গেম প্ল্যান, চাপ এবং একটি প্রত্যয়
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের ম্যাচে ব্যাটিংয়ের সময় বাংলাদেশের প্রথম লক্ষ্য থাকে ৪০ থেকে ৪৫ রানের মধ্যে একটার বেশি উইকেট না হারানো। পরশু জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে বাংলাদেশ হারাল ৪১ রানে ৩ উইকেট!
ম্যাচ শেষে অধিনায়ক সাকিব আল হাসান যেটা বলেছিলেন, কাল অন্যরাও বললেন সেটাই। প্রথম ম্যাচে হারের কারণ সবার চোখেই এক—গেম প্ল্যানের ব্যাটিং অধ্যায়টা হয়ে গিয়েছিল এলোমেলো। ওপেনার তামিম ইকবাল সব দায় টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানদের কাঁধে তুলে নিয়ে বললেন, ‘আমরা ভালো শুরু করতে পারিনি। দ্রুত উইকেট হারিয়েছি। ওপেনারদের মধ্যে কেউই রান না করলে তো সংগ্রাম করতেই হবে।’ আজ একই মাঠে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডের আগে তামিমদের প্রত্যয় একটাই—আগের ম্যাচের ভুলগুলো আর করা যাবে না।
কী সেই ভুল? ড্রেসিংরুম থেকে এঁকে দেওয়া গেম প্ল্যানকে ব্যাটসম্যানদের বাস্তবায়ন করতে না পারা। দ্বিতীয় ভুল: আবদুর রাজ্জাকের অমন একটা ওভারের পরও বোলিংয়ে রাশ ধরে রাখায় ব্যর্থতা। দ্বিতীয়টা খুব বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে না বাংলাদেশ মাত্র ১৮৬ রান করেছে বলে।
বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের মধ্যে সফল বলতে পারেন মুশফিকুর রহিম আর ডলার মাহমুদকে। মুশফিকুরের ৫৬ আর ডলারের ৩২ বলে ৪১-ই ব্যাটিংয়ে যা একটু বলার মতো। নিজের কথা না বলে মুশফিকুর তামিমের মতোই ব্যর্থতার দায়টা পুরো দলের ওপরই নিলেন। অতীত ভুলে ভবিষ্যতের দিকেও তাকিয়ে তিনি, ‘জিম্বাবুয়ে তিনটা বিভাগেই খুব ভালো খেলেছে, আর আমরা খেলেছি খুব বাজে। সামনে এখন চারটা ম্যাচ—এই চারটা ম্যাচই আমাদের জিততে হবে।’
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ম্যাচকে অনেকে চাপ মনে করলেও বাংলাদেশ সহ-অধিনায়ক সেটা মনে করেন না। তবে বলছেন, এই ম্যাচে ভালো খেলার অতিরিক্ত একটা দায়িত্ব থাকে তাঁদের ওপর, ‘আমরা যখন জিম্বাবুয়েতে খেলতে যাই, সবাই ভাবে জিম্বাবুয়ের মাটিতে জিম্বাবুয়েই জিতবে। আমাদের তখন হারানোর কিছু থাকে না। ওদের জন্যও একই ব্যাপার। ওরা আমাদের মাটিতে খেলতে আসছে। ওদের এখানে হারানোর কিছু নেই। সবাই ভাবছে আমরাই জিতব। এটাকে ঠিক চাপ বলব না, তবে অতিরিক্ত একটা দায়িত্ব চলে আসে এই ম্যাচে।’
