জঙ্গি হামলার পরিকল্পনার তথ্য ভারতকে জানায়নি পাকিস্তান
ভারতের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় লস্কর-ই-তাইয়েবার হামলার ষড়যন্ত্রের কথা জানত পাকিস্তান। কিন্তু নয়াদিল্লিকে এ ব্যাপারে কোনো তথ্যই জানায়নি ইসলামাবাদ। যদিও দুই দেশের মধ্যে সন্ত্রাসী হামলার ষড়যন্ত্রের তথ্য আদান-প্রদানের কথা রয়েছে।
ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদাম্বরম এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা গত শুক্রবার এ অভিযোগ করেছেন। তাঁরা বলেছেন, ভারতে নতুন করে হামলার মূল পরিকল্পনাকারী ও লস্কর-ই-তাইয়েবার সদস্য ডেভিড কোলম্যান হেডলি ২০০৬ সালের পর ভারতে বেশ কয়েকবার এসেছেন। এ সময় তিনি হামালার লক্ষ্যস্থলগুলো পরিদর্শন করে থাকতে পারেন।
পি চিদাম্বরম বলেন, ‘নতুন করে এ হামলার পরিকল্পনার সঙ্গে অবশ্যই পাকিস্তান জড়িত। হেডলি বেশ কয়েকবার পাকিস্তান সফর করেছেন। আমাদের বিশ্বাস, এফবিআইয়ের নির্দেশেই পাকিস্তানে দুই বা ততোধিক ব্যক্তি গ্রেপ্তার হয়েছেন।’
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এফবিআই) গত ৩ অক্টোবর ডেভিড হেডলি এবং ১৮ অক্টোবর তাঁর সম্ভাব্য সহযোগী তাহাউর হুসাইন রানাকে গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনার পরই এফবিআই ভারতের মাটিতে হামলার ষড়যন্ত্রের ব্যাপারে পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থাকে (এফআইএ) জানায়। কিন্তু পাকিস্তান সে তথ্য ভারতকে জানায়নি। লস্কর-ই-তাইয়েবা নয়াদিল্লির ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ, উত্তরাখন্ডের দেরাদুনের উডস্টক ও ডুন স্কুল এবং দিল্লি, কেরালা ও গোয়ার পাঁচতারা হোটেলে হামলার ষড়যন্ত্র করেছিল।
মিসরে জোটনিরপেক্ষ আন্দোলনের সম্মেলনের বাইরে পাকিস্তান ও ভারতের দেওয়া এক যৌথ বিবৃতিতে উভয় দেশের প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, ভবিষ্যতে যেকোনো সন্ত্রাসী হামলার হুমকির ব্যাপারে আগাম তথ্য পেলে দুটি দেশ তা পরস্পরের কাছে বিনিময় করবে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং শুক্রবার নিশ্চিত করেছেন, নতুন করে হামলার ষড়যন্ত্রের ব্যাপারে পাকিস্তানের কাছ থেকে কোনো আভাস পায়নি ভারত। তিনি বলেন, ‘বড়জোর এ ব্যাপারে আমি হেডলি-সম্পর্কিত খবর পেয়েছি। আমার মনে হয় না, এ ব্যাপারে আমরা পাকিস্তানের পক্ষ থেকে কোনো তথ্য পেয়েছি।’
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেছেন, পাকিস্তান লস্কর-ই-তাইয়েবার নতুন করে সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনার ব্যাপারে নীরবতা অবলম্বন করেছে। তিনি বলেন, পাকিস্তানের এমন ভূমিকার পর সন্ত্রাসী হামলার ষড়যন্ত্র-সম্পর্কিত তথ্যের ব্যাপারে পাকিস্তানের ওপর আর নির্ভর করার পরিকল্পনা নেই ভারতের। এর চেয়ে বরং এফবিআইয়ের ওপর নির্ভর করাটা হবে অনেক বেশি যৌক্তিক।
হেডলির বিরুদ্ধে শিকাগোর ডিস্ট্রিক্ট কোর্টে করা অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ২০০৬ সালের পর হেডলি পাকিস্তান, ভারত ও ডেনমার্কসহ বিভিন্ন দেশ একাধিকবার সফর করেছেন। হেডলির ই-মেইল বার্তা থেকে জানা গেছে, গত কয়েক বছরে তিনি পাকিস্তানসহ বেশ কয়েকটি দেশে গিয়েছেন। এ সময় তিনি টানা কয়েক মাসও ওই সব দেশে অবস্থান করেন।
ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, এটা ঠিক নয় যে কেবল লস্কর-ই-তাইয়েবাই ২৬-১১ মতো আরও হামলার পরিকল্পনার সঙ্গে জড়িত। হুজি ও আল-কায়েদার মতো অন্যান্য সন্ত্রাসী সংগঠনও ভারতে হামলার ব্যাপারে লস্কর-ই-তাইয়েবাকে সহযোগিতা করছে।
এফবিআইয়ের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে ভারতের গোয়েন্দা দলের তদন্ত কর্মকর্তারা যুক্তরাষ্ট্রে গেছেন। তাঁরা সেখানে গ্রেপ্তার হওয়া হেডলি ও রানাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। তদন্তে দেখা গেছে, ভারতের মাটিতে হামলার পরিকল্পনার সঙ্গে জড়িতদের পরিচয় পাকিস্তানের জানা আছে। এমনকি তাদের একজনকে পাকিস্তান সম্প্রতি গ্রেপ্তার করেও আবার ছেড়ে দিয়েছে।
