শ্রীলঙ্কা-মালদ্বীপ যেন ‘যুদ্ধ’!
দুই দলের থিংক ট্যাংক সংবাদ সম্মেলনে যা বলে গেল, তাতে মালদ্বীপ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচটাকে শুধুই সাফের ফাইনালে ওঠার লড়াই বলা যাচ্ছে না।
শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক চাথুরা মাদুরাঙ্গা যতই বললেন, ‘না, না, এটা প্রতিশোধের ম্যাচ নয়। কোনো চাপ নিচ্ছি না আমরা। তবে আমরা চ্যালেঞ্জ নিতে তৈরি’, তার পরও সংবাদ সম্মেলনজুড়েই থাকল ‘যুদ্ধে’র আবহ। মালদ্বীপের হাঙ্গেরিয়ান কোচ ইস্তবান বেলা যখন বলেন “এই ম্যাচ আমাদের জন্য অনন্য এক ম্যাচ। এটা ‘ডার্বি’ ম্যাচ। আবেগের ম্যাচ”, তখন তো নড়েচড়ে বসতেই হয়!
ডার্বি ম্যাচ হয় একই শহরের দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে। কিন্তু শ্রীলঙ্কা আর মালদ্বীপ তো দুটি দেশ! তার পরও কেন এটি ‘ডার্বি’ ম্যাচ? আসলে ভারত মহাসাগরের দুই প্রতিবেশী দেশকে এখনো অনেকে আলাদা করে দেখেন না। শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক চাথুরা, দুই স্ট্রাইকার কাসুন জয়াসুরিয়া, ইবি চান্নাসহ আরও কয়েকজন খেলোয়াড় মালদ্বীপ লিগে খেলেন। তাঁরা মালদ্বীপ ফুটবলের আদ্যন্ত জানেন। আবার মালদ্বীপও শ্রীলঙ্কার ফুটবলের সব জানে। কলম্বো আর মালের মধ্যে ব্যবধান-রেখা টানতে চাননি বলেই ডার্বি ম্যাচ বলে মালদ্বীপ কোচের অমন বিশেষণ। শুধু কি তাই, মালদ্বীপের ফুটবল এগিয়েছে তো শ্রীলঙ্কার সাহায্য নিয়েই।
একসময় শ্রীলঙ্কার কোচরা মালদ্বীপে গিয়ে ওখানখার তরুণদের ফুটবল শেখাতেন। অর্থাত্ শ্রীলঙ্কা হচ্ছে ফুটবলে মালদ্বীপের ‘মাস্টার’। মালদ্বীপ ছাত্র হয়ে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে শ্রীলঙ্কাকে হারাচ্ছে, এটা মেনে নিতে পারছে না শ্রীলঙ্কানরা। তাদের কাছে তাই এটি ‘মর্যাদার’ ম্যাচ!
‘আজ থেকে ২০-২৫ বছর আগে আমাদের কোচরা মালদ্বীপে গিয়ে ওদের ফুটবল শিখিয়েছে। বুঝতেই পারছেন, ওদের কাছে পরাজয় মানতে পারি না আমরা’—সংবাদ সম্মেলনে না বললেও পরে দু দেশের ফুটবল সম্পর্কের ইতিহাসটা এভাবেই ব্যাখ্যা করলেন শ্রীলঙ্কান অধিনায়ক। গত বছর সাফ ফুটবলের সেমিফাইনালে এই মালদ্বীপের কাছে হারের ক্ষতটা এখনো শুকায়নি। পরিসংখ্যানে চোখ রেখে তো তাঁর আরও তেতে থাকার কথা। দু দলের ১৪টি লড়াইয়ে মালদ্বীপ এগিয়ে ৫-২ ব্যবধানে। বাকি ৭ ম্যাচ ড্র। সাফে কখনো মালদ্বীপকে হারাতে পারেনি শ্রীলঙ্কা। এই দু দলের খেলা কখনো কখনো খেলার চেতনাকেও আঘাত করে। কাঠমান্ডুতে ১৯৯৭ সাফ ফুটবলের সেমিফাইনালে মালদ্বীপের কাছে হারের প্রতিশোধ নিয়েছিল শ্রীলঙ্কা এক লঙ্কাকাণ্ড করে। মালদ্বীপের খেলোয়াড়দের তারা মারধর করেছিল কুংফু-কারাতে স্টাইলে।
আজ জিততেই হবে—শ্রীলঙ্কা শিবিরে একটাই প্রতিজ্ঞা। আজ পুরো শক্তির দল নিয়ে মাঠে নামতে পারছে বলে বেশ আত্মবিশ্বাসী দেখাচ্ছে শ্রীলঙ্কাকে। গত ম্যাচে ছয়জন খেলেননি, যাঁদের চারজনই ছিলেন ডিফেন্ডার। বড় অস্ত্র চান্না আর কাসুনকে এই ম্যাচ নিয়ে জিজ্ঞেস করলে আত্মবিশ্বাসী জবাব, ‘সে অনেক লম্বা ইতিহাস। আমরা তাদের সবই জানি। কাজেই আমরা ভালো খেললে অবশ্যই জিতব।’
শ্রীলঙ্কা যতই আশাবাদী থাকুক, তাদের জন্য চিন্তার কারণ মালদ্বীপ অধিনায়ক আশফাক আলী। দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম সেরা এই খেলোয়াড়কে ঘিরে আবর্তিত হচ্ছে মালদ্বীপের সব আশা। তবে কোচ বারবারই বলে গেলেন, ‘আমরা প্রতিপক্ষকে সম্মান জানাই। তবে রেফারিং নিয়ে আমার আপত্তি আছে। আশা করি ভালো রেফারিং হবে এ ম্যাচে।’
মালদ্বীপের এক সাংবাদিকের মুখে শোনা, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয় দেখার জন্য গোটা মালদ্বীপ উদগ্রীব হয়ে আছে।
শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক চাথুরা মাদুরাঙ্গা যতই বললেন, ‘না, না, এটা প্রতিশোধের ম্যাচ নয়। কোনো চাপ নিচ্ছি না আমরা। তবে আমরা চ্যালেঞ্জ নিতে তৈরি’, তার পরও সংবাদ সম্মেলনজুড়েই থাকল ‘যুদ্ধে’র আবহ। মালদ্বীপের হাঙ্গেরিয়ান কোচ ইস্তবান বেলা যখন বলেন “এই ম্যাচ আমাদের জন্য অনন্য এক ম্যাচ। এটা ‘ডার্বি’ ম্যাচ। আবেগের ম্যাচ”, তখন তো নড়েচড়ে বসতেই হয়!
