আইন প্রণয়ন করে বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে -জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি
গত ১২ বছরেও নারী উন্নয়ন নীতির বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। ঘোষণা আর পুনর্ঘোষণাতেই আটকে আছে এর ভবিষ্যত্। বর্তমান মহাজোট সরকারের অঙ্গীকারের মধ্যে নারী উন্নয়ন নীতি বাস্তবায়নের ঘোষণা রয়েছে। কার্যত এর বাস্তবায়নই এখন সবচেয়ে বড় কথা। নারী-পুরুষের সমান অধিকার প্রতিষ্ঠা করা ছাড়া একটি সমাজ সমৃদ্ধ ও মানবিক হতে পারে না। আর এ কাজটি রাষ্ট্রীয় উত্সাহ ও পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া সম্ভব নয়।
১৯৯৭ সালের নারী উন্নয়ন নীতিটি বাংলাদেশে নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে। এ নীতিটি প্রণয়ন করা হয় বেইজিং সম্মেলন এবং জাতিসংঘ-ঘোষিত নারীর বিরুদ্ধে সব ধরনের বৈষম্য বিলোপ সনদের (সিডও) আলোকে। এই নীতি প্রণয়নের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে সম্পৃক্ত ছিলেন নারী অধিকার ও নারী আন্দোলনের কর্মী ও বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু আওয়ামী লীগ তার শাসনামলে এ নীতির বাস্তবায়ন সম্পন্ন করতে পারেনি। বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় আরোহণের পর দৃশ্যপট পাল্টে যায়। তারা কোনো রকম আলাপ-আলোচনা ছাড়াই নারী উন্নয়ন নীতিটি গোপনে সংশোধন করে ২০০৪ সালের মে মাসে প্রকাশ করে, যেখানে নারীর অধিকারের মৌলিক প্রশ্নগুলোই এড়িয়ে যাওয়া হয়। বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় এসে ২০০৪-এর পশ্চাত্পদ নারীনীতিটি বাতিল করে ‘নারী উন্নয়ন নীতি, ২০০৮’ ঘোষণা করে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ের সীমাবদ্ধতার কারণে ওই নীতিটিও আর বাস্তবায়িত হয়নি।
মহাজোট সরকার ক্ষমতায় এসে ইতিমধ্যে নারীর ক্ষমতায়নের প্রশ্নে অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, সংসদ উপনেতার মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে নারীর নিয়োগ এ সরকারের নারীবান্ধব দৃষ্টিভঙ্গিরই প্রতিফলন। সরকার সম্প্রতি বাবার সমান্তরালে মায়ের একক অভিভাবকত্ব নিশ্চিত করেছে। ১৯৯৮ সালে শেখ হাসিনার ঘোষণার মাধ্যমেই সব দাপ্তরিক কাজে বাবার পাশাপাশি মায়ের নামের প্রচলন হয়েছে, যার সুফল আমরা এখন পাচ্ছি। নারী বিষয়ে শেখ হাসিনা সরকারের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড প্রমাণ করে, এ সরকারের পক্ষেই নারী উন্নয়ন নীতি বাস্তবায়ন করা সম্ভব।
সরকার বলছে, ১৯৯৭ সালের নারী উন্নয়ন নীতি পুনর্বহাল করবে। সরকারের সদিচ্ছার প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই আমরা বলতে চাই, আবার ১২ বছর পেছনে যাওয়ার দরকার কী? ২০০৮ সালের নীতি বাস্তবায়ন করতে অসুবিধা কোথায়? কারণ, ১৯৯৭ সালের নারী উন্নয়ন নীতি এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার-ঘোষিত নারী উন্নয়ন নীতি ২০০৮-এর মধ্যে মৌলিক কোনো পার্থক্য নেই। শুধু কাজের আওতা না বাড়িয়ে নারী উন্নয়ন নীতি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সরকারের মনোযোগী হওয়া উচিত।
এ বছর সংরক্ষিত নারী আসনের মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে। সরকার অঙ্গীকার করেছে, সংরক্ষিত নারী আসনে সরাসরি নির্বাচনের জন্য আইন প্রণয়ন করবে। আশা করা যায়, সরকার তার অবস্থান থেকে পিছু হটবে না।
মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী শিরিন শারমীন চৌধুরী বলেছেন, সরকার শিগগিরই আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি ঘোষণা করবে। আমরা আশা করব, সরকার শুধু ঘোষণার মধ্যেই তা সীমাবদ্ধ রাখবে না, সুনির্দিষ্ট আইন প্রণয়ন করে নারী উন্নয়ন নীতির যথাযথ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করবে।
১৯৯৭ সালের নারী উন্নয়ন নীতিটি বাংলাদেশে নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে। এ নীতিটি প্রণয়ন করা হয় বেইজিং সম্মেলন এবং জাতিসংঘ-ঘোষিত নারীর বিরুদ্ধে সব ধরনের বৈষম্য বিলোপ সনদের (সিডও) আলোকে। এই নীতি প্রণয়নের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে সম্পৃক্ত ছিলেন নারী অধিকার ও নারী আন্দোলনের কর্মী ও বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু আওয়ামী লীগ তার শাসনামলে এ নীতির বাস্তবায়ন সম্পন্ন করতে পারেনি। বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় আরোহণের পর দৃশ্যপট পাল্টে যায়। তারা কোনো রকম আলাপ-আলোচনা ছাড়াই নারী উন্নয়ন নীতিটি গোপনে সংশোধন করে ২০০৪ সালের মে মাসে প্রকাশ করে, যেখানে নারীর অধিকারের মৌলিক প্রশ্নগুলোই এড়িয়ে যাওয়া হয়। বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় এসে ২০০৪-এর পশ্চাত্পদ নারীনীতিটি বাতিল করে ‘নারী উন্নয়ন নীতি, ২০০৮’ ঘোষণা করে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ের সীমাবদ্ধতার কারণে ওই নীতিটিও আর বাস্তবায়িত হয়নি।
মহাজোট সরকার ক্ষমতায় এসে ইতিমধ্যে নারীর ক্ষমতায়নের প্রশ্নে অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, সংসদ উপনেতার মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে নারীর নিয়োগ এ সরকারের নারীবান্ধব দৃষ্টিভঙ্গিরই প্রতিফলন। সরকার সম্প্রতি বাবার সমান্তরালে মায়ের একক অভিভাবকত্ব নিশ্চিত করেছে। ১৯৯৮ সালে শেখ হাসিনার ঘোষণার মাধ্যমেই সব দাপ্তরিক কাজে বাবার পাশাপাশি মায়ের নামের প্রচলন হয়েছে, যার সুফল আমরা এখন পাচ্ছি। নারী বিষয়ে শেখ হাসিনা সরকারের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড প্রমাণ করে, এ সরকারের পক্ষেই নারী উন্নয়ন নীতি বাস্তবায়ন করা সম্ভব।
সরকার বলছে, ১৯৯৭ সালের নারী উন্নয়ন নীতি পুনর্বহাল করবে। সরকারের সদিচ্ছার প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই আমরা বলতে চাই, আবার ১২ বছর পেছনে যাওয়ার দরকার কী? ২০০৮ সালের নীতি বাস্তবায়ন করতে অসুবিধা কোথায়? কারণ, ১৯৯৭ সালের নারী উন্নয়ন নীতি এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার-ঘোষিত নারী উন্নয়ন নীতি ২০০৮-এর মধ্যে মৌলিক কোনো পার্থক্য নেই। শুধু কাজের আওতা না বাড়িয়ে নারী উন্নয়ন নীতি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সরকারের মনোযোগী হওয়া উচিত।
এ বছর সংরক্ষিত নারী আসনের মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে। সরকার অঙ্গীকার করেছে, সংরক্ষিত নারী আসনে সরাসরি নির্বাচনের জন্য আইন প্রণয়ন করবে। আশা করা যায়, সরকার তার অবস্থান থেকে পিছু হটবে না।
মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী শিরিন শারমীন চৌধুরী বলেছেন, সরকার শিগগিরই আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি ঘোষণা করবে। আমরা আশা করব, সরকার শুধু ঘোষণার মধ্যেই তা সীমাবদ্ধ রাখবে না, সুনির্দিষ্ট আইন প্রণয়ন করে নারী উন্নয়ন নীতির যথাযথ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করবে।
No comments