কাবুলে জাতিসংঘের অতিথিশালায় আত্মঘাতী জঙ্গি হামলা, নিহত ১০
আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে গতকাল বুধবার জাতিসংঘের একটি অতিথিশালায় আত্মঘাতী জঙ্গি হামলা হয়েছে। হামলায় জাতিসংঘের ছয় কর্মী, তিন হামলাকারীসহ নিহত হয়েছে ১০ জন। গতকাল সকালের ওই হামলার পরপর একই সময় বিদেশি মালিকানাধীন বিলাসবহুল একটি হোটেলেও হামলা হয়। ওই সময় হোটেলের এক শরও বেশি অতিথি মাটির নিচের বাংকারে আশ্রয় নেয়। তালেবানের পক্ষ থেকে ওই হামলার দায় স্বীকার করা হয়েছে। সামনের মাসের ৭ তারিখে দেশটিতে দ্বিতীয় দফা প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে জঙ্গিরা ওই হামলা চালাল।
আফগানিস্তানে জাতিসংঘ মিশনের মুখপাত্র আদ্রিয়ান এডওয়ার্ডস বলেন, এ পর্যন্ত জাতিসংঘের ছয় কর্মীর নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে। আহত হয়েছেন আরও নয়জন। নিহত ব্যক্তিদের জাতীয়তা তাত্ক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ওই অতিথিশালায় ২০ জন কর্মী কাজ করেন। হামলার সময় তাঁরা সবাই সেখানে উপস্থিত ছিলেন কি না, তা জানা যায়নি।
হামলার পর জঙ্গিরা কমপক্ষে ২০-২৫ জনকে অপহরণ করে নিয়ে যায় বলে খবর বেরিয়েছে। তবে এর সত্যতা নিশ্চিত করা যায়নি। হামলার ঘটনার খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ও দমকল বাহিনীর লোকজন সেখানে ছুটে যান। এর পরপরই আন্তর্জাতিক বাহিনীর সেনা এবং আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা গোটা এলাকা ঘিরে ফেলেন। ঘটনাস্থল থেকে এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, আফগান নিরাপত্তা বাহিনী বেশ কয়েক ঘণ্টা ধরে হামলাকারীদের সঙ্গে গুলিবিনিময় করেছে। গোলাগুলি শেষ হলে ঘটনাস্থলে তিন হামলাকারীর লাশ পাওয়া যায়। কম্পাউন্ডের ভেতরেই লাশগুলো পড়েছিল। ঘটনাস্থলে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্য আবদুল গাইম বলেন, ‘হামলাকারীদের পাকিস্তানি বলেই আমাদের মনে হয়েছে। অতিথিশালার দুই ভারতীয় পরামর্শক নিরাপদ রয়েছেন।’
ভোরে ওই হামলার পরপরই প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের কাছে বিদেশি মালিকানাধীন বিলাসবহুল সেরেনা হোটেলে রকেট হামলা হয়। তবে রকেটটি বিস্ফোরিত হয়নি। ওই সময় হোটেলের নিচতলার বারান্দা ও সিঁড়ি ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে যায়। হোটেলের এক শরও বেশি অতিথি এ সময় বাংকারে গিয়ে আশ্রয় নেয়। তারা এখন নিরাপদে আছে।
তালেবান মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ টেলিফোনে বার্তা সংস্থার কাছে দুটি হামলার ঘটনারই দায় স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘তাদের তিন জঙ্গি আত্মঘাতী পোশাক পরে মেশিনগান নিয়ে ওই হামলা চালায়। ৭ নভেম্বরের নির্বাচন নস্যাত্ করতে এটা আমাদের প্রথম হামলা।’
উল্লেখ্য, আফগানদের নির্বাচন থেকে বিরত থাকতে তালেবানেরা তিন দিন আগে সবাইকে সতর্ক করে বিবৃতি দেয়। তারা নির্বাচন নস্যাত্ করতে ভয়াবহ হামলা চালানোরও হুঁশিয়ারি দেয়।
আফগানিস্তানে জাতিসংঘ মিশনের মুখপাত্র আদ্রিয়ান এডওয়ার্ডস বলেন, এ পর্যন্ত জাতিসংঘের ছয় কর্মীর নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে। আহত হয়েছেন আরও নয়জন। নিহত ব্যক্তিদের জাতীয়তা তাত্ক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ওই অতিথিশালায় ২০ জন কর্মী কাজ করেন। হামলার সময় তাঁরা সবাই সেখানে উপস্থিত ছিলেন কি না, তা জানা যায়নি।
হামলার পর জঙ্গিরা কমপক্ষে ২০-২৫ জনকে অপহরণ করে নিয়ে যায় বলে খবর বেরিয়েছে। তবে এর সত্যতা নিশ্চিত করা যায়নি। হামলার ঘটনার খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ও দমকল বাহিনীর লোকজন সেখানে ছুটে যান। এর পরপরই আন্তর্জাতিক বাহিনীর সেনা এবং আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা গোটা এলাকা ঘিরে ফেলেন। ঘটনাস্থল থেকে এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, আফগান নিরাপত্তা বাহিনী বেশ কয়েক ঘণ্টা ধরে হামলাকারীদের সঙ্গে গুলিবিনিময় করেছে। গোলাগুলি শেষ হলে ঘটনাস্থলে তিন হামলাকারীর লাশ পাওয়া যায়। কম্পাউন্ডের ভেতরেই লাশগুলো পড়েছিল। ঘটনাস্থলে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্য আবদুল গাইম বলেন, ‘হামলাকারীদের পাকিস্তানি বলেই আমাদের মনে হয়েছে। অতিথিশালার দুই ভারতীয় পরামর্শক নিরাপদ রয়েছেন।’
ভোরে ওই হামলার পরপরই প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের কাছে বিদেশি মালিকানাধীন বিলাসবহুল সেরেনা হোটেলে রকেট হামলা হয়। তবে রকেটটি বিস্ফোরিত হয়নি। ওই সময় হোটেলের নিচতলার বারান্দা ও সিঁড়ি ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে যায়। হোটেলের এক শরও বেশি অতিথি এ সময় বাংকারে গিয়ে আশ্রয় নেয়। তারা এখন নিরাপদে আছে।
তালেবান মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ টেলিফোনে বার্তা সংস্থার কাছে দুটি হামলার ঘটনারই দায় স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘তাদের তিন জঙ্গি আত্মঘাতী পোশাক পরে মেশিনগান নিয়ে ওই হামলা চালায়। ৭ নভেম্বরের নির্বাচন নস্যাত্ করতে এটা আমাদের প্রথম হামলা।’
উল্লেখ্য, আফগানদের নির্বাচন থেকে বিরত থাকতে তালেবানেরা তিন দিন আগে সবাইকে সতর্ক করে বিবৃতি দেয়। তারা নির্বাচন নস্যাত্ করতে ভয়াবহ হামলা চালানোরও হুঁশিয়ারি দেয়।
No comments