নতুন মাত্রার সংযোজন -প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা
এবারই প্রথম সারা দেশে একসঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হলো। উল্লেখ করার মতো বিষয় হলো, শিশুশিক্ষার্থীরা মহা উত্সাহে পরীক্ষা দিয়েছে। উপস্থিতির হার ৯২ শতাংশ, যা নিঃসন্দেহে ব্যতিক্রমী। যেখানে শিশুদের মধ্যে পরীক্ষাভীতি প্রবল, সেখানে পরীক্ষাকে উত্সবে পরিণত করা একটি তাত্পর্যপূর্ণ ব্যাপার। এটা প্রাথমিক শিক্ষায় নতুন মাত্রার সংযোজন।
আমরা কথায় বলি—সকালের দুই মুঠি, সারা দিনের খুঁটি। এর মর্মার্থ হলো, সকালবেলা পেটভরে খেয়ে নিলে সারা দিন কাজ করা যায়। শিক্ষার সকালবেলাটি হলো প্রাথমিক শিক্ষার স্তর। এ সময় ভালো পড়াশোনার ব্যবস্থা নিশ্চিত করা গেলে বাকি শিক্ষাজীবনে সাফল্যের সঙ্গে এগিয়ে যাওয়ার পথ প্রশস্ত হয়। দেশব্যাপী একই প্রশ্নপত্রে নির্দিষ্ট কেন্দ্রে পরীক্ষার আয়োজন সেদিক থেকে এক ধাপ অগ্রগতি। প্রাথমিক ‘এসএসসি পরীক্ষা’র আকর্ষণ শিশুদের শিক্ষার প্রতি অনুরাগী করে তুলতে সাহায্য করবে।
কেন্দ্রীয় ব্যবস্থাপনায় প্রায় ২০ লাখ শিশুশিক্ষার্থীর পরীক্ষা গ্রহণ সহজ কথা নয়। এখানে সুবিধা হলো, আমাদের দেশে প্রাথমিক শিক্ষায় উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত শিক্ষা কার্যালয় ও নেটওয়ার্ক রয়েছে। জালের আকারে বিস্তৃত এই কাঠামো ব্যবহার করে কেন্দ্রীয়ভাবে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ করা খুবই সম্ভব। তবে এখানে মনে রাখতে হবে, যেহেতু একই মানের প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে, তাই পরীক্ষার খাতা দেখার ক্ষেত্রেও সমমান নিশ্চিত করা প্রয়োজন। তা না হলে বিভিন্ন এলাকার শিক্ষার্থীরা একই প্রশ্নের উত্তর দিয়ে ভিন্ন ভিন্ন মানের ফল পেতে পারে, যা সমর্থনযোগ্য নয়। খাতা মূল্যায়নে একটি অভিন্ন নীতিমালা যেন সব পরীক্ষক মেনে চলতে পারেন, সে ব্যবস্থা করা দরকার। এ জন্য প্রাথমিক শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য।
আরেকটি বিষয়ে মনোযোগ দেওয়া দরকার। শহরাঞ্চলে যত সহজে পরীক্ষার্থীরা নির্দিষ্ট কেন্দ্রে যেতে পারে, দূরবর্তী অঞ্চলের অনেকের পক্ষে তা সম্ভব নাও হতে পারে। বিশেষত হাওর, চরাঞ্চল ও পার্বত্য এলাকার দুর্গম এলাকায় যাতায়াত কষ্টসাধ্য। সেখানে পঞ্চম শ্রেণীর শিশুদের পরীক্ষাকেন্দ্রে উপস্থিতি নিশ্চিত করার সহজ উপায় বের করা দরকার।
এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মূল্যায়ন বিভাগ পদ্ধতি, না গ্রেড পয়েন্টে হবে—এটা ভেবে দেখা দরকার। এই শিশুরাই আর পাঁচ বছর পর পরীক্ষার ফল পাবে গ্রেড পয়েন্টে। তাহলে সেটা কেন প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা থেকেই শুরু হবে না? প্রাথমিক শিক্ষা কর্তৃপক্ষ এ দিকটি ভেবে দেখতে পারেন। ভবিষ্যতের প্রস্তুতি প্রাথমিক পর্যায় থেকেই শুরু হওয়া বাঞ্ছনীয়।
একটি লক্ষণীয় বিষয় হলো, প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী স্তরে ছেলেদের চেয়ে মেয়েদের সংখ্যা প্রায় আট শতাংশ বেশি। ছাত্রীদের উপবৃত্তি এ ক্ষেত্রে সহায়ক হয়েছে। মেয়েরা শিক্ষায় এগিয়ে এলে সমগ্র সমাজের এগিয়ে যাওয়ার একটি অন্যতম শর্ত সৃষ্টি হয়। তাই এ ধারাটি ধরে রাখার জন্য সরকারকে বিশেষ যত্ন নিতে হবে।