ডার্বি ম্যাচ হয় একই শহরের দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে। কিন্তু শ্রীলঙ্কা আর মালদ্বীপ তো দুটি দেশ! তার পরও কেন এটি ‘ডার্বি’ ম্যাচ? আসলে ভারত মহাসাগরের দুই প্রতিবেশী দেশকে এখনো অনেকে আলাদা করে দেখেন না। শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক চাথুরা, দুই স্ট্রাইকার কাসুন জয়াসুরিয়া, ইবি চান্নাসহ আরও কয়েকজন খেলোয়াড় মালদ্বীপ লিগে খেলেন। তাঁরা মালদ্বীপ ফুটবলের আদ্যন্ত জানেন। আবার মালদ্বীপও শ্রীলঙ্কার ফুটবলের সব জানে। কলম্বো আর মালের মধ্যে ব্যবধান-রেখা টানতে চাননি বলেই ডার্বি ম্যাচ বলে মালদ্বীপ কোচের অমন বিশেষণ। শুধু কি তাই, মালদ্বীপের ফুটবল এগিয়েছে তো শ্রীলঙ্কার সাহায্য নিয়েই।
একসময় শ্রীলঙ্কার কোচরা মালদ্বীপে গিয়ে ওখানখার তরুণদের ফুটবল শেখাতেন। অর্থাত্ শ্রীলঙ্কা হচ্ছে ফুটবলে মালদ্বীপের ‘মাস্টার’। মালদ্বীপ ছাত্র হয়ে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে শ্রীলঙ্কাকে হারাচ্ছে, এটা মেনে নিতে পারছে না শ্রীলঙ্কানরা। তাদের কাছে তাই এটি ‘মর্যাদার’ ম্যাচ!
‘আজ থেকে ২০-২৫ বছর আগে আমাদের কোচরা মালদ্বীপে গিয়ে ওদের ফুটবল শিখিয়েছে। বুঝতেই পারছেন, ওদের কাছে পরাজয় মানতে পারি না আমরা’—সংবাদ সম্মেলনে না বললেও পরে দু দেশের ফুটবল সম্পর্কের ইতিহাসটা এভাবেই ব্যাখ্যা করলেন শ্রীলঙ্কান অধিনায়ক। গত বছর সাফ ফুটবলের সেমিফাইনালে এই মালদ্বীপের কাছে হারের ক্ষতটা এখনো শুকায়নি। পরিসংখ্যানে চোখ রেখে তো তাঁর আরও তেতে থাকার কথা। দু দলের ১৪টি লড়াইয়ে মালদ্বীপ এগিয়ে ৫-২ ব্যবধানে। বাকি ৭ ম্যাচ ড্র। সাফে কখনো মালদ্বীপকে হারাতে পারেনি শ্রীলঙ্কা। এই দু দলের খেলা কখনো কখনো খেলার চেতনাকেও আঘাত করে। কাঠমান্ডুতে ১৯৯৭ সাফ ফুটবলের সেমিফাইনালে মালদ্বীপের কাছে হারের প্রতিশোধ নিয়েছিল শ্রীলঙ্কা এক লঙ্কাকাণ্ড করে। মালদ্বীপের খেলোয়াড়দের তারা মারধর করেছিল কুংফু-কারাতে স্টাইলে।
আজ জিততেই হবে—শ্রীলঙ্কা শিবিরে একটাই প্রতিজ্ঞা। আজ পুরো শক্তির দল নিয়ে মাঠে নামতে পারছে বলে বেশ আত্মবিশ্বাসী দেখাচ্ছে শ্রীলঙ্কাকে। গত ম্যাচে ছয়জন খেলেননি, যাঁদের চারজনই ছিলেন ডিফেন্ডার। বড় অস্ত্র চান্না আর কাসুনকে এই ম্যাচ নিয়ে জিজ্ঞেস করলে আত্মবিশ্বাসী জবাব, ‘সে অনেক লম্বা ইতিহাস। আমরা তাদের সবই জানি। কাজেই আমরা ভালো খেললে অবশ্যই জিতব।’
শ্রীলঙ্কা যতই আশাবাদী থাকুক, তাদের জন্য চিন্তার কারণ মালদ্বীপ অধিনায়ক আশফাক আলী। দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম সেরা এই খেলোয়াড়কে ঘিরে আবর্তিত হচ্ছে মালদ্বীপের সব আশা। তবে কোচ বারবারই বলে গেলেন, ‘আমরা প্রতিপক্ষকে সম্মান জানাই। তবে রেফারিং নিয়ে আমার আপত্তি আছে। আশা করি ভালো রেফারিং হবে এ ম্যাচে।’
মালদ্বীপের এক সাংবাদিকের মুখে শোনা, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয় দেখার জন্য গোটা মালদ্বীপ উদগ্রীব হয়ে আছে।
No comments