মুক্তিযোদ্ধার কান্না
তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা। জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেছিলেন দেশের জন্য। আর আমরা তাঁকে পারিনি এক ব্যাগ রক্ত দিতে। তাই তো তিনি হাসপাতালের মেঝেতে আকুল হয়ে কাঁদছিলেন এক ব্যাগ রক্তের জন্য, তাঁর জীবনের এ মুহূর্তের মূল্যবান সম্পদ মুক্তিযোদ্ধা সনদপত্রের বিনিময়ে। তাঁর রক্ত কেনার টাকারও হয়তো অভাব হতো না, যদি না হাসপাতাল থেকে তাঁর সাড়ে তিন হাজার টাকা চুরি হতো। বলছি ২৩ অক্টোবর প্রথম আলোর ‘বিশাল বাংলা’ পাতায় প্রকাশিত রাজশাহী মেডিকেল কলেজে ভর্তি মুক্তিযোদ্ধা নূরুল ইসলামের ছবিটির কথা। একজন ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধ কীভাবে কাঁদছেন এক ব্যাগ রক্তের জন্য, বিনিময়ে দিতে চেয়েছিলেন মুক্তিযোদ্ধা সনদ, রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতিটুকু। যে সনদ তাঁকে এতটুকু সম্মান করে না, তা রেখে লাভ কী? শুধু রক্ত কেন, জীবনও যেতে পারে জেনে যুদ্ধ করেছেন। কোনো ভাতা, সনদ বা কোনো ব্যক্তিগত স্বার্থের জন্য নয়। আর আমরা তাঁদের কী দিচ্ছি? তাঁদের ন্যূনতম অধিকার কি নিশ্চিত করছি? এ প্রশ্ন সমাজের কাছে, রাষ্ট্রের কাছে। নূরুল ইসলামরা আর কত দিন কষ্টে বাকি দিন কটা কাটাবেন?
মিরাজ
শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
মিরাজ
শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
No comments