ছোটখাটো কিছু সমস্যা থাকলেও একটি ব্যবস্থা হিসেবে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা যে শুরু করা গেছে, সেটাই বড় কথা। একে উন্নত শিক্ষাব্যবস্থার পথে প্রথম সোপান হিসেবে দেখা চলে।
আমরা কথায় বলি—সকালের দুই মুঠি, সারা দিনের খুঁটি। এর মর্মার্থ হলো, সকালবেলা পেটভরে খেয়ে নিলে সারা দিন কাজ করা যায়। শিক্ষার সকালবেলাটি হলো প্রাথমিক শিক্ষার স্তর। এ সময় ভালো পড়াশোনার ব্যবস্থা নিশ্চিত করা গেলে বাকি শিক্ষাজীবনে সাফল্যের সঙ্গে এগিয়ে যাওয়ার পথ প্রশস্ত হয়। দেশব্যাপী একই প্রশ্নপত্রে নির্দিষ্ট কেন্দ্রে পরীক্ষার আয়োজন সেদিক থেকে এক ধাপ অগ্রগতি। প্রাথমিক ‘এসএসসি পরীক্ষা’র আকর্ষণ শিশুদের শিক্ষার প্রতি অনুরাগী করে তুলতে সাহায্য করবে।
কেন্দ্রীয় ব্যবস্থাপনায় প্রায় ২০ লাখ শিশুশিক্ষার্থীর পরীক্ষা গ্রহণ সহজ কথা নয়। এখানে সুবিধা হলো, আমাদের দেশে প্রাথমিক শিক্ষায় উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত শিক্ষা কার্যালয় ও নেটওয়ার্ক রয়েছে। জালের আকারে বিস্তৃত এই কাঠামো ব্যবহার করে কেন্দ্রীয়ভাবে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ করা খুবই সম্ভব। তবে এখানে মনে রাখতে হবে, যেহেতু একই মানের প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে, তাই পরীক্ষার খাতা দেখার ক্ষেত্রেও সমমান নিশ্চিত করা প্রয়োজন। তা না হলে বিভিন্ন এলাকার শিক্ষার্থীরা একই প্রশ্নের উত্তর দিয়ে ভিন্ন ভিন্ন মানের ফল পেতে পারে, যা সমর্থনযোগ্য নয়। খাতা মূল্যায়নে একটি অভিন্ন নীতিমালা যেন সব পরীক্ষক মেনে চলতে পারেন, সে ব্যবস্থা করা দরকার। এ জন্য প্রাথমিক শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য।
আরেকটি বিষয়ে মনোযোগ দেওয়া দরকার। শহরাঞ্চলে যত সহজে পরীক্ষার্থীরা নির্দিষ্ট কেন্দ্রে যেতে পারে, দূরবর্তী অঞ্চলের অনেকের পক্ষে তা সম্ভব নাও হতে পারে। বিশেষত হাওর, চরাঞ্চল ও পার্বত্য এলাকার দুর্গম এলাকায় যাতায়াত কষ্টসাধ্য। সেখানে পঞ্চম শ্রেণীর শিশুদের পরীক্ষাকেন্দ্রে উপস্থিতি নিশ্চিত করার সহজ উপায় বের করা দরকার।
এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মূল্যায়ন বিভাগ পদ্ধতি, না গ্রেড পয়েন্টে হবে—এটা ভেবে দেখা দরকার। এই শিশুরাই আর পাঁচ বছর পর পরীক্ষার ফল পাবে গ্রেড পয়েন্টে। তাহলে সেটা কেন প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা থেকেই শুরু হবে না? প্রাথমিক শিক্ষা কর্তৃপক্ষ এ দিকটি ভেবে দেখতে পারেন। ভবিষ্যতের প্রস্তুতি প্রাথমিক পর্যায় থেকেই শুরু হওয়া বাঞ্ছনীয়।
একটি লক্ষণীয় বিষয় হলো, প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী স্তরে ছেলেদের চেয়ে মেয়েদের সংখ্যা প্রায় আট শতাংশ বেশি। ছাত্রীদের উপবৃত্তি এ ক্ষেত্রে সহায়ক হয়েছে। মেয়েরা শিক্ষায় এগিয়ে এলে সমগ্র সমাজের এগিয়ে যাওয়ার একটি অন্যতম শর্ত সৃষ্টি হয়। তাই এ ধারাটি ধরে রাখার জন্য সরকারকে বিশেষ যত্ন নিতে হবে।
ছোটখাটো কিছু সমস্যা থাকলেও একটি ব্যবস্থা হিসেবে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা যে শুরু করা গেছে, সেটাই বড় কথা। একে উন্নত শিক্ষাব্যবস্থার পথে প্রথম সোপান হিসেবে দেখা চলে।
No comments