ধর্মঘট কাম্য ছিল না -ওষুধের দোকানে অভিযান
ওষুধের দোকানে অভিযানের ঘটনায় শনিবার ঢাকা ও চট্টগ্রামের পাইকারি বাজারে যে ধর্মঘট হয়ে গেল, তা আমাদের সামনে কিছু প্রশ্ন ও বিষয় তুলে এনেছে। প্রথমত, কোনো অভিযান হলেই কি ধর্মঘট করে তার প্রতিবাদ জানাতে হবে, বিশেষ করে ওষুধের মতো একটি জরুরি ও জীবন রক্ষাকারী সামগ্রীর বিক্রি বন্ধ রেখে? একই সঙ্গে অভিযান পরিচালনার ক্ষেত্রে ত্রুটি এবং ওষুধ প্রশাসনের দায়িত্ব পরিচালনার ক্ষেত্রে কিছু গলদও স্পষ্ট হয়েছে।
বুধবার সন্ধ্যায় র্যাব চট্টগ্রামে একটি ওষুধের দোকানে অভিযান চালিয়ে কিছু ওষুধ আটক এবং দোকানের তিনজন কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করে। ব্যস, এর প্রতিবাদে চট্টগ্রামে বৃহস্পতিবার থেকেই পাইকারি ওষুধের দোকানে ধর্মঘট শুরু হয়ে যায়। এর সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করতে শনিবার ঢাকায়ও ধর্মঘট হয়ে গেল। বাংলাদেশ কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতির নেতারা অভিযোগ করেছেন, কোনো জব্দতালিকা ছাড়াই অভিযান পরিচালনাকারী র্যাবের সদস্যরা দোকান থেকে ওষুধ নিয়ে গেছেন। কিন্তু তাই বলে সারা দেশে দোকান বন্ধ করে দিতে হবে? যদি কোনো অন্যায় হয়ে থাকে, এর প্রতিকার চাওয়ার কি অন্য কোনো পথ খোলা ছিল না? সরকারের সঙ্গে নিজেদের স্বার্থ নিয়ে দেনদরবার করার ক্ষমতা কি সমিতি হারিয়ে ফেলেছে? যদি সেটা না হয়ে থাকে, তবে শুরুতেই ধর্মঘটের মতো পদক্ষেপ কেন? আর ওষুধ ব্যবসায়ীরা কি এ নিশ্চয়তা দিতে পারবেন যে, সব ব্যবসায়ী নিয়ম মেনে ব্যবসা করেন বা আমদানি-নিষিদ্ধ ওষুধ কেউ বিক্রি করেন না। ওষুধের বাজারে ধর্মঘটের ডাক দিয়ে সমিতি দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছে এবং এ জন্য জনগণের যে দুর্ভোগ হলো, এর দায়ভার মূলত তাদেরই নিতে হবে।
তবে কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতির অভিযোগ আমরা গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নিতে চাই। যথাযথ তালিকা না করে যদি ওষুধ জব্দ করা হয়ে থাকে, সেটা কেন হয়েছে, তা তদন্ত করে দেখা জরুরি। আমরা মনে করি, ওষুধ একটি সংবেদনশীল ও বিশেষায়িত পণ্য। এ ক্ষেত্রে যাঁরা কোনো অভিযানে যাবেন, তাঁদের সেই বিশেষজ্ঞ জ্ঞান থাকতে হবে। র্যাবের এ অভিযানে ওষুধ প্রশাসনের পক্ষ থেকে একজন ড্রাগ সুপারও নেতৃত্বে ছিলেন। ফলে এ অভিযানে কোনো নিয়মবহির্ভূত কাজ হয়ে থাকলে এর দায় ওষুধ প্রশাসনকেও নিতে হবে।
কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতি জানিয়েছে, প্রতিবছর বাজারে নতুন ওষুধ আসছে, কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে সে তালিকা হালনাগাদ করা হয় না। সমিতির এ অভিযোগের দায় সরকার এড়াতে পারে না। বাজারে নতুন ওষুধ আসবে এবং তা হালনাগাদ করা জরুরি। সেটা করা না গেলে এ ধরনের অভিযান পরিচালনার সময় বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। সমিতি জানিয়েছে, চিকিত্সকেরা তাঁদের ব্যবস্থাপত্রে যেসব ওষুধ দিয়ে থাকেন, তারা সে অনুযায়ী ওষুধ আমদানি ও বিক্রি করে থাকে। বিষয়টি নিশ্চয় তাই। কারণ, চিকিত্সকের ব্যবস্থাপত্রের ওপর ভিত্তি করেই দোকানে ওষুধ খুঁজতে আসে ক্রেতারা। এখন চিকিত্সক যদি এমন ওষুধের নাম লিখে থাকেন যা আমদানি-নিষিদ্ধ, তবে তো বুঝতে হবে, পুরো প্রক্রিয়ার মধ্যে বড় গলদ রয়েছে।