ভারতের কাছে সরবরাহ করা এফবিআইয়ের তথ্যে বলা হয়েছে, ভারতের মাটিতে হামলার পরিকল্পনার সঙ্গে পাকিস্তানের তিন ব্যক্তি জড়িত। তাঁদের সঙ্গে হেডলি ও রানার যোগাযোগ ছিল।
ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদাম্বরম এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা গত শুক্রবার এ অভিযোগ করেছেন। তাঁরা বলেছেন, ভারতে নতুন করে হামলার মূল পরিকল্পনাকারী ও লস্কর-ই-তাইয়েবার সদস্য ডেভিড কোলম্যান হেডলি ২০০৬ সালের পর ভারতে বেশ কয়েকবার এসেছেন। এ সময় তিনি হামালার লক্ষ্যস্থলগুলো পরিদর্শন করে থাকতে পারেন।
পি চিদাম্বরম বলেন, ‘নতুন করে এ হামলার পরিকল্পনার সঙ্গে অবশ্যই পাকিস্তান জড়িত। হেডলি বেশ কয়েকবার পাকিস্তান সফর করেছেন। আমাদের বিশ্বাস, এফবিআইয়ের নির্দেশেই পাকিস্তানে দুই বা ততোধিক ব্যক্তি গ্রেপ্তার হয়েছেন।’
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এফবিআই) গত ৩ অক্টোবর ডেভিড হেডলি এবং ১৮ অক্টোবর তাঁর সম্ভাব্য সহযোগী তাহাউর হুসাইন রানাকে গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনার পরই এফবিআই ভারতের মাটিতে হামলার ষড়যন্ত্রের ব্যাপারে পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থাকে (এফআইএ) জানায়। কিন্তু পাকিস্তান সে তথ্য ভারতকে জানায়নি। লস্কর-ই-তাইয়েবা নয়াদিল্লির ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ, উত্তরাখন্ডের দেরাদুনের উডস্টক ও ডুন স্কুল এবং দিল্লি, কেরালা ও গোয়ার পাঁচতারা হোটেলে হামলার ষড়যন্ত্র করেছিল।
মিসরে জোটনিরপেক্ষ আন্দোলনের সম্মেলনের বাইরে পাকিস্তান ও ভারতের দেওয়া এক যৌথ বিবৃতিতে উভয় দেশের প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, ভবিষ্যতে যেকোনো সন্ত্রাসী হামলার হুমকির ব্যাপারে আগাম তথ্য পেলে দুটি দেশ তা পরস্পরের কাছে বিনিময় করবে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং শুক্রবার নিশ্চিত করেছেন, নতুন করে হামলার ষড়যন্ত্রের ব্যাপারে পাকিস্তানের কাছ থেকে কোনো আভাস পায়নি ভারত। তিনি বলেন, ‘বড়জোর এ ব্যাপারে আমি হেডলি-সম্পর্কিত খবর পেয়েছি। আমার মনে হয় না, এ ব্যাপারে আমরা পাকিস্তানের পক্ষ থেকে কোনো তথ্য পেয়েছি।’
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেছেন, পাকিস্তান লস্কর-ই-তাইয়েবার নতুন করে সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনার ব্যাপারে নীরবতা অবলম্বন করেছে। তিনি বলেন, পাকিস্তানের এমন ভূমিকার পর সন্ত্রাসী হামলার ষড়যন্ত্র-সম্পর্কিত তথ্যের ব্যাপারে পাকিস্তানের ওপর আর নির্ভর করার পরিকল্পনা নেই ভারতের। এর চেয়ে বরং এফবিআইয়ের ওপর নির্ভর করাটা হবে অনেক বেশি যৌক্তিক।
হেডলির বিরুদ্ধে শিকাগোর ডিস্ট্রিক্ট কোর্টে করা অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ২০০৬ সালের পর হেডলি পাকিস্তান, ভারত ও ডেনমার্কসহ বিভিন্ন দেশ একাধিকবার সফর করেছেন। হেডলির ই-মেইল বার্তা থেকে জানা গেছে, গত কয়েক বছরে তিনি পাকিস্তানসহ বেশ কয়েকটি দেশে গিয়েছেন। এ সময় তিনি টানা কয়েক মাসও ওই সব দেশে অবস্থান করেন।
ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, এটা ঠিক নয় যে কেবল লস্কর-ই-তাইয়েবাই ২৬-১১ মতো আরও হামলার পরিকল্পনার সঙ্গে জড়িত। হুজি ও আল-কায়েদার মতো অন্যান্য সন্ত্রাসী সংগঠনও ভারতে হামলার ব্যাপারে লস্কর-ই-তাইয়েবাকে সহযোগিতা করছে।
এফবিআইয়ের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে ভারতের গোয়েন্দা দলের তদন্ত কর্মকর্তারা যুক্তরাষ্ট্রে গেছেন। তাঁরা সেখানে গ্রেপ্তার হওয়া হেডলি ও রানাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। তদন্তে দেখা গেছে, ভারতের মাটিতে হামলার পরিকল্পনার সঙ্গে জড়িতদের পরিচয় পাকিস্তানের জানা আছে। এমনকি তাদের একজনকে পাকিস্তান সম্প্রতি গ্রেপ্তার করেও আবার ছেড়ে দিয়েছে।
ভারতের কাছে সরবরাহ করা এফবিআইয়ের তথ্যে বলা হয়েছে, ভারতের মাটিতে হামলার পরিকল্পনার সঙ্গে পাকিস্তানের তিন ব্যক্তি জড়িত। তাঁদের সঙ্গে হেডলি ও রানার যোগাযোগ ছিল।
No comments