।
যদিও মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রবার্ট গেটস বলেছেন, বিন লাদেন কোথায় আছেন ওয়াশিংটন সেটা জানে না। তাঁর অবস্থান সম্পর্কে কয়েক বছর ধরে বিশ্বাসযোগ্য কোনো তথ্য নেই তাঁদের কাছে।
গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটের বৈদেশিক সম্পর্কবিষয়ক কমিটির এক প্রতিবেদনে ২০০১ সালের শেষ দিকে আফগানিস্তানের তোরাবোরা গুহা থেকে পালিয়ে যাওয়া লাদেনের পিছু ধাওয়া করতে বাস্তবসম্মত প্রচেষ্টার অভাবের জন্য তত্কালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের প্রশাসন ও সামরিক কমান্ডারদের দোষারোপ করা হয়।
সিনেটরদের প্রশ্নের জবাবে ম্যাকক্রিস্টাল বলেন, ‘ওসামা বিন লাদেনকে যত দিন পর্যন্ত না গ্রেপ্তার কিংবা হত্যা করা যাবে, তত দিন পর্যন্ত আমরা আল-কায়েদাকে চূড়ান্তভাবে পরাজিত করতে পারব বলে মনে হয় না।’
সিনেটের আর্মড সার্ভিসেস কমিটিতে তিনি বলেন, ওসামা বিন লাদেন এ মুহূর্তে এমন একটি চরিত্র, যার বেঁচে থাকা বিশ্বজুড়ে আল-কায়েদাকে সাহস জুগিয়ে যাচ্ছে।
তবে বিন লাদেনের মৃত্যু কিংবা গ্রেপ্তার আল-কায়েদা নেটওয়ার্ককে একেবারেই ভেঙে দেবে না বলেও হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন জেনারেল ম্যাকক্রিস্টাল।
শুনানিতে আফগানিস্তানে মার্কিন রাষ্ট্রদূত কার্ল আইকেনবেরি বলেন, ‘এটা এখনো মার্কিন জনগণের কাছে গুরুত্বপূর্ণ যে একদিন ওসামা বিন লাদেনকে হত্যা করা হবে কিংবা গ্রেপ্তার করে ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরের হত্যাকাণ্ডের দায়দায়িত্বের জন্য বিচারের মুখোমুখি করা হবে। বস্তুত এটা বিশ্ববাসীর কাছেও গুরুত্বপূর্ণ।’
সিনেটর জর্জ লেমিউক্সের এক প্রশ্নের জবাবে জেনারেল ম্যাকক্রিস্টাল বলেন, ‘ওসামা বিন লাদেন যদি আফগানিস্তানে যান, তাহলে আমাদের সব বাহিনীর জন্য তাকে হত্যা বা গ্রেপ্তার করা অগ্রাধিকারে পরিণত হবে।’
মার্কিন কর্মকর্তাদের ধারণা, আল-কায়েদা প্রধান ওসামা বিন লাদেন আফগানিস্তান ও পাকিস্তান-সীমান্তবর্তী দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় লুকিয়ে রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেমস জোনস সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে বলেছেন, সর্বশেষ গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে যে ওসামা বিন লাদেন উত্তর ওয়াজিরিস্তানের কোথাও লুকিয়ে আছে। তিনি কখনো সীমান্তের পাকিস্তানি অংশে অবস্থান করেন, কখনো বা আফগান অংশে থাকেন।
যদিও মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রবার্ট গেটস বলেছেন, বিন লাদেন কোথায় আছেন ওয়াশিংটন সেটা জানে না। তাঁর অবস্থান সম্পর্কে কয়েক বছর ধরে বিশ্বাসযোগ্য কোনো তথ্য নেই তাঁদের কাছে।
গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটের বৈদেশিক সম্পর্কবিষয়ক কমিটির এক প্রতিবেদনে ২০০১ সালের শেষ দিকে আফগানিস্তানের তোরাবোরা গুহা থেকে পালিয়ে যাওয়া লাদেনের পিছু ধাওয়া করতে বাস্তবসম্মত প্রচেষ্টার অভাবের জন্য তত্কালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের প্রশাসন ও সামরিক কমান্ডারদের দোষারোপ করা হয়।
No comments