আমরা পুরো বিষয়টির ব্যাপারে সরকার ও ওষুধ প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানাই।
বুধবার সন্ধ্যায় র্যাব চট্টগ্রামে একটি ওষুধের দোকানে অভিযান চালিয়ে কিছু ওষুধ আটক এবং দোকানের তিনজন কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করে। ব্যস, এর প্রতিবাদে চট্টগ্রামে বৃহস্পতিবার থেকেই পাইকারি ওষুধের দোকানে ধর্মঘট শুরু হয়ে যায়। এর সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করতে শনিবার ঢাকায়ও ধর্মঘট হয়ে গেল। বাংলাদেশ কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতির নেতারা অভিযোগ করেছেন, কোনো জব্দতালিকা ছাড়াই অভিযান পরিচালনাকারী র্যাবের সদস্যরা দোকান থেকে ওষুধ নিয়ে গেছেন। কিন্তু তাই বলে সারা দেশে দোকান বন্ধ করে দিতে হবে? যদি কোনো অন্যায় হয়ে থাকে, এর প্রতিকার চাওয়ার কি অন্য কোনো পথ খোলা ছিল না? সরকারের সঙ্গে নিজেদের স্বার্থ নিয়ে দেনদরবার করার ক্ষমতা কি সমিতি হারিয়ে ফেলেছে? যদি সেটা না হয়ে থাকে, তবে শুরুতেই ধর্মঘটের মতো পদক্ষেপ কেন? আর ওষুধ ব্যবসায়ীরা কি এ নিশ্চয়তা দিতে পারবেন যে, সব ব্যবসায়ী নিয়ম মেনে ব্যবসা করেন বা আমদানি-নিষিদ্ধ ওষুধ কেউ বিক্রি করেন না। ওষুধের বাজারে ধর্মঘটের ডাক দিয়ে সমিতি দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছে এবং এ জন্য জনগণের যে দুর্ভোগ হলো, এর দায়ভার মূলত তাদেরই নিতে হবে।
তবে কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতির অভিযোগ আমরা গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নিতে চাই। যথাযথ তালিকা না করে যদি ওষুধ জব্দ করা হয়ে থাকে, সেটা কেন হয়েছে, তা তদন্ত করে দেখা জরুরি। আমরা মনে করি, ওষুধ একটি সংবেদনশীল ও বিশেষায়িত পণ্য। এ ক্ষেত্রে যাঁরা কোনো অভিযানে যাবেন, তাঁদের সেই বিশেষজ্ঞ জ্ঞান থাকতে হবে। র্যাবের এ অভিযানে ওষুধ প্রশাসনের পক্ষ থেকে একজন ড্রাগ সুপারও নেতৃত্বে ছিলেন। ফলে এ অভিযানে কোনো নিয়মবহির্ভূত কাজ হয়ে থাকলে এর দায় ওষুধ প্রশাসনকেও নিতে হবে।
কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতি জানিয়েছে, প্রতিবছর বাজারে নতুন ওষুধ আসছে, কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে সে তালিকা হালনাগাদ করা হয় না। সমিতির এ অভিযোগের দায় সরকার এড়াতে পারে না। বাজারে নতুন ওষুধ আসবে এবং তা হালনাগাদ করা জরুরি। সেটা করা না গেলে এ ধরনের অভিযান পরিচালনার সময় বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। সমিতি জানিয়েছে, চিকিত্সকেরা তাঁদের ব্যবস্থাপত্রে যেসব ওষুধ দিয়ে থাকেন, তারা সে অনুযায়ী ওষুধ আমদানি ও বিক্রি করে থাকে। বিষয়টি নিশ্চয় তাই। কারণ, চিকিত্সকের ব্যবস্থাপত্রের ওপর ভিত্তি করেই দোকানে ওষুধ খুঁজতে আসে ক্রেতারা। এখন চিকিত্সক যদি এমন ওষুধের নাম লিখে থাকেন যা আমদানি-নিষিদ্ধ, তবে তো বুঝতে হবে, পুরো প্রক্রিয়ার মধ্যে বড় গলদ রয়েছে।
আমরা পুরো বিষয়টির ব্যাপারে সরকার ও ওষুধ প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানাই।
No comments