কোচ জেমি সিডন্সের কাছে ব্যাপারটা চাপই। তবে সেই চাপ যতটা না জিম্বাবুয়ে দিচ্ছে, তার চেয়ে বেশি নাকি দিচ্ছে তৃতীয়-চতুর্থ পক্ষরা, ‘ছেলেদের ওপর অনন্ত চাপ। আমি নিজেও সংবাদমাধ্যম, জনগণ আর ক্রিকেট বোর্ডের কাছ থেকে চাপ বোধ করি। গত দুটি সিরিজও হয়তো এর কারণ—সবাই ভাবছে আমরা বুঝি ভারতের মতো কোনো দল হয়ে গেছি। কিন্তু আমরা আসলে বাংলাদেশই আছি। উন্নতির পথে থাকা একটা দলই আছি।’ সিডন্স মনে করেন, বাইরের এই চাপ নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে দলের ওপর, ‘এটা সব দেশেই আছে। তবে আমাদের দলটা তো এখনো তরুণ।’
তবে পরাজয়ের দায় এই ‘চাপের’ ওপর চাপাচ্ছেন না সিডন্স। এ প্রশ্নে তিনিও আর সবার সঙ্গে একমত। পরাজয়টা এসেছে বাজে ব্যাটিংয়ের অব্যর্থ পরিণতি হয়ে, ‘অনেক বাজে শট হয়েছে... বিশেষ করে দুই ওপেনারের আউট। তারা কিছু করতে না পারায় অন্যদের ওপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি হয়েছে।’
কিন্তু এই চাপের পরও ডলার মাহমুদ ছিলেন উজ্জ্বল ব্যতিক্রম। তাঁর নির্ভীক ব্যাটিংয়ে লজ্জাই পাওয়ার কথা অন্যদের। তবে পরাজয়ের ময়নাতদন্তে গিয়ে ডলার আর ব্যাটসম্যান নন, একজন বোলার, ‘আমাদের বোলিং ভালো হয়েছে। কিন্তু স্কোরটা ডিফেন্ড করার মতো ছিল না। ২৩০-৪০ রান হলে হয়তো সেটা সম্ভব হতো।’
জেমি সিডন্স জিম্বাবুয়ে দলে উন্নতির ছাপও দেখছেন, ‘খুব ভালো, সুসংগঠিত এবং পেশাদার একটা ক্রিকেট দলের কাছে হেরে গেছি আমরা। এ ম্যাচে তারা আমাদের চেয়ে অনেক ভালো খেলেছে। আমি আগেও ছেলেদের সতর্ক করেছি, সংবাদমাধ্যমেও বলেছি—সমানে সমান লড়াই হবে। নিজেদের সেরা ক্রিকেট না খেললে জেতা সম্ভব নয়।’
সেই খেলাটা কি আজ খেলতে পারবে বাংলাদেশ?
ম্যাচ শেষে অধিনায়ক সাকিব আল হাসান যেটা বলেছিলেন, কাল অন্যরাও বললেন সেটাই। প্রথম ম্যাচে হারের কারণ সবার চোখেই এক—গেম প্ল্যানের ব্যাটিং অধ্যায়টা হয়ে গিয়েছিল এলোমেলো। ওপেনার তামিম ইকবাল সব দায় টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানদের কাঁধে তুলে নিয়ে বললেন, ‘আমরা ভালো শুরু করতে পারিনি। দ্রুত উইকেট হারিয়েছি। ওপেনারদের মধ্যে কেউই রান না করলে তো সংগ্রাম করতেই হবে।’ আজ একই মাঠে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডের আগে তামিমদের প্রত্যয় একটাই—আগের ম্যাচের ভুলগুলো আর করা যাবে না।
কী সেই ভুল? ড্রেসিংরুম থেকে এঁকে দেওয়া গেম প্ল্যানকে ব্যাটসম্যানদের বাস্তবায়ন করতে না পারা। দ্বিতীয় ভুল: আবদুর রাজ্জাকের অমন একটা ওভারের পরও বোলিংয়ে রাশ ধরে রাখায় ব্যর্থতা। দ্বিতীয়টা খুব বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে না বাংলাদেশ মাত্র ১৮৬ রান করেছে বলে।
বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের মধ্যে সফল বলতে পারেন মুশফিকুর রহিম আর ডলার মাহমুদকে। মুশফিকুরের ৫৬ আর ডলারের ৩২ বলে ৪১-ই ব্যাটিংয়ে যা একটু বলার মতো। নিজের কথা না বলে মুশফিকুর তামিমের মতোই ব্যর্থতার দায়টা পুরো দলের ওপরই নিলেন। অতীত ভুলে ভবিষ্যতের দিকেও তাকিয়ে তিনি, ‘জিম্বাবুয়ে তিনটা বিভাগেই খুব ভালো খেলেছে, আর আমরা খেলেছি খুব বাজে। সামনে এখন চারটা ম্যাচ—এই চারটা ম্যাচই আমাদের জিততে হবে।’
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ম্যাচকে অনেকে চাপ মনে করলেও বাংলাদেশ সহ-অধিনায়ক সেটা মনে করেন না। তবে বলছেন, এই ম্যাচে ভালো খেলার অতিরিক্ত একটা দায়িত্ব থাকে তাঁদের ওপর, ‘আমরা যখন জিম্বাবুয়েতে খেলতে যাই, সবাই ভাবে জিম্বাবুয়ের মাটিতে জিম্বাবুয়েই জিতবে। আমাদের তখন হারানোর কিছু থাকে না। ওদের জন্যও একই ব্যাপার। ওরা আমাদের মাটিতে খেলতে আসছে। ওদের এখানে হারানোর কিছু নেই। সবাই ভাবছে আমরাই জিতব। এটাকে ঠিক চাপ বলব না, তবে অতিরিক্ত একটা দায়িত্ব চলে আসে এই ম্যাচে।’
কোচ জেমি সিডন্সের কাছে ব্যাপারটা চাপই। তবে সেই চাপ যতটা না জিম্বাবুয়ে দিচ্ছে, তার চেয়ে বেশি নাকি দিচ্ছে তৃতীয়-চতুর্থ পক্ষরা, ‘ছেলেদের ওপর অনন্ত চাপ। আমি নিজেও সংবাদমাধ্যম, জনগণ আর ক্রিকেট বোর্ডের কাছ থেকে চাপ বোধ করি। গত দুটি সিরিজও হয়তো এর কারণ—সবাই ভাবছে আমরা বুঝি ভারতের মতো কোনো দল হয়ে গেছি। কিন্তু আমরা আসলে বাংলাদেশই আছি। উন্নতির পথে থাকা একটা দলই আছি।’ সিডন্স মনে করেন, বাইরের এই চাপ নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে দলের ওপর, ‘এটা সব দেশেই আছে। তবে আমাদের দলটা তো এখনো তরুণ।’
তবে পরাজয়ের দায় এই ‘চাপের’ ওপর চাপাচ্ছেন না সিডন্স। এ প্রশ্নে তিনিও আর সবার সঙ্গে একমত। পরাজয়টা এসেছে বাজে ব্যাটিংয়ের অব্যর্থ পরিণতি হয়ে, ‘অনেক বাজে শট হয়েছে... বিশেষ করে দুই ওপেনারের আউট। তারা কিছু করতে না পারায় অন্যদের ওপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি হয়েছে।’
কিন্তু এই চাপের পরও ডলার মাহমুদ ছিলেন উজ্জ্বল ব্যতিক্রম। তাঁর নির্ভীক ব্যাটিংয়ে লজ্জাই পাওয়ার কথা অন্যদের। তবে পরাজয়ের ময়নাতদন্তে গিয়ে ডলার আর ব্যাটসম্যান নন, একজন বোলার, ‘আমাদের বোলিং ভালো হয়েছে। কিন্তু স্কোরটা ডিফেন্ড করার মতো ছিল না। ২৩০-৪০ রান হলে হয়তো সেটা সম্ভব হতো।’
জেমি সিডন্স জিম্বাবুয়ে দলে উন্নতির ছাপও দেখছেন, ‘খুব ভালো, সুসংগঠিত এবং পেশাদার একটা ক্রিকেট দলের কাছে হেরে গেছি আমরা। এ ম্যাচে তারা আমাদের চেয়ে অনেক ভালো খেলেছে। আমি আগেও ছেলেদের সতর্ক করেছি, সংবাদমাধ্যমেও বলেছি—সমানে সমান লড়াই হবে। নিজেদের সেরা ক্রিকেট না খেললে জেতা সম্ভব নয়।’
সেই খেলাটা কি আজ খেলতে পারবে বাংলাদেশ?
No comments