পাকিস্তানে গ্রেপ্তার পাঁচ বিদেশি সম্পর্কে তদন্ত করছে এফবিআই
পাকিস্তানের পাঞ্জাবের পূর্বাঞ্চলীয় সারঘোদা জেলায় গ্রেপ্তার পাঁচজন বিদেশি নাগরিকের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই। গতকাল বৃহস্পতিবার এফবিআই কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এ পাঁচজন গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া অঙ্গরাজ্য থেকে নিখোঁজ হওয়া পাঁচ মার্কিন নাগরিক কি না তা নিশ্চিত করতে তদন্ত চলছে। এদিকে গতকাল তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পাকিস্তানি গোয়েন্দারা।
সারঘোদা জেলার পুলিশপ্রধান উসমান আনোয়ার জানান, গত বুধবার নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জয়েশ-ই-মোহাম্মদের এক সদস্যের বাড়ি থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে কমপক্ষে দুজন পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক। বাকি তিনজনের মধ্যে একজন মিসরীয়, একজন ইথিওপীয় ও একজন ইরিত্রীয়। আল-কায়েদার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে এদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। উসমান আনোয়ার আরও জানান, খালিদ চৌধুরী নামের একজন মার্কিন নাগরিককেও গ্রেপ্তার করেছেন তাঁরা। খালিদ জয়েশ-ই-মোহাম্মদের স্থানীয় নেতা।
সারঘোদার আরেকজন ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা হাসিব শাহ গ্রেপ্তারের ঘটনা এবং গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের জাতীয়তা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ওই ছয়জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে দুই সদস্যের একটি এফবিআই দল সারঘোদা পৌঁছেছে।
এফবিআইয়ের মুখপাত্র ক্যাথেরিন শোয়েট জানান, তাঁরা ওই গ্রেপ্তারের ঘটনা সম্পর্কে অবহিত আছেন। নিখোঁজ মার্কিন নাগরিকদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও তাঁদের যোগাযোগ আছে। তিনি আরও বলেন, ‘গ্রেপ্তার করা ব্যক্তিদের পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার জন্য পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমরা কাজ করছি। পাশাপাশি তারা সেখানে কী করছিল, তাও জানার চেষ্টা চলছে।’ মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ইয়ান কেলি বলেন, ‘যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তারা মার্কিন নাগরিক হলে আমরা তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের বিষয়ে জানতে আগ্রহী।’ এদিকে ইসলামাবাদে মার্কিন দূতাবাস গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের জাতীয়তা নিশ্চিত করেনি।
এদিকে বুধবার ওয়াশিংটনভিত্তিক কাউন্সিল অন আমেরিকান ইসলামিক রিলেশন (সিএআইআর) সংস্থার নির্বাহী পরিচালক নাহিদ আওয়াদ জানান, গ্রেপ্তার হওয়া মার্কিন নাগরিকদের পরিবারের সদস্যরা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। তারা একটি ভিডিও টেপও সঙ্গে এনেছিল। এতে দেখা গেছে, ভিডিও বার্তার মাধ্যমে পাঁচজন মার্কিন নাগরিক বিদায়ী বক্তব্য দিয়েছে। তবে ওই নাগরিকদের পরিচয় জানাননি তিনি।
জঙ্গি প্রশিক্ষণের ঘাঁটি পাকিস্তানে: জঙ্গি সন্দেহে মার্কিন নাগরিকদের গ্রেপ্তারের ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন বলেন, পাকিস্তানের আফগানিস্তান সীমান্তসংলগ্ন এলাকাতেই মূলত জঙ্গিদের নির্দেশনা ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। বুধবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের কার্যালয়ে হিলারি সাংবাদিকদের বলেন, ‘জঙ্গি দমনের বিষয়ে আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে চাই আমরা।’
সারঘোদা জেলার পুলিশপ্রধান উসমান আনোয়ার জানান, গত বুধবার নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জয়েশ-ই-মোহাম্মদের এক সদস্যের বাড়ি থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে কমপক্ষে দুজন পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক। বাকি তিনজনের মধ্যে একজন মিসরীয়, একজন ইথিওপীয় ও একজন ইরিত্রীয়। আল-কায়েদার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে এদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। উসমান আনোয়ার আরও জানান, খালিদ চৌধুরী নামের একজন মার্কিন নাগরিককেও গ্রেপ্তার করেছেন তাঁরা। খালিদ জয়েশ-ই-মোহাম্মদের স্থানীয় নেতা।
সারঘোদার আরেকজন ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা হাসিব শাহ গ্রেপ্তারের ঘটনা এবং গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের জাতীয়তা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ওই ছয়জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে দুই সদস্যের একটি এফবিআই দল সারঘোদা পৌঁছেছে।
এফবিআইয়ের মুখপাত্র ক্যাথেরিন শোয়েট জানান, তাঁরা ওই গ্রেপ্তারের ঘটনা সম্পর্কে অবহিত আছেন। নিখোঁজ মার্কিন নাগরিকদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও তাঁদের যোগাযোগ আছে। তিনি আরও বলেন, ‘গ্রেপ্তার করা ব্যক্তিদের পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার জন্য পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমরা কাজ করছি। পাশাপাশি তারা সেখানে কী করছিল, তাও জানার চেষ্টা চলছে।’ মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ইয়ান কেলি বলেন, ‘যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তারা মার্কিন নাগরিক হলে আমরা তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের বিষয়ে জানতে আগ্রহী।’ এদিকে ইসলামাবাদে মার্কিন দূতাবাস গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের জাতীয়তা নিশ্চিত করেনি।
এদিকে বুধবার ওয়াশিংটনভিত্তিক কাউন্সিল অন আমেরিকান ইসলামিক রিলেশন (সিএআইআর) সংস্থার নির্বাহী পরিচালক নাহিদ আওয়াদ জানান, গ্রেপ্তার হওয়া মার্কিন নাগরিকদের পরিবারের সদস্যরা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। তারা একটি ভিডিও টেপও সঙ্গে এনেছিল। এতে দেখা গেছে, ভিডিও বার্তার মাধ্যমে পাঁচজন মার্কিন নাগরিক বিদায়ী বক্তব্য দিয়েছে। তবে ওই নাগরিকদের পরিচয় জানাননি তিনি।
জঙ্গি প্রশিক্ষণের ঘাঁটি পাকিস্তানে: জঙ্গি সন্দেহে মার্কিন নাগরিকদের গ্রেপ্তারের ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন বলেন, পাকিস্তানের আফগানিস্তান সীমান্তসংলগ্ন এলাকাতেই মূলত জঙ্গিদের নির্দেশনা ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। বুধবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের কার্যালয়ে হিলারি সাংবাদিকদের বলেন, ‘জঙ্গি দমনের বিষয়ে আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে চাই আমরা।’
No comments